নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে