আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দীর্ঘ ১৩ বছর পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী আবাসিক সুবিধা, দত্তক সনদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবার ফি বাড়াল সরকার। ফি বেড়েছে ২ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়মিতকরণের ফি বাড়ানো হয়েছে।
নাগরিকত্ব ও বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য সেবাগুলোর ফি বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়ে ৪ ডিসেম্বর পৃথক দুটি পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি ছিল ৫০০ টাকা। এবার তা ৩ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। দ্বৈত নাগরিকত্ব ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ ফি আগে ৪ হাজার টাকা ছিল; তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার টাকার স্থায়ী আবাসিক অধিকার ফি বাড়িয়ে ১৫ হাজার এবং ১ হাজার টাকার দত্তক সনদ ফি ৫ গুণ বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো শিল্পে অথবা ব্যবসায় কমপক্ষে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী বিদেশি নাগরিকের এ দেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। বর্তমানে তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে অন্য বিদেশিদের, যাদের ভিসা লাগে না (‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’-এনভিআর) সে ক্ষেত্রে ৮০ ডলার ফি লাগবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বৈধতা অর্জনের ফিও লক্ষণীয়ভাবে বাড়িয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান বৈধ করার জন্য অবৈধ অবস্থানের প্রথম ১৫ দিনের ক্ষেত্রে দৈনিক ফি ছিল ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। অবৈধ অবস্থানের মেয়াদ ১৫ দিনের বেশি হলে ৯০ দিন পর্যন্ত ফি ছিল ৫০০ টাকা। তা ৪ গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২০১১ সালে এই ফি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং ৯০ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকা সংশ্লিষ্ট বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেন অ্যাফেয়ার্স আইন অনুযায়ী পুলিশ মামলা করতে পারবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক বা বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানদের অবৈধ অবস্থানের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের তিন মাস পর্যন্ত জরিমানা মওকুফ ছিল। বর্তমানে তা ৩ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ফি বাড়ানোর বিষয়টি এখনো তাঁরা জানেন না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো পরিপত্র জারি হলে অবশ্যই তা নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী আবাসিক সুবিধা, দত্তক সনদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবার ফি বাড়াল সরকার। ফি বেড়েছে ২ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়মিতকরণের ফি বাড়ানো হয়েছে।
নাগরিকত্ব ও বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য সেবাগুলোর ফি বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়ে ৪ ডিসেম্বর পৃথক দুটি পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি ছিল ৫০০ টাকা। এবার তা ৩ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। দ্বৈত নাগরিকত্ব ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ ফি আগে ৪ হাজার টাকা ছিল; তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার টাকার স্থায়ী আবাসিক অধিকার ফি বাড়িয়ে ১৫ হাজার এবং ১ হাজার টাকার দত্তক সনদ ফি ৫ গুণ বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো শিল্পে অথবা ব্যবসায় কমপক্ষে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী বিদেশি নাগরিকের এ দেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। বর্তমানে তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে অন্য বিদেশিদের, যাদের ভিসা লাগে না (‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’-এনভিআর) সে ক্ষেত্রে ৮০ ডলার ফি লাগবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বৈধতা অর্জনের ফিও লক্ষণীয়ভাবে বাড়িয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান বৈধ করার জন্য অবৈধ অবস্থানের প্রথম ১৫ দিনের ক্ষেত্রে দৈনিক ফি ছিল ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। অবৈধ অবস্থানের মেয়াদ ১৫ দিনের বেশি হলে ৯০ দিন পর্যন্ত ফি ছিল ৫০০ টাকা। তা ৪ গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২০১১ সালে এই ফি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং ৯০ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকা সংশ্লিষ্ট বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেন অ্যাফেয়ার্স আইন অনুযায়ী পুলিশ মামলা করতে পারবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক বা বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানদের অবৈধ অবস্থানের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের তিন মাস পর্যন্ত জরিমানা মওকুফ ছিল। বর্তমানে তা ৩ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ফি বাড়ানোর বিষয়টি এখনো তাঁরা জানেন না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো পরিপত্র জারি হলে অবশ্যই তা নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও তাদের অংশীজনদের চিঠির মাধ্যমে মতামত চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর। আগামী ২৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত এ মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ সংক্রান্ত একটি খুদে বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে...
১৪ মিনিট আগেশিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১ ঘণ্টা আগেবেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গে হজ এজেন্সিগুলোর লিখিত চুক্তির বিধান থাকলেও, তা মানা হচ্ছে না বললেই চলে। যাত্রীদের মৌখিক চুক্তির মাধ্যমেই হজে পাঠাচ্ছে এজেন্সিগুলো। এ ব্যাপারে যাত্রীদের তরফেও তাগিদ বা সচেতনতার অভাব দেখা যায়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার...
২ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের বিভিন্ন নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে নেপাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এই বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ গড়ে দেড় টাকার মতো। সেই দেড় টাকার নেপালি জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশ কিনবে আনার খরচসহ প্রায় ১০ টাকা দামে।
২ ঘণ্টা আগে