নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে