Ajker Patrika

নিরাপদ সড়ক: ধীরগতিতে চলছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প

সৌগত বসু, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৩
নিরাপদ সড়ক: ধীরগতিতে চলছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প

দেশের সড়কগুলো নিরাপদ করতে নেওয়া নিরাপদ সড়ক প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এখনো সব পরামর্শকই নিয়োগ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। 

এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। বাকি টাকার জোগান দিচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাংক বিগত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে এই একটিমাত্র প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে। 

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পুলিশ—এই চার সংস্থা আলাদাভাবে সড়ক নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রকল্পের শুরুতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক ও নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক নিয়ে সংস্থাগুলো কাজ করছে। 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মূলত বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর আগ্রহে। তাদের নানা রকম অর্থনৈতিক স্বার্থ থাকে। বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থারও নানা স্বার্থ থাকে। তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ সড়ক নিরাপত্তার জন্য তিনটি প্রকল্প নিয়েছে। সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিপুল ব্যয়ে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। পুলিশ, বিআরটিএ, সওজ—সব পক্ষকে সড়ক আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে হবে।

সূত্র বলেছে, প্রকল্পে ব্যয়ের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। প্রকল্পের অধীনে সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে উন্নত প্রকৌশল নকশা, পথচারীর জন্য সুবিধা, সংকেত ও চিহ্ন স্থাপন, গতিসীমা নির্ধারণ এবং জরুরি সেবা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব ব্যবস্থায় পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত দুটি মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের।

বিপুল ব্যয়ে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। সড়ক আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে হবে। ড. শামছুল হক অধ্যাপক, বুয়েট

প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিআরটিএ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি ৬০ হাজার দক্ষ চালক তৈরি করবে। পুলিশ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা চালু করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংস্কার করবে এবং দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসায় নার্সদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও একটি জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করবে।

প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা; বিভিন্ন মালপত্র কেনাকাটায় প্রাক্কলিত ব্যয় ২০৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ৪০১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও তাঁদের নানা কার্যক্রমে ১২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, প্রকল্পের প্রচার খাতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। পরামর্শক খাতে ব্যয় ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এতে সওজ ছাড়াও বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শকদের ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি বা বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ৩৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা আলাদাভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক মো. আমান-উল্লাহ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রকল্পটিতে সরকার ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। অটোমেশন খাত থেকে এসেছে ৭৩ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দ ৬৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে সরকার ছাড় করেছে ২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অটোমেশন থেকে এসেছে ৪০ কোটি টাকা। অগ্রিম অর্থছাড় হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা, যা গত জুনে একটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে। 

প্রকল্প সূত্র জানায়, পাইলট প্রকল্পের দুটি মহাসড়কের পরিকল্পনাগত বিষয় নিয়ে কাজ করবে সওজ; যানবাহনের লাইসেন্স, ফিটনেস নিয়ে কাজ করবে বিআরটিএ; দুর্ঘটনার পর যাত্রীর সেবা নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সড়কে নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে কাজ করবে পুলিশ। এই চার সংস্থার জন্য নিয়োগ দিতে হবে ১২ পরামর্শক। তবে এ পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে পাঁচ পরামর্শক। এর মধ্যে ওই দুই মহাসড়কের জরিপ নিয়ে কাজ করছে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তাদের জরিপ শেষে সেটি নিয়ে আলাদা ডিজাইন করবে আরেকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তবে ওই পরামর্শক এখনো নিয়োগ হয়নি। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর বিভাগের ৫ হাজার ২০০ কিলোমিটার সড়ক জরিপ করা হবে। পরে সেগুলোর মান কমপক্ষে থ্রি স্টার করা হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ওই চার সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রকল্পে প্রেষণে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্প পরিচালকসহ সওজের শুধু ৭ জন কর্মকর্তা প্রেষণে এসেছেন। বাকি ৪২ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পে আছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সওজের ১৬ জন, পুলিশের ১৩, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬ ও বিআরটিএর ৭ কর্মকর্তা। অধিকাংশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পে আসায় সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজে সম্পৃক্ত নন, শুধু ডাকলেই আসেন। তবে ডাকলেও কেবল সংস্থাগুলোর একজনকে পাঠানো হয়। 

জানতে চাইলে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আমান-উল্লাহ বলেন, পরামর্শক নিয়োগ ও জরিপ পর্যায়ে কাজ চলছে। অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কাজ করছেন। ২৮ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত