Ajker Patrika

নিউইয়র্কের জার্নাল: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ১১
নিউইয়র্কের জার্নাল: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

অবশেষে কাতার এয়ারওয়েজের ৭০৫ রুটের বিমানটি নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরণ করল। খুবই মসৃণ অবতরণ। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে এগারোটা। ১৯ এপ্রিল। ঢাকায় ততক্ষণে ২০ এপ্রিলের সকাল হয়ে গেছে। আমরা ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিলাম ১৯ এপ্রিল সকাল দশটা পঞ্চাশ মিনিটে। এর মধ্যে টাইমজোন পরিবর্তিত হয়েছে। এখন নিউইয়র্কে আমরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দশ ঘণ্টা এগিয়ে।

নিউইয়র্কে যখনই আসি, তখনই একবার ব্রডওয়ে ঘুরে আসতে মন চায়। ব্রডওয়ের কোনো এক থিয়েটারে একটা নাটক দেখতে পেলে অনেক কিছু ভাবার অবকাশ মেলে। হোক সেটা ব্রডওয়ে, অফ ব্রডওয়ে কিংবা অফ অফ ব্রডওয়ে। তাতে কিছু আসে যায় না। শিল্পকে এরা কোথায় নিয়ে গেছে, তা ভেবে মানুষের কল্পনাশক্তি আর কারিগরি ক্যারিশমার সৃজনশীল অবয়বের জন্য গর্ব হয়। চ্যাটজিপিটির কালে মানুষের নান্দনিকতার দাম কমে না যাওয়ার একটা বড় জায়গা হিসেবে সৃজনশীলতা আরও বহুদিন বেঁচে থাকবে বলে অন্তত আমার মনে হয়। আর সেই সৃজনশীলতা মরে যেতে পারে, হেরে যেতে পারে, যদি যান্ত্রিক শব্দাবলিই একসময় মানুষের স্বপ্নের আকাশ ঢেকে দেয়।

যাহোক, ঢাকা মহানগর যখন চল্লিশোর্ধ্ব সেলসিয়াস মাথায় করে কাটিয়ে যাচ্ছিল ভয়াবহ দিন-রাত, তখন শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পূর্বনির্ধারিত নিউইয়র্কগামী প্লেনে চড়ে বসার পরও মনে হয়নি যে রাত সাড়ে এগারোটায় নিউইয়র্ক পৌঁছুলে একটা জ্যাকেট চড়াতে হবে শরীরে। দশ ঘণ্টা সময়ের হেরফের বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে, আর তাতেই তাপমাত্রা নত হয়েছে কতটা!

এবারের বিমানযাত্রা, ইমিগ্রেশন, লাগেজ বুঝে পাওয়া—সবই ছিল সহজ। শুধু ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার সময় এয়ারপোর্টে কাতার এয়ারওয়েজের এক কর্মকর্তার চোখ পড়েছিল আমার হ্যান্ড লাগেজের দিকে। বিমানবন্দরের কাতার এয়ারওয়েজের কাউন্টারগুলোর সর্বত্র লেখা আছে, ল্যাপটপসহ সাত কেজির বেশি জিনিসপত্তর নেওয়া যাবে না হাতব্যাগে। আমার হ্যান্ড লাগেজে মালামাল ছিল কিছুটা বেশি। বেঁকে বসলেন সেবাদানকারী কর্মকর্তা। এ জন্য বাড়তি টাকা গুনতে বললেন। তাঁকে সুযোগ না দিয়ে ব্যাগে থাকা সোয়েটারটি পরে নিলাম, হাতে নিলাম দুটো থান ইটের মতো বই, তারপর বললাম, ‘বইগুলো আমরা পড়ব। আর এবার ব্যাগটা মাপুন তো!’

ভদ্রলোক তাজ্জব বনে গেলেন এবং চুপ করে রইলেন। এ রকম সহজ সমাধান আছে, সেটা তাঁর মাথায় কুলাল না। তাঁরই একজন ডান হাত বা বাঁ হাত, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হ্যান্ড লাগেজে ট্যাগ লাগিয়ে দিতে দিতে বললেন, ‘ঈদ হিসেবে স্যার আপনার লাগেজের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ঈদের সময় এমনটা হতেই পারে। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।’

দেখো দেখি কাণ্ড! এ কথাটা আগে বললে কি আর ভারী সোয়েটারটা শরীরে জড়াতে হয়!

প্লেনে নাকি এখন ভালো খাবার দেয় না, এমনটাই শুনেছিলাম। গতবার যখন নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজে করে ফিরেছিলাম ঢাকায়, তখন সত্যিই খাবারের এই রেশনিংয়ের সামনে পড়েছিলাম। পাইলট মহাশয় অবশ্য আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের কারও খিদে লাগলে কেবিন ক্রুকে বোলো। ওরা তোমার ইচ্ছেমতো জুস, চা-কফি আর স্যান্ডউইচ সরবরাহ করবে।’

কখনো চেয়ে খাওয়ার ইচ্ছে হয়নি আমার। তাই যে কবার যেচে এসে খাবার দিয়ে গেছে ক্রুরা, তার বেশি চাইনি।

ঢাকা-দোহা রুটে যে বিমানটি ছিল, সেটিতে আসনগুলো ভাগ করা ছিল ২-৪-২ হিসেবে। আমরা দুজন। একটি আইল-আসন পেলে সুবিধা হয়। সেটা পাওয়া গিয়েছিল। তবে আসনের সামনে যে মনিটরটি আছে, সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। যে সিনেমা দেখতে চাই, সেটা ঠিকভাবে দেখা যায় না। গান শুনতে চাইলে সেটা খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে ঢাকা-দোহার আকাশটা ছিল বিনোদনের সুযোগহীন।

তবে দোহা-নিউইয়র্কের পথে সেই সমস্যা ছিল না। ৩-৪-৩ আসনবিন্যাসের বড় উড়োজাহাজটির ইকোনমি ক্লাসের ভ্রমণটি ছিল আরামদায়ক।

একটা কৌতূহল আমার মনে অনেক দিন ধরেই বাস করছে। আমরা যারা সাশ্রয়ী মূল্যে বিমানের টিকিট কিনি, তাদের ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী বলা হয়। এই গরিব যাত্রীদের প্লেনে ওঠানো হয় বিজনেস ক্লাসের দরজা দিয়ে। অর্থাৎ আঁটসাঁট ইকোনমি ক্লাসের আসনের দিকে এগোনোর সময় বিজনেস ক্লাসের বিলাসবহুল আসনগুলো দেখে যেন পরবর্তীকালে বেশি পয়সা খরচ করে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করার স্বাদ জাগে—তারই মনস্তাত্ত্বিক খেলা কি না এটা, কে জানে!

আরে ভাই, বাজার অর্থনীতির যুগে আমাদের বসবাস। এখানে নিজেকে জাহির করার চেয়ে ‘বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’।

এবার ঢাকা-দোহা, দোহা-নিউইয়র্কে দেখা গেল খাদ্য আর পানীয়ের সমাহার। কিছুক্ষণ পর পর হয় গলা ভেজাতে বলে, নয়তো খাবার গিলতে বলে! এবং অবাক হয়ে লক্ষ করি, ফ্লাইটের কোনো না কোনো বিমানবালার চেহারায় যে বিরক্তি ফুটে উঠতে দেখেছি নানা সময়ে, এবার যেন তা ছিল না। বরং ছোটখাটো কথা বলে বিমানযাত্রাটি আনন্দমুখর করে তুলতে চাইছিলেন তাঁরা। একটা উদাহরণ না দিলে বোঝা যাবে না। ডিনারে ছিল চিকেন অ্যান্ড রাইস, আর বিফ অ্যান্ড পটেটো। গরুর মাংসের সঙ্গে আমার আজন্ম ভালোবাসা বলে সেটাই চাইলাম।

বিমানবালা হেসে জানতে চাইল, ‘তুমি চিকেন খাবে না কেন?’

 ‘আগেরবার চিকেন নিয়েছিলাম। আর ডিনারে আমি বিফ পছন্দ করি।’

 ‘কোথা থেকে আসছ?’

 ‘ঢাকা থেকে।’ 

 ‘আচ্ছা!’ 

এটুকুই কথাবার্তা। কিন্তু এই যে আপাতকার্যকারণহীন কথাবার্তা, তারও তো একটা মূল্য আছে জীবনে।

জেএফকে বিমানবন্দরে রাত সাড়ে এগারোটায় নামার পর শীতটা টের পাওয়া গেল। লাগেজের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। দুটো ট্রলি বারো ডলার দিয়ে নিয়ে মালসামানসহ আট নম্বর টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে এলাম আমরা দুজন। নিউইয়র্কে থাকা আমাদের মেয়ে ঝড়ের বেগে টার্মিনালে প্রবেশ করে আমাদের দুজনের হাতে ধরিয়ে দিল গতবার আমাদেরই রেখে যাওয়া দুটো জ্যাকেট। হ্যাঁ, ততক্ষণে আমরা ঢাকা শহরের প্রায় মধ্যপ্রাচ্য বনে যাওয়া আবহাওয়া থেকে বেরিয়ে এসেছি। বুঝতে পারছি, একই পৃথিবীতে বসবাস করলেও প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়েছে কত না বৈচিত্র্যময় করে। এক জায়গায় মানুষের যখন গরমে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, অন্য এক জায়গার মানুষ তখন শীতে কাঁপছে!

বৈচিত্র্যের কথা বললে আবার নিউইয়র্কের কথাই বলতে হয়। এ শহর প্রত্যেক মানুষকে যেন জড়িয়ে রেখেছে পরম আদরে। অকারণে এই শহরকে নানা নামে ডাকা হয় না। সম্ভবত বাংলা ভাষায়ই সোভিয়েত সাহিত্যিক মাক্সিম গোর্কির একটা বই পড়েছিলাম, ‘পীতদানবের দেশে’ নামে যার অনুবাদ হয়েছিল। নিউইয়র্ককে পীতদানবের দেশ নামেও ডাকা হয়। বলা হয় ‘বিশালাকার আপেল’। আর হ্যাঁ, যে ডাকটির সঙ্গে সত্যের মাখামাখি আছে, সেটি হলো ‘বিশ্বের রাজধানী।’ এই শেষ দুটি শব্দে একটু থামুন। ‘বিশ্বের রাজধানী’ বলতে হলে একটি শহরকে কেমন হতে হবে, সেটা ভেবে নিন। 

 আদুরে শহর
বলা হয়, নিউইয়র্ক যেন মানুষকে আদর করে ধরে রাখে। এ শহর কোটিপতি আর উন্মাদের শহর। এ শহর দরিদ্র আর অভিজাত মানুষের শহর। পৃথিবীর সব রং ধরা আছে এ শহরে। পৃথিবীর যেকোনো নৃতাত্ত্বিক উত্তরাধিকারকে পাওয়া যাবে এখানে। শুধু কি তাই? চীনের মানুষেরা এসে এখানে গড়ে তুলেছে তাদের পাড়া, সেখানে ইংরেজির পাশে চৈনিক ভাষায় লেখা সাইনবোর্ড। নিউইয়র্কের কুইনসের ফ্লাশিংয়ে গেলে কিংবা ম্যানহাটানের চায়না টাউনে গেলে বোঁচা নাকের মানুষের ভিড় দেখে বোঝাই যাবে না, এটা আমেরিকা। মনে হবে, এখন বুঝি চীনেই আছি আমরা। 

রুশ জাতি এসে আস্তানা গেড়েছে নিউইয়র্কের যেসব জায়গায়, সেগুলোতেও মানুষ ইংরেজির চেয়ে রুশ ভাষায় কথা বলতে বেশি ভালোবাসে। বিশেষ করে ব্রাইটন বিচ কিংবা ফরেস্ট হিলসে গেলে রুশ ভাষাটাই যেন হয়ে যায় সেই এলাকার ভাষা। কোনো বাঙালিও যদি রুশ ভাষায় কথা বলে, এসব এলাকায় কেউ অবাক হবে না। রুশ ভাষায় কথা না বললেই বরং ভাববে—‘মালটা নতুন আমদানি’। আফ্রিকার মানুষের জন্য ম্যানহাটানের ‘হারলেম’ একসময় বিখ্যাত ছিল। এখানকার অধিকাংশ মানুষই ছিল কৃষ্ণবর্ণের। খুনোখুনিও বেশি হতো। অপরাধজগৎ বলে নাম ছিল হারলেমের। এখন অবশ্য অবস্থা পাল্টেছে। সংখ্যায় কমে গিয়ে শতকরা চল্লিশের মতো হয়েছে আফ্রিকান আমেরিকান। তবে কুইনসের জ্যামাইকায় গেলেও এখন দেখা যাবে আফ্রিকান আমেরিকানদের জয়জয়কার। 

আর বাঙালি? জি হ্যাঁ, গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, জ্যাকসন হাইটসে দু-তিনটি রাস্তাই আছে, যেখানে দোকানগুলোয় কর্মরত প্রায় সবাই বাঙালি। এখানকার দোকানপাটের সাইনবোর্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলার অবস্থান। এমন মানুষকেও জ্যাকসন হাইটসে পাওয়া যাবে, যিনি এক বর্ণ ইংরেজি জানেন না। কোনো না কোনোভাবে নিউইয়র্কে এসে সেই যে কাজে ঢুকে গেছেন, সেটাই হয়ে গেছে তাঁর জগৎ। আর এখান থেকে কোথাও যাননি। মুখস্থ জায়গায় নেমে কাজ করে আবার মুখস্থ জায়গায় ফিরে যান তাঁরা। ব্রুকলিন, ব্রংকসেও কত যে বাঙালির বসবাস! ইদানীং কুইনসের পারসনস বুলভার্ড থেকে ১৭৯ স্ট্রিট পর্যন্ত গেলেও মনে হবে, মিনি বাংলাদেশেই বুঝি এসে পড়েছি।

আমরা জার্নি করেছি চব্বিশ ঘণ্টার কাছাকাছি। সব মিলিয়ে তা বড়ই ক্লান্তিকর। প্লেনেই বসে থাকতে হয়েছে কম করে হলেও আঠারো ঘণ্টা। ফলে এ রকম একটি ভ্রমণের পর দিন-রাতের ব্যবধান ঘুচে যায়। সময় পরিবর্তন হয়েছে বলে কারও কারও রাতের ঘুম দিনে হয়, রাতে চোখ মেলে বসে থাকতে হয়। কেউ সারা দিন মড়ার মতো ঘুমায়, কারও চোখে ঘুম আসে না। 

বইয়ের মধ্যে নিউইয়র্কের খোঁজ
যাদের ঘুম আসে না, তাদের কেউ কেউ কিছু পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এ মুহূর্তে রাত দুটো বাজতে দশ মিনিট বাকি যখন, তখন তেমনই এক রাতজাগা মানুষের ইচ্ছে হলো বইপত্তরের খোঁজ নেবে। এবং অবধারিতভাবে নিউইয়র্কবিষয়ক ভালো বইয়ের দিকেই রাখতে হবে দৃষ্টি। 

কেন এই বইগুলোর কথা জানতে চাইছি? এর কারণ হলো, সব তো নিজের চোখে দেখা সম্ভব নয়। এসব উপন্যাসের মাধ্যমে নিউইয়র্কের জীবনটা যেন পরিষ্কার হয়ে উঠে আসে পাঠকের মনে। পাঠকের জন্য এই বই-ভ্রমণটাও খুব সস্তা কিছু নয়। বাস্তবে দেশ দেখা হোক আর না হোক, বইয়ের পৃষ্ঠায় সেই দেশকে দেখে ফেলার সুযোগ পাওয়া বিরল সৌভাগ্য।

গিওম ম্যুসো লিখেছেন ‘সেন্ট্রাল পার্ক’ উপন্যাসটি। সেন্ট্রাল পার্ক কিন্তু নিউইয়র্কের কেন্দ্র। বিশাল এ সবুজ পার্কে অবকাশ কাটাতে ভালো লাগে। স্বাস্থ্য উদ্ধার করতে চান যাঁরা, তাঁরা এখানে চলে আসেন সকাল-বিকেলে। রয়েছে রিকশা। চড়া ভাড়ায় তা পার্কের কিছু অংশ ঘুরিয়ে আনে পর্যটককে। সেই পার্ক নিয়েই গিওমের উপন্যাসটি। সেন্ট্রাল পার্কের এক বেঞ্চিতে হঠাৎ ঘুম ভাঙল এলিসের। এলিস দেখল, তার হাতে হাতকড়া। সেই হাতকড়ায় বাঁধা আছে অন্য এক অজানা পুরুষের হাত। একটু পর মেয়েটা জানতে পারে, একটি জাজ দলের সদস্য এই লোকটি। এলিস কিছুতেই বুঝতে পারে না, নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের এক বেঞ্চিতে কী করে এ রকম একজন অচেনা মানুষের সঙ্গে হাতকড়া পরা অবস্থায় সে বসে আছে। এলিসের হঠাৎ তার পেশার কথা মনে হয়। পুলিশে চাকরি করে মেয়েটি। বছর দুয়েক আগে ইরিক বোগ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছিল সে। এমন কি হতে পারে, সেই ইরিক বোগ এখনো জীবিত আর এখন সে এলিসের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে? প্রশ্নের জন্ম হয় অনেক বেশি, উত্তর আসে অনেক কম। এলিস অবশ্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে মনে করে, এই রহস্যের সমাধান তাকেই করতে হবে। 

কে এই অচেনা মানুষটি, কী তার পরিচয়, এ প্রশ্নও তো এড়ানো যায় না। এভাবেই এগিয়ে চলে উপন্যাসটি। 

নিউইয়র্ক শহরের নিশ্বাস শোনা যায় এই উপন্যাসে। 

সেন্ট্রাল পার্কের কথা উঠলেই অনেকের মনে পড়ে যায় ‘হোম অ্যালোন’ সিরিজের ‘লস্ট ইন নিউইয়র্ক’ ছবিটির কথা। যে হোটেলে এসে উঠেছিল কেভিন, তার পাশেই ছিল সেন্ট্রাল পার্ক। আর সেই সেন্ট্রাল পার্কে ‘ভেজা দস্যু’রা প্রায় ধরে ফেলেছিল কেভিনকে! সেই সিনেমায় এক পলকের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও দেখা গিয়েছিল, পরবর্তীকালে যিনি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। 

সেন্ট্রাল পার্কের একটা জায়গা আছে, যা জন লেননের প্রতি উৎসর্গীকৃত। স্ট্রবেরি ফিল্ডস তার নাম। সেখানে অনেকেই আসে। কেউ আসে গিটার হাতে। লেননের গান পরিবেশন করে। অনেকে সেখানে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি তোলে। পার্ক পার হলেই ড্যাকোটা অ্যাপার্টমেন্ট। এইন অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একটি ফ্ল্যাটেই থাকতেন লেনন। চ্যাপম্যান নামে এক ভক্তকে যখন অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সামনে, তখনই সেই ভক্ত গুলি ছুড়েছিল জন লেননের শরীরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাঁচেননি। সেন্ট্রাল পার্কের কাছে এলে লেননের কথা মনে পড়ে। 

সোফি কিনসেলার উপন্যাসটার নাম ‘শপাহোলিক টেকস ম্যানহাটান’। উপন্যাসটির কথা বলার আগে ম্যানহাটানের কথা একটু বলে নিই। তারও আগে নিউইয়র্ক রাজ্যটির কথা। এ কথা সবাই জানেন, নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অঙ্গরাজ্য। এই রাজ্যেরই রাজধানী নিউইয়র্ক সিটি। রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এলে এই ম্যানহাটানের দেখা পাওয়া যাবে। 

‘শপাহোলিক টেকস ম্যানহাটান’-এর গল্প বলতে গেলে কেন নিউইয়র্ক শহর সম্পর্কে জানার প্রয়োজন পড়ে, তা পরিষ্কার করব এবার। আসলে ‘ম্যানহাটান’ শব্দটি যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মন দুলিয়ে দেয়। নিউইয়র্ক সিটি যে পাঁচটি প্রশাসনিক অঞ্চল বা বরো নিয়ে তৈরি, তার একটি হচ্ছে ম্যানহাটান। বাকিগুলোর নাম হলো ব্রুকলিন, ব্রংকস, কুইনস আর স্ট্যাটেন আইল্যান্ড। ঘটনাচক্রে আমি যখন নিউইয়র্কে আসি, তখন কুইনস ভিলেজে থাকি। অতি ব্যস্ত ম্যানহাটানের তুলনায় কুইনস ভিলেজ কিছুটা নীরব। 

নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে বড় বরো হলো কুইনস। আর সবচেয়ে ছোট কিন্তু সবচেয়ে প্রভাবশালী বরোর নাম ম্যানহাটান। ম্যানহাটানকে নিউইয়র্ক সিটির প্রাণ বললে একেবারেই বাড়িয়ে বলা হবে না। এখানকার গগনচুম্বী ভবনগুলো এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জাদুঘর, খাবারের দোকান কিংবা শপিং মল মন কেড়ে নেয় পর্যটকদের। এমপায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রিসলার বিল্ডিং, সিটিকর্প সেন্টারসহ বড় বড় প্রাসাদসম ভবন এই ম্যানহাটানেই অবস্থিত। আর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কথা তো আলাদাভাবে বলতে হবে। ম্যানহাটান ভ্রমণের কথা হবে পরে। আগে এটুকু শুধু বলে নিই, শুরুতেই যে ব্রডওয়ে থিয়েটারের কথা বলেছিলাম, তা দেখতে হলে আসতে হবে এই ম্যানহাটানেই। নিউইয়র্কের দুই বিখ্যাত নদী হাডসন আর ইস্ট রিভারের কথাও পরে বলা হবে। আটলান্টিকের কথাও আসবে পরে।

সোফি কিনসেলার বইটির কথা এবার বলা যায়। এখন বলা হবে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের শপিং মল আর দোকানপাটের কথা। কেন বলা হবে? বলা হবে, কারণ, এই বিষয়টিই তো কিনসেলার বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য। কীভাবে এই দোকানগুলো মোহগ্রস্ত করে ফেলে মানুষকে, তারই আঁচ পাওয়া যাবে বইয়ের ভেতর ঢুকলে। ম্যানহাটান বদলে দেয় মানুষের ভাবনাকে। তছনছ করে দেয় হৃদয়ের যৌক্তিক ভাবনার চলাচলকে। বেকি বলে যে মেয়েটির কথা বলা হচ্ছে উপন্যাসে, তার জীবনে এ রকম বড় বড় ঢেউ এসে লাগবে, সে কথা আগে থেকে কে জানত? ম্যানহাটান তাকে তার জীবন এবং ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ভাবনার মধ্যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এল। গুগেনহেইম জাদুঘরে তো বেকিকে যেতেই হবে, কিন্তু লোভনীয় দোকানগুলোর কাচের বিভিন্ন জানালা মোহিত করে ফেলে বেকিকে, এরপর সে শুধু কিনতে থাকে, কিনতে থাকে, কিনতে থাকে…।

নাহ্‌! উপন্যাসগুলো নিয়ে পরে কথা হবে। শুধু এ কথাই বলার চেষ্টা করলাম যে আদতে নিউইয়র্ককে চিনতে হলে এর প্রাণকেন্দ্রে যেতে হয় বারবার। ওই যে, ম্যানহাটানের টাইমস স্কয়ারের পাশেই যেখানে একটি দোকানের ভেতর ছোট্ট মিউজিয়ামের মতো করে স্বনামধন্য শিল্পীদের ব্যবহৃত পোশাক-আশাক আর বাদ্যযন্ত্রের দেখা মেলে, সেখানেই হঠাৎ করে কনসার্ট ফর বাংলাদেশে ব্যবহার করা জর্জ হ্যারিসনের গিটারটি দেখলে কেমন লাগবে আপনার? কিংবা ঘুরতে ঘুরতে মোমায় এসে ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’ দেখে ফেললে কি আপনি আর আগের মানুষটা থেকে যেতে পারবেন? আর পিকাসোর সেই বিখ্যাত ছাগলটি কি আপনাকে অনেকখানি বদলে ফেলবে না? 

travel-ny-03দরদাম
নাহ্‌! নিউইয়র্ক নিয়ে এত কিছু বলার আছে, যা এক বসায় লিখে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘুম থেকে উঠে প্রথম দিন যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানে গেলাম, তখন বুঝতে পারলাম, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া পড়েছে পণ্যের দামে।

সবচেয়ে অবাক করেছে ডিমের দাম। যুদ্ধের আগে ডিম ছিল স্বাভাবিক দামে। যদি ভুল করে না থাকি, তাহলে ডিমের ডজন ছিল ২ ডলার। এখানে অবশ্য তিন আকারের ডিম আছে। খুব বড়, বড় আর মাঝারি। ‘ছোট ডিম’ বলে কোনো লেবেল দেখিনি কখনো। ছোটটাকেই বুঝি ‘মেজ’ নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। 

পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ধাই ধাই করে ডিমের দাম কেন বেড়ে গেল, সেটা কে বলতে পারবে কে জানে। সে সময় দোকানগুলোয় লেখা থাকত, ‘এই দাম সাময়িক। কিছুদিন পর আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’ সে সময় ১২টা ডিমের দাম কখনো কখনো ৫ ডলারও হয়েছিল। এবার ডিম কিনলাম প্রথমে সাড়ে চার ডলার, পরে সাড়ে তিন ডলার ডজন। একটু তো কমেছে দাম, কিন্তু আগের জায়গায় তা ফেরেনি।

রেস্তোরাঁয় খাবারদাবারের দাম বেড়েছে। বাইরের স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রেও চড়া দামের আভাস। গাড়ির তেলের দামও আগের তুলনায় বেশি। 

আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘সুন্দরী’ সিনেমায় ববিতার ঠোঁটে একটা সংলাপ ছিল, ‘বাপ মরছে আমার আর দাড়ি রাখছে কাঞ্চন’। সংলাপটা একটু ঘুরিয়ে বলি, ‘যুদ্ধ করে রাশিয়া-ইউক্রেন, আর খাবারের দাম বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে।’ না, কথাটা খুব একটা ঠিক বলা হলো না। এই যুদ্ধে বিশ্বমোড়লদের কাউকেই ধোয়া তুলসীপাতা বলা যাবে না। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার ক্ষেত্রে বাইরের দেশগুলোর ইন্ধন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার রাশিয়াকে উসকে দিয়েছে। রাশিয়াও সেই উসকানিতে সায় দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়েছে। 

তাতে লাভ হয়েছে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু সেই চাপ এসে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের বুকে। তবে চাপ কতটা গভীর, সেটা বোঝার জন্য যেতে হবে বাজারে, শপিং মলে, রাজপথে। কান পাততে হবে মানুষের সংলাপে। 

তারই অপেক্ষায় রয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাজি ভালোবাসার লাল-সবুজে

নিশাত তামান্না
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।

পোশাক

বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’

সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’

সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র‍্যান্ড।

সাজ

এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’

শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।

এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।

চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

মেষ

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।

বৃষ

সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’

মিথুন

সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।

কর্কট

আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।

সিংহ

প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!

কন্যা

সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।

তুলা

ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।

বৃশ্চিক

আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

ধনু

আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।

মকর

জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।

কুম্ভ

শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।

মীন

আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪০
শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?

স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা

উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।

এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর

উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।

প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।

নীল মজুমদার, সোনারগাঁ

উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর

উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পেট্রোলিয়াম জেলির যত ব্যবহার

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫২
পেট্রোলিয়াম জেলির যত ব্যবহার

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।

মেকআপ রিমুভার হিসেবে

বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।

নখের সুস্থতায়

নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।

সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে

যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।

ভ্রু ঘন করতে

অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

জেলি-২

হাইলাইটার হিসেবে

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে

ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত