আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১০ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১০ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১০ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১০ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
১১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১০ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
১০ ঘণ্টা আগে