
ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে। এই সুযোগে এক দিনে ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরের দর্শনীয় সাতটি স্থান। রাজধানীর অদূরে সংক্ষিপ্ত এই জার্নি আপনার ঈদ উদ্যাপন রাঙিয়ে তুলবে।
আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে ৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী দেখার মধ্য দিয়ে। তারপর চলে যাবেন বেলাই বিল দেখতে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে যাবেন কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে আপনার। এবার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে ঢুঁ মারতে পারেন। এরপর চলে যান কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।
৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী
গাজীপুর তথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় একটি স্থাপনা ভাওয়াল রাজবাড়ী। স্থাপত্য বিশারদদের মতে, এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ববৃহৎ প্রাসাদ। এর নির্মাণ শুরু করেন লোক নারায়ণ রায়, আর এর কাজ সমাপ্ত হয় রাজা কালী নারায়ণ রায়ের হাতে। প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মূল প্রাসাদটি উত্তর দক্ষিণে প্রায় ৪০০ ফুট বিস্তৃত। চার কোণে চারটি গোলাকার স্তম্ভ স্থাপন করে ওপরে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। ভাওয়াল রাজবাড়ীতে ৩৬৫টি কক্ষ রয়েছে। অনন্য স্থাপনাশৈলীতে তৈরি শাল কাঠের সিঁড়ি, নাট মন্দির, রানী মহল, পদ্মনাভি ইত্যাদি। বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ রাজবাড়ীতেই অবস্থিত। তা ছাড়া গাজীপুর আদালতের একটি অংশও এই বাড়িতে পরিচালিত হয়।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে শিববাড়ী মোড় নেমে রিকশাযোগে রাজবাড়ী যেতে পারেন।
বেলাই বিল
গাজীপুরের কাছেই চেলাই নদীসংলগ্ন বক্তারপুর, বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও ও বামচিনি এলাকা ঘিরে রেখেছে মনোমুগ্ধকর বেলাই বিলকে। বিলটি প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তবে বেলাই বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকাল বেছে নিতে হবে।
গ্রামটির একটি মৌজায় কেবল একটি বাড়ি রয়েছে। বলা যায়, এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয়। বিল দেখা শেষে পাশের কানাইয়া বাজারে বসে এক কাপ গরম চা খেয়ে নিতে পারেন। লম্বা সময় ধরে বিল ভ্রমণ করতে চাইলে সঙ্গে হালকা খাবার নিয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন
বাসে গাজীপুরের শিববাড়ী মোড়ে নেমে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কানাইয়া বাজারে যেতে হবে। কানাইয়া বাজার ঘাটে বেলাই বিল ভ্রমণের জন্য নৌকা ভাড়া পাবেন।
আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে পুবাইল কলেজ গেট থেকে বাঁয়ের রাস্তা ধরে মাইল চারেক পথ অতিক্রম করে জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট পেরিয়ে ডানে মোড় নেবেন। আরও মিনিট দশেক গেলে কানাইয়া বাজারে পৌঁছে যাবেন।
পাশেই ভাওয়াল পরগনা শ্মশানঘাট বা শ্মশানবাড়ি আছে। চাইলে তা–ও দেখে আসতে পারেন।
ধাঁধার চর
শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্থানে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি স্থান ধাঁধার চর। এই চরের পশ্চিমে গাজীপুরের কাপাসিয়া অংশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা, পূর্ব পাশে নরসিংদীর মনোহরদী-শিবপুর অংশে ব্রহ্মপুত্র।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে দুর্গাপুর-তারাগঞ্জ এলাকায় বর্গিদের আস্তানা ছিল। সেখানে ছিল ইতিহাসের বিখ্যাত দুর্গ একডালা, ফিরোজ শাহের আক্রমণের সময় শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর ছেলে সিকান্দর শাহ এ দুর্গে অবস্থান নিয়ে দিল্লির সুলতানের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন। দুর্গাপুরে বাড়িরগাঁও এলাকায় নীলের রস প্রক্রিয়াজাতকরণের চুলা নজরে পড়ে এখনো। নদীর ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে নীলকুঠি। যেখান থেকে বাংলার সাধারণ মানুষকে নীল চাষে বাধ্য করা হতো।
নৌকা আকৃতির প্রায় ২৫০ একর আয়তনের দ্বীপটি বর্ষা ও শীত মৌসুমে স্থানীয় ও দূরদূরান্তের অনেক মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বরই, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন ফলবাগান থেকে নিজ হাতে পেড়ে খেতে পারেন। আম-কাঁঠালের সবুজ ছায়া, অবারিত ফসলের মাঠ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, গরমে নদীর হিমেল হাওয়া আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করবে নিমেষে।
চরটির পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বটতলায় আছে ঐতিহাসিক ঘাঘাট। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অষ্টমী তিথিতে এই ঘাটে পুণ্যস্নান করেন। ধাঁধার চর শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। শাবনাজ-নাঈম অভিনীত বিষের বাঁশি চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ দৃশ্য এখানেই ধারণ করা হয়।
যেভাবে যাবেন
বেলাই বিল দেখার পর সেখান থেকে পাকা সড়ক ধরে কাপাসিয়া সদরে যাবেন। কাপাসিয়া থেকে যাবেন রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জ বাজারের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে চলে যান ধাঁধার চরে।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অপরূপ বৃক্ষ রাজ্য ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। ভাওয়াল বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গজারি। এ কারণে একে ভাওয়ালের গজারি গড়ও বলা হয়। সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের কারণে বরাবরই জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রাণীবৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এই উদ্যান অনন্য। এখানে একসময় বাঘ, কালো চিতা, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, ময়ূর ও মায়া হরিণের দেখা মিলত। সময়ের পরিক্রমায় সেসব এখন আর তেমন নেই। তবে খ্যাঁকশিয়াল, বাগডাশ, বেজি, কাঠবিড়ালি, গুইসাপসহ কয়েক প্রজাতির সাপের দেখা মেলে এখনো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশের এই উদ্যানে প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ছয় প্রজাতির স্তন্যপায়ী, নয় প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। উদ্ভিদবৈচিত্র্যের দিক দিয়েও এ বন বিশেষভাবে আলোচিত।
এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। রয়েছে ১৩টি কটেজ ও ছয়টি রেস্টহাউস।
প্রবেশমূল্য
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকলে নির্দিষ্ট হারে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। দোতলা বাস ৪০০ টাকা, বাস ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ৬০ টাকা এবং অটোরিকশা ২০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান। প্রায় ৩ হাজার ৬৯০ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও শালবন। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে ২০১৩ সালে এটি গড়ে তোলা হয়।
চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, বন্য হরিণ, জেব্রাসহ নানা প্রাণীর বিচরণ। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আপনাকে অন্য রকম শিহরণ এনে দেবে।
প্রবেশমূল্যসহ অন্যান্য খরচ
সাফারি পার্কে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে ২০ টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রবেশ ফি ১০ টাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাসফরে গেলে বিশেষ প্রবেশ ফি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ১০০ জন হলে প্রবেশে দিতে হবে ৪০০ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক শর বেশি হলে লাগবে ৮০০ টাকা।
পার্কিং ভাড়া হিসেবে বাস, কোচ বা ট্রাকের জন্য ২০০ টাকা; মাইক্রো বা মিনিবাস ১০০ টাকা এবং জিপ, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার জন্য ৬০ টাকা।
পরিদর্শনের সময়
মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিনই সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে শ্রীপুরের বাঘের বাজার যাবেন। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই পার্কের দেখা মিলবে।
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লী গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮৭ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নিজের ছেলে নুহাশের নামে এটি গড়ে তোলেন। ২০১২ সালে মৃত্যুর পর এখানেই শায়িত আছেন গল্পের এই জাদুকর।
সময়সূচি ও প্রবেশমূল্য
নুহাশ পল্লী এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ভেতরে ঢুকতে ১২ বছরের ওপরে জনপ্রতি টিকিট লাগবে ২০০ টাকা। তবে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে প্রবেশমূল্য লাগবে না। কবর জিয়ারতের জন্য মূল ফটকের বাইরে বাঁ দিকে আলাদা ফটক রয়েছে। যে কেউ সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করতে পারবেন। নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
যেভাবে যাবেন
শ্রীপুরের হোতাপাড়া থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা বা ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়া যাবে নুহাশ পল্লী।
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে তিনটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। প্রথম দেখাতেই বাড়িগুলো ভালো লেগে যাবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যেকোনো বাসে কালিয়াকৈর বাজারে যাবেন। গাবতলী-সাভার রোড ধরে গেলেও অনেক বাস আছে। কোনোটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত গিয়ে অন্য বাস বা টেম্পোতে কালিয়াকৈর বাজার। সেখান থেকে রিকশায় ২০-২৫ টাকায় শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।

ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে। এই সুযোগে এক দিনে ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরের দর্শনীয় সাতটি স্থান। রাজধানীর অদূরে সংক্ষিপ্ত এই জার্নি আপনার ঈদ উদ্যাপন রাঙিয়ে তুলবে।
আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে ৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী দেখার মধ্য দিয়ে। তারপর চলে যাবেন বেলাই বিল দেখতে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে যাবেন কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে আপনার। এবার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে ঢুঁ মারতে পারেন। এরপর চলে যান কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।
৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী
গাজীপুর তথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় একটি স্থাপনা ভাওয়াল রাজবাড়ী। স্থাপত্য বিশারদদের মতে, এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ববৃহৎ প্রাসাদ। এর নির্মাণ শুরু করেন লোক নারায়ণ রায়, আর এর কাজ সমাপ্ত হয় রাজা কালী নারায়ণ রায়ের হাতে। প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মূল প্রাসাদটি উত্তর দক্ষিণে প্রায় ৪০০ ফুট বিস্তৃত। চার কোণে চারটি গোলাকার স্তম্ভ স্থাপন করে ওপরে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। ভাওয়াল রাজবাড়ীতে ৩৬৫টি কক্ষ রয়েছে। অনন্য স্থাপনাশৈলীতে তৈরি শাল কাঠের সিঁড়ি, নাট মন্দির, রানী মহল, পদ্মনাভি ইত্যাদি। বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ রাজবাড়ীতেই অবস্থিত। তা ছাড়া গাজীপুর আদালতের একটি অংশও এই বাড়িতে পরিচালিত হয়।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে শিববাড়ী মোড় নেমে রিকশাযোগে রাজবাড়ী যেতে পারেন।
বেলাই বিল
গাজীপুরের কাছেই চেলাই নদীসংলগ্ন বক্তারপুর, বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও ও বামচিনি এলাকা ঘিরে রেখেছে মনোমুগ্ধকর বেলাই বিলকে। বিলটি প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তবে বেলাই বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকাল বেছে নিতে হবে।
গ্রামটির একটি মৌজায় কেবল একটি বাড়ি রয়েছে। বলা যায়, এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয়। বিল দেখা শেষে পাশের কানাইয়া বাজারে বসে এক কাপ গরম চা খেয়ে নিতে পারেন। লম্বা সময় ধরে বিল ভ্রমণ করতে চাইলে সঙ্গে হালকা খাবার নিয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন
বাসে গাজীপুরের শিববাড়ী মোড়ে নেমে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কানাইয়া বাজারে যেতে হবে। কানাইয়া বাজার ঘাটে বেলাই বিল ভ্রমণের জন্য নৌকা ভাড়া পাবেন।
আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে পুবাইল কলেজ গেট থেকে বাঁয়ের রাস্তা ধরে মাইল চারেক পথ অতিক্রম করে জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট পেরিয়ে ডানে মোড় নেবেন। আরও মিনিট দশেক গেলে কানাইয়া বাজারে পৌঁছে যাবেন।
পাশেই ভাওয়াল পরগনা শ্মশানঘাট বা শ্মশানবাড়ি আছে। চাইলে তা–ও দেখে আসতে পারেন।
ধাঁধার চর
শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্থানে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি স্থান ধাঁধার চর। এই চরের পশ্চিমে গাজীপুরের কাপাসিয়া অংশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা, পূর্ব পাশে নরসিংদীর মনোহরদী-শিবপুর অংশে ব্রহ্মপুত্র।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে দুর্গাপুর-তারাগঞ্জ এলাকায় বর্গিদের আস্তানা ছিল। সেখানে ছিল ইতিহাসের বিখ্যাত দুর্গ একডালা, ফিরোজ শাহের আক্রমণের সময় শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর ছেলে সিকান্দর শাহ এ দুর্গে অবস্থান নিয়ে দিল্লির সুলতানের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন। দুর্গাপুরে বাড়িরগাঁও এলাকায় নীলের রস প্রক্রিয়াজাতকরণের চুলা নজরে পড়ে এখনো। নদীর ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে নীলকুঠি। যেখান থেকে বাংলার সাধারণ মানুষকে নীল চাষে বাধ্য করা হতো।
নৌকা আকৃতির প্রায় ২৫০ একর আয়তনের দ্বীপটি বর্ষা ও শীত মৌসুমে স্থানীয় ও দূরদূরান্তের অনেক মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বরই, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন ফলবাগান থেকে নিজ হাতে পেড়ে খেতে পারেন। আম-কাঁঠালের সবুজ ছায়া, অবারিত ফসলের মাঠ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, গরমে নদীর হিমেল হাওয়া আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করবে নিমেষে।
চরটির পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বটতলায় আছে ঐতিহাসিক ঘাঘাট। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অষ্টমী তিথিতে এই ঘাটে পুণ্যস্নান করেন। ধাঁধার চর শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। শাবনাজ-নাঈম অভিনীত বিষের বাঁশি চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ দৃশ্য এখানেই ধারণ করা হয়।
যেভাবে যাবেন
বেলাই বিল দেখার পর সেখান থেকে পাকা সড়ক ধরে কাপাসিয়া সদরে যাবেন। কাপাসিয়া থেকে যাবেন রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জ বাজারের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে চলে যান ধাঁধার চরে।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অপরূপ বৃক্ষ রাজ্য ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। ভাওয়াল বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গজারি। এ কারণে একে ভাওয়ালের গজারি গড়ও বলা হয়। সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের কারণে বরাবরই জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রাণীবৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এই উদ্যান অনন্য। এখানে একসময় বাঘ, কালো চিতা, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, ময়ূর ও মায়া হরিণের দেখা মিলত। সময়ের পরিক্রমায় সেসব এখন আর তেমন নেই। তবে খ্যাঁকশিয়াল, বাগডাশ, বেজি, কাঠবিড়ালি, গুইসাপসহ কয়েক প্রজাতির সাপের দেখা মেলে এখনো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশের এই উদ্যানে প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ছয় প্রজাতির স্তন্যপায়ী, নয় প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। উদ্ভিদবৈচিত্র্যের দিক দিয়েও এ বন বিশেষভাবে আলোচিত।
এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। রয়েছে ১৩টি কটেজ ও ছয়টি রেস্টহাউস।
প্রবেশমূল্য
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকলে নির্দিষ্ট হারে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। দোতলা বাস ৪০০ টাকা, বাস ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ৬০ টাকা এবং অটোরিকশা ২০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান। প্রায় ৩ হাজার ৬৯০ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও শালবন। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে ২০১৩ সালে এটি গড়ে তোলা হয়।
চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, বন্য হরিণ, জেব্রাসহ নানা প্রাণীর বিচরণ। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আপনাকে অন্য রকম শিহরণ এনে দেবে।
প্রবেশমূল্যসহ অন্যান্য খরচ
সাফারি পার্কে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে ২০ টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রবেশ ফি ১০ টাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাসফরে গেলে বিশেষ প্রবেশ ফি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ১০০ জন হলে প্রবেশে দিতে হবে ৪০০ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক শর বেশি হলে লাগবে ৮০০ টাকা।
পার্কিং ভাড়া হিসেবে বাস, কোচ বা ট্রাকের জন্য ২০০ টাকা; মাইক্রো বা মিনিবাস ১০০ টাকা এবং জিপ, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার জন্য ৬০ টাকা।
পরিদর্শনের সময়
মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিনই সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে শ্রীপুরের বাঘের বাজার যাবেন। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই পার্কের দেখা মিলবে।
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লী গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮৭ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নিজের ছেলে নুহাশের নামে এটি গড়ে তোলেন। ২০১২ সালে মৃত্যুর পর এখানেই শায়িত আছেন গল্পের এই জাদুকর।
সময়সূচি ও প্রবেশমূল্য
নুহাশ পল্লী এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ভেতরে ঢুকতে ১২ বছরের ওপরে জনপ্রতি টিকিট লাগবে ২০০ টাকা। তবে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে প্রবেশমূল্য লাগবে না। কবর জিয়ারতের জন্য মূল ফটকের বাইরে বাঁ দিকে আলাদা ফটক রয়েছে। যে কেউ সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করতে পারবেন। নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
যেভাবে যাবেন
শ্রীপুরের হোতাপাড়া থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা বা ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়া যাবে নুহাশ পল্লী।
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে তিনটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। প্রথম দেখাতেই বাড়িগুলো ভালো লেগে যাবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যেকোনো বাসে কালিয়াকৈর বাজারে যাবেন। গাবতলী-সাভার রোড ধরে গেলেও অনেক বাস আছে। কোনোটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত গিয়ে অন্য বাস বা টেম্পোতে কালিয়াকৈর বাজার। সেখান থেকে রিকশায় ২০-২৫ টাকায় শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।

ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে। এই সুযোগে এক দিনে ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরের দর্শনীয় সাতটি স্থান। রাজধানীর অদূরে সংক্ষিপ্ত এই জার্নি আপনার ঈদ উদ্যাপন রাঙিয়ে তুলবে।
আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে ৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী দেখার মধ্য দিয়ে। তারপর চলে যাবেন বেলাই বিল দেখতে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে যাবেন কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে আপনার। এবার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে ঢুঁ মারতে পারেন। এরপর চলে যান কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।
৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী
গাজীপুর তথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় একটি স্থাপনা ভাওয়াল রাজবাড়ী। স্থাপত্য বিশারদদের মতে, এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ববৃহৎ প্রাসাদ। এর নির্মাণ শুরু করেন লোক নারায়ণ রায়, আর এর কাজ সমাপ্ত হয় রাজা কালী নারায়ণ রায়ের হাতে। প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মূল প্রাসাদটি উত্তর দক্ষিণে প্রায় ৪০০ ফুট বিস্তৃত। চার কোণে চারটি গোলাকার স্তম্ভ স্থাপন করে ওপরে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। ভাওয়াল রাজবাড়ীতে ৩৬৫টি কক্ষ রয়েছে। অনন্য স্থাপনাশৈলীতে তৈরি শাল কাঠের সিঁড়ি, নাট মন্দির, রানী মহল, পদ্মনাভি ইত্যাদি। বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ রাজবাড়ীতেই অবস্থিত। তা ছাড়া গাজীপুর আদালতের একটি অংশও এই বাড়িতে পরিচালিত হয়।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে শিববাড়ী মোড় নেমে রিকশাযোগে রাজবাড়ী যেতে পারেন।
বেলাই বিল
গাজীপুরের কাছেই চেলাই নদীসংলগ্ন বক্তারপুর, বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও ও বামচিনি এলাকা ঘিরে রেখেছে মনোমুগ্ধকর বেলাই বিলকে। বিলটি প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তবে বেলাই বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকাল বেছে নিতে হবে।
গ্রামটির একটি মৌজায় কেবল একটি বাড়ি রয়েছে। বলা যায়, এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয়। বিল দেখা শেষে পাশের কানাইয়া বাজারে বসে এক কাপ গরম চা খেয়ে নিতে পারেন। লম্বা সময় ধরে বিল ভ্রমণ করতে চাইলে সঙ্গে হালকা খাবার নিয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন
বাসে গাজীপুরের শিববাড়ী মোড়ে নেমে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কানাইয়া বাজারে যেতে হবে। কানাইয়া বাজার ঘাটে বেলাই বিল ভ্রমণের জন্য নৌকা ভাড়া পাবেন।
আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে পুবাইল কলেজ গেট থেকে বাঁয়ের রাস্তা ধরে মাইল চারেক পথ অতিক্রম করে জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট পেরিয়ে ডানে মোড় নেবেন। আরও মিনিট দশেক গেলে কানাইয়া বাজারে পৌঁছে যাবেন।
পাশেই ভাওয়াল পরগনা শ্মশানঘাট বা শ্মশানবাড়ি আছে। চাইলে তা–ও দেখে আসতে পারেন।
ধাঁধার চর
শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্থানে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি স্থান ধাঁধার চর। এই চরের পশ্চিমে গাজীপুরের কাপাসিয়া অংশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা, পূর্ব পাশে নরসিংদীর মনোহরদী-শিবপুর অংশে ব্রহ্মপুত্র।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে দুর্গাপুর-তারাগঞ্জ এলাকায় বর্গিদের আস্তানা ছিল। সেখানে ছিল ইতিহাসের বিখ্যাত দুর্গ একডালা, ফিরোজ শাহের আক্রমণের সময় শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর ছেলে সিকান্দর শাহ এ দুর্গে অবস্থান নিয়ে দিল্লির সুলতানের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন। দুর্গাপুরে বাড়িরগাঁও এলাকায় নীলের রস প্রক্রিয়াজাতকরণের চুলা নজরে পড়ে এখনো। নদীর ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে নীলকুঠি। যেখান থেকে বাংলার সাধারণ মানুষকে নীল চাষে বাধ্য করা হতো।
নৌকা আকৃতির প্রায় ২৫০ একর আয়তনের দ্বীপটি বর্ষা ও শীত মৌসুমে স্থানীয় ও দূরদূরান্তের অনেক মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বরই, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন ফলবাগান থেকে নিজ হাতে পেড়ে খেতে পারেন। আম-কাঁঠালের সবুজ ছায়া, অবারিত ফসলের মাঠ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, গরমে নদীর হিমেল হাওয়া আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করবে নিমেষে।
চরটির পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বটতলায় আছে ঐতিহাসিক ঘাঘাট। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অষ্টমী তিথিতে এই ঘাটে পুণ্যস্নান করেন। ধাঁধার চর শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। শাবনাজ-নাঈম অভিনীত বিষের বাঁশি চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ দৃশ্য এখানেই ধারণ করা হয়।
যেভাবে যাবেন
বেলাই বিল দেখার পর সেখান থেকে পাকা সড়ক ধরে কাপাসিয়া সদরে যাবেন। কাপাসিয়া থেকে যাবেন রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জ বাজারের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে চলে যান ধাঁধার চরে।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অপরূপ বৃক্ষ রাজ্য ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। ভাওয়াল বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গজারি। এ কারণে একে ভাওয়ালের গজারি গড়ও বলা হয়। সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের কারণে বরাবরই জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রাণীবৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এই উদ্যান অনন্য। এখানে একসময় বাঘ, কালো চিতা, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, ময়ূর ও মায়া হরিণের দেখা মিলত। সময়ের পরিক্রমায় সেসব এখন আর তেমন নেই। তবে খ্যাঁকশিয়াল, বাগডাশ, বেজি, কাঠবিড়ালি, গুইসাপসহ কয়েক প্রজাতির সাপের দেখা মেলে এখনো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশের এই উদ্যানে প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ছয় প্রজাতির স্তন্যপায়ী, নয় প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। উদ্ভিদবৈচিত্র্যের দিক দিয়েও এ বন বিশেষভাবে আলোচিত।
এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। রয়েছে ১৩টি কটেজ ও ছয়টি রেস্টহাউস।
প্রবেশমূল্য
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকলে নির্দিষ্ট হারে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। দোতলা বাস ৪০০ টাকা, বাস ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ৬০ টাকা এবং অটোরিকশা ২০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান। প্রায় ৩ হাজার ৬৯০ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও শালবন। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে ২০১৩ সালে এটি গড়ে তোলা হয়।
চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, বন্য হরিণ, জেব্রাসহ নানা প্রাণীর বিচরণ। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আপনাকে অন্য রকম শিহরণ এনে দেবে।
প্রবেশমূল্যসহ অন্যান্য খরচ
সাফারি পার্কে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে ২০ টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রবেশ ফি ১০ টাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাসফরে গেলে বিশেষ প্রবেশ ফি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ১০০ জন হলে প্রবেশে দিতে হবে ৪০০ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক শর বেশি হলে লাগবে ৮০০ টাকা।
পার্কিং ভাড়া হিসেবে বাস, কোচ বা ট্রাকের জন্য ২০০ টাকা; মাইক্রো বা মিনিবাস ১০০ টাকা এবং জিপ, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার জন্য ৬০ টাকা।
পরিদর্শনের সময়
মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিনই সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে শ্রীপুরের বাঘের বাজার যাবেন। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই পার্কের দেখা মিলবে।
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লী গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮৭ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নিজের ছেলে নুহাশের নামে এটি গড়ে তোলেন। ২০১২ সালে মৃত্যুর পর এখানেই শায়িত আছেন গল্পের এই জাদুকর।
সময়সূচি ও প্রবেশমূল্য
নুহাশ পল্লী এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ভেতরে ঢুকতে ১২ বছরের ওপরে জনপ্রতি টিকিট লাগবে ২০০ টাকা। তবে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে প্রবেশমূল্য লাগবে না। কবর জিয়ারতের জন্য মূল ফটকের বাইরে বাঁ দিকে আলাদা ফটক রয়েছে। যে কেউ সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করতে পারবেন। নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
যেভাবে যাবেন
শ্রীপুরের হোতাপাড়া থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা বা ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়া যাবে নুহাশ পল্লী।
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে তিনটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। প্রথম দেখাতেই বাড়িগুলো ভালো লেগে যাবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যেকোনো বাসে কালিয়াকৈর বাজারে যাবেন। গাবতলী-সাভার রোড ধরে গেলেও অনেক বাস আছে। কোনোটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত গিয়ে অন্য বাস বা টেম্পোতে কালিয়াকৈর বাজার। সেখান থেকে রিকশায় ২০-২৫ টাকায় শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।

ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে। এই সুযোগে এক দিনে ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরের দর্শনীয় সাতটি স্থান। রাজধানীর অদূরে সংক্ষিপ্ত এই জার্নি আপনার ঈদ উদ্যাপন রাঙিয়ে তুলবে।
আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে ৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী দেখার মধ্য দিয়ে। তারপর চলে যাবেন বেলাই বিল দেখতে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে যাবেন কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে আপনার। এবার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে ঢুঁ মারতে পারেন। এরপর চলে যান কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।
৩৬৫ কক্ষের ভাওয়াল রাজবাড়ী
গাজীপুর তথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় একটি স্থাপনা ভাওয়াল রাজবাড়ী। স্থাপত্য বিশারদদের মতে, এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ববৃহৎ প্রাসাদ। এর নির্মাণ শুরু করেন লোক নারায়ণ রায়, আর এর কাজ সমাপ্ত হয় রাজা কালী নারায়ণ রায়ের হাতে। প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মূল প্রাসাদটি উত্তর দক্ষিণে প্রায় ৪০০ ফুট বিস্তৃত। চার কোণে চারটি গোলাকার স্তম্ভ স্থাপন করে ওপরে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। ভাওয়াল রাজবাড়ীতে ৩৬৫টি কক্ষ রয়েছে। অনন্য স্থাপনাশৈলীতে তৈরি শাল কাঠের সিঁড়ি, নাট মন্দির, রানী মহল, পদ্মনাভি ইত্যাদি। বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ রাজবাড়ীতেই অবস্থিত। তা ছাড়া গাজীপুর আদালতের একটি অংশও এই বাড়িতে পরিচালিত হয়।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে শিববাড়ী মোড় নেমে রিকশাযোগে রাজবাড়ী যেতে পারেন।
বেলাই বিল
গাজীপুরের কাছেই চেলাই নদীসংলগ্ন বক্তারপুর, বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও ও বামচিনি এলাকা ঘিরে রেখেছে মনোমুগ্ধকর বেলাই বিলকে। বিলটি প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তবে বেলাই বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকাল বেছে নিতে হবে।
গ্রামটির একটি মৌজায় কেবল একটি বাড়ি রয়েছে। বলা যায়, এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয়। বিল দেখা শেষে পাশের কানাইয়া বাজারে বসে এক কাপ গরম চা খেয়ে নিতে পারেন। লম্বা সময় ধরে বিল ভ্রমণ করতে চাইলে সঙ্গে হালকা খাবার নিয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন
বাসে গাজীপুরের শিববাড়ী মোড়ে নেমে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কানাইয়া বাজারে যেতে হবে। কানাইয়া বাজার ঘাটে বেলাই বিল ভ্রমণের জন্য নৌকা ভাড়া পাবেন।
আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে পুবাইল কলেজ গেট থেকে বাঁয়ের রাস্তা ধরে মাইল চারেক পথ অতিক্রম করে জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট পেরিয়ে ডানে মোড় নেবেন। আরও মিনিট দশেক গেলে কানাইয়া বাজারে পৌঁছে যাবেন।
পাশেই ভাওয়াল পরগনা শ্মশানঘাট বা শ্মশানবাড়ি আছে। চাইলে তা–ও দেখে আসতে পারেন।
ধাঁধার চর
শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্থানে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি স্থান ধাঁধার চর। এই চরের পশ্চিমে গাজীপুরের কাপাসিয়া অংশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা, পূর্ব পাশে নরসিংদীর মনোহরদী-শিবপুর অংশে ব্রহ্মপুত্র।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে দুর্গাপুর-তারাগঞ্জ এলাকায় বর্গিদের আস্তানা ছিল। সেখানে ছিল ইতিহাসের বিখ্যাত দুর্গ একডালা, ফিরোজ শাহের আক্রমণের সময় শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর ছেলে সিকান্দর শাহ এ দুর্গে অবস্থান নিয়ে দিল্লির সুলতানের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন। দুর্গাপুরে বাড়িরগাঁও এলাকায় নীলের রস প্রক্রিয়াজাতকরণের চুলা নজরে পড়ে এখনো। নদীর ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে নীলকুঠি। যেখান থেকে বাংলার সাধারণ মানুষকে নীল চাষে বাধ্য করা হতো।
নৌকা আকৃতির প্রায় ২৫০ একর আয়তনের দ্বীপটি বর্ষা ও শীত মৌসুমে স্থানীয় ও দূরদূরান্তের অনেক মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বরই, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন ফলবাগান থেকে নিজ হাতে পেড়ে খেতে পারেন। আম-কাঁঠালের সবুজ ছায়া, অবারিত ফসলের মাঠ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, গরমে নদীর হিমেল হাওয়া আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করবে নিমেষে।
চরটির পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বটতলায় আছে ঐতিহাসিক ঘাঘাট। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অষ্টমী তিথিতে এই ঘাটে পুণ্যস্নান করেন। ধাঁধার চর শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। শাবনাজ-নাঈম অভিনীত বিষের বাঁশি চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ দৃশ্য এখানেই ধারণ করা হয়।
যেভাবে যাবেন
বেলাই বিল দেখার পর সেখান থেকে পাকা সড়ক ধরে কাপাসিয়া সদরে যাবেন। কাপাসিয়া থেকে যাবেন রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জ বাজারের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে চলে যান ধাঁধার চরে।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অপরূপ বৃক্ষ রাজ্য ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। ভাওয়াল বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গজারি। এ কারণে একে ভাওয়ালের গজারি গড়ও বলা হয়। সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের কারণে বরাবরই জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রাণীবৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এই উদ্যান অনন্য। এখানে একসময় বাঘ, কালো চিতা, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, ময়ূর ও মায়া হরিণের দেখা মিলত। সময়ের পরিক্রমায় সেসব এখন আর তেমন নেই। তবে খ্যাঁকশিয়াল, বাগডাশ, বেজি, কাঠবিড়ালি, গুইসাপসহ কয়েক প্রজাতির সাপের দেখা মেলে এখনো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশের এই উদ্যানে প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ছয় প্রজাতির স্তন্যপায়ী, নয় প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। উদ্ভিদবৈচিত্র্যের দিক দিয়েও এ বন বিশেষভাবে আলোচিত।
এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। রয়েছে ১৩টি কটেজ ও ছয়টি রেস্টহাউস।
প্রবেশমূল্য
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকলে নির্দিষ্ট হারে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। দোতলা বাস ৪০০ টাকা, বাস ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ৬০ টাকা এবং অটোরিকশা ২০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান। প্রায় ৩ হাজার ৬৯০ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও শালবন। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে ২০১৩ সালে এটি গড়ে তোলা হয়।
চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, বন্য হরিণ, জেব্রাসহ নানা প্রাণীর বিচরণ। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আপনাকে অন্য রকম শিহরণ এনে দেবে।
প্রবেশমূল্যসহ অন্যান্য খরচ
সাফারি পার্কে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে ২০ টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রবেশ ফি ১০ টাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাসফরে গেলে বিশেষ প্রবেশ ফি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ১০০ জন হলে প্রবেশে দিতে হবে ৪০০ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক শর বেশি হলে লাগবে ৮০০ টাকা।
পার্কিং ভাড়া হিসেবে বাস, কোচ বা ট্রাকের জন্য ২০০ টাকা; মাইক্রো বা মিনিবাস ১০০ টাকা এবং জিপ, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার জন্য ৬০ টাকা।
পরিদর্শনের সময়
মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিনই সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে শ্রীপুরের বাঘের বাজার যাবেন। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই পার্কের দেখা মিলবে।
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লী গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮৭ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নিজের ছেলে নুহাশের নামে এটি গড়ে তোলেন। ২০১২ সালে মৃত্যুর পর এখানেই শায়িত আছেন গল্পের এই জাদুকর।
সময়সূচি ও প্রবেশমূল্য
নুহাশ পল্লী এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ভেতরে ঢুকতে ১২ বছরের ওপরে জনপ্রতি টিকিট লাগবে ২০০ টাকা। তবে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে প্রবেশমূল্য লাগবে না। কবর জিয়ারতের জন্য মূল ফটকের বাইরে বাঁ দিকে আলাদা ফটক রয়েছে। যে কেউ সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করতে পারবেন। নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
যেভাবে যাবেন
শ্রীপুরের হোতাপাড়া থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা বা ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়া যাবে নুহাশ পল্লী।
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে তিনটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। প্রথম দেখাতেই বাড়িগুলো ভালো লেগে যাবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যেকোনো বাসে কালিয়াকৈর বাজারে যাবেন। গাবতলী-সাভার রোড ধরে গেলেও অনেক বাস আছে। কোনোটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত গিয়ে অন্য বাস বা টেম্পোতে কালিয়াকৈর বাজার। সেখান থেকে রিকশায় ২০-২৫ টাকায় শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি।

মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
৭ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপনা ও অতিথিপরায়ণ মানুষের জন্য আবুধাবি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর হিসেবে পরিচিত। মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সে জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি, সামাজিক আচরণ এবং কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে আগেভাগে ধারণা রাখা জরুরি। সামান্য প্রস্তুতি ও সচেতনতা থাকলে আবুধাবি ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয় ও ঝামেলামুক্ত।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
কমপক্ষে চার দিন সময় রাখুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় রাজ্য হলো আবুধাবি। রাজধানী শহরের আধুনিক জীবনধারার পাশাপাশি এই রাজ্যে রয়েছে বিস্তৃত মরুভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল, দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত এবং প্রায় ২০০ ছোট-বড় দ্বীপ। এই বৈচিত্র্যই আবুধাবিকে আলাদা করে তুলেছে। দ্রুত দেখে নেওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দেখলেই এখানকার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এ জন্য হাতে চার দিন সময় রাখা ভালো। তাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে অনেক কিছু।
বাইরের কাজে উপযোগী পোশাক নিন: এখানে সাইক্লিং, কায়াকিং, মরুভূমি ভ্রমণ বা গলফ খেলার সুযোগ আছে। তাই আরামদায়ক পোশাক, জুতা ও টুপি রাখুন সঙ্গে। নভেম্বর থেকে মার্চে হালকা জ্যাকেট কাজে আসে, আর গ্রীষ্মে সুতি বা লিনেন কাপড় ভালো।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ট্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন: আবুধাবিতে ট্যাক্সি অ্যাপ ব্যবহার করলে সহজে ট্যাক্সি পাওয়া যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সারা দেশে চলাচলের জন্য ‘করিম’ নামের অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়।
ফ্রি শাটল ও বাস: লুভর আবুধাবি, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি শাটল বাস চলে। সাধারণ বাসে যাতায়াতের জন্য ‘হাফিলাত স্মার্ট কার্ড’ ব্যবহার করা হয়।
পোশাক ও আচরণ
সম্মানজনক পোশাক পরুন: মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ছোট শহরগুলো ঘুরে দেখার সময় কাঁধ এবং হাঁটু ঢাকা শালীন পোশাক পরা ভদ্রতা ও সম্মানের অংশ হিসেবে ধরা হয়। এতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। ধর্মীয় স্থান, বিশেষ করে মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ঢিলেঢালা ও সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। এ সময় নারীদের মাথা ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করতে হয়, যা অনেক মসজিদে প্রয়োজনে ধারও দেওয়া হয়।
ছবি তোলার সময় সতর্কতা: আবুধাবিতে মানুষের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ব্যক্তির; বিশেষ করে নারী ও শিশুর ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। তাই ভ্রমণের সময় ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং স্থানীয় আইন মেনে চলা নিরাপদ ও দায়িত্বশীল আচরণ।
স্থানীয় অভিবাদন জানুন: আবুধাবিতে সাধারণভাবে ইংরেজি প্রচলিত হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় আরবি অভিবাদন তারা বেশি পছন্দ করে। ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানালে স্থানীয়রা সাধারণত খুশি হয় এবং এতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। একইভাবে কথোপকথনের শেষে বা সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ‘শুকরান’ (ধন্যবাদ) বলা ভালো।
সামাজিক শিষ্টাচার
মদ্যপান ও আচরণ
লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার ও হোটেলে অ্যালকোহল পাওয়া যায়, তবে মাতাল আচরণ, উচ্চ স্বরে ঝগড়া বা বিশৃঙ্খলা একেবারেই নিষিদ্ধ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
নিরাপত্তা ও আইন
আবুধাবি বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহর। চুরি-ছিনতাই খুবই বিরল এ শহরে। তবে সমলিঙ্গ সম্পর্ক ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যসংক্রান্ত আইন কঠোর। এ বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের নম্বর ৯৯৯।
আবুধাবি আধুনিক এবং অতিথিপরায়ণ হলেও এখানকার সংস্কৃতি ও আইন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য সচেতনতা থাকলেই এই শহরের ভ্রমণ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্মরণীয়।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপনা ও অতিথিপরায়ণ মানুষের জন্য আবুধাবি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর হিসেবে পরিচিত। মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সে জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি, সামাজিক আচরণ এবং কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে আগেভাগে ধারণা রাখা জরুরি। সামান্য প্রস্তুতি ও সচেতনতা থাকলে আবুধাবি ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয় ও ঝামেলামুক্ত।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
কমপক্ষে চার দিন সময় রাখুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় রাজ্য হলো আবুধাবি। রাজধানী শহরের আধুনিক জীবনধারার পাশাপাশি এই রাজ্যে রয়েছে বিস্তৃত মরুভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল, দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত এবং প্রায় ২০০ ছোট-বড় দ্বীপ। এই বৈচিত্র্যই আবুধাবিকে আলাদা করে তুলেছে। দ্রুত দেখে নেওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দেখলেই এখানকার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এ জন্য হাতে চার দিন সময় রাখা ভালো। তাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে অনেক কিছু।
বাইরের কাজে উপযোগী পোশাক নিন: এখানে সাইক্লিং, কায়াকিং, মরুভূমি ভ্রমণ বা গলফ খেলার সুযোগ আছে। তাই আরামদায়ক পোশাক, জুতা ও টুপি রাখুন সঙ্গে। নভেম্বর থেকে মার্চে হালকা জ্যাকেট কাজে আসে, আর গ্রীষ্মে সুতি বা লিনেন কাপড় ভালো।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ট্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন: আবুধাবিতে ট্যাক্সি অ্যাপ ব্যবহার করলে সহজে ট্যাক্সি পাওয়া যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সারা দেশে চলাচলের জন্য ‘করিম’ নামের অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়।
ফ্রি শাটল ও বাস: লুভর আবুধাবি, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি শাটল বাস চলে। সাধারণ বাসে যাতায়াতের জন্য ‘হাফিলাত স্মার্ট কার্ড’ ব্যবহার করা হয়।
পোশাক ও আচরণ
সম্মানজনক পোশাক পরুন: মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ছোট শহরগুলো ঘুরে দেখার সময় কাঁধ এবং হাঁটু ঢাকা শালীন পোশাক পরা ভদ্রতা ও সম্মানের অংশ হিসেবে ধরা হয়। এতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। ধর্মীয় স্থান, বিশেষ করে মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ঢিলেঢালা ও সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। এ সময় নারীদের মাথা ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করতে হয়, যা অনেক মসজিদে প্রয়োজনে ধারও দেওয়া হয়।
ছবি তোলার সময় সতর্কতা: আবুধাবিতে মানুষের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ব্যক্তির; বিশেষ করে নারী ও শিশুর ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। তাই ভ্রমণের সময় ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং স্থানীয় আইন মেনে চলা নিরাপদ ও দায়িত্বশীল আচরণ।
স্থানীয় অভিবাদন জানুন: আবুধাবিতে সাধারণভাবে ইংরেজি প্রচলিত হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় আরবি অভিবাদন তারা বেশি পছন্দ করে। ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানালে স্থানীয়রা সাধারণত খুশি হয় এবং এতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। একইভাবে কথোপকথনের শেষে বা সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ‘শুকরান’ (ধন্যবাদ) বলা ভালো।
সামাজিক শিষ্টাচার
মদ্যপান ও আচরণ
লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার ও হোটেলে অ্যালকোহল পাওয়া যায়, তবে মাতাল আচরণ, উচ্চ স্বরে ঝগড়া বা বিশৃঙ্খলা একেবারেই নিষিদ্ধ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
নিরাপত্তা ও আইন
আবুধাবি বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহর। চুরি-ছিনতাই খুবই বিরল এ শহরে। তবে সমলিঙ্গ সম্পর্ক ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যসংক্রান্ত আইন কঠোর। এ বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের নম্বর ৯৯৯।
আবুধাবি আধুনিক এবং অতিথিপরায়ণ হলেও এখানকার সংস্কৃতি ও আইন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য সচেতনতা থাকলেই এই শহরের ভ্রমণ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্মরণীয়।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে বেলাই বিল দেখার মধ্য দিয়ে। এরপর একটু এগিয়ে কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে চলে যান। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে। সেখান থেকে যাবেন পাশের একডালা দুর্গে। এবার আপনার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমা
২১ এপ্রিল ২০২৩
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
৭ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভুল প্রস্তুতি, সামান্য অসাবধানতা কিংবা জ্ঞানের অভাব—এগুলো যেকোনো খাবারকে মুহূর্তে পরিণত করতে পারে নীরব ঘাতকে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া যাক, যেগুলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রন্ধনশৈলীর অংশ হলেও সেগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য।
বীজ, ফল ও সবজি
সাধারণ কিছু ফল ও সবজির ভুল অংশ কিংবা ভুল প্রস্তুতি মারাত্মক হতে পারে। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাদের এটি খেলে মারাত্মক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা এটি পরিমিত খেতে পারে।

জ্যামাইকার অ্যাকি নামের একটি ফল কাঁচা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসিন এ নামে বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে। এ ফল খেলে বমি হতে পারে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। কাসাভা একটি মূলজাতীয় সবজি। এটিতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড থাকে, যা ভুলভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হলে সায়ানাইড নির্গত করে। এতে বমি বমি ভাব, বমি বা মৃত্যু হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাংগিয়াম ইড্যুলে নামের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক মারাত্মক বিষ থাকে। খাওয়ার আগে অবশ্যই বীজটিকে বিষমুক্ত করার জন্য গাঁজানো বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়।
কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে বা না সেঁকে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করা লাল কিডনি বিনসে ফাইটোইমাগ্লুটিনিন নামে একটি টক্সিন থাকে। এভাবে লাল কিডনি বিনস খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুরোপুরি রান্না করতে হয়।

চেরির বীজ এবং অন্যান্য স্টোন ফলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নির্গত করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়া হতে পারে। রুবাবের ডাঁটা নিরাপদ হলেও এর পাতায় অক্সালিক অ্যাসিড ও অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইডের মতো বিষাক্ত যৌগ থাকে। এল্ডারবেরিস নামক উদ্ভিদের কাঁচা ফল, পাতা, বাকল এবং মূলে লেকটিন ও সায়ানাইড থাকে, যা বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। তবে বীজ এবং বেরিগুলো সঠিকভাবে রান্না করলে সায়ানাইড দূর হয়।
মাশরুম ও মসলা
ডেথ ক্যাপ মাশরুম বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকগুলোর অন্যতম। এতে অ্যামাটক্সিনের মতো শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা লিভার ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে মাইরিস্টিসিন নামক যৌগটির কারণে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব এবং খিঁচুনি হতে পারে। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচের নাম ড্রাগন’স ব্রেথ। এর ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন স্কোভিল ইউনিট। এটি খাওয়ার ফলে গলা পুড়ে যাওয়া, শ্বাস পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে।

তৈরি খাবার ও তরল
কাঁচা মধুতে বটুলিজম স্পোর থাকতে পারে, যা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্পোরগুলো নিউরোটক্সিন তৈরি করে, যা শিশুদের পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ ছাড়া পাস্তুরায়ন করা হয়নি; এমন দুধ ও পনিরে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া বা ই. কোলাইয়ের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। গর্ভবতী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কাসু মার্তজু নামক সার্ডিনিয়ার পনিরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন্ত লার্ভা রাখা হয়। এই লার্ভা হজমের পরেও জীবিত থাকতে পারে এবং অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ল্যাই নামক ক্ষারযুক্ত পানিতে ভেজানো শুকনো মাছ দিয়ে তৈরি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান খাবার লুটফিস্ক। সঠিকভাবে ধুয়ে না ফেললে উচ্চ মাত্রার ল্যাই রাসায়নিক পোড়া বা হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আলফা স্প্রাউটস একটি পুষ্টিকর স্প্রাউট। এটি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠার কারণে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে দূষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাণী ও মাছ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি
কিছু প্রাণী ও মাছের শরীরে মারাত্মক বিষ লুকিয়ে থাকে। যেমন জাপানের জনপ্রিয় খাবার ফুগু। এতে আছে টেট্রোডোটক্সিনের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নিউরোটক্সিন। দুর্ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এটি প্রস্তুত করার অনুমতি পান। সিলভার-স্ট্রাইপ ব্লাসোপ পাফারফিশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতেও মারাত্মক টেট্রোডোটক্সিন থাকে। ভুলভাবে প্রস্তুত করলে এটি পক্ষাঘাত, শ্বাসযন্ত্রের বিকলতা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশি বা স্টেক টার্টারের মতো কাঁচা মাছ বা মাংস খেলে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পরজীবীর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঐতিহ্যবাহী মিসরীয় খাবার ফেসিখ নামের গাঁজানো মাছের পদটি যদি সঠিকভাবে রান্না করা না হয়, তবে এটি বটুলিজম নামক মারাত্মক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।
ঝিনুক এবং অন্যান্য শেলফিশ ক্ষতিকর শেওলা বহন করতে পারে, সেগুলো প্যারালিটিক শেলফিশ পয়জনিং সৃষ্টি করে। এটি পক্ষাঘাত বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোরিয়ার একটি খাবারে জীবন্ত অক্টোপাস পরিবেশন করা হয়। এর কাটা শুঁড়গুলো তখনো নড়াচড়া করতে পারে, যা ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। নামিবিয়ার কিছু অঞ্চলে আফ্রিকান বুলফ্রগ নামের একটি ব্যাঙ খাওয়া হয়। তবে এর চামড়া ও অঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে রান্না হয়ে না থাকে।
দূষিত পানি থেকে সংগ্রহ করা ক্ল্যামস হেপাটাইটিস এবং টাইফয়েডের মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা এড়াতে এটি সঠিকভাবে রান্না করা অপরিহার্য। কিছু সংস্কৃতিতে এটি বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হয় বানরের মাথা। এটি ক্রিউটজফেল্ড-জেকব রোগর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে, যা একটি মারাত্মক স্নায়ু-অবক্ষয়কারী রোগ।
মূলকথা হলো, খাবার হিসেবে সবই হয়তো কোনো না কোনো সংস্কৃতির স্মারক। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সেসব খাবার মজা করেই খায় তাদের প্রজন্মগত অভিজ্ঞতার কারণে। তবে মনে রাখতে হবে, খাবারগুলো সঠিকভাবে রান্না না হলে কিংবা সেসব খাবারে অভ্যস্ত না হলে সেগুলো ঝুঁকির কারণ তো বটেই, মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

ভুল প্রস্তুতি, সামান্য অসাবধানতা কিংবা জ্ঞানের অভাব—এগুলো যেকোনো খাবারকে মুহূর্তে পরিণত করতে পারে নীরব ঘাতকে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া যাক, যেগুলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রন্ধনশৈলীর অংশ হলেও সেগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য।
বীজ, ফল ও সবজি
সাধারণ কিছু ফল ও সবজির ভুল অংশ কিংবা ভুল প্রস্তুতি মারাত্মক হতে পারে। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাদের এটি খেলে মারাত্মক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা এটি পরিমিত খেতে পারে।

জ্যামাইকার অ্যাকি নামের একটি ফল কাঁচা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসিন এ নামে বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে। এ ফল খেলে বমি হতে পারে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। কাসাভা একটি মূলজাতীয় সবজি। এটিতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড থাকে, যা ভুলভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হলে সায়ানাইড নির্গত করে। এতে বমি বমি ভাব, বমি বা মৃত্যু হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাংগিয়াম ইড্যুলে নামের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক মারাত্মক বিষ থাকে। খাওয়ার আগে অবশ্যই বীজটিকে বিষমুক্ত করার জন্য গাঁজানো বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়।
কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে বা না সেঁকে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করা লাল কিডনি বিনসে ফাইটোইমাগ্লুটিনিন নামে একটি টক্সিন থাকে। এভাবে লাল কিডনি বিনস খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুরোপুরি রান্না করতে হয়।

চেরির বীজ এবং অন্যান্য স্টোন ফলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নির্গত করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়া হতে পারে। রুবাবের ডাঁটা নিরাপদ হলেও এর পাতায় অক্সালিক অ্যাসিড ও অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইডের মতো বিষাক্ত যৌগ থাকে। এল্ডারবেরিস নামক উদ্ভিদের কাঁচা ফল, পাতা, বাকল এবং মূলে লেকটিন ও সায়ানাইড থাকে, যা বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। তবে বীজ এবং বেরিগুলো সঠিকভাবে রান্না করলে সায়ানাইড দূর হয়।
মাশরুম ও মসলা
ডেথ ক্যাপ মাশরুম বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকগুলোর অন্যতম। এতে অ্যামাটক্সিনের মতো শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা লিভার ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে মাইরিস্টিসিন নামক যৌগটির কারণে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব এবং খিঁচুনি হতে পারে। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচের নাম ড্রাগন’স ব্রেথ। এর ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন স্কোভিল ইউনিট। এটি খাওয়ার ফলে গলা পুড়ে যাওয়া, শ্বাস পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে।

তৈরি খাবার ও তরল
কাঁচা মধুতে বটুলিজম স্পোর থাকতে পারে, যা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্পোরগুলো নিউরোটক্সিন তৈরি করে, যা শিশুদের পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ ছাড়া পাস্তুরায়ন করা হয়নি; এমন দুধ ও পনিরে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া বা ই. কোলাইয়ের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। গর্ভবতী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কাসু মার্তজু নামক সার্ডিনিয়ার পনিরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন্ত লার্ভা রাখা হয়। এই লার্ভা হজমের পরেও জীবিত থাকতে পারে এবং অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ল্যাই নামক ক্ষারযুক্ত পানিতে ভেজানো শুকনো মাছ দিয়ে তৈরি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান খাবার লুটফিস্ক। সঠিকভাবে ধুয়ে না ফেললে উচ্চ মাত্রার ল্যাই রাসায়নিক পোড়া বা হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আলফা স্প্রাউটস একটি পুষ্টিকর স্প্রাউট। এটি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠার কারণে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে দূষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাণী ও মাছ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি
কিছু প্রাণী ও মাছের শরীরে মারাত্মক বিষ লুকিয়ে থাকে। যেমন জাপানের জনপ্রিয় খাবার ফুগু। এতে আছে টেট্রোডোটক্সিনের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নিউরোটক্সিন। দুর্ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এটি প্রস্তুত করার অনুমতি পান। সিলভার-স্ট্রাইপ ব্লাসোপ পাফারফিশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতেও মারাত্মক টেট্রোডোটক্সিন থাকে। ভুলভাবে প্রস্তুত করলে এটি পক্ষাঘাত, শ্বাসযন্ত্রের বিকলতা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশি বা স্টেক টার্টারের মতো কাঁচা মাছ বা মাংস খেলে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পরজীবীর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঐতিহ্যবাহী মিসরীয় খাবার ফেসিখ নামের গাঁজানো মাছের পদটি যদি সঠিকভাবে রান্না করা না হয়, তবে এটি বটুলিজম নামক মারাত্মক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।
ঝিনুক এবং অন্যান্য শেলফিশ ক্ষতিকর শেওলা বহন করতে পারে, সেগুলো প্যারালিটিক শেলফিশ পয়জনিং সৃষ্টি করে। এটি পক্ষাঘাত বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোরিয়ার একটি খাবারে জীবন্ত অক্টোপাস পরিবেশন করা হয়। এর কাটা শুঁড়গুলো তখনো নড়াচড়া করতে পারে, যা ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। নামিবিয়ার কিছু অঞ্চলে আফ্রিকান বুলফ্রগ নামের একটি ব্যাঙ খাওয়া হয়। তবে এর চামড়া ও অঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে রান্না হয়ে না থাকে।
দূষিত পানি থেকে সংগ্রহ করা ক্ল্যামস হেপাটাইটিস এবং টাইফয়েডের মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা এড়াতে এটি সঠিকভাবে রান্না করা অপরিহার্য। কিছু সংস্কৃতিতে এটি বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হয় বানরের মাথা। এটি ক্রিউটজফেল্ড-জেকব রোগর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে, যা একটি মারাত্মক স্নায়ু-অবক্ষয়কারী রোগ।
মূলকথা হলো, খাবার হিসেবে সবই হয়তো কোনো না কোনো সংস্কৃতির স্মারক। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সেসব খাবার মজা করেই খায় তাদের প্রজন্মগত অভিজ্ঞতার কারণে। তবে মনে রাখতে হবে, খাবারগুলো সঠিকভাবে রান্না না হলে কিংবা সেসব খাবারে অভ্যস্ত না হলে সেগুলো ঝুঁকির কারণ তো বটেই, মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে বেলাই বিল দেখার মধ্য দিয়ে। এরপর একটু এগিয়ে কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে চলে যান। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে। সেখান থেকে যাবেন পাশের একডালা দুর্গে। এবার আপনার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমা
২১ এপ্রিল ২০২৩
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিশাত তামান্না

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে বেলাই বিল দেখার মধ্য দিয়ে। এরপর একটু এগিয়ে কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে চলে যান। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে। সেখান থেকে যাবেন পাশের একডালা দুর্গে। এবার আপনার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমা
২১ এপ্রিল ২০২৩
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

আপনার যাত্রা শুরু হতে পারে বেলাই বিল দেখার মধ্য দিয়ে। এরপর একটু এগিয়ে কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে চলে যান। সেখানে চমৎকার সময় কাটবে। সেখান থেকে যাবেন পাশের একডালা দুর্গে। এবার আপনার গন্তব্য হতে পারে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এরপর যান শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কিছু সময়ের জন্য হুমা
২১ এপ্রিল ২০২৩
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
৭ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১১ ঘণ্টা আগে