শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের ২৪ শতাংশ এলাকা এখন বৃক্ষাচ্ছাদিত। তবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন উজাড়সহ নানা কারণে বনভূমির একটি বিরাট অংশ বৃক্ষহীন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। কিন্তু এ দেশে বনভূমির পরিমাণ কমে আসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবিদ ও আন্দোলনকর্মীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ বনভূমি থাকা দরকার, বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক কম বনভূমি রয়েছে। সে বনও প্রতিনিয়ত নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা রেখে জাতীয় বননীতি, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার।
নতুন জাতীয় বননীতি অনুমোদন হওয়ার পর বন অধিদপ্তরকে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ বর্তমান থেকে ৩ শতাংশ বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের বননীতির খসড়ায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। তবে সে খসড়াটি আর চূড়ান্ত করেনি সরকার।
নতুন বননীতি গৃহীত হলে বন অধিদপ্তর এই নীতির আলোকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে। এতে বন পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক (বন ব্যবস্থাপনা উইং) মো. মঈনুদ্দিন খান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালার খসড়া করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবার কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর আন্তমন্ত্রণালয় সভা
করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৯৯৪ সালের বননীতি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছি।...আমরা আমাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে যাচ্ছি। এখন দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৪ শতাংশের কিছুটা ওপরে আছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে একে আমরা ২৭ শতাংশে নিয়ে যাব।’
বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়বে যেভাবে
নতুন বননীতি প্রণয়নের পর পাহাড়ি বন, শালবন, উপকূলীয় বন, বিদ্যমান ও ক্ষয়িষ্ণু বন, সব অবক্ষয়িত বনসহ দখল করা বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ করতে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ এবং সহায়তামূলক প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম ও সমৃদ্ধকরণ বনায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্যান্য বনভূমির পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ম্যানগ্রোভ ও জলবায়ুসহিষ্ণু সবুজ বেষ্টনী সম্প্রসারণ, তিন পার্বত্য জেলার অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বনায়ন, চকরিয়া সুন্দরবন ও আটিয়া বনসহ অন্যান্য ক্ষয়িষ্ণু বনে গ্রামের বনের রূপরেখায় বন পুনরুদ্ধার, নগর বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, নদী, হ্রদ, হাওর ও অন্যান্য জলাভূমির জলবিভাজিকায় তীরবর্তী বনাঞ্চল ও জলাভূমি বন গড়ে তোলা, রাস্তা ও রেললাইনের পাশে বাঁধের ঢাল এবং সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিপরীতে গাছ লাগানো হবে।
এর বাইরে অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন বিভাগের নেতৃত্বে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করবে। এ ছাড়া চা-বাগানসহ দেশের সব পতিত ও প্রান্তিক ভূমিসহ বনায়ন উপযোগী অন্যান্য খালি জায়গায় বনায়ন বা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
নতুন বননীতি জারি হলে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ থেকে মৃত্যুরোধে সারা দেশে রাস্তার পাশে, হাওর এলাকায় বা নদীর তীরে তালগাছের মতো উঁচু বৃক্ষরোপণ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ভেষজ ও সুগন্ধি উদ্ভিদ রোপণ উৎসাহিত করা হবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, নগর সবুজায়ন বাড়াতে সরকারকে স্থপতি, নগর-পরিকল্পনাবিদ, উদ্যানতত্ত্ববিদদের সম্পৃক্ত করে নগর এলাকার পতিত ভূমি, সড়ক বিভাজিকা ও সড়কের পাশে গাছ লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন বননীতির খসড়ায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার অনেক কিছুই ২০১৬ সালের নীতির খসড়ায়ও ছিল। তবে সেই খসড়াটি নীতিতে পরিণত হয়নি। আবার এখন পর্যন্ত চলমান ১৯৯৪ সালের বননীতিতে যেসব বিষয় বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাই আসল। সরকার চাইলে সহজে এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। সরকার আদৌ বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন চায় কি না, সেটি হচ্ছে মূল কথা।’
কেন নতুন বননীতি
আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য সনদ ও গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), জীববৈচিত্র্য কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা, প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক বন, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যবিষয়ক কনভেনশন এবং সমঝোতায় স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে বাংলাদেশ। এসব কিছুতে থাকা দায়দায়িত্ব মানতে সহায়ক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা থাকবে নতুন নীতিতে।
বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাঠের চাহিদা ও শিল্পায়ন বেড়ে যাওয়া, দখল, অবৈধ বন নিধন ও নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে বনভূমি কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও পরিবেশ দূষণের কারণে বনজ সম্পদের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। বননির্ভর জনগোষ্ঠীর ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এসব সমস্যার সমাধান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে সুরক্ষা ঢাল তৈরিতে সারা দেশে গাছ রোপণের কোনো বিকল্প নেই।
একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন বননীতি জারি হলে বিদ্যমান বনের সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী সৃজনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং নতুন জেগে ওঠা চর, অশ্রেণিভুক্ত বন ও পতিত জমিতে বন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘কুনমিং-মন্ট্রিয়ল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ দেশের মোট ভূমির ৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
বননীতির খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগের রূপরেখা তৈরি করা হবে। জ্বালানি কাঠের চাহিদা মেটাতে বনের আশপাশের গ্রামে সুপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কাঠের বিকল্প সামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। বনের ওপর চাপ কমাতে কাঠ আমদানি সহজ করা হবে।
খসড়ায় বন সংরক্ষণে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, ‘জিন ব্যাংক’ স্থাপনসহ বিভিন্নভাবে বিপদাপন্ন ও বিলুপ্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পুনঃপ্রবর্তন বা সংরক্ষণের উদ্যোগ, বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি সীমিতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ বন বিধিমালা প্রণয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ বনসহ দেশের অন্য সফল অংশীদারত্বমূলক বনায়নের রূপরেখার আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে বননীতির খসড়ায় জানানো হয়েছে।

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের ২৪ শতাংশ এলাকা এখন বৃক্ষাচ্ছাদিত। তবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন উজাড়সহ নানা কারণে বনভূমির একটি বিরাট অংশ বৃক্ষহীন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। কিন্তু এ দেশে বনভূমির পরিমাণ কমে আসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবিদ ও আন্দোলনকর্মীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ বনভূমি থাকা দরকার, বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক কম বনভূমি রয়েছে। সে বনও প্রতিনিয়ত নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা রেখে জাতীয় বননীতি, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার।
নতুন জাতীয় বননীতি অনুমোদন হওয়ার পর বন অধিদপ্তরকে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ বর্তমান থেকে ৩ শতাংশ বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের বননীতির খসড়ায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। তবে সে খসড়াটি আর চূড়ান্ত করেনি সরকার।
নতুন বননীতি গৃহীত হলে বন অধিদপ্তর এই নীতির আলোকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে। এতে বন পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক (বন ব্যবস্থাপনা উইং) মো. মঈনুদ্দিন খান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালার খসড়া করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবার কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর আন্তমন্ত্রণালয় সভা
করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৯৯৪ সালের বননীতি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছি।...আমরা আমাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে যাচ্ছি। এখন দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২৪ শতাংশের কিছুটা ওপরে আছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে একে আমরা ২৭ শতাংশে নিয়ে যাব।’
বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়বে যেভাবে
নতুন বননীতি প্রণয়নের পর পাহাড়ি বন, শালবন, উপকূলীয় বন, বিদ্যমান ও ক্ষয়িষ্ণু বন, সব অবক্ষয়িত বনসহ দখল করা বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ করতে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ এবং সহায়তামূলক প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম ও সমৃদ্ধকরণ বনায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্যান্য বনভূমির পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ম্যানগ্রোভ ও জলবায়ুসহিষ্ণু সবুজ বেষ্টনী সম্প্রসারণ, তিন পার্বত্য জেলার অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বনায়ন, চকরিয়া সুন্দরবন ও আটিয়া বনসহ অন্যান্য ক্ষয়িষ্ণু বনে গ্রামের বনের রূপরেখায় বন পুনরুদ্ধার, নগর বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, নদী, হ্রদ, হাওর ও অন্যান্য জলাভূমির জলবিভাজিকায় তীরবর্তী বনাঞ্চল ও জলাভূমি বন গড়ে তোলা, রাস্তা ও রেললাইনের পাশে বাঁধের ঢাল এবং সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিপরীতে গাছ লাগানো হবে।
এর বাইরে অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বনাঞ্চলে বন বিভাগের নেতৃত্বে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করবে। এ ছাড়া চা-বাগানসহ দেশের সব পতিত ও প্রান্তিক ভূমিসহ বনায়ন উপযোগী অন্যান্য খালি জায়গায় বনায়ন বা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
নতুন বননীতি জারি হলে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ থেকে মৃত্যুরোধে সারা দেশে রাস্তার পাশে, হাওর এলাকায় বা নদীর তীরে তালগাছের মতো উঁচু বৃক্ষরোপণ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ভেষজ ও সুগন্ধি উদ্ভিদ রোপণ উৎসাহিত করা হবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, নগর সবুজায়ন বাড়াতে সরকারকে স্থপতি, নগর-পরিকল্পনাবিদ, উদ্যানতত্ত্ববিদদের সম্পৃক্ত করে নগর এলাকার পতিত ভূমি, সড়ক বিভাজিকা ও সড়কের পাশে গাছ লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন বননীতির খসড়ায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার অনেক কিছুই ২০১৬ সালের নীতির খসড়ায়ও ছিল। তবে সেই খসড়াটি নীতিতে পরিণত হয়নি। আবার এখন পর্যন্ত চলমান ১৯৯৪ সালের বননীতিতে যেসব বিষয় বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাই আসল। সরকার চাইলে সহজে এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। সরকার আদৌ বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন চায় কি না, সেটি হচ্ছে মূল কথা।’
কেন নতুন বননীতি
আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য সনদ ও গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), জীববৈচিত্র্য কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা, প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক বন, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যবিষয়ক কনভেনশন এবং সমঝোতায় স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে বাংলাদেশ। এসব কিছুতে থাকা দায়দায়িত্ব মানতে সহায়ক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা থাকবে নতুন নীতিতে।
বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাঠের চাহিদা ও শিল্পায়ন বেড়ে যাওয়া, দখল, অবৈধ বন নিধন ও নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে বনভূমি কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও পরিবেশ দূষণের কারণে বনজ সম্পদের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। বননির্ভর জনগোষ্ঠীর ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এসব সমস্যার সমাধান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে সুরক্ষা ঢাল তৈরিতে সারা দেশে গাছ রোপণের কোনো বিকল্প নেই।
একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন বননীতি জারি হলে বিদ্যমান বনের সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী সৃজনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং নতুন জেগে ওঠা চর, অশ্রেণিভুক্ত বন ও পতিত জমিতে বন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘কুনমিং-মন্ট্রিয়ল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ দেশের মোট ভূমির ৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
বননীতির খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগের রূপরেখা তৈরি করা হবে। জ্বালানি কাঠের চাহিদা মেটাতে বনের আশপাশের গ্রামে সুপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কাঠের বিকল্প সামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। বনের ওপর চাপ কমাতে কাঠ আমদানি সহজ করা হবে।
খসড়ায় বন সংরক্ষণে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, ‘জিন ব্যাংক’ স্থাপনসহ বিভিন্নভাবে বিপদাপন্ন ও বিলুপ্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পুনঃপ্রবর্তন বা সংরক্ষণের উদ্যোগ, বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি সীমিতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ বন বিধিমালা প্রণয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ বনসহ দেশের অন্য সফল অংশীদারত্বমূলক বনায়নের রূপরেখার আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে বননীতির খসড়ায় জানানো হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বনের ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত (গাছপালা আছে এমন স্থান) ভূমির পরিমাণ ২৭ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারি বনভূমি, গ্রামীণ বনকুঞ্জসহ গাছে ঢাকা ভূমির পরিমাণ হবে দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে দেশের...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগে