Ajker Patrika

শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি: সারজিস আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ১৭
আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। বিগত ১৭ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর জন্য।’

আজ শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আজকে যদি এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটা সংস্কার না করে নির্বাচনের দিকে যান, ওই যে নির্বাচন কমিশন, ওইটাও একটা সিস্টেম। এই ১৬ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ সিস্টেম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে তো আপনার ওই নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রয়োজন। আপনি নির্বাচন কমিশনে যাদের ভোটার তালিকা দিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন-জনবল সেট করে দিয়ে আপনি তালিকা পাঠালেন। এভাবে তো কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। পাশাপাশি একটি শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কোনো দিনও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে না। আপনার পুরো দেশে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন এটাকে একটা স্ট্যাবল অবস্থায় আসতে হবে। না হলে তো আপনি নির্বাচনের কেন্দ্রে জবরদখল দেখবেন।’

ক্ষমতার অপব্যবহার দেখতে চাই না, সে যে-ই হোক না কেন উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনকে ইস্যু করে যদি কোনো সমস্যার তৈরি হয়, সেটার জন্য তো একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আপনার এই বিচারব্যবস্থার তো সংস্কার প্রয়োজন। আমরা হাইকোর্টে এখনো দেখছি দোসর, ফ্যাসিস্টরা বসে আছে, যারা তাদের যোগ্যতা বলে সেখানে যায়নি। বরং তারা তাদের জায়গা থেকে গিয়েছিল তোষামোদি আর তেলবাজি করে। তারা গিয়েছিল দলের চাটুকারিতা করতে। তাদের ওই জায়গা থেকে অপসারণ হওয়া প্রয়োজন এবং যারা ওই জায়গায় যাওয়ার যোগ্য, তাঁদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা ৫৩ বছর ধরে যে সংবিধান এই বাংলাদেশের মানুষকে পাঁচ বছরের জন্য জনতার সরকার উপহার দিতে পারেনি, প্রত্যেক পাঁচ বছরে দেখেছি অনেক বড় বড় ইশতেহার দিয়ে নির্বাচন করে। তারপরে সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনে মধ্যে তারা ভুলে যায় কী ইশতেহার দিয়েছিল। তারা ভুলে যায়, তারা জনতার সরকার। সেই জায়গা থেকে যে সংবিধান আমার যে সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারেনি। সেখানেও আমাদের জায়গা থেকে আমরা পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি, এই সাংবিধানিক সংস্কারটিও প্রয়োজন। আমরা বলছি না যে পুরো সংস্কার করে নির্বাচন। আমরা কখনো বলছি না পাঁচ-ছয় বছর আপনার এই সংস্কার করে তার পরে যান। কিন্তু মিনিমাম আপনার একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় তো লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে এটা চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। এটা কখনো সম্ভব নয়। গত ১৬ বছর ধরে এই সিস্টেমকে ধীরে ধীরে ভেঙে শেষ করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সিস্টেমগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সিস্টেমগুলোর একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’

সারজিস বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। গত ১৬ বছরে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বড় বড়, নামীদামি দলগুলো মিলে তার টনক বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। সেই হাসিনা কিছু লোকের জন্য ভয়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলে এই অভ্যুত্থান ঘটেছে, শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিল, সমর্থন দিয়েছিল, তাদের সকলের সরকার, এত জীবনের বিনিময়ে, এত রক্তের বিনিময়ে, এত মানুষের সমর্থনে যে অভ্যুত্থান হয়ে এই সরকার এসেছে। এটি বাংলাদেশের সরকার। সেই জায়গা থেকে এই সরকারের ওই অধিকারটুকু নৈতিকভাবে বলি, আইনগতভাবে বলি, অবশ্যই রয়েছে। যেই সংস্কারগুলো হওয়া প্রয়োজন, যেই সংস্কারগুলো আমরা ছাত্র-জনতার কাতার থেকে প্রত্যাশা করি, সেগুলো করার সম্পূর্ণ অধিকার এই সরকারের রয়েছে।’

এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সারজিস ছাড়াও বক্তব্য দেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এ ছাড়া সংগঠনটির আরও আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘‘শহীদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনের ফান্ড কালেকশন হচ্ছে। সেগুলোই আমরা শহীদ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আন-অফিশিয়াল আমাদের কাছে শহীদ ভাইদের ১৬০০-এরও অধিকের লিস্ট এসেছে এবং সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড এসেছে ৮৭১ জনের। আপাতত যেগুলো সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড, আমরা প্রতিটি বিভাগে গিয়ে তাদের পরিবারের হাতে দিয়ে আসছি। আমরা চাই না প্রত্যেকের পরিবার কষ্ট করে আমাদের কাছে ঢাকায় আসুক, বরং এটা আমাদের দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব যে আমরা শহীদের পরিবারের কাছে যাব। সেই জায়গা থেকে সিলেট বিভাগীয় যে প্রোগ্রাম, সেখানে আজকে আমাদের এখানে আসা। অলরেডি আমরা ১৮টি পরিবারের কাছে সহযোগিতা দিয়েছি এবং বাকি যে পরিবারগুলো রয়েছে, সেগুলোর ডকুমেন্টগুলো আমরা কালেক্ট করছি এবং আমাদের ডকুমেন্টগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের জায়গা থেকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এখন প্রাথমিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। আমার একজন শহীদের ভাইয়ের পরিবার যত দিন আছে, এই ফাউন্ডেশনের এটা দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা যত দিক থেকে সম্ভব সহযোগিতা করা। সেটা হোক আর্থিক সহযোগিতা, হোক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, হোক সম্মানী একটি ভাতার ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের ভাই-বোন যদি থাকে, তাদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা। সামগ্রিকভাবে যত দিক থেকে সম্ভব, যত দিন তাঁরা রয়েছেন, এই ফাউন্ডেশন তত দিন থাকবে এবং তাঁদের পাশেও থাকবে ইনশা আল্লাহ।’

‘আমাদের যেকোনো শহীদের পরিবার যদি মামলা করতে চায়, তাহলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। আর তাদের ব্যবহার করে কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে, যেখানে তাদের আগ্রহ নেই, সে ক্ষেত্রে সেখানে তারা যদি যে রকম সহযোগিতা চায়, আমরা সে রকম সহযোগিতা করব। এখন সকলের কাছে আমাদের অভিযোগ, এখন কারও প্ররোচনায় পড়ে যেন মামলা না হয়। তাদের যদি স্বেচ্ছায় কোনো মামলা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা অবশ্যই মামলা করবে, আমরা সহযোগিতা করব। আমার আরেকটি অনুরোধ, এই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কারও নাম যেন মামলায় না আসে। আমরা চাই যারা অপরাধী, তাদের শাস্তি হোক। যারা নিরপরাধ, তাদের যেন কোনো শাস্তি না হয়। আমরা যেকোনো সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত