শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে