সরকারি চাকরি আইন সংশোধন
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা জোরদারে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি পাসের জন্য উত্থাপন হতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি চাকরি আইনে নতুন করে শৃঙ্খলাভঙ্গের চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কর্মকাণ্ডের দায়ে সরকারি কর্মচারীদের নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্তের দণ্ড দেওয়া যাবে।
সংশোধনী প্রস্তাবে যা আছে
১. এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য (insubordination) সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে।
২. অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া, নিজ কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন।
৩. অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকত বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার নিমিত্তে উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন।
৪. যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
জনপ্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, এসব অপরাধের কারণে বিভাগীয় মামলা না করেই সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
এদিকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কালো আইন জারির তৎপরতা বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ ও আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠন দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়ন ও পেশাগত বিকশিত করার পরিবর্তে নির্যাতনমূলক কালো আইন, ব্যক্তিগত দাসত্ব ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করে সচিবালয়কে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। যার কারণে কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের কালো আইনকে পুনরায় জারি করা হলে সংবিধানের ১৯, ২১, ২৭, ৩১, ৩৭ ও ৩৮ ধারা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে। এ ধরনের আইন জারির ফলে কতিপয় কর্মকর্তার নিকট কর্মচারীরা দাসত্বে পরিণত হবেন। সাংবিধানিক অধিকারের পরিধি ও ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা চরম উদ্বেগজনক। এটি অপব্যবহারের সুযোগ বেশি থাকবে, কর্মচারীদের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের দাসত্বে পরিণত করা হবে। নানা অজুহাত ও অভিযোগে নিরীহ কর্মচারীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে।
আরও খবর পড়ুন:
সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা জোরদারে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি পাসের জন্য উত্থাপন হতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি চাকরি আইনে নতুন করে শৃঙ্খলাভঙ্গের চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কর্মকাণ্ডের দায়ে সরকারি কর্মচারীদের নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্তের দণ্ড দেওয়া যাবে।
সংশোধনী প্রস্তাবে যা আছে
১. এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য (insubordination) সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে।
২. অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া, নিজ কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন।
৩. অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকত বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার নিমিত্তে উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন।
৪. যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
জনপ্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, এসব অপরাধের কারণে বিভাগীয় মামলা না করেই সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
এদিকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কালো আইন জারির তৎপরতা বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ ও আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠন দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়ন ও পেশাগত বিকশিত করার পরিবর্তে নির্যাতনমূলক কালো আইন, ব্যক্তিগত দাসত্ব ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করে সচিবালয়কে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। যার কারণে কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের কালো আইনকে পুনরায় জারি করা হলে সংবিধানের ১৯, ২১, ২৭, ৩১, ৩৭ ও ৩৮ ধারা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে। এ ধরনের আইন জারির ফলে কতিপয় কর্মকর্তার নিকট কর্মচারীরা দাসত্বে পরিণত হবেন। সাংবিধানিক অধিকারের পরিধি ও ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা চরম উদ্বেগজনক। এটি অপব্যবহারের সুযোগ বেশি থাকবে, কর্মচারীদের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের দাসত্বে পরিণত করা হবে। নানা অজুহাত ও অভিযোগে নিরীহ কর্মচারীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে।
আরও খবর পড়ুন:
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
২ ঘণ্টা আগেদেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৫ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
১১ ঘণ্টা আগে