
প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
মহাসড়কের দুই পাশে অনুচ্চ পাহাড়, পাহাড়ের বিস্তীর্ণ ঢালে নতজানু সূর্যমুখীর খেত রোদের সঙ্গে হলুদের আভায় উজ্জ্বল। খানিকটা এগিয়ে গেলে দূর আকাশে হেলান দিয়ে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। মেঘ ছাড়িয়ে তুষার ঢাকা চূড়ায় ঠিকরে পড়ছে সূর্যের অকৃপণ রশ্মি। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য।
বিকেলের পড়ন্ত রোদে পথ ধরে ঘণ্টাখানেক সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। আগে থেকেই একটি বাড়ি ভাড়া করে রাখা হয়েছিল। নিচে রান্না আর বসার ঘর। দোতলায় দুটি রুম। বাড়িটির সঙ্গে একচিলতে মাঠ। গা এলিয়ে বসার জন্য আরামকেদারা রাখা আছে, আছে একটি আখরোটের গাছ। দূর পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছবির মতো বাড়ি, রাস্তা, চোখের ক্লান্তি দূর করা সবুজে ঢাকা। গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন, শান্তিময় স্নায়বিক বিশ্রামের জন্য চমৎকার পাহাড়ি অঞ্চল। চারজনের এক সপ্তাহের জন্য বেশ সাজানো-গোছানো এমন বাড়ির জন্য গুনতে হবে ৫০০ ইউরো।
আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম, ফোঁয়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার বা ৪ মাইল দূরে লাবোউইচ এলাকায় ভূগর্ভস্থ নদীটি দেখব। এটি ইউরোপের দীর্ঘতম নৌ চলাচলযোগ্য ভূগর্ভস্থ নদী। ভূত্বক থেকে ৬০ মিটার অর্থাৎ প্রায় ২০০ ফুট গভীরে এ নদী পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। ১৯০৮ সালের আগস্ট মাসে জুল ডুনাক নামে এক চিকিৎসক সেনাবাহিনীতে কাজ করা তাঁর দুই তরুণ পুত্রকে নিয়ে জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গাছগাছড়ায় ঢাকা একটি গুহামুখে ঢুকতেই নদীটি আবিষ্কার করেন তাঁরা। ১৯৩৮ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেটি।
সকাল সকাল সেখানে পৌঁছে গেলাম। গাছের ছায়ায় প্রশস্ত পার্কিং, একটি স্যুভেনির বুটিক আর টিকিট ঘর। আছে একটি রেস্তোরাঁ—এখানে ১৫ থেকে ২০ ইউরো হলে একজনের দুপুরের খাবার হয়ে যায়। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। তবে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
নদীতে যেতে একটি পাহাড়ি গুহার মুখে পৌঁছার পর খাড়া সিঁড়ির ২৪০টি ধাপ ধরে পাতালে নামতে হবে। পাতালপুরীতে দেড় কিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় এক মাইল নৌবিহারের জন্য মাথাপিছু গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৮০ ইউরো। ১২ জন পর্যটকের একটি করে দল নৌকায় উঠবে। ফরাসি, ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষ একজন মাঝি কাম গাইড থাকবে সঙ্গে। আরও জানিয়ে দেওয়া হলো, মাটির অতটা নিচে সারা বছর তাপমাত্রা থাকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কোনো হেরফের হয় না। ফলে নিচে নামার আগেই আমাদের দলের সবাই গরম কাপড় গায়ে চড়িয়ে নিলাম।
ভূগর্ভস্থ নদীটির সর্বোচ্চ গভীরতা ৩ মিটার বা ১০ ফুট। পাঁচটি মহল বা গ্যালারির মধ্য দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার অর্থাৎ আড়াই মাইল দীর্ঘ স্ফটিক স্বচ্ছ ফিরোজা রঙের জলের পাতাল নদী। নদীটি উপনদীতে বিভক্ত। নানা জায়গায় রয়েছে গুপ্ত সুড়ঙ্গ। আছে অঝোর জলধারার একটি চমৎকার জলপ্রপাত। এক জায়গায় মাথার ওপরের ছাদ ৩৫ মিটার বা ১১৫ ফুট উঁচুতে। নিস্তব্ধ, নিশ্চুপ একেকটি মহল। শুধু টুপটাপ পানি পড়ার শব্দ। লাখ লাখ বছর ধরে এই টুপটাপ শব্দ একটানা হয়ে চলছে, এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি। আলো-আঁধারিতে এক অদ্ভুত রহস্যময় পরিবেশ।
মানুষ তখনো পৃথিবীতে পা রাখেনি, সেই আদিকাল থেকে বৃষ্টির পানি মাটি চুইয়ে চুনাপাথরের অংশ ক্ষয় করার কারণে মাটির নিচে বহু ফাঁকফোকরের সৃষ্টি হয়। পানি তার নিজস্ব পথ তৈরি করে নিয়েছে ভূগর্ভস্থ এই অগভীর নদীটিতে। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আকার-আকৃতির অসংখ্য চিত্তাকর্ষক স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট।
তিনবার নৌকা বদলিয়ে দেড় কিলোমিটার পাতাল নৌভ্রমণে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আমাদের গাইড ছিলেন প্রাণবন্ত তরুণ আনাস। আমাদের বলছিলেন, কোটি কোটি বছরের ইতিহাস লেখা আছে এখানকার কংক্রিটের কঠিন দেয়ালে। সত্যিই অপূর্ব সুন্দর এক পাতালপুরীর দেশ, অলৌকিক পরাবাস্তব জগৎ। রূপকথাতেও এমন জগতের বর্ণনা পাওয়া যাবে না। মোহাবিষ্ট হতেই হবে।

প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
মহাসড়কের দুই পাশে অনুচ্চ পাহাড়, পাহাড়ের বিস্তীর্ণ ঢালে নতজানু সূর্যমুখীর খেত রোদের সঙ্গে হলুদের আভায় উজ্জ্বল। খানিকটা এগিয়ে গেলে দূর আকাশে হেলান দিয়ে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। মেঘ ছাড়িয়ে তুষার ঢাকা চূড়ায় ঠিকরে পড়ছে সূর্যের অকৃপণ রশ্মি। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য।
বিকেলের পড়ন্ত রোদে পথ ধরে ঘণ্টাখানেক সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। আগে থেকেই একটি বাড়ি ভাড়া করে রাখা হয়েছিল। নিচে রান্না আর বসার ঘর। দোতলায় দুটি রুম। বাড়িটির সঙ্গে একচিলতে মাঠ। গা এলিয়ে বসার জন্য আরামকেদারা রাখা আছে, আছে একটি আখরোটের গাছ। দূর পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছবির মতো বাড়ি, রাস্তা, চোখের ক্লান্তি দূর করা সবুজে ঢাকা। গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন, শান্তিময় স্নায়বিক বিশ্রামের জন্য চমৎকার পাহাড়ি অঞ্চল। চারজনের এক সপ্তাহের জন্য বেশ সাজানো-গোছানো এমন বাড়ির জন্য গুনতে হবে ৫০০ ইউরো।
আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম, ফোঁয়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার বা ৪ মাইল দূরে লাবোউইচ এলাকায় ভূগর্ভস্থ নদীটি দেখব। এটি ইউরোপের দীর্ঘতম নৌ চলাচলযোগ্য ভূগর্ভস্থ নদী। ভূত্বক থেকে ৬০ মিটার অর্থাৎ প্রায় ২০০ ফুট গভীরে এ নদী পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। ১৯০৮ সালের আগস্ট মাসে জুল ডুনাক নামে এক চিকিৎসক সেনাবাহিনীতে কাজ করা তাঁর দুই তরুণ পুত্রকে নিয়ে জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গাছগাছড়ায় ঢাকা একটি গুহামুখে ঢুকতেই নদীটি আবিষ্কার করেন তাঁরা। ১৯৩৮ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেটি।
সকাল সকাল সেখানে পৌঁছে গেলাম। গাছের ছায়ায় প্রশস্ত পার্কিং, একটি স্যুভেনির বুটিক আর টিকিট ঘর। আছে একটি রেস্তোরাঁ—এখানে ১৫ থেকে ২০ ইউরো হলে একজনের দুপুরের খাবার হয়ে যায়। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। তবে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
নদীতে যেতে একটি পাহাড়ি গুহার মুখে পৌঁছার পর খাড়া সিঁড়ির ২৪০টি ধাপ ধরে পাতালে নামতে হবে। পাতালপুরীতে দেড় কিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় এক মাইল নৌবিহারের জন্য মাথাপিছু গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৮০ ইউরো। ১২ জন পর্যটকের একটি করে দল নৌকায় উঠবে। ফরাসি, ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষ একজন মাঝি কাম গাইড থাকবে সঙ্গে। আরও জানিয়ে দেওয়া হলো, মাটির অতটা নিচে সারা বছর তাপমাত্রা থাকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কোনো হেরফের হয় না। ফলে নিচে নামার আগেই আমাদের দলের সবাই গরম কাপড় গায়ে চড়িয়ে নিলাম।
ভূগর্ভস্থ নদীটির সর্বোচ্চ গভীরতা ৩ মিটার বা ১০ ফুট। পাঁচটি মহল বা গ্যালারির মধ্য দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার অর্থাৎ আড়াই মাইল দীর্ঘ স্ফটিক স্বচ্ছ ফিরোজা রঙের জলের পাতাল নদী। নদীটি উপনদীতে বিভক্ত। নানা জায়গায় রয়েছে গুপ্ত সুড়ঙ্গ। আছে অঝোর জলধারার একটি চমৎকার জলপ্রপাত। এক জায়গায় মাথার ওপরের ছাদ ৩৫ মিটার বা ১১৫ ফুট উঁচুতে। নিস্তব্ধ, নিশ্চুপ একেকটি মহল। শুধু টুপটাপ পানি পড়ার শব্দ। লাখ লাখ বছর ধরে এই টুপটাপ শব্দ একটানা হয়ে চলছে, এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি। আলো-আঁধারিতে এক অদ্ভুত রহস্যময় পরিবেশ।
মানুষ তখনো পৃথিবীতে পা রাখেনি, সেই আদিকাল থেকে বৃষ্টির পানি মাটি চুইয়ে চুনাপাথরের অংশ ক্ষয় করার কারণে মাটির নিচে বহু ফাঁকফোকরের সৃষ্টি হয়। পানি তার নিজস্ব পথ তৈরি করে নিয়েছে ভূগর্ভস্থ এই অগভীর নদীটিতে। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আকার-আকৃতির অসংখ্য চিত্তাকর্ষক স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট।
তিনবার নৌকা বদলিয়ে দেড় কিলোমিটার পাতাল নৌভ্রমণে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আমাদের গাইড ছিলেন প্রাণবন্ত তরুণ আনাস। আমাদের বলছিলেন, কোটি কোটি বছরের ইতিহাস লেখা আছে এখানকার কংক্রিটের কঠিন দেয়ালে। সত্যিই অপূর্ব সুন্দর এক পাতালপুরীর দেশ, অলৌকিক পরাবাস্তব জগৎ। রূপকথাতেও এমন জগতের বর্ণনা পাওয়া যাবে না। মোহাবিষ্ট হতেই হবে।

সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
৪ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পর্যটকের চোখে ‘একই রঙের শহর’
৩২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক ইসাবেল স্মিথ প্রথম সিউলে এসে বিষয়টি স্পষ্টভাবে টের পান। তিনি বলেন, ‘চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম, প্রায় সবাই কালো, সাদা বা ধূসর রঙের পোশাক পরেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল রঙের পোশাক ও গাঢ় মেকআপে অভ্যস্ত স্মিথ সিউলের ভিড়ে নিজেকে কিছুটা বেমানান মনে করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর পোশাকের প্রশংসা করলেও প্রায়ই বলে, ‘এই স্টাইলটা তোমাকে ঠিক মানাচ্ছে না।’ একবার একটি নামী ব্র্যান্ডের দোকানে কমলা রঙের কানের দুল কিনতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোরিয়ায় সেই ডিজাইন বিক্রি হয় না। কারণ হিসেবে বিক্রয়কর্মী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, এই রঙের চাহিদাই নেই।
পরিসংখ্যান যা বলছে
স্মিথের অভিজ্ঞতা কোনো ব্যতিক্রম নয়। সিজে লজিস্টিকসের ‘এভরিডে লাইফ রিপোর্ট’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরিয়ায় পোশাকের মধ্যে কালো রঙের অংশ ৩৮ শতাংশ, সাদা ১৫ শতাংশ এবং ধূসর ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে একরঙের পোশাকের হার দাঁড়ায় ৬২ শতাংশ। কোরিয়ায় পোশাক নির্বাচনে এই রংগুলোর আধিপত্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তথ্য ভোক্তাদের বাস্তব পছন্দের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক চাপ ও ‘মিশে যাওয়ার’ মানসিকতা
৩৪ বছর বয়সী কওন ইউন-জি জানান, তাঁর আলমারির বেশির ভাগ পোশাক সাদা, কালো ও নেভি ব্লু। একসময় লাল ডোরা দেওয়া একটি পোলো শার্ট তাঁর পছন্দ হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নেভি রঙেরটাই কিনেছিলেন। কারণ, তাঁর ভয় ছিল, লাল রংটা হয়তো বেশি চোখে পড়বে। একদিন অফিসে হলুদ রঙের কার্ডিগান পরে যাওয়ার পর সহকর্মীদের নানা মন্তব্য তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে। কওন বলেন, ‘কেউ আমার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করুক সেটা চাই না। শুধু সবার সঙ্গে মিশে থাকতে চাই।’

একটি জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ৪১ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এক রঙের পোশাক বেছে নেয়; যাতে তারা আলাদা করে নজরে না পড়ে। কমিউনিটি ও দলগত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সমাজে খুব আলাদা পোশাক অনেক সময় অদৃশ্য সামাজিক চাপ তৈরি করে।
সংস্কৃতির শিকড় কোথায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা। নিরপেক্ষ রং কোরিয়ান সংস্কৃতিতে বিনয়, সংযম ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। অতীতে কোরিয়ানদের বলা হতো ‘সাদা পোশাকের মানুষ’। কারণ, ঐতিহ্যবাহী সাদা হানবক ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। সময়ের সঙ্গে সেই রুচি সাদা থেকে কালো ও ধূসর রঙেও বদলেছে। আজ এই রংগুলোকে পরিশীলন, স্থিরতা ও আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

ব্যস্ত জীবনে ব্যবহারিক সুবিধা
সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক জীবনের ব্যস্ততাও এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করেছে। ৩৩ বছর বয়সী অফিসকর্মী পার্ক নাম-জিন বলেন, ‘এক রঙের পোশাক পরতে অন্য পোশাকের সঙ্গে সহজে মেলানো যায়। সকালে তৈরি হতে সময় কম লাগে, আবার দেখতেও গোছানো লাগে।’ ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ও সাদা পোশাক প্রায় সব ধরনের কাপড় ও স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ফলে ফ্যাশন বদলেও এগুলো দ্রুত অচল হয়ে পড়ে না। এ কারণেই কালো-সাদা টি-শার্ট সব সময় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
শীতের সিউল আর কালো কোট
শীতকালে সিউলের রাস্তায় তাকালেই চোখে পড়ে কালো লং-প্যাডেড জ্যাকেটের সারি। কারণও খুব সাধারণ, শীতের জ্যাকেট দামি, বারবার কেনা হয় না, আর কালো রং ময়লা সহজে ঢেকে রাখে।
একজন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এখানে রং মানে শুধু পোশাক নয়, এটি হলো সামঞ্জস্য। কী পরছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি চারপাশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে চলছেন।’
সূত্র: কোরিয়া হেরাল্ড

সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পর্যটকের চোখে ‘একই রঙের শহর’
৩২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক ইসাবেল স্মিথ প্রথম সিউলে এসে বিষয়টি স্পষ্টভাবে টের পান। তিনি বলেন, ‘চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম, প্রায় সবাই কালো, সাদা বা ধূসর রঙের পোশাক পরেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল রঙের পোশাক ও গাঢ় মেকআপে অভ্যস্ত স্মিথ সিউলের ভিড়ে নিজেকে কিছুটা বেমানান মনে করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর পোশাকের প্রশংসা করলেও প্রায়ই বলে, ‘এই স্টাইলটা তোমাকে ঠিক মানাচ্ছে না।’ একবার একটি নামী ব্র্যান্ডের দোকানে কমলা রঙের কানের দুল কিনতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোরিয়ায় সেই ডিজাইন বিক্রি হয় না। কারণ হিসেবে বিক্রয়কর্মী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, এই রঙের চাহিদাই নেই।
পরিসংখ্যান যা বলছে
স্মিথের অভিজ্ঞতা কোনো ব্যতিক্রম নয়। সিজে লজিস্টিকসের ‘এভরিডে লাইফ রিপোর্ট’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরিয়ায় পোশাকের মধ্যে কালো রঙের অংশ ৩৮ শতাংশ, সাদা ১৫ শতাংশ এবং ধূসর ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে একরঙের পোশাকের হার দাঁড়ায় ৬২ শতাংশ। কোরিয়ায় পোশাক নির্বাচনে এই রংগুলোর আধিপত্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তথ্য ভোক্তাদের বাস্তব পছন্দের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক চাপ ও ‘মিশে যাওয়ার’ মানসিকতা
৩৪ বছর বয়সী কওন ইউন-জি জানান, তাঁর আলমারির বেশির ভাগ পোশাক সাদা, কালো ও নেভি ব্লু। একসময় লাল ডোরা দেওয়া একটি পোলো শার্ট তাঁর পছন্দ হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নেভি রঙেরটাই কিনেছিলেন। কারণ, তাঁর ভয় ছিল, লাল রংটা হয়তো বেশি চোখে পড়বে। একদিন অফিসে হলুদ রঙের কার্ডিগান পরে যাওয়ার পর সহকর্মীদের নানা মন্তব্য তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে। কওন বলেন, ‘কেউ আমার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করুক সেটা চাই না। শুধু সবার সঙ্গে মিশে থাকতে চাই।’

একটি জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ৪১ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এক রঙের পোশাক বেছে নেয়; যাতে তারা আলাদা করে নজরে না পড়ে। কমিউনিটি ও দলগত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সমাজে খুব আলাদা পোশাক অনেক সময় অদৃশ্য সামাজিক চাপ তৈরি করে।
সংস্কৃতির শিকড় কোথায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা। নিরপেক্ষ রং কোরিয়ান সংস্কৃতিতে বিনয়, সংযম ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। অতীতে কোরিয়ানদের বলা হতো ‘সাদা পোশাকের মানুষ’। কারণ, ঐতিহ্যবাহী সাদা হানবক ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। সময়ের সঙ্গে সেই রুচি সাদা থেকে কালো ও ধূসর রঙেও বদলেছে। আজ এই রংগুলোকে পরিশীলন, স্থিরতা ও আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

ব্যস্ত জীবনে ব্যবহারিক সুবিধা
সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক জীবনের ব্যস্ততাও এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করেছে। ৩৩ বছর বয়সী অফিসকর্মী পার্ক নাম-জিন বলেন, ‘এক রঙের পোশাক পরতে অন্য পোশাকের সঙ্গে সহজে মেলানো যায়। সকালে তৈরি হতে সময় কম লাগে, আবার দেখতেও গোছানো লাগে।’ ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ও সাদা পোশাক প্রায় সব ধরনের কাপড় ও স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ফলে ফ্যাশন বদলেও এগুলো দ্রুত অচল হয়ে পড়ে না। এ কারণেই কালো-সাদা টি-শার্ট সব সময় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
শীতের সিউল আর কালো কোট
শীতকালে সিউলের রাস্তায় তাকালেই চোখে পড়ে কালো লং-প্যাডেড জ্যাকেটের সারি। কারণও খুব সাধারণ, শীতের জ্যাকেট দামি, বারবার কেনা হয় না, আর কালো রং ময়লা সহজে ঢেকে রাখে।
একজন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এখানে রং মানে শুধু পোশাক নয়, এটি হলো সামঞ্জস্য। কী পরছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি চারপাশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে চলছেন।’
সূত্র: কোরিয়া হেরাল্ড

প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিল
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
৪ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিল
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
৪ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।

প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিল
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৪ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

প্রতিবছর অন্তত কিছুদিনের জন্য ফরাসি কায়দায় ছুটি কাটানোর বিলাসী ইচ্ছাকে পরিহার করতে পারি না। এবার ঠিক করেছি নগরী থেকে দূরে, পর্বতে যাব। জায়া, কন্যা, পুত্রসহ আমরা চারজন। গন্তব্য সাঁ-মার্তা। পিরেনিজ পর্বতমালার অদূরে ছবির চেয়ে সুন্দর ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম। আমাদের বর্তমান আবাস তুলুজ শহর থেকে ১০০ কিল
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
৪ ঘণ্টা আগে