নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অংশ নেবেন দেশের ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ করে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা পৌঁছাতে গাওয়া হবে ‘ফ্রম রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ শিরোনামের গান। যেখানে দুটি ব্যান্ডের সংগীতশিল্পীরা অংশ নেবেন।
চৈত্রসংক্রান্তি এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এবার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক একটা নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। এর পেছনে অনেক দিনের চিন্তা কাজ করেছে। রাতের পর রাত আমরা আলোচনা করেছি, কী করে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমরা খুব আনন্দিত যে সব জাতিগোষ্ঠী এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘কেন আমরা এ কাজগুলো করছি, সেই দর্শনটা বলতে চাই। সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থার মূলে আছে দুটি জিনিস। প্রথমটি কালচারাল হিলিং এবং দ্বিতীয়ত কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। কালচারাল হিলিং হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন বিভাজিত ছিলাম, এর ফলে সমাজের একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটা গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব, সংশয় ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা। এই হিলিংয়ের কাজটা এরই মধ্যে শুরু করেছি। এবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদরাতে ঈদের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সামনে সারা দেশে হবে। শুধু মুসলমানদের উৎসবগুলো নয়, অন্যান্য ধর্মের বড় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করেও একাডেমিতে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘নতুন বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সব জাতিগোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়ে উৎসব করার চেষ্টা করছি। এটার মূল কারণ কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আমাদের শক্তি ও সৌন্দর্য আমাদের বৈচিত্র্যে। সেটাই আমার উদ্যাপন করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যেহেতু চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের সব ধরনের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়, তাই এবারের বর্ষবরণের আয়োজনও শুরু হবে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ১২টি জেলায় থাকছে সাধুমেলা। ঢাকায় একাডেমির আয়োজনে একটি কনসার্ট হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে গান গাইবে গারো ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা ব্যান্ড লারং, ত্রিপুরা ব্যান্ড ইমাং, খাসিয়া ব্যান্ড ইউনিটি ও চাকমা ব্যান্ড ইনভোকেশন। বাঙালিদের মধ্যে থাকছে মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভোয়েড রাফা, দলছুট, লালন ও স্টোন ফ্রি। চৈত্রসংক্রান্তিতে নবপ্রাণ আন্দোলনের উদ্যোগে একাডেমিতে হবে দিনব্যাপী ধামাইল নৃত্য, গান, ভিডিও প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বাউল ও ফকিরি গানের আসর। শ্রীমঙ্গলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হবে চা–শ্রমিকদের উৎসব ফাগুয়া।
বর্ষবরণে ঐতিহ্যগতভাবে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেগুলো যথারীতি হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান আগের মতোই হবে। সুরের ধারার অনুষ্ঠানে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এটি আয়োজিত হবে। সুরের ধারার আয়োজনে সরকারের ইনক্লুসিভ নীতি অনুসরণ করে প্রথমবারের মতো অন্য জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা থাকছেন। তাঁরা তাঁদের গান পরিবেশন করবেন, শুধু বাংলা গান থাকছে না।
নববর্ষের দিনে বড় আয়োজন শোভাযাত্রা। সেখানে বাঙালি বাদে চাকমা, মারমাসহ ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের সংস্কৃতি, নিজের পোশাক, নিজেদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এ ছাড়া চারুকলার শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) যোগ দেবে। তারা দুই শ গিটারিস্ট নিয়ে আসবে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশপাশের গিটারিস্টদের। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দিয়ে বর্ষবরণে তারা গাইবে ‘ফ্রম দি রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গান। এ বিষয়টি নিয়ে দুপুর ১২টায় শিল্পকলা একাডেমিতেও একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বামবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণের দিন বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে থাকবে কনসার্ট। সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে একটি ড্রোন শো। এতে সহযোগিতা করবে চীন দূতাবাস। এই শোয়ের থিম—নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিসিকের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৩০টি জেলায় থাকছে বৈশাখ উপলক্ষে লোকনাট্য উৎসব। ১২টি জেলায় থাকছে নববর্ষ উপলক্ষে অ্যাক্রোবেটিক শো। ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা করছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এর বাইরে পাহাড়ে ও সমতলের নৃগোষ্ঠী সেলগুলো মেলা ও উৎসবের আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উত্তরে জানানো হয়, নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উদেষ্টার সভাতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয়েছে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ তাদের সংবাদ সম্মেলনে জানাবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার বর্ষবরণে আমরা সবাই মিলে এক হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এতে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অংশ নেবেন দেশের ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ করে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা পৌঁছাতে গাওয়া হবে ‘ফ্রম রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ শিরোনামের গান। যেখানে দুটি ব্যান্ডের সংগীতশিল্পীরা অংশ নেবেন।
চৈত্রসংক্রান্তি এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এবার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক একটা নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। এর পেছনে অনেক দিনের চিন্তা কাজ করেছে। রাতের পর রাত আমরা আলোচনা করেছি, কী করে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমরা খুব আনন্দিত যে সব জাতিগোষ্ঠী এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘কেন আমরা এ কাজগুলো করছি, সেই দর্শনটা বলতে চাই। সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থার মূলে আছে দুটি জিনিস। প্রথমটি কালচারাল হিলিং এবং দ্বিতীয়ত কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। কালচারাল হিলিং হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন বিভাজিত ছিলাম, এর ফলে সমাজের একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটা গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব, সংশয় ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা। এই হিলিংয়ের কাজটা এরই মধ্যে শুরু করেছি। এবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদরাতে ঈদের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সামনে সারা দেশে হবে। শুধু মুসলমানদের উৎসবগুলো নয়, অন্যান্য ধর্মের বড় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করেও একাডেমিতে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘নতুন বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সব জাতিগোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়ে উৎসব করার চেষ্টা করছি। এটার মূল কারণ কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আমাদের শক্তি ও সৌন্দর্য আমাদের বৈচিত্র্যে। সেটাই আমার উদ্যাপন করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যেহেতু চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের সব ধরনের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়, তাই এবারের বর্ষবরণের আয়োজনও শুরু হবে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ১২টি জেলায় থাকছে সাধুমেলা। ঢাকায় একাডেমির আয়োজনে একটি কনসার্ট হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে গান গাইবে গারো ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা ব্যান্ড লারং, ত্রিপুরা ব্যান্ড ইমাং, খাসিয়া ব্যান্ড ইউনিটি ও চাকমা ব্যান্ড ইনভোকেশন। বাঙালিদের মধ্যে থাকছে মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভোয়েড রাফা, দলছুট, লালন ও স্টোন ফ্রি। চৈত্রসংক্রান্তিতে নবপ্রাণ আন্দোলনের উদ্যোগে একাডেমিতে হবে দিনব্যাপী ধামাইল নৃত্য, গান, ভিডিও প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বাউল ও ফকিরি গানের আসর। শ্রীমঙ্গলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হবে চা–শ্রমিকদের উৎসব ফাগুয়া।
বর্ষবরণে ঐতিহ্যগতভাবে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেগুলো যথারীতি হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান আগের মতোই হবে। সুরের ধারার অনুষ্ঠানে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এটি আয়োজিত হবে। সুরের ধারার আয়োজনে সরকারের ইনক্লুসিভ নীতি অনুসরণ করে প্রথমবারের মতো অন্য জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা থাকছেন। তাঁরা তাঁদের গান পরিবেশন করবেন, শুধু বাংলা গান থাকছে না।
নববর্ষের দিনে বড় আয়োজন শোভাযাত্রা। সেখানে বাঙালি বাদে চাকমা, মারমাসহ ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের সংস্কৃতি, নিজের পোশাক, নিজেদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এ ছাড়া চারুকলার শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) যোগ দেবে। তারা দুই শ গিটারিস্ট নিয়ে আসবে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশপাশের গিটারিস্টদের। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দিয়ে বর্ষবরণে তারা গাইবে ‘ফ্রম দি রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গান। এ বিষয়টি নিয়ে দুপুর ১২টায় শিল্পকলা একাডেমিতেও একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বামবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণের দিন বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে থাকবে কনসার্ট। সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে একটি ড্রোন শো। এতে সহযোগিতা করবে চীন দূতাবাস। এই শোয়ের থিম—নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিসিকের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৩০টি জেলায় থাকছে বৈশাখ উপলক্ষে লোকনাট্য উৎসব। ১২টি জেলায় থাকছে নববর্ষ উপলক্ষে অ্যাক্রোবেটিক শো। ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা করছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এর বাইরে পাহাড়ে ও সমতলের নৃগোষ্ঠী সেলগুলো মেলা ও উৎসবের আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উত্তরে জানানো হয়, নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উদেষ্টার সভাতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয়েছে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ তাদের সংবাদ সম্মেলনে জানাবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার বর্ষবরণে আমরা সবাই মিলে এক হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এতে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অংশ নেবেন দেশের ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ করে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা পৌঁছাতে গাওয়া হবে ‘ফ্রম রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ শিরোনামের গান। যেখানে দুটি ব্যান্ডের সংগীতশিল্পীরা অংশ নেবেন।
চৈত্রসংক্রান্তি এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এবার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক একটা নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। এর পেছনে অনেক দিনের চিন্তা কাজ করেছে। রাতের পর রাত আমরা আলোচনা করেছি, কী করে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমরা খুব আনন্দিত যে সব জাতিগোষ্ঠী এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘কেন আমরা এ কাজগুলো করছি, সেই দর্শনটা বলতে চাই। সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থার মূলে আছে দুটি জিনিস। প্রথমটি কালচারাল হিলিং এবং দ্বিতীয়ত কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। কালচারাল হিলিং হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন বিভাজিত ছিলাম, এর ফলে সমাজের একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটা গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব, সংশয় ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা। এই হিলিংয়ের কাজটা এরই মধ্যে শুরু করেছি। এবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদরাতে ঈদের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সামনে সারা দেশে হবে। শুধু মুসলমানদের উৎসবগুলো নয়, অন্যান্য ধর্মের বড় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করেও একাডেমিতে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘নতুন বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সব জাতিগোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়ে উৎসব করার চেষ্টা করছি। এটার মূল কারণ কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আমাদের শক্তি ও সৌন্দর্য আমাদের বৈচিত্র্যে। সেটাই আমার উদ্যাপন করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যেহেতু চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের সব ধরনের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়, তাই এবারের বর্ষবরণের আয়োজনও শুরু হবে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ১২টি জেলায় থাকছে সাধুমেলা। ঢাকায় একাডেমির আয়োজনে একটি কনসার্ট হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে গান গাইবে গারো ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা ব্যান্ড লারং, ত্রিপুরা ব্যান্ড ইমাং, খাসিয়া ব্যান্ড ইউনিটি ও চাকমা ব্যান্ড ইনভোকেশন। বাঙালিদের মধ্যে থাকছে মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভোয়েড রাফা, দলছুট, লালন ও স্টোন ফ্রি। চৈত্রসংক্রান্তিতে নবপ্রাণ আন্দোলনের উদ্যোগে একাডেমিতে হবে দিনব্যাপী ধামাইল নৃত্য, গান, ভিডিও প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বাউল ও ফকিরি গানের আসর। শ্রীমঙ্গলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হবে চা–শ্রমিকদের উৎসব ফাগুয়া।
বর্ষবরণে ঐতিহ্যগতভাবে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেগুলো যথারীতি হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান আগের মতোই হবে। সুরের ধারার অনুষ্ঠানে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এটি আয়োজিত হবে। সুরের ধারার আয়োজনে সরকারের ইনক্লুসিভ নীতি অনুসরণ করে প্রথমবারের মতো অন্য জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা থাকছেন। তাঁরা তাঁদের গান পরিবেশন করবেন, শুধু বাংলা গান থাকছে না।
নববর্ষের দিনে বড় আয়োজন শোভাযাত্রা। সেখানে বাঙালি বাদে চাকমা, মারমাসহ ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের সংস্কৃতি, নিজের পোশাক, নিজেদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এ ছাড়া চারুকলার শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) যোগ দেবে। তারা দুই শ গিটারিস্ট নিয়ে আসবে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশপাশের গিটারিস্টদের। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দিয়ে বর্ষবরণে তারা গাইবে ‘ফ্রম দি রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গান। এ বিষয়টি নিয়ে দুপুর ১২টায় শিল্পকলা একাডেমিতেও একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বামবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণের দিন বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে থাকবে কনসার্ট। সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে একটি ড্রোন শো। এতে সহযোগিতা করবে চীন দূতাবাস। এই শোয়ের থিম—নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিসিকের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৩০টি জেলায় থাকছে বৈশাখ উপলক্ষে লোকনাট্য উৎসব। ১২টি জেলায় থাকছে নববর্ষ উপলক্ষে অ্যাক্রোবেটিক শো। ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা করছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এর বাইরে পাহাড়ে ও সমতলের নৃগোষ্ঠী সেলগুলো মেলা ও উৎসবের আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উত্তরে জানানো হয়, নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উদেষ্টার সভাতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয়েছে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ তাদের সংবাদ সম্মেলনে জানাবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার বর্ষবরণে আমরা সবাই মিলে এক হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এতে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অংশ নেবেন দেশের ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ করে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা পৌঁছাতে গাওয়া হবে ‘ফ্রম রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ শিরোনামের গান। যেখানে দুটি ব্যান্ডের সংগীতশিল্পীরা অংশ নেবেন।
চৈত্রসংক্রান্তি এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এবার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক একটা নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। এর পেছনে অনেক দিনের চিন্তা কাজ করেছে। রাতের পর রাত আমরা আলোচনা করেছি, কী করে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমরা খুব আনন্দিত যে সব জাতিগোষ্ঠী এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘কেন আমরা এ কাজগুলো করছি, সেই দর্শনটা বলতে চাই। সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থার মূলে আছে দুটি জিনিস। প্রথমটি কালচারাল হিলিং এবং দ্বিতীয়ত কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। কালচারাল হিলিং হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন বিভাজিত ছিলাম, এর ফলে সমাজের একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটা গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব, সংশয় ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা। এই হিলিংয়ের কাজটা এরই মধ্যে শুরু করেছি। এবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদরাতে ঈদের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সামনে সারা দেশে হবে। শুধু মুসলমানদের উৎসবগুলো নয়, অন্যান্য ধর্মের বড় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করেও একাডেমিতে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘নতুন বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সব জাতিগোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়ে উৎসব করার চেষ্টা করছি। এটার মূল কারণ কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আমাদের শক্তি ও সৌন্দর্য আমাদের বৈচিত্র্যে। সেটাই আমার উদ্যাপন করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যেহেতু চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের সব ধরনের জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়, তাই এবারের বর্ষবরণের আয়োজনও শুরু হবে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ১২টি জেলায় থাকছে সাধুমেলা। ঢাকায় একাডেমির আয়োজনে একটি কনসার্ট হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে গান গাইবে গারো ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা ব্যান্ড লারং, ত্রিপুরা ব্যান্ড ইমাং, খাসিয়া ব্যান্ড ইউনিটি ও চাকমা ব্যান্ড ইনভোকেশন। বাঙালিদের মধ্যে থাকছে মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভোয়েড রাফা, দলছুট, লালন ও স্টোন ফ্রি। চৈত্রসংক্রান্তিতে নবপ্রাণ আন্দোলনের উদ্যোগে একাডেমিতে হবে দিনব্যাপী ধামাইল নৃত্য, গান, ভিডিও প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বাউল ও ফকিরি গানের আসর। শ্রীমঙ্গলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হবে চা–শ্রমিকদের উৎসব ফাগুয়া।
বর্ষবরণে ঐতিহ্যগতভাবে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেগুলো যথারীতি হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান আগের মতোই হবে। সুরের ধারার অনুষ্ঠানে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এটি আয়োজিত হবে। সুরের ধারার আয়োজনে সরকারের ইনক্লুসিভ নীতি অনুসরণ করে প্রথমবারের মতো অন্য জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা থাকছেন। তাঁরা তাঁদের গান পরিবেশন করবেন, শুধু বাংলা গান থাকছে না।
নববর্ষের দিনে বড় আয়োজন শোভাযাত্রা। সেখানে বাঙালি বাদে চাকমা, মারমাসহ ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের সংস্কৃতি, নিজের পোশাক, নিজেদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এ ছাড়া চারুকলার শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) যোগ দেবে। তারা দুই শ গিটারিস্ট নিয়ে আসবে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশপাশের গিটারিস্টদের। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দিয়ে বর্ষবরণে তারা গাইবে ‘ফ্রম দি রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গান। এ বিষয়টি নিয়ে দুপুর ১২টায় শিল্পকলা একাডেমিতেও একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বামবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণের দিন বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে থাকবে কনসার্ট। সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে একটি ড্রোন শো। এতে সহযোগিতা করবে চীন দূতাবাস। এই শোয়ের থিম—নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিসিকের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৩০টি জেলায় থাকছে বৈশাখ উপলক্ষে লোকনাট্য উৎসব। ১২টি জেলায় থাকছে নববর্ষ উপলক্ষে অ্যাক্রোবেটিক শো। ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা করছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এর বাইরে পাহাড়ে ও সমতলের নৃগোষ্ঠী সেলগুলো মেলা ও উৎসবের আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উত্তরে জানানো হয়, নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উদেষ্টার সভাতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয়েছে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ তাদের সংবাদ সম্মেলনে জানাবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার বর্ষবরণে আমরা সবাই মিলে এক হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এতে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অশং নেবে দেশের ব্যান্ড সংগীতের শিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ
০৯ এপ্রিল ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অশং নেবে দেশের ব্যান্ড সংগীতের শিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ
০৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অশং নেবে দেশের ব্যান্ড সংগীতের শিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ
০৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবারের বর্ষবরণ উৎসব। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মানুষেরা। শোভাযাত্রায় কৃষিভিত্তিক সমাজের উপকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো বর্ষবরণে অশং নেবে দেশের ব্যান্ড সংগীতের শিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা ও আগ্রাসন, বিশেষ
০৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে