শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ এখন আর পুলিশকে মানে না, পুলিশের কথা শোনে না। হাতে অস্ত্র থাকলেও ব্যবহার নিয়ে রয়েছে জটিলতা। তাই অপরাধী বা অপরাধের তথ্য পেলেও অভিযানে যেতে আগে-পরে অনেক ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে অপরাধীরা। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৫ সেপ্টেম্বর ‘লংমার্চ টু ভাঙ্গা’ কর্মসূচিতে মহাসড়কে লাঠি হাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অল্পসংখ্যক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নেন ভাঙ্গা মডেল মসজিদে। তাঁদের অনেকের তখন গত বছরের ৫ আগস্টের কথা মনে পড়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা-ফাঁড়ি, পুলিশসহ অসংখ্য স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়। এতে সব থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় সারা দেশে ৪৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশ আবার দায়িত্বে ফেরে। কিন্তু এক বছর পরও মাঠের পুলিশ সদস্যদের ভয় কাটেনি।
১৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গায় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় মসজিদে আশ্রয় নেওয়া পুলিশের এক এএসআই বলেন, ‘এভাবে বারবার বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। মনে হয় এই চাকরি আর করা যাবে না।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষ এখন পুলিশের কথা শুনছে না। অপরাধের তথ্য পেলেও তাঁরা ভয়ে অভিযানে যান না। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রমনা জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পুলিশকে আর মানছে না। তাই কোনো ধরনের অপরাধের তথ্য পেলেও নিজ উদ্যোগে তাঁরা অভিযানে যাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে আইজি বাহারুল আলম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এটাও ঠিক, মাঠের বাস্তবতায় কোথাও কোথাও পরিবেশ এখনো ঠিক হয়নি।
পুলিশের সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। রাজধানীতে পুলিশের ওপর অপরাধীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে ১ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে আদাবর থানা খবর পায়, শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশের চার সদস্যের একটি দল সেখানে গেলে ৮-১০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল আল-আমিন দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। পুলিশ ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে জরুরি কলে সাড়া দেওয়া নিয়ে দোটানায় রয়েছে থানা-পুলিশ।
ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমরা ভাবছি এসব কলে কীভাবে সাড়া দেব। চার-পাঁচজন সদস্যের প্যাট্রল টিম গেলে নিরাপত্তা কোথায়?’
রাজধানীর বাইরেও পুলিশ দলের ওপর হামলা, অবরুদ্ধ করে রাখার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা জেলা পুলিশের এক উপপরিদর্শ (এসআই) বলেন, শহরের কোনো এলাকায় যাওয়া একরকম সহজ। কিন্তু গ্রামে ফাঁকা এলাকায় যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সভা-সমাবেশে দায়িত্ব পালনে আগ্রহ কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ সদস্যের। তাঁরা নানা অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন। এক জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ পুলিশ সদস্য জানান, তাঁরা মানসিক চাপে আছেন। ৯৫ শতাংশ মনে করেন, নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অথচ পুলিশ বাহিনীর এখনো পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটই নেই।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গাবতলী, টঙ্গী, খুলনা ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও সংশ্লিষ্ট থানাগুলো একা দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। অতিরিক্ত ফোর্স ডাকতে হয়েছে। কোথাও কোথাও থানা-পুলিশ সরে দাঁড়ালে ডিবি ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সদর দপ্তর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং সেশন শুরু করেছে। কয়েকটি জেলায় চালু হয়েছে ‘স্ট্রেস রিলিফ টক’ ও ‘রিফ্রেশার ট্রেনিং’। তবে অনেক সদস্যই এগুলোকে মনোবল ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত মনে করছেন না।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোবল ফিরিয়ে আনা ছাড়া মাঠে সক্রিয় থাকা সম্ভব নয়। কর্মঘণ্টা, সুযোগ-সুবিধা, বিশ্রাম—সবকিছু নিয়েই এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ বলেন, পুলিশের মধ্যে অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাঁদের মানসিক চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক হতে পারবেন। তাঁর মতে, পুলিশ সদস্যদের মনোবল পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরকেই।
আরও খবর পড়ুন:

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ এখন আর পুলিশকে মানে না, পুলিশের কথা শোনে না। হাতে অস্ত্র থাকলেও ব্যবহার নিয়ে রয়েছে জটিলতা। তাই অপরাধী বা অপরাধের তথ্য পেলেও অভিযানে যেতে আগে-পরে অনেক ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে অপরাধীরা। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৫ সেপ্টেম্বর ‘লংমার্চ টু ভাঙ্গা’ কর্মসূচিতে মহাসড়কে লাঠি হাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অল্পসংখ্যক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নেন ভাঙ্গা মডেল মসজিদে। তাঁদের অনেকের তখন গত বছরের ৫ আগস্টের কথা মনে পড়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা-ফাঁড়ি, পুলিশসহ অসংখ্য স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়। এতে সব থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় সারা দেশে ৪৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশ আবার দায়িত্বে ফেরে। কিন্তু এক বছর পরও মাঠের পুলিশ সদস্যদের ভয় কাটেনি।
১৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গায় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় মসজিদে আশ্রয় নেওয়া পুলিশের এক এএসআই বলেন, ‘এভাবে বারবার বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। মনে হয় এই চাকরি আর করা যাবে না।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষ এখন পুলিশের কথা শুনছে না। অপরাধের তথ্য পেলেও তাঁরা ভয়ে অভিযানে যান না। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রমনা জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পুলিশকে আর মানছে না। তাই কোনো ধরনের অপরাধের তথ্য পেলেও নিজ উদ্যোগে তাঁরা অভিযানে যাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে আইজি বাহারুল আলম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এটাও ঠিক, মাঠের বাস্তবতায় কোথাও কোথাও পরিবেশ এখনো ঠিক হয়নি।
পুলিশের সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। রাজধানীতে পুলিশের ওপর অপরাধীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে ১ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে আদাবর থানা খবর পায়, শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশের চার সদস্যের একটি দল সেখানে গেলে ৮-১০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল আল-আমিন দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। পুলিশ ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে জরুরি কলে সাড়া দেওয়া নিয়ে দোটানায় রয়েছে থানা-পুলিশ।
ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমরা ভাবছি এসব কলে কীভাবে সাড়া দেব। চার-পাঁচজন সদস্যের প্যাট্রল টিম গেলে নিরাপত্তা কোথায়?’
রাজধানীর বাইরেও পুলিশ দলের ওপর হামলা, অবরুদ্ধ করে রাখার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা জেলা পুলিশের এক উপপরিদর্শ (এসআই) বলেন, শহরের কোনো এলাকায় যাওয়া একরকম সহজ। কিন্তু গ্রামে ফাঁকা এলাকায় যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সভা-সমাবেশে দায়িত্ব পালনে আগ্রহ কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ সদস্যের। তাঁরা নানা অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন। এক জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ পুলিশ সদস্য জানান, তাঁরা মানসিক চাপে আছেন। ৯৫ শতাংশ মনে করেন, নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অথচ পুলিশ বাহিনীর এখনো পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটই নেই।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গাবতলী, টঙ্গী, খুলনা ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও সংশ্লিষ্ট থানাগুলো একা দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। অতিরিক্ত ফোর্স ডাকতে হয়েছে। কোথাও কোথাও থানা-পুলিশ সরে দাঁড়ালে ডিবি ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সদর দপ্তর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং সেশন শুরু করেছে। কয়েকটি জেলায় চালু হয়েছে ‘স্ট্রেস রিলিফ টক’ ও ‘রিফ্রেশার ট্রেনিং’। তবে অনেক সদস্যই এগুলোকে মনোবল ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত মনে করছেন না।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোবল ফিরিয়ে আনা ছাড়া মাঠে সক্রিয় থাকা সম্ভব নয়। কর্মঘণ্টা, সুযোগ-সুবিধা, বিশ্রাম—সবকিছু নিয়েই এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ বলেন, পুলিশের মধ্যে অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাঁদের মানসিক চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক হতে পারবেন। তাঁর মতে, পুলিশ সদস্যদের মনোবল পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরকেই।
আরও খবর পড়ুন:
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ এখন আর পুলিশকে মানে না, পুলিশের কথা শোনে না। হাতে অস্ত্র থাকলেও ব্যবহার নিয়ে রয়েছে জটিলতা। তাই অপরাধী বা অপরাধের তথ্য পেলেও অভিযানে যেতে আগে-পরে অনেক ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে অপরাধীরা। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৫ সেপ্টেম্বর ‘লংমার্চ টু ভাঙ্গা’ কর্মসূচিতে মহাসড়কে লাঠি হাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অল্পসংখ্যক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নেন ভাঙ্গা মডেল মসজিদে। তাঁদের অনেকের তখন গত বছরের ৫ আগস্টের কথা মনে পড়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা-ফাঁড়ি, পুলিশসহ অসংখ্য স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়। এতে সব থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় সারা দেশে ৪৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশ আবার দায়িত্বে ফেরে। কিন্তু এক বছর পরও মাঠের পুলিশ সদস্যদের ভয় কাটেনি।
১৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গায় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় মসজিদে আশ্রয় নেওয়া পুলিশের এক এএসআই বলেন, ‘এভাবে বারবার বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। মনে হয় এই চাকরি আর করা যাবে না।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষ এখন পুলিশের কথা শুনছে না। অপরাধের তথ্য পেলেও তাঁরা ভয়ে অভিযানে যান না। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রমনা জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পুলিশকে আর মানছে না। তাই কোনো ধরনের অপরাধের তথ্য পেলেও নিজ উদ্যোগে তাঁরা অভিযানে যাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে আইজি বাহারুল আলম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এটাও ঠিক, মাঠের বাস্তবতায় কোথাও কোথাও পরিবেশ এখনো ঠিক হয়নি।
পুলিশের সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। রাজধানীতে পুলিশের ওপর অপরাধীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে ১ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে আদাবর থানা খবর পায়, শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশের চার সদস্যের একটি দল সেখানে গেলে ৮-১০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল আল-আমিন দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। পুলিশ ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে জরুরি কলে সাড়া দেওয়া নিয়ে দোটানায় রয়েছে থানা-পুলিশ।
ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমরা ভাবছি এসব কলে কীভাবে সাড়া দেব। চার-পাঁচজন সদস্যের প্যাট্রল টিম গেলে নিরাপত্তা কোথায়?’
রাজধানীর বাইরেও পুলিশ দলের ওপর হামলা, অবরুদ্ধ করে রাখার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা জেলা পুলিশের এক উপপরিদর্শ (এসআই) বলেন, শহরের কোনো এলাকায় যাওয়া একরকম সহজ। কিন্তু গ্রামে ফাঁকা এলাকায় যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সভা-সমাবেশে দায়িত্ব পালনে আগ্রহ কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ সদস্যের। তাঁরা নানা অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন। এক জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ পুলিশ সদস্য জানান, তাঁরা মানসিক চাপে আছেন। ৯৫ শতাংশ মনে করেন, নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অথচ পুলিশ বাহিনীর এখনো পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটই নেই।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গাবতলী, টঙ্গী, খুলনা ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও সংশ্লিষ্ট থানাগুলো একা দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। অতিরিক্ত ফোর্স ডাকতে হয়েছে। কোথাও কোথাও থানা-পুলিশ সরে দাঁড়ালে ডিবি ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সদর দপ্তর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং সেশন শুরু করেছে। কয়েকটি জেলায় চালু হয়েছে ‘স্ট্রেস রিলিফ টক’ ও ‘রিফ্রেশার ট্রেনিং’। তবে অনেক সদস্যই এগুলোকে মনোবল ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত মনে করছেন না।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোবল ফিরিয়ে আনা ছাড়া মাঠে সক্রিয় থাকা সম্ভব নয়। কর্মঘণ্টা, সুযোগ-সুবিধা, বিশ্রাম—সবকিছু নিয়েই এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ বলেন, পুলিশের মধ্যে অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাঁদের মানসিক চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক হতে পারবেন। তাঁর মতে, পুলিশ সদস্যদের মনোবল পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরকেই।
আরও খবর পড়ুন:

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ এখন আর পুলিশকে মানে না, পুলিশের কথা শোনে না। হাতে অস্ত্র থাকলেও ব্যবহার নিয়ে রয়েছে জটিলতা। তাই অপরাধী বা অপরাধের তথ্য পেলেও অভিযানে যেতে আগে-পরে অনেক ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে অপরাধীরা। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৫ সেপ্টেম্বর ‘লংমার্চ টু ভাঙ্গা’ কর্মসূচিতে মহাসড়কে লাঠি হাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অল্পসংখ্যক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নেন ভাঙ্গা মডেল মসজিদে। তাঁদের অনেকের তখন গত বছরের ৫ আগস্টের কথা মনে পড়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা-ফাঁড়ি, পুলিশসহ অসংখ্য স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়। এতে সব থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় সারা দেশে ৪৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশ আবার দায়িত্বে ফেরে। কিন্তু এক বছর পরও মাঠের পুলিশ সদস্যদের ভয় কাটেনি।
১৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গায় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় মসজিদে আশ্রয় নেওয়া পুলিশের এক এএসআই বলেন, ‘এভাবে বারবার বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। মনে হয় এই চাকরি আর করা যাবে না।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষ এখন পুলিশের কথা শুনছে না। অপরাধের তথ্য পেলেও তাঁরা ভয়ে অভিযানে যান না। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রমনা জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পুলিশকে আর মানছে না। তাই কোনো ধরনের অপরাধের তথ্য পেলেও নিজ উদ্যোগে তাঁরা অভিযানে যাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে আইজি বাহারুল আলম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এটাও ঠিক, মাঠের বাস্তবতায় কোথাও কোথাও পরিবেশ এখনো ঠিক হয়নি।
পুলিশের সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। রাজধানীতে পুলিশের ওপর অপরাধীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে ১ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে আদাবর থানা খবর পায়, শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশের চার সদস্যের একটি দল সেখানে গেলে ৮-১০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল আল-আমিন দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। পুলিশ ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে জরুরি কলে সাড়া দেওয়া নিয়ে দোটানায় রয়েছে থানা-পুলিশ।
ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমরা ভাবছি এসব কলে কীভাবে সাড়া দেব। চার-পাঁচজন সদস্যের প্যাট্রল টিম গেলে নিরাপত্তা কোথায়?’
রাজধানীর বাইরেও পুলিশ দলের ওপর হামলা, অবরুদ্ধ করে রাখার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা জেলা পুলিশের এক উপপরিদর্শ (এসআই) বলেন, শহরের কোনো এলাকায় যাওয়া একরকম সহজ। কিন্তু গ্রামে ফাঁকা এলাকায় যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সভা-সমাবেশে দায়িত্ব পালনে আগ্রহ কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ সদস্যের। তাঁরা নানা অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন। এক জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ পুলিশ সদস্য জানান, তাঁরা মানসিক চাপে আছেন। ৯৫ শতাংশ মনে করেন, নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অথচ পুলিশ বাহিনীর এখনো পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটই নেই।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গাবতলী, টঙ্গী, খুলনা ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও সংশ্লিষ্ট থানাগুলো একা দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। অতিরিক্ত ফোর্স ডাকতে হয়েছে। কোথাও কোথাও থানা-পুলিশ সরে দাঁড়ালে ডিবি ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সদর দপ্তর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং সেশন শুরু করেছে। কয়েকটি জেলায় চালু হয়েছে ‘স্ট্রেস রিলিফ টক’ ও ‘রিফ্রেশার ট্রেনিং’। তবে অনেক সদস্যই এগুলোকে মনোবল ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত মনে করছেন না।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোবল ফিরিয়ে আনা ছাড়া মাঠে সক্রিয় থাকা সম্ভব নয়। কর্মঘণ্টা, সুযোগ-সুবিধা, বিশ্রাম—সবকিছু নিয়েই এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ বলেন, পুলিশের মধ্যে অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাঁদের মানসিক চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক হতে পারবেন। তাঁর মতে, পুলিশ সদস্যদের মনোবল পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরকেই।
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের অনেকে গত বছরের ৫ আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা হলো ভয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এই ভয় সৃষ্টি করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ থাকলেও মাঠে পুরো সক্রিয় হচ্ছে না পুলিশ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে