
সারা দেশে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ময়মনসিংহ শহরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করেছে বিএনপি। গত সেপ্টেম্বরেই সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে রওনা হন। কিন্তু হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ রুটে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ হওয়ায় সারা দিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ছিল ব্যাপক।
গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাসমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। আজ শনিবার ময়মনসিংহের পলিটেকনিক মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন। তবে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। তাঁদের দাবি, তাঁরা গণপরিবহন বন্ধ করেননি এবং শিগগিরই সব ঠিক হয়ে যাবে। যদিও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, মালিকেরা গাড়ি চালাতে বাধা দিয়েছেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, সমাবেশকে যাতে সফল করতে না পারি, সে জন্য সরকারের পেটুয়াবাহিনী গাড়ি–ঘোড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও জিয়ার সৈনিকদের দমানো যায়নি, যাবেও না। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি কতটা শক্তিশালী।
ময়মনসিংহের পাশের জেলা গাজীপুর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দূর–দুরান্ত থেকে তাঁরা হেঁটে, ট্রাকে, ট্রলারে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিও ছিল ভয়ানক। গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহগামী গণপরিবহন না চললেও ঢাকামুখী যানবাহন চলেছে।
সকালের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মাইকেল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন আবদুল্লাহপুর থেকে ময়মনসিংহগামী বিভিন্ন বাসে নিজের কর্মস্থলে যাই। আজ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে মালবাহী ট্রাকে চড়ে রওনা দিচ্ছি।’
ময়মনসিংহ জেলা থেকে টঙ্গীতে এসেছিলেন এক দম্পতি। সঙ্গে ছেলে–মেয়ে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কে বাস না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁরা টঙ্গীতে পৌঁছান। এ পর্যন্ত আসতে তাঁদের প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এভাবে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষদের।
কেবল গাজীপুর থেকেই নয়। গণপরিবহন চলেনি শেরপুর জেলা থেকেও। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ নৌযানে করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোখলেছুর রহমান জীবন বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা যেন ময়মনসিংহে সমাবেশে যোগ দিতে না পারেন, সে জন্য বাস মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। এ জন্য বিকল্প উপায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।’
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকেও একইভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নৌযানে করেই সমাবেশে যোগ দিতে গেছেন। নান্দাইল ছাড়াও গফরগাঁও, ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর উপজেলার নেতা-কর্মীরা এভাবেই সমাবেশে যোগ দেন।
দুপুরের দিকে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক অনিক আহমেদ বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় গণসমাবেশে যাতে উপস্থিত না হতে পারি, সে জন্য যানবাহন বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে নৌপথে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছি।’
বিএনপির নেতাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান উদ্দিন সরকারের কথায়। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ বা ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী সকল ধরনের যানবাহন চলাচল ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরা গাড়ি চালাচ্ছেন না এবং মালিকপক্ষ শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে দিচ্ছেন না। এ কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণের সহকারী কমিশনার মো. ফয়জুল রহমান বলেন, ‘দূরপাল্লার যান চলাচল করছে না। তবে গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলতে দেখা যায়। সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।’
তবে পরিবহন মালিক পক্ষের বক্তব্য এর উল্টো। তাঁদের দাবি, তাঁরা বন্ধ গণপরিবহন বন্ধ করেননি। বরং সহিংসতার আশঙ্কার কারণে চালকেরাই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, ‘আমরা কোনো গণপরিবহন বন্ধ করিনি। বাস চালকেরা যদি তা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। তাঁরা আশঙ্কার কারণে পরিবহন বন্ধ রেখেছে। আশা করছি, রাত থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
এই বিষয়ে শেরপুর জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ বলেন, ‘ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সংঘর্ষ হয়েছে। আজও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে যথারীতি বাস চলাচল করবে।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন গাজীপুর, টঙ্গী, ময়মনসিংহ, নান্দাইল ও শেরপুর প্রতিনিধি।

সারা দেশে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ময়মনসিংহ শহরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করেছে বিএনপি। গত সেপ্টেম্বরেই সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে রওনা হন। কিন্তু হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ রুটে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ হওয়ায় সারা দিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ছিল ব্যাপক।
গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাসমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। আজ শনিবার ময়মনসিংহের পলিটেকনিক মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন। তবে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। তাঁদের দাবি, তাঁরা গণপরিবহন বন্ধ করেননি এবং শিগগিরই সব ঠিক হয়ে যাবে। যদিও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, মালিকেরা গাড়ি চালাতে বাধা দিয়েছেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, সমাবেশকে যাতে সফল করতে না পারি, সে জন্য সরকারের পেটুয়াবাহিনী গাড়ি–ঘোড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও জিয়ার সৈনিকদের দমানো যায়নি, যাবেও না। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি কতটা শক্তিশালী।
ময়মনসিংহের পাশের জেলা গাজীপুর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দূর–দুরান্ত থেকে তাঁরা হেঁটে, ট্রাকে, ট্রলারে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিও ছিল ভয়ানক। গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহগামী গণপরিবহন না চললেও ঢাকামুখী যানবাহন চলেছে।
সকালের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মাইকেল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন আবদুল্লাহপুর থেকে ময়মনসিংহগামী বিভিন্ন বাসে নিজের কর্মস্থলে যাই। আজ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে মালবাহী ট্রাকে চড়ে রওনা দিচ্ছি।’
ময়মনসিংহ জেলা থেকে টঙ্গীতে এসেছিলেন এক দম্পতি। সঙ্গে ছেলে–মেয়ে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কে বাস না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁরা টঙ্গীতে পৌঁছান। এ পর্যন্ত আসতে তাঁদের প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এভাবে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষদের।
কেবল গাজীপুর থেকেই নয়। গণপরিবহন চলেনি শেরপুর জেলা থেকেও। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ নৌযানে করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোখলেছুর রহমান জীবন বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা যেন ময়মনসিংহে সমাবেশে যোগ দিতে না পারেন, সে জন্য বাস মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। এ জন্য বিকল্প উপায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।’
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকেও একইভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নৌযানে করেই সমাবেশে যোগ দিতে গেছেন। নান্দাইল ছাড়াও গফরগাঁও, ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর উপজেলার নেতা-কর্মীরা এভাবেই সমাবেশে যোগ দেন।
দুপুরের দিকে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক অনিক আহমেদ বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় গণসমাবেশে যাতে উপস্থিত না হতে পারি, সে জন্য যানবাহন বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে নৌপথে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছি।’
বিএনপির নেতাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান উদ্দিন সরকারের কথায়। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ বা ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী সকল ধরনের যানবাহন চলাচল ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরা গাড়ি চালাচ্ছেন না এবং মালিকপক্ষ শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে দিচ্ছেন না। এ কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণের সহকারী কমিশনার মো. ফয়জুল রহমান বলেন, ‘দূরপাল্লার যান চলাচল করছে না। তবে গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলতে দেখা যায়। সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।’
তবে পরিবহন মালিক পক্ষের বক্তব্য এর উল্টো। তাঁদের দাবি, তাঁরা বন্ধ গণপরিবহন বন্ধ করেননি। বরং সহিংসতার আশঙ্কার কারণে চালকেরাই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, ‘আমরা কোনো গণপরিবহন বন্ধ করিনি। বাস চালকেরা যদি তা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। তাঁরা আশঙ্কার কারণে পরিবহন বন্ধ রেখেছে। আশা করছি, রাত থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
এই বিষয়ে শেরপুর জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ বলেন, ‘ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সংঘর্ষ হয়েছে। আজও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে যথারীতি বাস চলাচল করবে।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন গাজীপুর, টঙ্গী, ময়মনসিংহ, নান্দাইল ও শেরপুর প্রতিনিধি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধা
১৫ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধা
১৫ অক্টোবর ২০২২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধা
১৫ অক্টোবর ২০২২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা



লোকাল বাস সার্ভিসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় কাজে যোগ দিতে হেঁটে, লেগুনায়, ট্রাকে, রিকশায় যেতে হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে। টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় সাধা
১৫ অক্টোবর ২০২২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে