নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ডিসেম্বর থেকে আগামী এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এদিন আশা প্রকাশ করেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘চমৎকার’ জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়। এতে প্রথমে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস; এরপর এই কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এতে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের ৩৪ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবিসহ ২৭টি দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রথম দিনের সংলাপ শেষ হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সংবিধানের আলোচিত-বিতর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদ, দুই কক্ষের সংসদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন নিয়ে সুপারিশের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা তো বিভক্তকরণের প্রক্রিয়ার রাজনীতি সৃষ্টি করিনি; আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য। আশা করি, আমরা সেই পর্বে ঢুকতে পারব। চমৎকার একটা জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের সংলাপে অনেকগুলো বিষয়ে একমত হওয়া এবং দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে কাছাকাছি থাকা আরও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে।
সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় আছে, (যা) কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলেই আমাদের ঐকমত্যের তালিকায় আরেকটা সুপারিশ যুক্ত হয়। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার আছে, তা নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া অধিকাংশ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। সমমনা ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বক্তব্য দেওয়া ২৬ নেতার মধ্যে ২৩ জনই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছেন। তবে সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, আমজনতার দল, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ জাসদ ও বিএলডিপি—এ আটটি দল জোর দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বৈঠকে অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।’
সংলাপে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর চেয়েছে। আমরা বলেছি, মে ও জুন মাস নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়।...আমরা বলেছি, এর মাঝে একটা তারিখ ঘোষণা করুক।’
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের গড়া দল এনসিপি বলেছে, জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।’
নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে কোনো কারণে যদি নির্বাচন পেছায়, তাহলে বাড়তি সময় কেন লাগবে, তা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁরা কোন সংস্কারে কত দিন লাগবে, তার রোডম্যাপ দেওয়া; শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করা এবং ঠিক কোন মাসে নির্বাচন করা হবে, তার রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন কী অর্জন করতে চায়, তার লিখিত কাঠামো থাকা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার ১০ মাসে কী কী করেছে, তার আমলনামা বা খতিয়ান জনগণের কাছে দেওয়া দরকার।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ভোট চেয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জুনের মধ্যে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদের কাছ শেষ করতে আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছি।’
জাতীয় গণফ্রন্ট নির্বাচন চেয়েছে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
প্রথম ধাপের সংলাপে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নমনীয়তা লক্ষ করা গেছে উল্লেখ করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে যে নমনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো দেখিয়েছে, তা আমার কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব।’

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ডিসেম্বর থেকে আগামী এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এদিন আশা প্রকাশ করেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘চমৎকার’ জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়। এতে প্রথমে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস; এরপর এই কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এতে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের ৩৪ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবিসহ ২৭টি দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রথম দিনের সংলাপ শেষ হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সংবিধানের আলোচিত-বিতর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদ, দুই কক্ষের সংসদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন নিয়ে সুপারিশের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা তো বিভক্তকরণের প্রক্রিয়ার রাজনীতি সৃষ্টি করিনি; আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য। আশা করি, আমরা সেই পর্বে ঢুকতে পারব। চমৎকার একটা জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের সংলাপে অনেকগুলো বিষয়ে একমত হওয়া এবং দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে কাছাকাছি থাকা আরও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে।
সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় আছে, (যা) কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলেই আমাদের ঐকমত্যের তালিকায় আরেকটা সুপারিশ যুক্ত হয়। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার আছে, তা নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া অধিকাংশ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। সমমনা ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বক্তব্য দেওয়া ২৬ নেতার মধ্যে ২৩ জনই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছেন। তবে সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, আমজনতার দল, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ জাসদ ও বিএলডিপি—এ আটটি দল জোর দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বৈঠকে অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।’
সংলাপে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর চেয়েছে। আমরা বলেছি, মে ও জুন মাস নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়।...আমরা বলেছি, এর মাঝে একটা তারিখ ঘোষণা করুক।’
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের গড়া দল এনসিপি বলেছে, জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।’
নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে কোনো কারণে যদি নির্বাচন পেছায়, তাহলে বাড়তি সময় কেন লাগবে, তা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁরা কোন সংস্কারে কত দিন লাগবে, তার রোডম্যাপ দেওয়া; শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করা এবং ঠিক কোন মাসে নির্বাচন করা হবে, তার রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন কী অর্জন করতে চায়, তার লিখিত কাঠামো থাকা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার ১০ মাসে কী কী করেছে, তার আমলনামা বা খতিয়ান জনগণের কাছে দেওয়া দরকার।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ভোট চেয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জুনের মধ্যে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদের কাছ শেষ করতে আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছি।’
জাতীয় গণফ্রন্ট নির্বাচন চেয়েছে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
প্রথম ধাপের সংলাপে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নমনীয়তা লক্ষ করা গেছে উল্লেখ করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে যে নমনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো দেখিয়েছে, তা আমার কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৬ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা।
০৩ জুন ২০২৫
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা।
০৩ জুন ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৬ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা।
০৩ জুন ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৬ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি ও সমমনারা।
০৩ জুন ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৬ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে