Ajker Patrika

বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না অটো গ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১২ জুন ২০২১, ২০: ২৪
বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না অটো গ্যাস

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের অনুদীপ এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ২২ দশমিক ১৭ লিটার অটো গ্যাস নেন বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফ আলম। জুন মাসের জন্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া দর অনুযায়ী আশরাফ আলমের কেনা গ্যাসের সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৯২৫ টাকা। কিন্তু দাবি করা হয় এক হাজার টাকা। এ নিয়ে ফিলিং স্টেশনের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকাই শোধ করতে হয় আশরাফ আলমকে। এমন চিত্র দেশের প্রতিটি অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের।

মূলত নতুন করে পেট্রল পাম্প আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন বন্ধ থাকার সুযোগে গড়ে উঠছে এসব অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশন। যানবাহনে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অটো গ্যাস নামে পরিচিত।

গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো বাসা–বাড়ির রান্নার এলপিজি এবং যানবাহনের অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূলত এলপিজির আমদানি খরচ হিসেবে সৌদি আরামকোর চুক্তি মূল্যকে (সিপি) ভিত্তি ধরে প্রতি মাসেই বাসাবাড়ির এলপিজি আর অটো গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ করছে সংস্থাটি। বিইআরসি নির্ধারিত দর অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দাম ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা, মে মাসে যা ছিল ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি মাসে এটি নেমে এসেছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সায়। কিন্তু দেশের কোথাও সরকার নির্ধারিত এ দামে অটো গ্যাস মিলছে না।

এদিকে আশরাফ আলমের মতো ফিলিং স্টেশনের চাপিয়ে দেওয়া দাম নিয়ে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন ভোক্তা অধিদপ্তরে। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে জরিমানা গুনতে হচ্ছে অনেক অটো গ্যাস স্টেশনকে। এমনই এক ফিলিং স্টেশন যশোরের মেসার্স ইউনিক ফিলিং স্টেশন। জরিমানা এড়াতে গত ৫ জুন থেকে তারা বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাজ্জাদ কবির কাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বেসরকারি কোম্পানির নির্ধারিত দরেই বিক্রি করে আসছিলাম। এপ্রিলে সরকার দর বেঁধে দেওয়ার পর আমরা সে অনুযায়ী বিক্রি শুরু করেছি। গত মাস পর্যন্ত ব্যবসা চালাতে তেমন অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এ মাসের শুরুতে হোঁচট খাই। মে মাসে কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার এলপিজি সরবরাহ করত ৩৮ টাকা দরে। সে হিসেবে লিটারে পাঁচ টাকার মতো লাভ থাকত। জুনে সরকারিভাবে প্রতি লিটারের দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানিগুলো আমাদের জন্য দাম কমায়নি। তারা এখনো প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা আদায় করছে। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত দামে আমাদের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো আমাদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। এমনকি আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি এই ভয়ে গ্যাস বিক্রির চালানও কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না। এ নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হচ্ছে। পাশাপাশি জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। এ অবস্থায় আমিসহ যশোর-খুলনা এলাকার অনেকেই গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’

চলমান সংকটের বিষয়ে এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব হাসিন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অটো গ্যাসের দাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছি আমরা। একদিকে আমাদের ব্যবসা হারাচ্ছি, অন্যদিকে ক্রেতাদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে অন্তত দুই বছরের জন্য অটো গ্যাসের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার।’

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০টি অটো গ্যাস স্টেশন স্থাপিত হয়েছে। বসুন্ধরা, ওমেরা, বিএম, জি-গ্যাস, পেট্রোম্যাক্স, লাফস, টোটাল গ্যাসসহ প্রায় ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটো গ্যাস স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। এসব কোম্পানি বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্যাস সরবরাহ করছে। দীর্ঘদিন ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করতে পারলেও বিইআরসি বেঁধে দেওয়ার পর থেকে বেঁকে বসেছে এলপিজি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)-এর সভাপতি আজম জে চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, তা সঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা কয়েক দফায় কমিশনে গিয়েছি। তবুও তাঁরা আমাদের দাবির প্রতি সুবিচার করছেন না। বিইআরসি কেবল সৌদি সিপি বিবেচনায় নিয়ে দাম নির্ধারণ ও পুনর্নির্ধারণ করছে। কিন্তু পরিবহন খরচ, গুদামজাতকরণ ও বোতলজাতকরণ খরচের বিষয়টি তাঁরা ঠিকভাবে আমলে নিচ্ছেন না। মূলত এ কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের হিসাবে, এই মুহূর্তে প্রতি লিটার এলপিজির দাম অন্তত ৪৫ টাকা হতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্যবসা করতে পারব না। আর বিইআরসি যদি এভাবে আমাদের ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।’

এদিকে, অটো গ্যাসের দাম বেঁধে দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে বিইআরসি। নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির অভাবের কারণ জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাঁরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করেছেন, তাঁরা স্বভাবতই অখুশি হবেন। গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আরেক গণশুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছি, তা কার্যকরে কমিশনের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন করোনার কারণে মাঠ পর্যায়ে আমরা খুব বেশি তদারকি করতে পারছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি নির্ধারিত দাম নিশ্চিতে আমরা জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সহায়তা নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই মাসের চুক্তিতে স্বাস্থ্যের ডিজি ও সচিব নিয়োগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।

২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।

খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।

ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পি কে হালদার। ফাইল ছবি
পি কে হালদার। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।

তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত