নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিডিআর (বর্তমান নাম বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত দেন।
২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) প্রতিনিধি, হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজন, পিলখানায় থাকা বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিশনের প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাঁদের সন্দেহ করি, বিশেষ করে শেখ হাসিনা, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হয় তাঁকে প্রত্যর্পণ করতে বলব কিংবা আমাদের দল সেখানে গিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বা সরাসরি, যেটা আমাদের জন্য আইনসিদ্ধ হয়, সেটা করব।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় যেসব কর্মকর্তা বেঁচে ফিরেছেন, নিগৃহীত হয়েছেন, চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও আমরা বসব, কথা বলব। ...আমরা কোনো জিনিস গোপন রেখে কিছু করতে চাই না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সব বিষয় আমরা জাতিকে জানাব।’
তিন মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই তদন্তের দুটি অংশ আছে। একটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আরেকটি বহির্দেশের। তদন্তের অভ্যন্তরীণ বিষয়টিকে আমরা দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই।’
বিডিআরের এই সাবেক মহাপরিচালক বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত, অন্যান্য জেনারেল জড়িত। শুধু বললে হবে না, তার পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। আমরা চাইব আপনারা প্রমাণ দিন। ছোট, বড়, গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যা আছে, আমাদেরকে দিন।’
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা বিডিআর বিদ্রোহ ছিল বা কোনো দাবির জন্য সৈনিকেরা নির্মমভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করতে পারে। একজন কর্মকর্তা ৭ দিন, ১০ দিন, ১৫ দিন বা এক মাস আগে গিয়ে কী এমন করতে পারেন যে তাঁকে মেরে ফেলতে হবে! এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।’
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিডিআর (বর্তমান নাম বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত দেন।
২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) প্রতিনিধি, হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজন, পিলখানায় থাকা বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিশনের প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাঁদের সন্দেহ করি, বিশেষ করে শেখ হাসিনা, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হয় তাঁকে প্রত্যর্পণ করতে বলব কিংবা আমাদের দল সেখানে গিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বা সরাসরি, যেটা আমাদের জন্য আইনসিদ্ধ হয়, সেটা করব।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় যেসব কর্মকর্তা বেঁচে ফিরেছেন, নিগৃহীত হয়েছেন, চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও আমরা বসব, কথা বলব। ...আমরা কোনো জিনিস গোপন রেখে কিছু করতে চাই না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সব বিষয় আমরা জাতিকে জানাব।’
তিন মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই তদন্তের দুটি অংশ আছে। একটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আরেকটি বহির্দেশের। তদন্তের অভ্যন্তরীণ বিষয়টিকে আমরা দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই।’
বিডিআরের এই সাবেক মহাপরিচালক বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত, অন্যান্য জেনারেল জড়িত। শুধু বললে হবে না, তার পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। আমরা চাইব আপনারা প্রমাণ দিন। ছোট, বড়, গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যা আছে, আমাদেরকে দিন।’
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা বিডিআর বিদ্রোহ ছিল বা কোনো দাবির জন্য সৈনিকেরা নির্মমভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করতে পারে। একজন কর্মকর্তা ৭ দিন, ১০ দিন, ১৫ দিন বা এক মাস আগে গিয়ে কী এমন করতে পারেন যে তাঁকে মেরে ফেলতে হবে! এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে...
১১ মিনিট আগেজাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) ১১৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব, এবং নিরাপত্তা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার...
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের রায় সংক্রান্ত মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি সতর্ক করেন যে, ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৯১ জনকে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে