Ajker Patrika

শিগগিরই মূল্যস্ফীতি কমবে, মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে—আশা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাতারবাড়ী, কক্সবাজার থেকে
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ১১
শিগগিরই মূল্যস্ফীতি কমবে, মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে—আশা প্রধানমন্ত্রীর

‘আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে’—বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎসংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওয়াদা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আজকে আমরা বিদ্যুৎ দিচ্ছি। দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধল, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বাড়ল, সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে।’

কক্সবাজারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে (শনিবার) এসেছি আপনাদের কাছে কিছু উপহার দিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ উদ্বোধন করে আসলাম। এখন ঢাকায় রেলে করে যাওয়া যাবে।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের এসে কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমাদের সমুদ্রসীমার যে অধিকার তা নিয়ে কখনো জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া বলেনি। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন করে যায়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এ সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি। সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যাতে কাজে লাগে, সেটা করব। সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

দ্বীপ উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক, জনগণের জন্য কাজ করে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। আর নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেন সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল করে দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ 

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। লবণচাষিদের জায়গার ব্যবস্থা, তাঁদের পুনর্বাসন, কক্সবাজারে ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানান। 

সরকারের উদ্যোগের কারণে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস, ওয়াইফাই সার্ভিস। আপনাদের যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁদের এ জায়গায় বসে দেখতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আর অন্য একটি দল আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়। এরা খুন, হত্যা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারি, অস্ত্র চোরাকারবারি এগুলো জানে। মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’ 

বাংলাদেশ বদলে গেছে, কারণটা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচনেও চাইব আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে, যেন আপনাদের সেবা করতে পারি, আর যে কাজগুলো এখনো বাকি আছে সেগুলো শেষ করতে পারি—তার জন্য আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন?’ এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে সমর্থন জানায়। পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
 
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কষ্ট করে মাতারবাড়ীর এ জনসভায় এসেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আপনাদের ভাগ্য গড়া আমার দায়িত্ব। আমি কয়েক দিন আগে সৌদি আরব গিয়েছিলাম। আমি নবী (সা.) রওজা জিয়ারত করেছি, উমরাহ পালন করেছি। আমি যেভাবে নিজের সন্তানের জন্য দোয়া চাই, সেইভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছি। যেন বাংলাদেশের আর কষ্ট করতে না হয়, তারা যেন সুন্দরভাবে জীবন পায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।’ 

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগই পারবে, অন্য কেউ পারবে না। কারণ, তাদের কোনো দেশপ্রেমও নাই, মানুষের প্রতিও কোনো দায়িত্ববোধ নাই। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে পরে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। ওই ঢাকা শহরে যান, বিভিন্ন জায়গায় যান জীবন্ত মানুষগুলোকে বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে, গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা—এটাই তাদের কাজ। আমরা উন্নয়ন করি, সৃষ্টি করি। আর ওরা ভাঙে, নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, মানুষের কল্যাণ করে না। কাজেই এদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।’ 

দেশের জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণে যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের (জনগণ) কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’

বক্তব্য শেষের আগে দুই লাইন কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি, দেওয়ার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
 
বক্তব্য শেষে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে গলা মেলান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এবার জিতবে কে? নৌকা। জিতবে এবার নৌকা।’ 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক তাঁর আসন ছেড়ে পেছনে দিকে যাচ্ছিলেন। যা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হয়। এ সময় তিনি রফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোথায় যাচ্ছ তুমি? আমার এখানে দাঁড়াও (প্রধানমন্ত্রীর পেছনে)।’ শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের এমপি সাহেব ছোট্ট মানুষ, ওর বাবাকে (প্রয়াত রফিক উল্লাহ) আমি চিনতাম। তিনি নৌকাডুবিতে মারা গেছেন। আমি তখন এসেছিলাম ওদের বাড়িতে। আশেককে আপনাদের হাতেই তুলেই দিলাম।’ জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আশেককে দিয়ে গেলাম আপনাদের হাতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত