Ajker Patrika

২৭% ভূমি হবে গাছে ছাওয়া

শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৭
২৭% ভূমি হবে গাছে ছাওয়া
ছবি: আজকের পত্রিকা

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের ২৪ শতাংশ এলাকা এখন বৃক্ষাচ্ছাদিত। তবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন উজাড়সহ নানা কারণে বনভূমির একটি বিরাট অংশ বৃক্ষহীন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। কিন্তু এ দেশে বনভূমির পরিমাণ কমে আসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবিদ ও আন্দোলনকর্মীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ বনভূমি থাকা দরকার, বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক কম বনভূমি রয়েছে। সে বনও প্রতিনিয়ত নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা রেখে জাতীয় বননীতি, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার।

নতুন জাতীয় বননীতি অনুমোদন হওয়ার পর বন অধিদপ্তরকে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ বর্তমান থেকে ৩ শতাংশ বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের বননীতির খসড়ায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। তবে সে খসড়াটি আর চূড়ান্ত করেনি সরকার।

নতুন বননীতি গৃহীত হলে বন অধিদপ্তর এই নীতির আলোকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে। এতে বন পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক (বন ব্যবস্থাপনা উইং) মো. মঈনুদ্দিন খান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালার খসড়া করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবার কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর আন্তমন্ত্রণালয় সভা

করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৯৯৪ সালের বননীতি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছি।...আমরা আমাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে যাচ্ছি। এখন দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৪ শতাংশের কিছুটা ওপরে আছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে একে আমরা ২৭ শতাংশে নিয়ে যাব।’

বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়বে যেভাবে

নতুন বননীতি প্রণয়নের পর পাহাড়ি বন, শালবন, উপকূলীয় বন, বিদ্যমান ও ক্ষয়িষ্ণু বন, সব অবক্ষয়িত বনসহ দখল করা বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ করতে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ এবং সহায়তামূলক প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম ও সমৃদ্ধকরণ বনায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্যান্য বনভূমির পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ম্যানগ্রোভ ও জলবায়ুসহিষ্ণু সবুজ বেষ্টনী সম্প্রসারণ, তিন পার্বত্য জেলার অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বনায়ন, চকরিয়া সুন্দরবন ও আটিয়া বনসহ অন্যান্য ক্ষয়িষ্ণু বনে গ্রামের বনের রূপরেখায় বন পুনরুদ্ধার, নগর বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, নদী, হ্রদ, হাওর ও অন্যান্য জলাভূমির জলবিভাজিকায় তীরবর্তী বনাঞ্চল ও জলাভূমি বন গড়ে তোলা, রাস্তা ও রেললাইনের পাশে বাঁধের ঢাল এবং সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিপরীতে গাছ লাগানো হবে।

এর বাইরে অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন বিভাগের নেতৃত্বে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করবে। এ ছাড়া চা-বাগানসহ দেশের সব পতিত ও প্রান্তিক ভূমিসহ বনায়ন উপযোগী অন্যান্য খালি জায়গায় বনায়ন বা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

নতুন বননীতি জারি হলে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ থেকে মৃত্যুরোধে সারা দেশে রাস্তার পাশে, হাওর এলাকায় বা নদীর তীরে তালগাছের মতো উঁচু বৃক্ষরোপণ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ভেষজ ও সুগন্ধি উদ্ভিদ রোপণ উৎসাহিত করা হবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, নগর সবুজায়ন বাড়াতে সরকারকে স্থপতি, নগর-পরিকল্পনাবিদ, উদ্যানতত্ত্ববিদদের সম্পৃক্ত করে নগর এলাকার পতিত ভূমি, সড়ক বিভাজিকা ও সড়কের পাশে গাছ লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন বননীতির খসড়ায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার অনেক কিছুই ২০১৬ সালের নীতির খসড়ায়ও ছিল। তবে সেই খসড়াটি নীতিতে পরিণত হয়নি। আবার এখন পর্যন্ত চলমান ১৯৯৪ সালের বননীতিতে যেসব বিষয় বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাই আসল। সরকার চাইলে সহজে এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। সরকার আদৌ বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন চায় কি না, সেটি হচ্ছে মূল কথা।’

কেন নতুন বননীতি

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য সনদ ও গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), জীববৈচিত্র্য কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা, প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক বন, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যবিষয়ক কনভেনশন এবং সমঝোতায় স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে বাংলাদেশ। এসব কিছুতে থাকা দায়দায়িত্ব মানতে সহায়ক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা থাকবে নতুন নীতিতে।

বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাঠের চাহিদা ও শিল্পায়ন বেড়ে যাওয়া, দখল, অবৈধ বন নিধন ও নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে বনভূমি কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও পরিবেশ দূষণের কারণে বনজ সম্পদের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। বননির্ভর জনগোষ্ঠীর ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে‌। এসব সমস্যার সমাধান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে সুরক্ষা ঢাল তৈরিতে সারা দেশে গাছ রোপণের কোনো বিকল্প নেই।

একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন বননীতি জারি হলে বিদ্যমান বনের সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী সৃজনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং নতুন জেগে ওঠা চর, অশ্রেণিভুক্ত বন ও পতিত জমিতে বন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘কুনমিং-মন্ট্রিয়ল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ দেশের মোট ভূমির ৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

বননীতির খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগের রূপরেখা তৈরি করা হবে। জ্বালানি কাঠের চাহিদা মেটাতে বনের আশপাশের গ্রামে সুপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কাঠের বিকল্প সামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। বনের ওপর চাপ কমাতে কাঠ আমদানি সহজ করা হবে।

খসড়ায় বন সংরক্ষণে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, ‘জিন ব্যাংক’ স্থাপনসহ বিভিন্নভাবে বিপদাপন্ন ও বিলুপ্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পুনঃপ্রবর্তন বা সংরক্ষণের উদ্যোগ, বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি সীমিতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ বন বিধিমালা প্রণয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ বনসহ দেশের অন্য সফল অংশীদারত্বমূলক বনায়নের রূপরেখার আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে বননীতির খসড়ায় জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

  • দেশের নবজন্মে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন এসপিরা: প্রধান উপদেষ্টা
  • সবাইকে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহিত করতে আইজিপির পরামর্শ।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।

বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’

অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’

পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।

সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’

বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।

পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।

কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।

আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫২
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।  ফাইল ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।

উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত