আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৩ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে