সৌগত বসু, ঢাকা

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা। এর বাইরে বড় শহরগুলোকে কেন্দ্র করে আছে কিছু নাগরিক বিনোদনের জায়গা। ‘আজকের পত্রিকা’ দেশের চারটি পর্যটন গন্তব্য ও রিসোর্টের সুবিধা এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে।
ফ্যান্টাসি কিংডম
ফ্যান্টাসি কিংডম বাংলাদেশের প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ থিম পার্ক। এখানে আছে থ্রিলিং সব রাইড, আছে বিশাল ওয়াটার কিংডম। আধুনিক বিনোদনজগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আছে এক্সট্রিম রেসিং গো-কার্ট গেমস। হেরিটেজ পার্কে আছে দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর রেপ্লিকা। লিয়া রেস্টুরেন্টের মতো মাল্টি-কুইজিন রেস্টুরেন্টও আছে এখানে। সঙ্গে রাত্রিযাপন আর বার-বি-কিউ পার্টির সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে রিসোর্ট আটলান্টিসে।
পার্কটিতে আছে ২০টির বেশি রাইড। আছে আর্কেড গেমস জোন। এতে যোগ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি রাইড হারিকেন ৩৬০ ভিআর। এর মাধ্যমে উপভোগ করা যাবে বিস্ময়কর সব দৃশ্য, ডাইনোসর, হাইস্পিড রেসিং প্রভৃতি।
ঠিক এর পাশেই তৈরি হয়েছে ওয়াটার থিম পার্ক ওয়াটার কিংডম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ওয়েভ রাইড, স্লাইডস, জায়ান্ট পুল এবং ডিজে পার্টির ব্যবস্থা। ফ্যান্টাসি কিংডমের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হেরিটেজ পার্ক। এখানে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আহসান মঞ্জিল, চুনাখোলা মসজিদ, সীতাকোট বিহারসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক রেপ্লিকা।
ফ্যান্টাসি কিংডম প্রথমবারের মতো দেশে নিয়ে এসেছে বিশ্বমানের গো-কার্ট রেসিংয়ের সুযোগ। এক্সট্রিম রেসিংয়ের আঁকাবাঁকা ট্র্যাকে গো-কার্টিং করার প্রতিটি মুহূর্তই শ্বাসরুদ্ধকর। এখানে ৪০০ মিটারের বেশি ট্র্যাকে চালানো হয় ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কার।
কনকর্ড গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (পরিচালক) অনুপ কুমার সরকার জানিয়েছেন, ফ্যান্টাসি কিংডমে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে তাঁরা সড়ক অধিদপ্তরে কথা বলেছেন। মানুষ এখন নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এ কারণে দর্শনার্থী অনেক কমে গেছে।
অনুপ আরও জানিয়েছেন, তাঁদের এ পর্যটন ব্যবসা মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। এগুলো খুবই সম্ভাবনাময় জায়গা। ফ্যান্টাসি কিংডমে হাজার হাজার দর্শনার্থী থাকে। তবে রাস্তা ও নিরাপত্তার কারণে তাতে খানিক ভাটা পড়েছে।
সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তা, ফ্লাইওভার ঠিক করা, নিরাপত্তা জোরদার করা এবং এ অঞ্চলে গার্মেন্টসকেন্দ্রিক অস্থিরতা না থাকলে আরও ভালো হয়। তিনি সরকারের কাছে ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগে যেটা ছিল ৫ শতাংশ, সেটা এখন ১৫ শতাংশ। আবার অনেকেই নতুন নতুন সুবিধা আনতে চাইছে। কিন্তু আমদানি খরচ অনেক বেশি। এটা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার শিল্প।
সে ক্ষেত্রে ভ্যাট, ইমপোর্ট ডিউটি যদি কম হতো, তবে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি আকৃষ্ট হতো। ২০২২ সালে বিনোদনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করলেও আমরা এখনো শিল্পের সুবিধা পাচ্ছি না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো নিশ্চিত করলে আরও ভালো হবে।’
ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক
এটি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে অবস্থিত অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। এখানে পরিবার ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের রাইড রয়েছে। এখানে আছে ফেরিস হুইল, রোলার কোস্টার, বাম্পার কারসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড। পার্কের ভেতর পানিতে খেলার জন্য আছে স্লাইড ও সুইমিংপুল।
পার্কের ভেতরে খাবার স্টল ও ক্যাফে রয়েছে। এখানে সুস্বাদু খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়। পার্কটিতে মাঝে মাঝে কনসার্ট, পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং করপোরেট ইভেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা আছে।
এখানে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের দাম সাধারণত ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। শিশুদের টিকিটের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।ওয়ান্ডারল্যান্ডের সাতারকুল শাখার ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম খান জানান, পর্যটনকে এখন শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ওয়ান্ডারল্যান্ড ছিল। এর মধ্যে তিনটি বিগত সরকারের সময় ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার বাইরেও চারটি জায়গায় ওয়ান্ডারল্যান্ড রয়েছে। আমরা চেষ্টা করি দর্শনার্থীদের ভালো সেবা দিতে। শিশুরা যাতে একটু ভালো বিনোদন পায় সেই ব্যবস্থা ওয়ান্ডারল্যান্ডগুলোতে করা হয়েছে।’
মানা বে ওয়াটার পার্ক
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় অবস্থিত মানা বে ওয়াটার পার্ক। এটি দেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশেই ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে মেঘনা ব্রিজের পরে এর অবস্থান। ঢাকা থেকে মানা বে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে যাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেও বাসে এখানে আসা যায়। পার্কটিতে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা আছে।
প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার বিস্তৃত এই ওয়াটার পার্ক দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম। পার্কটিতে সব বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় আয়োজন রয়েছে। এখানে ১৭টি রাইড আছে। তার মধ্যে অন্যতম ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল ও ফ্লোরাইডার ডাবল। শিশুদের জন্য একটি আলাদা জোন এবং একটি কৃত্রিম নদীর ব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে।
মানা বে ওয়াটার পার্কের সিনিয়র ম্যানেজার আরিফা আফরোজ বলেন, ‘দেশে মানুষ সব সময় ঘুরতে পছন্দ করেন। হোটেলগুলোতে মানুষ অনেক আসেন। ওয়াটার পার্কের ব্যাপারটি বাংলাদেশে একদম নতুন। মাত্র এক বছর হয়েছে। এখনই ভালো বা খারাপ বলা যাবে না। মাত্রই বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের জন্য কিন্তু ট্যুরিজম শিল্প একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বাংলাদেশে কোনো কিছু হলেই এই শিল্পের ওপর আগে আঘাত আসে। খুব বেশি ভালো অবস্থানে নেই ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি।’
ওয়াটার পার্ক বিদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবস্থা যতক্ষণ পর্যন্ত না আগের মতো স্থিতিশীল হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আসলে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আরিফা আফরোজ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বের হওয়া ও আসার বিষয়টি আরও সহজ করা দরকার। যোগাযোগ প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা নিয়ে আর একটু নিশ্চিত হতে হবে। এসব বিষয়ে কাজ করলে মানুষের আরও আগ্রহ বাড়ত। দেশের বাইরে মানুষ যায়, কারণ, নিরাপত্তা ভালো থাকে।’
মাটি-টা রিসোর্ট
মাটিটা রিসোর্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত। এটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। রিসোর্টটির চারপাশে আছে সবুজ বন এবং পাহাড়। এখানে কটেজ, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং বিভিন্ন আউটডোর কার্যকলাপের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকার জন্য আছে স্যুট, গ্ল্যাম্পিং তাঁবু এবং ভিলা। এগুলো একক ব্যক্তি, দম্পতি, পরিবার এবং করপোরেট রিট্রিটের জন্য উপযুক্ত।
প্রকৃতির সঙ্গে সংগতি রেখে মাটিটা সবুজ নীতিতে বিশ্বাসী। এই রিসোর্টের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে ক্যাম্প সাইট সেটআপ, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার মতো পরিবেশ, ফ্লাইং ফক্স, ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগস, টিক ট্যাক টো, বিগ ফুট, হাইকিং, নৌবিহার, হিল ট্রেকিং, জিপ লাইনিং, রিভার পাস (ভার্সন ১), সিনক্রো ফুটিং, সাইক্লিং, ক্যাট অ্যান্ড মাউস রেস, ট্রেজার হান্ট (ভার্সন ১), প্যাডেল বোটিং, বেল্ট রেস, বেলুন রেস (কিউ), বেলুন বার্স্ট (ভার্সন ১ ও ২), টেনিস বল/বেলুন রেস, টিক ট্যাক টো (ভার্সন ১), টিক ট্যাক টো (টেবিল ও পানিতে), তিরন্দাজি (পেইড), কায়াকিং, নৌবিহার, র্যাফট মেকিং ইত্যাদি।
রিসোর্টটির মালিক ড. মুনাল মাহাবুব বলেছেন, ‘পর্যটন খাতে দেশের সম্ভাবনা অপার। কক্সবাজার তো আছেই। এর বাইরে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চলগুলো, পতেঙ্গা, আনোয়ারা, সিলেট, সুনামগঞ্জ এমন অনেক জায়গা আছে। তবে এখানে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি।
একটা পর্যটন কেন্দ্র চালানোর জন্য যে পরিমাণ দক্ষ মানুষ আমাদের দরকার, তা নেই।’ তিনি জানান, পর্যটনশিল্পকে ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার থেকে যেসব সুবিধা দরকার, তা খুবই কম। যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দরকার হয়, একটা পর্যটনকে বিকশিত করার সেই সুবিধা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের মানুষ এখন ঘুরতে চায়। কিন্তু সে মান দেশে নেই।
মুনাল মাহাবুব বলেন, ‘দেশে সবকিছুর জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। যদি রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ির কথা বলা হয়, সেখানে কিছু করার জন্য ঢাকা থেকে মানুষ আনতে হয়। সেখানে খরচ অনেক বেশি। এই সেক্টরে কাজ করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ।’
মাটিটা নিয়ে মুনাল মাহাবুব জানান, এটি স্কুল ক্যাম্পিং দিয়ে শুরু। ঢাকার বিখ্যাত স্কুলগুলো এখানে ক্যাম্প করতে আসত। সেখান থেকে রিসোর্টে করার চিন্তা করা হয়। কিন্তু রিসোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায়, যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, সে পরিমাণে সাড়া নেই। দেশে পর্যটনের ব্যবসা হয় সিজনকেন্দ্রিক। তবে দেশে এই শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা। এর বাইরে বড় শহরগুলোকে কেন্দ্র করে আছে কিছু নাগরিক বিনোদনের জায়গা। ‘আজকের পত্রিকা’ দেশের চারটি পর্যটন গন্তব্য ও রিসোর্টের সুবিধা এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে।
ফ্যান্টাসি কিংডম
ফ্যান্টাসি কিংডম বাংলাদেশের প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ থিম পার্ক। এখানে আছে থ্রিলিং সব রাইড, আছে বিশাল ওয়াটার কিংডম। আধুনিক বিনোদনজগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আছে এক্সট্রিম রেসিং গো-কার্ট গেমস। হেরিটেজ পার্কে আছে দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর রেপ্লিকা। লিয়া রেস্টুরেন্টের মতো মাল্টি-কুইজিন রেস্টুরেন্টও আছে এখানে। সঙ্গে রাত্রিযাপন আর বার-বি-কিউ পার্টির সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে রিসোর্ট আটলান্টিসে।
পার্কটিতে আছে ২০টির বেশি রাইড। আছে আর্কেড গেমস জোন। এতে যোগ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি রাইড হারিকেন ৩৬০ ভিআর। এর মাধ্যমে উপভোগ করা যাবে বিস্ময়কর সব দৃশ্য, ডাইনোসর, হাইস্পিড রেসিং প্রভৃতি।
ঠিক এর পাশেই তৈরি হয়েছে ওয়াটার থিম পার্ক ওয়াটার কিংডম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ওয়েভ রাইড, স্লাইডস, জায়ান্ট পুল এবং ডিজে পার্টির ব্যবস্থা। ফ্যান্টাসি কিংডমের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হেরিটেজ পার্ক। এখানে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আহসান মঞ্জিল, চুনাখোলা মসজিদ, সীতাকোট বিহারসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক রেপ্লিকা।
ফ্যান্টাসি কিংডম প্রথমবারের মতো দেশে নিয়ে এসেছে বিশ্বমানের গো-কার্ট রেসিংয়ের সুযোগ। এক্সট্রিম রেসিংয়ের আঁকাবাঁকা ট্র্যাকে গো-কার্টিং করার প্রতিটি মুহূর্তই শ্বাসরুদ্ধকর। এখানে ৪০০ মিটারের বেশি ট্র্যাকে চালানো হয় ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কার।
কনকর্ড গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (পরিচালক) অনুপ কুমার সরকার জানিয়েছেন, ফ্যান্টাসি কিংডমে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে তাঁরা সড়ক অধিদপ্তরে কথা বলেছেন। মানুষ এখন নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এ কারণে দর্শনার্থী অনেক কমে গেছে।
অনুপ আরও জানিয়েছেন, তাঁদের এ পর্যটন ব্যবসা মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। এগুলো খুবই সম্ভাবনাময় জায়গা। ফ্যান্টাসি কিংডমে হাজার হাজার দর্শনার্থী থাকে। তবে রাস্তা ও নিরাপত্তার কারণে তাতে খানিক ভাটা পড়েছে।
সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তা, ফ্লাইওভার ঠিক করা, নিরাপত্তা জোরদার করা এবং এ অঞ্চলে গার্মেন্টসকেন্দ্রিক অস্থিরতা না থাকলে আরও ভালো হয়। তিনি সরকারের কাছে ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগে যেটা ছিল ৫ শতাংশ, সেটা এখন ১৫ শতাংশ। আবার অনেকেই নতুন নতুন সুবিধা আনতে চাইছে। কিন্তু আমদানি খরচ অনেক বেশি। এটা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার শিল্প।
সে ক্ষেত্রে ভ্যাট, ইমপোর্ট ডিউটি যদি কম হতো, তবে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি আকৃষ্ট হতো। ২০২২ সালে বিনোদনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করলেও আমরা এখনো শিল্পের সুবিধা পাচ্ছি না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো নিশ্চিত করলে আরও ভালো হবে।’
ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক
এটি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে অবস্থিত অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। এখানে পরিবার ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের রাইড রয়েছে। এখানে আছে ফেরিস হুইল, রোলার কোস্টার, বাম্পার কারসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড। পার্কের ভেতর পানিতে খেলার জন্য আছে স্লাইড ও সুইমিংপুল।
পার্কের ভেতরে খাবার স্টল ও ক্যাফে রয়েছে। এখানে সুস্বাদু খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়। পার্কটিতে মাঝে মাঝে কনসার্ট, পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং করপোরেট ইভেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা আছে।
এখানে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের দাম সাধারণত ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। শিশুদের টিকিটের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।ওয়ান্ডারল্যান্ডের সাতারকুল শাখার ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম খান জানান, পর্যটনকে এখন শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ওয়ান্ডারল্যান্ড ছিল। এর মধ্যে তিনটি বিগত সরকারের সময় ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার বাইরেও চারটি জায়গায় ওয়ান্ডারল্যান্ড রয়েছে। আমরা চেষ্টা করি দর্শনার্থীদের ভালো সেবা দিতে। শিশুরা যাতে একটু ভালো বিনোদন পায় সেই ব্যবস্থা ওয়ান্ডারল্যান্ডগুলোতে করা হয়েছে।’
মানা বে ওয়াটার পার্ক
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় অবস্থিত মানা বে ওয়াটার পার্ক। এটি দেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশেই ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে মেঘনা ব্রিজের পরে এর অবস্থান। ঢাকা থেকে মানা বে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে যাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেও বাসে এখানে আসা যায়। পার্কটিতে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা আছে।
প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার বিস্তৃত এই ওয়াটার পার্ক দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম। পার্কটিতে সব বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় আয়োজন রয়েছে। এখানে ১৭টি রাইড আছে। তার মধ্যে অন্যতম ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল ও ফ্লোরাইডার ডাবল। শিশুদের জন্য একটি আলাদা জোন এবং একটি কৃত্রিম নদীর ব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে।
মানা বে ওয়াটার পার্কের সিনিয়র ম্যানেজার আরিফা আফরোজ বলেন, ‘দেশে মানুষ সব সময় ঘুরতে পছন্দ করেন। হোটেলগুলোতে মানুষ অনেক আসেন। ওয়াটার পার্কের ব্যাপারটি বাংলাদেশে একদম নতুন। মাত্র এক বছর হয়েছে। এখনই ভালো বা খারাপ বলা যাবে না। মাত্রই বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের জন্য কিন্তু ট্যুরিজম শিল্প একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বাংলাদেশে কোনো কিছু হলেই এই শিল্পের ওপর আগে আঘাত আসে। খুব বেশি ভালো অবস্থানে নেই ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি।’
ওয়াটার পার্ক বিদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবস্থা যতক্ষণ পর্যন্ত না আগের মতো স্থিতিশীল হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আসলে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আরিফা আফরোজ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বের হওয়া ও আসার বিষয়টি আরও সহজ করা দরকার। যোগাযোগ প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা নিয়ে আর একটু নিশ্চিত হতে হবে। এসব বিষয়ে কাজ করলে মানুষের আরও আগ্রহ বাড়ত। দেশের বাইরে মানুষ যায়, কারণ, নিরাপত্তা ভালো থাকে।’
মাটি-টা রিসোর্ট
মাটিটা রিসোর্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত। এটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। রিসোর্টটির চারপাশে আছে সবুজ বন এবং পাহাড়। এখানে কটেজ, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং বিভিন্ন আউটডোর কার্যকলাপের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকার জন্য আছে স্যুট, গ্ল্যাম্পিং তাঁবু এবং ভিলা। এগুলো একক ব্যক্তি, দম্পতি, পরিবার এবং করপোরেট রিট্রিটের জন্য উপযুক্ত।
প্রকৃতির সঙ্গে সংগতি রেখে মাটিটা সবুজ নীতিতে বিশ্বাসী। এই রিসোর্টের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে ক্যাম্প সাইট সেটআপ, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার মতো পরিবেশ, ফ্লাইং ফক্স, ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগস, টিক ট্যাক টো, বিগ ফুট, হাইকিং, নৌবিহার, হিল ট্রেকিং, জিপ লাইনিং, রিভার পাস (ভার্সন ১), সিনক্রো ফুটিং, সাইক্লিং, ক্যাট অ্যান্ড মাউস রেস, ট্রেজার হান্ট (ভার্সন ১), প্যাডেল বোটিং, বেল্ট রেস, বেলুন রেস (কিউ), বেলুন বার্স্ট (ভার্সন ১ ও ২), টেনিস বল/বেলুন রেস, টিক ট্যাক টো (ভার্সন ১), টিক ট্যাক টো (টেবিল ও পানিতে), তিরন্দাজি (পেইড), কায়াকিং, নৌবিহার, র্যাফট মেকিং ইত্যাদি।
রিসোর্টটির মালিক ড. মুনাল মাহাবুব বলেছেন, ‘পর্যটন খাতে দেশের সম্ভাবনা অপার। কক্সবাজার তো আছেই। এর বাইরে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চলগুলো, পতেঙ্গা, আনোয়ারা, সিলেট, সুনামগঞ্জ এমন অনেক জায়গা আছে। তবে এখানে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি।
একটা পর্যটন কেন্দ্র চালানোর জন্য যে পরিমাণ দক্ষ মানুষ আমাদের দরকার, তা নেই।’ তিনি জানান, পর্যটনশিল্পকে ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার থেকে যেসব সুবিধা দরকার, তা খুবই কম। যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দরকার হয়, একটা পর্যটনকে বিকশিত করার সেই সুবিধা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের মানুষ এখন ঘুরতে চায়। কিন্তু সে মান দেশে নেই।
মুনাল মাহাবুব বলেন, ‘দেশে সবকিছুর জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। যদি রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ির কথা বলা হয়, সেখানে কিছু করার জন্য ঢাকা থেকে মানুষ আনতে হয়। সেখানে খরচ অনেক বেশি। এই সেক্টরে কাজ করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ।’
মাটিটা নিয়ে মুনাল মাহাবুব জানান, এটি স্কুল ক্যাম্পিং দিয়ে শুরু। ঢাকার বিখ্যাত স্কুলগুলো এখানে ক্যাম্প করতে আসত। সেখান থেকে রিসোর্টে করার চিন্তা করা হয়। কিন্তু রিসোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায়, যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, সে পরিমাণে সাড়া নেই। দেশে পর্যটনের ব্যবসা হয় সিজনকেন্দ্রিক। তবে দেশে এই শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১১ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৩ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৩ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১১ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১১ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৩ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৭ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

বাংলাদেশের পর্যটন খাত দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতট থেকে গভীর সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চল, দেশের প্রতিটি জায়গায় পাওয়া যাবে অনন্য অভিজ্ঞতা।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১১ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৩ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১৫ ঘণ্টা আগে