Ajker Patrika

বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন হচ্ছে

  • প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ চলছে
  • ১৯৭২ সালের সংবিধানেই আইনের কথা ছিল
  • ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য জরুরি’
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অবশেষে উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় আলোচনা হয়েছে বলে সভার একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগে যোগ্য ও দক্ষদের বাছাই করার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য স্বাধীন নিয়োগ কমিশন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। কয়েকজন বিচারপতি তখন আলোচিত উচ্চ আদালতে নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথাটি তুললে প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।

জানা গেছে, এখন বাংলাদেশের প্রতিবেশী এবং রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পূর্বসূরি ভারত ও পাকিস্তানের উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দুই দেশের আদলে কমিশনে কারা থাকবেন, কমিশন কীভাবে নিয়োগের জন্য বিচারক বাছাই করবে—এসব বিষয় খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে প্রধান বিচারপতির নির্দেশমতো দ্রুত তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বিচারপতিদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আইনজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে নানা রকম অভিমত দিচ্ছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০২১ সালে তাঁর শেষ কর্মদিবসের বিদায়ী সংবর্ধনায় বলেছিলেন, বিচারপতি নিয়োগে আইন করা অপরিহার্য। তা হলে বিচারপতি নিয়োগের কাজটি আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হবে এবং জনগণের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা সম্পর্কে ‘ভিত্তিহীন ধারণা’ দূর হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দুই দিন পরই নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া অভিভাষণে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। বিচারিক আদালতের পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

১৯৭২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম সংবিধানেই বিচারপতি নিয়োগে আইন করার কথা বলা হয়েছিল। তবে আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও বিচারপতি নিয়োগে আইন করা হয়নি। আইনজ্ঞরা বলছেন, শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য পৃথক সচিবালয় ও বিচারপতি নিয়োগের আইন থাকা জরুরি। এত দিন রাজনৈতিক সরকারগুলো তা করেনি। তাই বর্তমান নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আইনটি করা হবে বলে আশা তাঁদের।

বিচারপতি নিয়োগে আইন না থাকায় ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের সময় তৃতীয় শ্রেণি হলে আবেদন করতে পারবেন না, মেধাবী দরকার। তাঁরা জেলা জজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসেন বিচারপতি হয়ে। আর এখানে (উচ্চ আদালতে) দল করলেই হয়। কারণ আইন নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সংবিধানে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণে আইন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর এত দিনেও কোনো আইন করা হয়নি। আইন করা হয়নি বলেই ইচ্ছেমতো অযোগ্য লোকজনকেও বিভিন্ন সময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেধার চেয়ে দলীয় আনুগত্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বিচার বিভাগের আজ এ দশা। তাই অবিলম্বে আইন করে বিচারকদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা দরকার। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ কমিশন গঠন করা খুবই জরুরি।’

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিষয়ে ৯৫ অনুচ্ছেদের ২(ক)-তে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। (খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর বিচার বিভাগীয় পদে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং (গ)-তে বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে তিনি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। কিন্তু আইন-নির্ধারিত যোগ্যতার কথা বলা হলেও সে আইনই করা হয়নি।

২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলেন। ওই বছরের ৬ জুন ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি করে আদালত যে রায় দেন, তাতে বিচারপতি নিয়োগের যোগ্যতার বিষয়ে সাত দফা পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে কোনো ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ৪৫ বছর হতে হবে। বিচারকদের ক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা আদালতে কমপক্ষে তিন বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দেশের রাষ্ট্রীয় চার মূল নীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর আস্থা থাকতে হবে। সুপারিশ করা ব্যক্তির শিক্ষাজীবনে খুব ভালো ফল, সমৃদ্ধ পেশাগত দক্ষতা, আইনগত বিচক্ষণতা ও কাজে একাগ্রতা থাকতে হবে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২০১৭ সালের ২৩ মে প্রকাশিত হয়।

বিচারপতি নিয়োগে আইন করার উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য সৈয়দ আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের অ্যাজেন্ডায় আছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত