Ajker Patrika

নতুন বছরের ভ্রমণ ট্রেন্ড

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ০৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টীয় নববর্ষে হবে নতুন নতুন ভ্রমণ পরিকল্পনা। ফলে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হবে নতুন ভ্রমণ ট্রেন্ড। এমএমজিওয়াইয়ের ‘পোর্ট্রেট অব আমেরিকান ট্রাভেলার্স’-এর ফল এডিশন (সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনুসারে, ১০ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৮ জন আগামী ১২ মাসের মধ্যে একবারের জন্য হলেও ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। নতুন গন্তব্যের অনুপ্রেরণা খুঁজতে ভ্রমণপিয়াসিরা কিছু ট্রেন্ড মেনে চলতে পারেন। তবে এই ট্রেন্ডগুলো ২০২৫ সালে বিপুল জনপ্রিয় হতে চলেছে।

উদ্দেশ্যনির্ভর ভ্রমণ

গত কয়েক বছর ভ্রমণপিয়াসিরা ঐতিহাসিক জায়গাগুলোতে বেশি ভ্রমণ করেছেন। পর্যটকেরা ঐতিহ্য বা পারিবারিক ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত গন্তব্যগুলো পরিদর্শন করে শিকড় খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ঐতিহ্যভিত্তিক ভ্রমণের বাইরেও ভলান্টিয়ার ভ্রমণ, অভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিক ভ্রমণ এবং সংরক্ষণ ভ্রমণও তাঁদের ঘোরাঘুরির অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরেও এই ট্রেন্ড অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ

২০২৪ সালের জনপ্রিয় ভ্রমণপ্রবণতাগুলোর মধ্যে একটি ছিল এপ্রিল মাসের পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা। প্রাকৃতিক বা এক বছরে একবার ঘটে, এমন ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভ্রমণ এ বছরও অব্যাহত থাকবে। পৃথিবীর দক্ষিণাংশে এবার এ ধরনের একাধিক বিশেষ প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। হোক সেটা গ্রেট স্মোকি মাউন্টেইন ন্যাশনাল পার্ক কিংবা কংগারি ন্যাশনাল পার্কে সিঙ্ক্রোনাস ফায়ারফ্লাই দেখতে যাওয়া অথবা ফ্লোরিডার ভেরো বিচে বায়োলুমিনেসেন্ট প্ল্যাংকটন দেখতে কায়াকিং করা। এ ছাড়া উত্তর মেরুর আকাশে উত্তরাংশের আলোকরেখা দেখতে যাওয়া এবার খুব জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির ভ্রমণ

যান্ত্রিক জীবন থেকে স্বস্তি পেতে মূলত ছুটিতে যায় মানুষ। একটা সময় শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ছুটির অর্থ বদলে গেছে অনেকের কাছে। অনেকে ছুটি নিয়ে পাহাড় বা সমুদ্র দর্শনে না গিয়ে বাড়িতে বসে গান শোনেন, নিজের যত্ন নেন, পরিবার বা শুধু নিজেকে সময় দেন। আবার অনেকে ভ্রমণে গিয়ে ঘুরতে বের না হয়ে কোনো স্পাতে একটা ম্যাসাজ নেন কিংবা অন্য কিছু করেন, যা মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি দেয়। এ বছর সেসব হোটেল কিংবা ভ্রমণ গন্তব্য বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে চলেছে; যারা মানুষকে শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক দিকে প্রশান্তি দিতে পারে।

রহস্য উন্মোচন

এ বছর মানুষ অতিপরিচিত গন্তব্যগুলো থেকে দূরে থাকবে। এর বিপরীতে দর্শনার্থীরা এমন কিছু গন্তব্য বেছে নেবে, যেগুলো কম পরিচিত, সাশ্রয়ী এবং তুলনামূলক লোকসমাগম কম; কিন্তু দারুণ চমৎকার।

সূত্র: সাইথেন লিভিং

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপনার কি শুধুই দেরি হয়ে যায়? জেনে নিন বিজ্ঞান কী বলছে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪০
দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে হয় না। এটি মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে হয় না। এটি মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়! ফলে অফিসে আসতে দেরি হয়। এমন মানুষদের সরল বাংলায় বলা হয় ‘লেট লতিফ’। তবে এই লেট লতিফেরা আসলে কেন দেরি করে আসেন, তার কিছু প্রবণতা ব্যাখ্যা করেছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ তাদের দেরি হওয়ার এই অভ্যাসের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।

মনোবিজ্ঞান, ক্রোনোবায়োলজি এবং আচরণগত বিভিন্ন গবেষণা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা জানাচ্ছে, তার মোদ্দাকথা হলো, দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে নয়; বরং এটি আমাদের মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। দেরি করা মানেই সব সময় অনিচ্ছাকৃত অবহেলা নয়। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক গঠনের একটি জটিল প্রতিফলন। নিজের এই প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনলে এই লেট লতিফ তকমা ঘোচানো সম্ভব।

দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

পরিকল্পনার ভুল বা প্ল্যানিং ফ্যালাসি

দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। একে বলা যেতে পারে কগনিটিভ বায়াস বা জ্ঞানীয় পক্ষপাত। অর্থাৎ কোনো কাজ সম্পন্ন করতে আসলে কত সময় লাগবে, তা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে না পারা; বিশেষ করে আশাবাদী মানুষেরা মনে করেন, সবকিছুই খুব মসৃণভাবে চলবে। তাঁরা রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের কথা বিবেচনায় রাখেন না বলে তাঁদের হাতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকে না। ফলে একবার জ্যামে পড়েই সব শেষ। এ ছাড়া অনেকের মধ্যে পার্সোনাল স্পিড ইলিউশন কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সময়সূচি সংকুচিত করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা দেরি করেন।

ব্যক্তিত্বের ধরন: সচেতনতা বনাম বিশৃঙ্খলা

ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যও সময়ানুবর্তিতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেশি, তাঁরা প্রাকৃতিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা করেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেন। ফলে তাঁরা সময়মতো সবখানে পৌঁছাতে পারেন। অন্যদিকে, যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অগোছালো, তাঁদের পক্ষে সময়ের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এটি পরিবর্তনের জন্য আমূল ব্যক্তিত্ব বদলানোর প্রয়োজন নেই। ঘড়ি বা অ্যালার্মের মতো বাহ্যিক সাহায্যের মাধ্যমে এই সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।

বহুমুখী কাজ এবং সংস্কৃতির প্রভাব

যাঁরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের দেরি করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাঁরা ঘড়ির কাঁটার চেয়ে মুহূর্তের গুরুত্ব বা সম্পর্কের ওপর বেশি জোর দেন। ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা সময়ের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর সঙ্গে সংস্কৃতির একটি যোগসূত্র আছে। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিক্রোনিক সংস্কৃতিতে সামাজিক যোগাযোগকে সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর জার্মানি, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে সময়কে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে দেখা হয়। এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও অনেকে নিজের অজান্তে লেট লতিফ হয়ে ওঠেন।

রাতজাগা পাখি ও জৈবিক ঘড়ি

আমাদের শরীরের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম থাকে। যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে নাইট আউল বা রাতজাগা পাখি, তাঁদের মস্তিষ্ক সকালে দেরিতে সক্রিয় হয়। তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন দেরিতে নিঃসৃত হয়। ফলে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই জৈবিক কারণে সকালের প্রতিটি কাজে তাঁদের দেরি হতে থাকে এবং সারা দিন এর প্রভাব বজায় থাকে।

টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব

এডিএইচডি, অটিজম বা ডিসলেক্সিয়ার মতো নিউরোডাইভারজেন্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে প্রায়ই টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব দেখা যায়। তাঁদের কাছে সময় অত্যন্ত অননুমেয়ভাবে অতিবাহিত হয়। তাঁরা কোনো একটি কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার সময়টুকুর হিসাব রাখতে পারেন না। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং তাঁদের মস্তিষ্কের গঠনগত কারণেই তাঁরা সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খান।

সমাধানের পথ কী

বিজ্ঞান শুধু সমস্যার কথাই বলে না। উত্তরণের পথও দেখায়। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—

সময়ের হিসাব দ্বিগুণ করা: কোনো কাজ বা যাতায়াতে যতটুকু সময় লাগবে বলে মনে হয়, হিসাবে তার দ্বিগুণ সময় হাতে রাখা।

বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা: কোথাও যাওয়ার জন্য প্রতিটি ছোট ছোট পদক্ষেপ; যেমন তৈরি হওয়া, জুতা পরা, বের হওয়া ইত্যাদির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা।

বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার: কেবল ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে অ্যালার্ম, চেক লিস্ট বা ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা।

সহমর্মিতা: সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং লেট লতিফদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকে সময়কে ভিন্নভাবে অনুভব করেন। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।

সূত্র: লাইফ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৬ সালে লিপস্টিকের যে ৫টি ট্রেন্ড জনপ্রিয় হবে

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৩
২০২৬ সালে লিপস্টিকের যে ৫টি ট্রেন্ড জনপ্রিয় হবে

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

lipstick-2

স্মোকি রোজ

কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
গথিক ব্ল্যাক

গথিক ব্ল্যাক

যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
ক্লাউড লিপস

ক্লাউড লিপস

এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
ভিনাইল লিপস

ভিনাইল লিপস

যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
চেরি রেড

চেরি রেড

লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।

সূত্র: গ্ল্যামার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব চর্বি কি সবার জন্য সমান ক্ষতিকর

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এই পুরোনো ধারণা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। ছবি: পেক্সেলস
ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এই পুরোনো ধারণা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। ছবি: পেক্সেলস

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?

৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।

পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। ছবি: পেক্সেলস
আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। ছবি: পেক্সেলস

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্‌রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্‌রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।

ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি

গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

মেষ

আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!

বৃষ

আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।

মিথুন

অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।

কর্কট

সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!

সিংহ

স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।

কন্যা

আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।

তুলা

প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!

বৃশ্চিক

সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।

ধনু

আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।

মকর

অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।

কুম্ভ

আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!

মীন

আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত