মোজাম্মেল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্জাতিক হয়ে গেলে ক্রিশ্চিয়ান এরার পরিবর্তে কমন এরা বা সাধারণ সাল বলা হয়।
২০২৩ শেষ হয়ে শুরু হলো ২০২৪ সাল। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
নতুন বছরটি কেমন যাবে? একটি বছর শেষে প্রায় সব মানুষের মনে এ প্রশ্নটি আনাগোনা করে। ব্যক্তি ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সম্পদ-আপদ, সুযোগ-দুর্যোগ প্রভৃতি ছাপিয়ে অবশ্যই প্রশ্নটি স্পর্শ করে সার্বিক জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন থাকবে, সেই বিন্দুকে।
আমরা এমন একটি বছর অতিক্রম করলাম, যে বছরে কী কী ঘটতে পারে তা একরকম আগেই জানা ছিল। নতুন ঘটনা ঘটেছে খুব কম। আর যে বছরটি শুরু হলো, সেই বছর সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ও সংশয় বেশি। স্থির করেই বলা যায়, এ বছরটি হবে অস্থিরতার। নিশ্চিত বলা যায়, বছরটি হবে অনিশ্চয়তার।
একনজর দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ কেমন গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে চমকপ্রদ উন্নয়ন অভিযাত্রায় একাধিক মেগা প্রকল্পের সমাপ্তি ও নির্মাণ অগ্রগতিতে বছরটিও নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আগের বছর পদ্মা সেতু চালুর পরে এই তালিকায় যুক্ত হলো কর্ণফুলী টানেল, এল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের চালান, চালু হলো ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলপথ, ঢাকা সিটিতে প্রথম মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু হলো, খুলল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আংশিক উদ্বোধন হলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের। এগুলো তো আকস্মিক ঘটনা নয়, জানাই ছিল।
উন্নয়নের পাশে নেতিবাচক ঘটনা হলো নিয়ন্ত্রণহীন বাজারদরে সীমিত আয়ের মানুষের ত্রাহি অবস্থা, হঠাৎ হঠাৎ পেঁয়াজ, ডিম, আলু, মুরগি ও গো-মাংসের দামে অযৌক্তিক উল্লম্ফন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উদ্বেগজনক হ্রাস, ডলারের অভাব ও মূল্য ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলায় আমদানি-বাণিজ্যে সংকট, সারা বছরই সংবাদমাধ্যমে নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেন বিঘ্নিত হওয়াসহ ব্যাংক প্রশাসনে শৈথিল্য ও বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের খবর ইত্যাদি।
এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণের বিস্তার এবং এই রোগে মৃত্যুতে বাংলাদেশ রেকর্ড করেছে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৭০১ এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন। হাসপাতালে ভর্তির সরকারি তথ্যের বাইরে রোগী ও মৃত্যু আরও বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। এবার গ্রামেও ছড়িয়েছে।
বছরজুড়েই চলেছে দেশের বড় দুই দলের একটি বিএনপি ও সমমনা কিছু দলের ডাকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন। অন্যথায় নির্বাচন বর্জন তাদের ধনুর্ভঙ্গ পণ। একই দাবিতে আন্দোলনে ২০১৩-১৪ সালে জনগণের ওপর জোর খাটানোসহ লাগাতার হরতাল-অবরোধের ব্যর্থ কৌশল বাদ দিয়ে এবার বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণজমায়েতের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করার কৌশল নিয়ে অনেক অগ্রগতি সাধন করে। বছরব্যাপী ইউনিয়ন-উপজেলা স্তর থেকে কেন্দ্রে রাজধানী পর্যন্ত কর্মসূচিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী বড় বড় জমায়েত হয়। কিন্তু তারা কর্মী-সমর্থকের বাইরে ব্যাপক জনতা নয়। বাস্তবে প্রতীয়মান হয়, ব্যাপকসংখ্যক দেশবাসী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট দিতে চায় কিন্তু সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবির মতো চরম লক্ষ্যকে সমর্থন করে না এবং সে জন্য বিএনপির ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব নয়। মাঠের এই পাঠ গ্রহণে বিএনপি নেতারা সক্ষম হননি। বছরের শেষভাগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বিভিন্ন কৌশল ও পুলিশি শক্তিপ্রয়োগে ভেঙে দিতে সরকারকে খুব বেগ পেতে হয়নি। বিএনপির মূল নেতারা কয়েকজনসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও ঢালাওভাবে দায়ের করা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পুরতে সরকার সক্ষম হয়েছে।
দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক বন্ধনে জড়িত পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশগুলো আমাদের উপর্যুপরি বিশ্বাসযোগ্যতাহীন নির্বাচন ও মানবাধিকার প্রতিপালন নিয়ে কয়েক বছর ধরে প্রশ্ন তুলছে। বিদায়ী বছরটিতে এ বিষয়ে দৃশ্যমান চাপ দিয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম প্রভৃতি আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে আগের বছরের ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরে ২০২৩-এর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার নীতি ঘোষণা করেছে। দফায় দফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। পশ্চিমের এই চাপকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, চীন ও বাংলাদেশের আন্তসম্পর্ক, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, বাংলাদেশের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানোর ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্যের সঙ্গে মিলিয়েও দেখা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরের এই পটভূমি অতিক্রম করে ২০২৪ শুরুই হতে যাচ্ছে জাতীয় পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জাতীয় সংসদের নির্বাচন দিয়ে। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রম যে সুস্থভাবে অগ্রসর হচ্ছে না, তা আমরা সবাই জানি। প্রকৃত নির্বাচনের জন্য যতগুলো উপাদান আবশ্যক তার প্রায় সবই অনুপস্থিত। রাজনৈতিক আদর্শ ও কর্মসূচির প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেশে থাকলেও এই নির্বাচনে নেই। বিএনপিসহ অধিকাংশ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ তাদের সঙ্গে অধীনতামূলক মিত্রতায় আবদ্ধ কয়েকটি অনুল্লেখ্য দল নির্বাচনে আছে। একতরফা হওয়ার বিপরীতে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখাতে, নিরুৎসাহিত হয়ে পড়া ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে শেখ হাসিনার নির্দেশিত ‘ডামি’ প্রার্থী দেওয়ার বিচিত্র কৌশল অনুযায়ী প্রভাবশালী দল আওয়ামী লীগেরই অনেকে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ ডামির মতো আচরণ না করে সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ফলে প্রতিনিয়ত হানাহানি, মারামারি হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনবিরোধী আন্দোলনে হরতাল-অবরোধের পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাস ও রেলে নাশকতা এবং অন্যদিকে নির্বাচনী হানাহানিতে সাধারণ নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে।
দেশে সরকারি প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের যৌথভাবে আপাত একতরফা নিয়ন্ত্রণ থাকায় এই হ-য-ব-র-ল পরিবেশেও ৭ জানুয়ারির ভোট গ্রহণ হয়ে যাবে, কম ভোট পড়লেও। এটা অনুমান করা যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হবে, তারপর কী? নতুন বছরটা কেমন যাবে? এরূপ একটি অগ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্যতাহীন নির্বাচনের ফলাফল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শুধু প্রত্যাখ্যানই করবে না, অবজ্ঞা করবে। যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁদের নৈতিক মনোবল থাকবে না। জনসাধারণ সংসদের প্রতি মনোযোগী ও শ্রদ্ধাশীল হবে না।
সামনের দিনগুলোতে আসছে অর্থনৈতিক সংকট, যা বিদায়ী বছরে আমাদেরও দাঁত দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধজনিত কারণে অর্থনীতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুর সঙ্গে ইদানীং যুক্ত হওয়া শ্রম অধিকার প্রশ্ন পশ্চিমা দেশগুলোর অসন্তোষের হুমকি তৈরি করেছে, যা থেকে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা পর্যন্ত প্রকাশ করা হচ্ছে।
যেকোনো দুর্যোগ, দুর্বিপাক মোকাবিলা করতে জাতীয় ঐক্য দরকার, সরকারের পদক্ষেপের প্রতি রাজনৈতিক দল ও জনগণের সমর্থন দরকার। ৭ জানুয়ারির মতো নির্বাচন থেকে কোনো সরকার তা আশা করতে পারে না। তাই এই নির্বাচনের রাজনৈতিক সংশোধনের জন্য আবার আলাপ-আলোচনা, সমঝোতার পথেই সমাধান বের করতে হবে। সে পথে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা এ বছরেই উঠতে পারে। অন্যথায় সংঘাতের পথে সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
২০২৩-এর ঘটনাধারা আমাদের অনেকটা পূর্ব-অনুমিত ছিল। জানা ছিল। সেই জানার মধ্য থেকে ২০২৪-এ অনেক অজানার পথে আমরা পা বাড়াচ্ছি।

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্জাতিক হয়ে গেলে ক্রিশ্চিয়ান এরার পরিবর্তে কমন এরা বা সাধারণ সাল বলা হয়।
২০২৩ শেষ হয়ে শুরু হলো ২০২৪ সাল। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
নতুন বছরটি কেমন যাবে? একটি বছর শেষে প্রায় সব মানুষের মনে এ প্রশ্নটি আনাগোনা করে। ব্যক্তি ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সম্পদ-আপদ, সুযোগ-দুর্যোগ প্রভৃতি ছাপিয়ে অবশ্যই প্রশ্নটি স্পর্শ করে সার্বিক জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন থাকবে, সেই বিন্দুকে।
আমরা এমন একটি বছর অতিক্রম করলাম, যে বছরে কী কী ঘটতে পারে তা একরকম আগেই জানা ছিল। নতুন ঘটনা ঘটেছে খুব কম। আর যে বছরটি শুরু হলো, সেই বছর সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ও সংশয় বেশি। স্থির করেই বলা যায়, এ বছরটি হবে অস্থিরতার। নিশ্চিত বলা যায়, বছরটি হবে অনিশ্চয়তার।
একনজর দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ কেমন গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে চমকপ্রদ উন্নয়ন অভিযাত্রায় একাধিক মেগা প্রকল্পের সমাপ্তি ও নির্মাণ অগ্রগতিতে বছরটিও নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আগের বছর পদ্মা সেতু চালুর পরে এই তালিকায় যুক্ত হলো কর্ণফুলী টানেল, এল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের চালান, চালু হলো ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলপথ, ঢাকা সিটিতে প্রথম মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু হলো, খুলল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আংশিক উদ্বোধন হলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের। এগুলো তো আকস্মিক ঘটনা নয়, জানাই ছিল।
উন্নয়নের পাশে নেতিবাচক ঘটনা হলো নিয়ন্ত্রণহীন বাজারদরে সীমিত আয়ের মানুষের ত্রাহি অবস্থা, হঠাৎ হঠাৎ পেঁয়াজ, ডিম, আলু, মুরগি ও গো-মাংসের দামে অযৌক্তিক উল্লম্ফন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উদ্বেগজনক হ্রাস, ডলারের অভাব ও মূল্য ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলায় আমদানি-বাণিজ্যে সংকট, সারা বছরই সংবাদমাধ্যমে নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেন বিঘ্নিত হওয়াসহ ব্যাংক প্রশাসনে শৈথিল্য ও বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের খবর ইত্যাদি।
এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণের বিস্তার এবং এই রোগে মৃত্যুতে বাংলাদেশ রেকর্ড করেছে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৭০১ এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন। হাসপাতালে ভর্তির সরকারি তথ্যের বাইরে রোগী ও মৃত্যু আরও বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। এবার গ্রামেও ছড়িয়েছে।
বছরজুড়েই চলেছে দেশের বড় দুই দলের একটি বিএনপি ও সমমনা কিছু দলের ডাকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন। অন্যথায় নির্বাচন বর্জন তাদের ধনুর্ভঙ্গ পণ। একই দাবিতে আন্দোলনে ২০১৩-১৪ সালে জনগণের ওপর জোর খাটানোসহ লাগাতার হরতাল-অবরোধের ব্যর্থ কৌশল বাদ দিয়ে এবার বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণজমায়েতের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করার কৌশল নিয়ে অনেক অগ্রগতি সাধন করে। বছরব্যাপী ইউনিয়ন-উপজেলা স্তর থেকে কেন্দ্রে রাজধানী পর্যন্ত কর্মসূচিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী বড় বড় জমায়েত হয়। কিন্তু তারা কর্মী-সমর্থকের বাইরে ব্যাপক জনতা নয়। বাস্তবে প্রতীয়মান হয়, ব্যাপকসংখ্যক দেশবাসী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট দিতে চায় কিন্তু সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবির মতো চরম লক্ষ্যকে সমর্থন করে না এবং সে জন্য বিএনপির ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব নয়। মাঠের এই পাঠ গ্রহণে বিএনপি নেতারা সক্ষম হননি। বছরের শেষভাগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বিভিন্ন কৌশল ও পুলিশি শক্তিপ্রয়োগে ভেঙে দিতে সরকারকে খুব বেগ পেতে হয়নি। বিএনপির মূল নেতারা কয়েকজনসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও ঢালাওভাবে দায়ের করা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পুরতে সরকার সক্ষম হয়েছে।
দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক বন্ধনে জড়িত পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশগুলো আমাদের উপর্যুপরি বিশ্বাসযোগ্যতাহীন নির্বাচন ও মানবাধিকার প্রতিপালন নিয়ে কয়েক বছর ধরে প্রশ্ন তুলছে। বিদায়ী বছরটিতে এ বিষয়ে দৃশ্যমান চাপ দিয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম প্রভৃতি আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে আগের বছরের ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরে ২০২৩-এর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার নীতি ঘোষণা করেছে। দফায় দফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। পশ্চিমের এই চাপকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, চীন ও বাংলাদেশের আন্তসম্পর্ক, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, বাংলাদেশের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানোর ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্যের সঙ্গে মিলিয়েও দেখা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরের এই পটভূমি অতিক্রম করে ২০২৪ শুরুই হতে যাচ্ছে জাতীয় পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জাতীয় সংসদের নির্বাচন দিয়ে। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রম যে সুস্থভাবে অগ্রসর হচ্ছে না, তা আমরা সবাই জানি। প্রকৃত নির্বাচনের জন্য যতগুলো উপাদান আবশ্যক তার প্রায় সবই অনুপস্থিত। রাজনৈতিক আদর্শ ও কর্মসূচির প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেশে থাকলেও এই নির্বাচনে নেই। বিএনপিসহ অধিকাংশ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ তাদের সঙ্গে অধীনতামূলক মিত্রতায় আবদ্ধ কয়েকটি অনুল্লেখ্য দল নির্বাচনে আছে। একতরফা হওয়ার বিপরীতে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখাতে, নিরুৎসাহিত হয়ে পড়া ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে শেখ হাসিনার নির্দেশিত ‘ডামি’ প্রার্থী দেওয়ার বিচিত্র কৌশল অনুযায়ী প্রভাবশালী দল আওয়ামী লীগেরই অনেকে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ ডামির মতো আচরণ না করে সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ফলে প্রতিনিয়ত হানাহানি, মারামারি হচ্ছে। একদিকে নির্বাচনবিরোধী আন্দোলনে হরতাল-অবরোধের পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাস ও রেলে নাশকতা এবং অন্যদিকে নির্বাচনী হানাহানিতে সাধারণ নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে।
দেশে সরকারি প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের যৌথভাবে আপাত একতরফা নিয়ন্ত্রণ থাকায় এই হ-য-ব-র-ল পরিবেশেও ৭ জানুয়ারির ভোট গ্রহণ হয়ে যাবে, কম ভোট পড়লেও। এটা অনুমান করা যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হবে, তারপর কী? নতুন বছরটা কেমন যাবে? এরূপ একটি অগ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্যতাহীন নির্বাচনের ফলাফল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শুধু প্রত্যাখ্যানই করবে না, অবজ্ঞা করবে। যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁদের নৈতিক মনোবল থাকবে না। জনসাধারণ সংসদের প্রতি মনোযোগী ও শ্রদ্ধাশীল হবে না।
সামনের দিনগুলোতে আসছে অর্থনৈতিক সংকট, যা বিদায়ী বছরে আমাদেরও দাঁত দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধজনিত কারণে অর্থনীতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুর সঙ্গে ইদানীং যুক্ত হওয়া শ্রম অধিকার প্রশ্ন পশ্চিমা দেশগুলোর অসন্তোষের হুমকি তৈরি করেছে, যা থেকে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা পর্যন্ত প্রকাশ করা হচ্ছে।
যেকোনো দুর্যোগ, দুর্বিপাক মোকাবিলা করতে জাতীয় ঐক্য দরকার, সরকারের পদক্ষেপের প্রতি রাজনৈতিক দল ও জনগণের সমর্থন দরকার। ৭ জানুয়ারির মতো নির্বাচন থেকে কোনো সরকার তা আশা করতে পারে না। তাই এই নির্বাচনের রাজনৈতিক সংশোধনের জন্য আবার আলাপ-আলোচনা, সমঝোতার পথেই সমাধান বের করতে হবে। সে পথে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা এ বছরেই উঠতে পারে। অন্যথায় সংঘাতের পথে সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
২০২৩-এর ঘটনাধারা আমাদের অনেকটা পূর্ব-অনুমিত ছিল। জানা ছিল। সেই জানার মধ্য থেকে ২০২৪-এ অনেক অজানার পথে আমরা পা বাড়াচ্ছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৩ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্
০১ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৩ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্
০১ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩২ মিনিট আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৩ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্
০১ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে এখন সাংস্কৃতিক আবেদন মুখ্য। বঙ্গাব্দের মাসগুলো ঋতুচক্রের ও কিছুটা কৃষির তত্ত্বতালাশে কাজে লাগাই। আর আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-শিক্ষাগত সব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দিন-তারিখ ও সময়ের হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হয় খ্রিষ্টাব্দের বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিষ্টাব্দ সর্বজনীন ও আন্তর্
০১ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৩ ঘণ্টা আগে