আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না। কাজের স্ট্রেস নিয়েই যখন অফিসের রেস্ট রুমে গেলেন, তখন আয়নায় তাকিয়ে গালে, কপালে ব্রণের উঁকি দেওয়া চোখে পড়ল। আর চোখের নিচের কালি তো পুরোনো সঙ্গী।
স্ট্রেস বা শারীরিক-মানসিক চাপ যখন বেড়ে যায়, তখন এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় একজিমার মতো চর্মরোগেরও আবির্ভাব হয়। সহজভাবে বললে, আপনি যা অনুভব করেন, তা প্রায়ই আপনার ত্বকে প্রকাশ পায়। বলা যায়, আমাদের ত্বক আমাদের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
মানসিক চাপের প্রভাব
ত্বকে ব্রণ বা চর্মরোগ দেখা দিলে সেটি লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। আর এগুলো থেকে মানসিক অস্বস্তি, লজ্জা এবং শেষ পর্যন্ত সামাজিক জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় অনেকে। মেগান ক্লার্কের মতো অনেকে লজ্জিত বা বিব্রত বোধ করেন, ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক অনুষ্ঠান বা মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এড়িয়ে চলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড মিস প্যালেটেবলের স্বত্বাধিকারী মুক্তা তেওয়ানি বলছিলেন, ‘স্ট্রেস আর উদ্বেগ ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কারও একজিমা, সোরায়াসিস বা সংবেদনশীল ত্বক থাকে। আমার ত্বক খুব সেনসিটিভ। আমার হাতে কেরাটোসিস পিলারিস (ত্বকে শুকনো, খসখসে দাগ আর ছোট ছোট ফুসকুড়ি) হয়। অনেক সময় যখন আমি মানসিক চাপে থাকি, তখন দেখি আমার কেরাটোসিস বেড়ে যায়।’
একজিমা বা ব্রণের মতো সমস্যাগুলোতে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও এমন অবস্থানে দাঁড়ায়, যেখানে মানুষ নিজেকে সমাজ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তবে তাতে আত্মসম্মানবোধ কমে যাওয়া, হতাশা বা নিজের প্রতি বিকৃত ধারণা তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফারনি তাঁর বই হ্যান্ডবুক অব সাইকোডার্মাটোলজিতে দেখিয়েছেন, কীভাবে মানসিক চাপ আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। ফলে ত্বকের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। এই দুর্বলতা নতুন জীবাণুর অনুপ্রবেশ এবং আগে থেকে শরীরে থাকা নিষ্ক্রিয় জীবাণুগুলোর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে।
তিনি লেখেন, কয়েক দশক ধরে মানসিক চাপ ও ত্বকের রোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ত্বক আমাদের শরীরের ভেতরের ও বাইরের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যখন এসব সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় বা ভেঙে পড়ে, তখনই নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

ত্বকের সমস্যাগুলো হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ
দুবাইয়ের এক বিক্রয়কর্মী মেগান ক্লার্ক তাঁর এই সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জানান, চাপ আসলেই তাঁর শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভীষণ অস্বস্তিকর অনুভূতি। হয়তো সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা, আর তখনই হাত-পা চুলকাতে শুরু করে। কখনো কখনো একজিমাও বেড়ে যায় আর তখন আঙুলের চামড়া উঠতে থাকে। কখনো কখনো মলম আর ব্যান্ড-এইড নিয়েই আমার দিন কাটে।’
দুবাইয়ের মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগগুলো শরীরে এমন একধরনের চাপ সৃষ্টি করে, যা অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধী) ও অ্যালার্জি-সংক্রান্ত রোগগুলোর জন্য ট্রিগার বা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।
যখন আপনি উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে থাকেন, তখন শরীর কর্টিসোল নামক একটি স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি করে। কর্টিসোল মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ হাইপোথ্যালামাসকে উদ্দীপ্ত করে, যা আবার কর্টিকোট্রফিন-রিলিজিং হরমোন (সিআরএইচ) তৈরি করে। এই হরমোন চুলের গোড়ার চারপাশে থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ দেখা দেয়।

দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের মানসিক অবসাদে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কর্টিসোল শ্বেতরক্তকণিকার কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর আরও সহজে সংক্রমণ বা ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ছাড়া স্ট্রেসের কারণে অ্যালোপেশিয়ার (চুল পড়ে যাওয়া) মতো অটোইমিউন রোগও শুরু হতে পারে।
ত্বক রক্ষা করবেন কীভাবে
এ ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসার আগে মনের যত্ন নিতে হবে। যাঁরা তীব্র উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পেশাদার মানসিক সহায়তা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দিতে পারি। কারণ, স্ট্রেস থাকলে অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করি না।
তিনি আরও বলেন, জাঙ্ক ফুড তখন সহজে গ্রহণযোগ্য খাবার মনে হলেও এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুডে গ্লাইসেমিক লোড (রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা) অনেক বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায় এবং কিছু নির্দিষ্ট রোগ হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। সুতরাং ত্বকের সমস্যা কমাতে শুধু মলম বা স্কিন কেয়ার নয়; মানসিক স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখাও সমানভাবে প্রয়োজন।
মায়া গেরা বলেন, যখন আপনি মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন (ধ্যান) ও রিল্যাক্সেশনের (অবকাশ যাপন) মতো অভ্যাসগুলো যোগ করতে পারেন। আর যদি আপনি নিজেই বুঝতে না পারেন, কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে নিজের রুটিন তৈরি করবেন, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ কিছু কৌশল
মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনুন
১. রিল্যাক্সেশন অভ্যাস গড়ে তুলুন: নিয়মিত গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান, যোগব্যায়াম (ইয়োগা) বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। এসব অভ্যাস কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসোল হরমোন কম বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্ট্রেস এবং একজিমা বা ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যাগুলো কমে যাবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু স্ট্রেস কমায় না, ত্বকের রক্তসঞ্চালনও বাড়ায়। যার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: ঘুমের ঘাটতি ও স্ট্রেসের প্রভাবে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ত্বকের যত্ন করতে রুটিন তৈরি করুন
১. ত্বককে হাইড্রেট রাখুন: স্ট্রেসের কারণে শরীর ও ত্বক খুব দ্রুত শুষ্ক বা পানিশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে পড়ে, ফলে ত্বক নিস্তেজ বা খসখসে লাগে। সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি ত্বকের উপযোগী একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
২. কঠিন উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন: স্ট্রেসের সময় ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই এমন সময় মাইল্ড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন; যেগুলো ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইলের মতো উপকারী উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
৩. স্ট্রেসজনিত ত্বকের সমস্যা বুঝে পণ্য নিন: যদি আপনার ব্রণ বা ত্বকে লালচে ভাব হওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা নিয়াসিনামাইড-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
১. স্ট্রেস কমায় এমন খাবার খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার; যেমন বেরি, শাকসবজি, বাদাম খেতে পারেন। এগুলো স্ট্রেসের কারণে ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন বা তেলযুক্ত মাছে পাওয়া যায়—প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
২. স্ট্রেস বা ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে এমন খাবার শনাক্ত করুন: অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন, চিনি বা দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। কোন খাবার আপনার ত্বকের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলছে, তা শনাক্ত করে সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন।
৩. ত্বকে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন: মানসিক চাপের সময় অনেকে মুখে বা ত্বকে হওয়া ব্রণ কিংবা চুলকানির স্থানে ঘষতে থাকেন। অনেকে ব্রণ নখ দিয়ে খোঁটেন। যে কারণে যা দাগ, ক্ষত এমনকি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। যতটা সম্ভব মুখে হাত না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: গালফ নিউজ
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না। কাজের স্ট্রেস নিয়েই যখন অফিসের রেস্ট রুমে গেলেন, তখন আয়নায় তাকিয়ে গালে, কপালে ব্রণের উঁকি দেওয়া চোখে পড়ল। আর চোখের নিচের কালি তো পুরোনো সঙ্গী।
স্ট্রেস বা শারীরিক-মানসিক চাপ যখন বেড়ে যায়, তখন এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় একজিমার মতো চর্মরোগেরও আবির্ভাব হয়। সহজভাবে বললে, আপনি যা অনুভব করেন, তা প্রায়ই আপনার ত্বকে প্রকাশ পায়। বলা যায়, আমাদের ত্বক আমাদের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
মানসিক চাপের প্রভাব
ত্বকে ব্রণ বা চর্মরোগ দেখা দিলে সেটি লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। আর এগুলো থেকে মানসিক অস্বস্তি, লজ্জা এবং শেষ পর্যন্ত সামাজিক জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় অনেকে। মেগান ক্লার্কের মতো অনেকে লজ্জিত বা বিব্রত বোধ করেন, ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক অনুষ্ঠান বা মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এড়িয়ে চলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড মিস প্যালেটেবলের স্বত্বাধিকারী মুক্তা তেওয়ানি বলছিলেন, ‘স্ট্রেস আর উদ্বেগ ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কারও একজিমা, সোরায়াসিস বা সংবেদনশীল ত্বক থাকে। আমার ত্বক খুব সেনসিটিভ। আমার হাতে কেরাটোসিস পিলারিস (ত্বকে শুকনো, খসখসে দাগ আর ছোট ছোট ফুসকুড়ি) হয়। অনেক সময় যখন আমি মানসিক চাপে থাকি, তখন দেখি আমার কেরাটোসিস বেড়ে যায়।’
একজিমা বা ব্রণের মতো সমস্যাগুলোতে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও এমন অবস্থানে দাঁড়ায়, যেখানে মানুষ নিজেকে সমাজ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তবে তাতে আত্মসম্মানবোধ কমে যাওয়া, হতাশা বা নিজের প্রতি বিকৃত ধারণা তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফারনি তাঁর বই হ্যান্ডবুক অব সাইকোডার্মাটোলজিতে দেখিয়েছেন, কীভাবে মানসিক চাপ আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। ফলে ত্বকের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। এই দুর্বলতা নতুন জীবাণুর অনুপ্রবেশ এবং আগে থেকে শরীরে থাকা নিষ্ক্রিয় জীবাণুগুলোর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে।
তিনি লেখেন, কয়েক দশক ধরে মানসিক চাপ ও ত্বকের রোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ত্বক আমাদের শরীরের ভেতরের ও বাইরের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যখন এসব সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় বা ভেঙে পড়ে, তখনই নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

ত্বকের সমস্যাগুলো হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ
দুবাইয়ের এক বিক্রয়কর্মী মেগান ক্লার্ক তাঁর এই সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জানান, চাপ আসলেই তাঁর শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভীষণ অস্বস্তিকর অনুভূতি। হয়তো সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা, আর তখনই হাত-পা চুলকাতে শুরু করে। কখনো কখনো একজিমাও বেড়ে যায় আর তখন আঙুলের চামড়া উঠতে থাকে। কখনো কখনো মলম আর ব্যান্ড-এইড নিয়েই আমার দিন কাটে।’
দুবাইয়ের মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগগুলো শরীরে এমন একধরনের চাপ সৃষ্টি করে, যা অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধী) ও অ্যালার্জি-সংক্রান্ত রোগগুলোর জন্য ট্রিগার বা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।
যখন আপনি উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে থাকেন, তখন শরীর কর্টিসোল নামক একটি স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি করে। কর্টিসোল মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ হাইপোথ্যালামাসকে উদ্দীপ্ত করে, যা আবার কর্টিকোট্রফিন-রিলিজিং হরমোন (সিআরএইচ) তৈরি করে। এই হরমোন চুলের গোড়ার চারপাশে থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ দেখা দেয়।

দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের মানসিক অবসাদে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কর্টিসোল শ্বেতরক্তকণিকার কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর আরও সহজে সংক্রমণ বা ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ছাড়া স্ট্রেসের কারণে অ্যালোপেশিয়ার (চুল পড়ে যাওয়া) মতো অটোইমিউন রোগও শুরু হতে পারে।
ত্বক রক্ষা করবেন কীভাবে
এ ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসার আগে মনের যত্ন নিতে হবে। যাঁরা তীব্র উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পেশাদার মানসিক সহায়তা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দিতে পারি। কারণ, স্ট্রেস থাকলে অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করি না।
তিনি আরও বলেন, জাঙ্ক ফুড তখন সহজে গ্রহণযোগ্য খাবার মনে হলেও এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুডে গ্লাইসেমিক লোড (রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা) অনেক বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায় এবং কিছু নির্দিষ্ট রোগ হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। সুতরাং ত্বকের সমস্যা কমাতে শুধু মলম বা স্কিন কেয়ার নয়; মানসিক স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখাও সমানভাবে প্রয়োজন।
মায়া গেরা বলেন, যখন আপনি মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন (ধ্যান) ও রিল্যাক্সেশনের (অবকাশ যাপন) মতো অভ্যাসগুলো যোগ করতে পারেন। আর যদি আপনি নিজেই বুঝতে না পারেন, কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে নিজের রুটিন তৈরি করবেন, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ কিছু কৌশল
মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনুন
১. রিল্যাক্সেশন অভ্যাস গড়ে তুলুন: নিয়মিত গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান, যোগব্যায়াম (ইয়োগা) বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। এসব অভ্যাস কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসোল হরমোন কম বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্ট্রেস এবং একজিমা বা ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যাগুলো কমে যাবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু স্ট্রেস কমায় না, ত্বকের রক্তসঞ্চালনও বাড়ায়। যার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: ঘুমের ঘাটতি ও স্ট্রেসের প্রভাবে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ত্বকের যত্ন করতে রুটিন তৈরি করুন
১. ত্বককে হাইড্রেট রাখুন: স্ট্রেসের কারণে শরীর ও ত্বক খুব দ্রুত শুষ্ক বা পানিশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে পড়ে, ফলে ত্বক নিস্তেজ বা খসখসে লাগে। সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি ত্বকের উপযোগী একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
২. কঠিন উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন: স্ট্রেসের সময় ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই এমন সময় মাইল্ড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন; যেগুলো ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইলের মতো উপকারী উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
৩. স্ট্রেসজনিত ত্বকের সমস্যা বুঝে পণ্য নিন: যদি আপনার ব্রণ বা ত্বকে লালচে ভাব হওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা নিয়াসিনামাইড-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
১. স্ট্রেস কমায় এমন খাবার খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার; যেমন বেরি, শাকসবজি, বাদাম খেতে পারেন। এগুলো স্ট্রেসের কারণে ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন বা তেলযুক্ত মাছে পাওয়া যায়—প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
২. স্ট্রেস বা ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে এমন খাবার শনাক্ত করুন: অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন, চিনি বা দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। কোন খাবার আপনার ত্বকের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলছে, তা শনাক্ত করে সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন।
৩. ত্বকে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন: মানসিক চাপের সময় অনেকে মুখে বা ত্বকে হওয়া ব্রণ কিংবা চুলকানির স্থানে ঘষতে থাকেন। অনেকে ব্রণ নখ দিয়ে খোঁটেন। যে কারণে যা দাগ, ক্ষত এমনকি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। যতটা সম্ভব মুখে হাত না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: গালফ নিউজ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না। কাজের স্ট্রেস নিয়েই যখন অফিসের রেস্ট রুমে গেলেন, তখন আয়নায় তাকিয়ে গালে, কপালে ব্রণের উঁকি দেওয়া চোখে পড়ল। আর চোখের নিচের কালি তো পুরোনো সঙ্গী।
স্ট্রেস বা শারীরিক-মানসিক চাপ যখন বেড়ে যায়, তখন এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় একজিমার মতো চর্মরোগেরও আবির্ভাব হয়। সহজভাবে বললে, আপনি যা অনুভব করেন, তা প্রায়ই আপনার ত্বকে প্রকাশ পায়। বলা যায়, আমাদের ত্বক আমাদের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
মানসিক চাপের প্রভাব
ত্বকে ব্রণ বা চর্মরোগ দেখা দিলে সেটি লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। আর এগুলো থেকে মানসিক অস্বস্তি, লজ্জা এবং শেষ পর্যন্ত সামাজিক জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় অনেকে। মেগান ক্লার্কের মতো অনেকে লজ্জিত বা বিব্রত বোধ করেন, ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক অনুষ্ঠান বা মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এড়িয়ে চলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড মিস প্যালেটেবলের স্বত্বাধিকারী মুক্তা তেওয়ানি বলছিলেন, ‘স্ট্রেস আর উদ্বেগ ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কারও একজিমা, সোরায়াসিস বা সংবেদনশীল ত্বক থাকে। আমার ত্বক খুব সেনসিটিভ। আমার হাতে কেরাটোসিস পিলারিস (ত্বকে শুকনো, খসখসে দাগ আর ছোট ছোট ফুসকুড়ি) হয়। অনেক সময় যখন আমি মানসিক চাপে থাকি, তখন দেখি আমার কেরাটোসিস বেড়ে যায়।’
একজিমা বা ব্রণের মতো সমস্যাগুলোতে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও এমন অবস্থানে দাঁড়ায়, যেখানে মানুষ নিজেকে সমাজ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তবে তাতে আত্মসম্মানবোধ কমে যাওয়া, হতাশা বা নিজের প্রতি বিকৃত ধারণা তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফারনি তাঁর বই হ্যান্ডবুক অব সাইকোডার্মাটোলজিতে দেখিয়েছেন, কীভাবে মানসিক চাপ আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। ফলে ত্বকের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। এই দুর্বলতা নতুন জীবাণুর অনুপ্রবেশ এবং আগে থেকে শরীরে থাকা নিষ্ক্রিয় জীবাণুগুলোর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে।
তিনি লেখেন, কয়েক দশক ধরে মানসিক চাপ ও ত্বকের রোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ত্বক আমাদের শরীরের ভেতরের ও বাইরের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যখন এসব সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় বা ভেঙে পড়ে, তখনই নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

ত্বকের সমস্যাগুলো হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ
দুবাইয়ের এক বিক্রয়কর্মী মেগান ক্লার্ক তাঁর এই সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জানান, চাপ আসলেই তাঁর শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভীষণ অস্বস্তিকর অনুভূতি। হয়তো সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা, আর তখনই হাত-পা চুলকাতে শুরু করে। কখনো কখনো একজিমাও বেড়ে যায় আর তখন আঙুলের চামড়া উঠতে থাকে। কখনো কখনো মলম আর ব্যান্ড-এইড নিয়েই আমার দিন কাটে।’
দুবাইয়ের মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগগুলো শরীরে এমন একধরনের চাপ সৃষ্টি করে, যা অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধী) ও অ্যালার্জি-সংক্রান্ত রোগগুলোর জন্য ট্রিগার বা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।
যখন আপনি উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে থাকেন, তখন শরীর কর্টিসোল নামক একটি স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি করে। কর্টিসোল মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ হাইপোথ্যালামাসকে উদ্দীপ্ত করে, যা আবার কর্টিকোট্রফিন-রিলিজিং হরমোন (সিআরএইচ) তৈরি করে। এই হরমোন চুলের গোড়ার চারপাশে থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ দেখা দেয়।

দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের মানসিক অবসাদে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কর্টিসোল শ্বেতরক্তকণিকার কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর আরও সহজে সংক্রমণ বা ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ছাড়া স্ট্রেসের কারণে অ্যালোপেশিয়ার (চুল পড়ে যাওয়া) মতো অটোইমিউন রোগও শুরু হতে পারে।
ত্বক রক্ষা করবেন কীভাবে
এ ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসার আগে মনের যত্ন নিতে হবে। যাঁরা তীব্র উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পেশাদার মানসিক সহায়তা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দিতে পারি। কারণ, স্ট্রেস থাকলে অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করি না।
তিনি আরও বলেন, জাঙ্ক ফুড তখন সহজে গ্রহণযোগ্য খাবার মনে হলেও এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুডে গ্লাইসেমিক লোড (রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা) অনেক বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায় এবং কিছু নির্দিষ্ট রোগ হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। সুতরাং ত্বকের সমস্যা কমাতে শুধু মলম বা স্কিন কেয়ার নয়; মানসিক স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখাও সমানভাবে প্রয়োজন।
মায়া গেরা বলেন, যখন আপনি মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন (ধ্যান) ও রিল্যাক্সেশনের (অবকাশ যাপন) মতো অভ্যাসগুলো যোগ করতে পারেন। আর যদি আপনি নিজেই বুঝতে না পারেন, কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে নিজের রুটিন তৈরি করবেন, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ কিছু কৌশল
মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনুন
১. রিল্যাক্সেশন অভ্যাস গড়ে তুলুন: নিয়মিত গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান, যোগব্যায়াম (ইয়োগা) বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। এসব অভ্যাস কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসোল হরমোন কম বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্ট্রেস এবং একজিমা বা ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যাগুলো কমে যাবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু স্ট্রেস কমায় না, ত্বকের রক্তসঞ্চালনও বাড়ায়। যার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: ঘুমের ঘাটতি ও স্ট্রেসের প্রভাবে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ত্বকের যত্ন করতে রুটিন তৈরি করুন
১. ত্বককে হাইড্রেট রাখুন: স্ট্রেসের কারণে শরীর ও ত্বক খুব দ্রুত শুষ্ক বা পানিশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে পড়ে, ফলে ত্বক নিস্তেজ বা খসখসে লাগে। সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি ত্বকের উপযোগী একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
২. কঠিন উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন: স্ট্রেসের সময় ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই এমন সময় মাইল্ড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন; যেগুলো ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইলের মতো উপকারী উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
৩. স্ট্রেসজনিত ত্বকের সমস্যা বুঝে পণ্য নিন: যদি আপনার ব্রণ বা ত্বকে লালচে ভাব হওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা নিয়াসিনামাইড-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
১. স্ট্রেস কমায় এমন খাবার খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার; যেমন বেরি, শাকসবজি, বাদাম খেতে পারেন। এগুলো স্ট্রেসের কারণে ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন বা তেলযুক্ত মাছে পাওয়া যায়—প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
২. স্ট্রেস বা ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে এমন খাবার শনাক্ত করুন: অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন, চিনি বা দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। কোন খাবার আপনার ত্বকের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলছে, তা শনাক্ত করে সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন।
৩. ত্বকে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন: মানসিক চাপের সময় অনেকে মুখে বা ত্বকে হওয়া ব্রণ কিংবা চুলকানির স্থানে ঘষতে থাকেন। অনেকে ব্রণ নখ দিয়ে খোঁটেন। যে কারণে যা দাগ, ক্ষত এমনকি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। যতটা সম্ভব মুখে হাত না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: গালফ নিউজ
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না। কাজের স্ট্রেস নিয়েই যখন অফিসের রেস্ট রুমে গেলেন, তখন আয়নায় তাকিয়ে গালে, কপালে ব্রণের উঁকি দেওয়া চোখে পড়ল। আর চোখের নিচের কালি তো পুরোনো সঙ্গী।
স্ট্রেস বা শারীরিক-মানসিক চাপ যখন বেড়ে যায়, তখন এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় একজিমার মতো চর্মরোগেরও আবির্ভাব হয়। সহজভাবে বললে, আপনি যা অনুভব করেন, তা প্রায়ই আপনার ত্বকে প্রকাশ পায়। বলা যায়, আমাদের ত্বক আমাদের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
মানসিক চাপের প্রভাব
ত্বকে ব্রণ বা চর্মরোগ দেখা দিলে সেটি লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। আর এগুলো থেকে মানসিক অস্বস্তি, লজ্জা এবং শেষ পর্যন্ত সামাজিক জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় অনেকে। মেগান ক্লার্কের মতো অনেকে লজ্জিত বা বিব্রত বোধ করেন, ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক অনুষ্ঠান বা মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এড়িয়ে চলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড মিস প্যালেটেবলের স্বত্বাধিকারী মুক্তা তেওয়ানি বলছিলেন, ‘স্ট্রেস আর উদ্বেগ ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কারও একজিমা, সোরায়াসিস বা সংবেদনশীল ত্বক থাকে। আমার ত্বক খুব সেনসিটিভ। আমার হাতে কেরাটোসিস পিলারিস (ত্বকে শুকনো, খসখসে দাগ আর ছোট ছোট ফুসকুড়ি) হয়। অনেক সময় যখন আমি মানসিক চাপে থাকি, তখন দেখি আমার কেরাটোসিস বেড়ে যায়।’
একজিমা বা ব্রণের মতো সমস্যাগুলোতে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও এমন অবস্থানে দাঁড়ায়, যেখানে মানুষ নিজেকে সমাজ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তবে তাতে আত্মসম্মানবোধ কমে যাওয়া, হতাশা বা নিজের প্রতি বিকৃত ধারণা তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফারনি তাঁর বই হ্যান্ডবুক অব সাইকোডার্মাটোলজিতে দেখিয়েছেন, কীভাবে মানসিক চাপ আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। ফলে ত্বকের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। এই দুর্বলতা নতুন জীবাণুর অনুপ্রবেশ এবং আগে থেকে শরীরে থাকা নিষ্ক্রিয় জীবাণুগুলোর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে।
তিনি লেখেন, কয়েক দশক ধরে মানসিক চাপ ও ত্বকের রোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ত্বক আমাদের শরীরের ভেতরের ও বাইরের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যখন এসব সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় বা ভেঙে পড়ে, তখনই নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

ত্বকের সমস্যাগুলো হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ
দুবাইয়ের এক বিক্রয়কর্মী মেগান ক্লার্ক তাঁর এই সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জানান, চাপ আসলেই তাঁর শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এটা ভীষণ অস্বস্তিকর অনুভূতি। হয়তো সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা, আর তখনই হাত-পা চুলকাতে শুরু করে। কখনো কখনো একজিমাও বেড়ে যায় আর তখন আঙুলের চামড়া উঠতে থাকে। কখনো কখনো মলম আর ব্যান্ড-এইড নিয়েই আমার দিন কাটে।’
দুবাইয়ের মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগগুলো শরীরে এমন একধরনের চাপ সৃষ্টি করে, যা অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধী) ও অ্যালার্জি-সংক্রান্ত রোগগুলোর জন্য ট্রিগার বা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।
যখন আপনি উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে থাকেন, তখন শরীর কর্টিসোল নামক একটি স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি করে। কর্টিসোল মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ হাইপোথ্যালামাসকে উদ্দীপ্ত করে, যা আবার কর্টিকোট্রফিন-রিলিজিং হরমোন (সিআরএইচ) তৈরি করে। এই হরমোন চুলের গোড়ার চারপাশে থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ দেখা দেয়।

দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের মানসিক অবসাদে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কর্টিসোল শ্বেতরক্তকণিকার কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর আরও সহজে সংক্রমণ বা ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ছাড়া স্ট্রেসের কারণে অ্যালোপেশিয়ার (চুল পড়ে যাওয়া) মতো অটোইমিউন রোগও শুরু হতে পারে।
ত্বক রক্ষা করবেন কীভাবে
এ ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসার আগে মনের যত্ন নিতে হবে। যাঁরা তীব্র উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পেশাদার মানসিক সহায়তা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী মায়া গেরা বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দিতে পারি। কারণ, স্ট্রেস থাকলে অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করি না।
তিনি আরও বলেন, জাঙ্ক ফুড তখন সহজে গ্রহণযোগ্য খাবার মনে হলেও এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুডে গ্লাইসেমিক লোড (রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা) অনেক বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায় এবং কিছু নির্দিষ্ট রোগ হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। সুতরাং ত্বকের সমস্যা কমাতে শুধু মলম বা স্কিন কেয়ার নয়; মানসিক স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখাও সমানভাবে প্রয়োজন।
মায়া গেরা বলেন, যখন আপনি মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন (ধ্যান) ও রিল্যাক্সেশনের (অবকাশ যাপন) মতো অভ্যাসগুলো যোগ করতে পারেন। আর যদি আপনি নিজেই বুঝতে না পারেন, কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে নিজের রুটিন তৈরি করবেন, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ কিছু কৌশল
মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনুন
১. রিল্যাক্সেশন অভ্যাস গড়ে তুলুন: নিয়মিত গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান, যোগব্যায়াম (ইয়োগা) বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। এসব অভ্যাস কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসোল হরমোন কম বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্ট্রেস এবং একজিমা বা ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যাগুলো কমে যাবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু স্ট্রেস কমায় না, ত্বকের রক্তসঞ্চালনও বাড়ায়। যার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: ঘুমের ঘাটতি ও স্ট্রেসের প্রভাবে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ত্বকের যত্ন করতে রুটিন তৈরি করুন
১. ত্বককে হাইড্রেট রাখুন: স্ট্রেসের কারণে শরীর ও ত্বক খুব দ্রুত শুষ্ক বা পানিশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে পড়ে, ফলে ত্বক নিস্তেজ বা খসখসে লাগে। সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি ত্বকের উপযোগী একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
২. কঠিন উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন: স্ট্রেসের সময় ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই এমন সময় মাইল্ড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন; যেগুলো ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইলের মতো উপকারী উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
৩. স্ট্রেসজনিত ত্বকের সমস্যা বুঝে পণ্য নিন: যদি আপনার ব্রণ বা ত্বকে লালচে ভাব হওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা নিয়াসিনামাইড-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
১. স্ট্রেস কমায় এমন খাবার খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার; যেমন বেরি, শাকসবজি, বাদাম খেতে পারেন। এগুলো স্ট্রেসের কারণে ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন বা তেলযুক্ত মাছে পাওয়া যায়—প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
২. স্ট্রেস বা ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে এমন খাবার শনাক্ত করুন: অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন, চিনি বা দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। কোন খাবার আপনার ত্বকের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলছে, তা শনাক্ত করে সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন।
৩. ত্বকে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন: মানসিক চাপের সময় অনেকে মুখে বা ত্বকে হওয়া ব্রণ কিংবা চুলকানির স্থানে ঘষতে থাকেন। অনেকে ব্রণ নখ দিয়ে খোঁটেন। যে কারণে যা দাগ, ক্ষত এমনকি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। যতটা সম্ভব মুখে হাত না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: গালফ নিউজ

নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য।
৫ ঘণ্টা আগে
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য। আপনার কাছে সুষম খাদ্য মানে কী। এটি কি কেবল কম খাওয়া বা ক্যালরি গণনা করা? না, এটি আপনার শরীরকে সঠিক পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার একটি মাধ্যম। টেকসই স্বাস্থ্য শুরু হয় আপনার শরীরের আসলে কী প্রয়োজন, তা বোঝার মধ্য দিয়ে। এই উপলব্ধি আপনাকে খাবারের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন আনতে এবং দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। তবে একটি দীর্ঘস্থায়ী ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস কীভাবে তৈরি করতে হয়, তা হয়তো অনেকে বুঝতে পারেন না। তাই ২০২৬ সালে পা দিয়ে আপনার স্বাস্থ্যযাত্রাকে স্থায়ী করতে ডায়েট প্ল্যানে কোন ভুলগুলো করা যাবে না, তা জেনে রাখা জরুরি। এতে আপনার ডায়েট যাত্রার শুরুটা ভালো হবে।
জেন-জি ট্রেন্ড আর অন্ধ অনুকরণের ফাঁদ
বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ভুল হলো তারা অন্যের দেখাদেখি হুজুগে ডায়েট শুরু করে। কোনো একটি পদ্ধতি একজনের জন্য কাজ করছে মানেই যে আপনার শরীরের জন্য তা কার্যকর হবে, এমনটা নয়। ধৈর্যহীন আর অহেতুক কৌতূহলে ঘন ঘন ডায়েট প্ল্যান বদলানো ওজন কমানোর বদলে স্বাস্থ্যঝুঁকি আর মানসিক অবসাদ তৈরি করে।
ওজনের কাঁটা নয়, নজর দিন পুষ্টিতে
ওজন কমানো মানেই খাবার খাওয়া কমিয়ে দেওয়া বা ক্যালরি গণনা করা নয়। পুষ্টি বিসর্জন দিয়ে ওজন কমাতে গিয়ে অনেক সময় আমরা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা ডেকে আনি। ফলের রস বা ফ্যাড ডায়েটের বদলে আপনার পাতে যেন থাকে পর্যাপ্ত ফলমূল, শাকসবজি, লিন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন যেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান খাবারে উপস্থিত থাকে। শরীরে কোনো পুষ্টির ঘাটতি (যেমন: ভিটামিন ডি, আয়রন) আছে কি না, তা জানতে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। লক্ষ্য হওয়া উচিত শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেওয়া, কেবল ক্যালরি কমানো নয়।
বার্ষিক নয়, মাসিক লক্ষ্য স্থির করুন
পুরো বছরের জন্য বিশাল লক্ষ্য নির্ধারণ না করে মাসিক লক্ষ্য সেট করুন। যেমন মাসে দুই কেজি কমানোর লক্ষ্য ধরুন। এটি শুনতে ছোট মনে হলেও বছরে তা ২৪ কেজি দাঁড়ায়। যা একটি চমৎকার এবং স্বাস্থ্যকর অর্জন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। বেলা তিনটার পর ক্যাফেইন বা কফিজাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার অভ্যাস করে তুলুন। ঘুমানোর আগে ২০ মিনিটের একটি রিল্যাক্সেশন বা শরীর শিথিল করার নিয়ম তৈরি করুন। অবাস্তব টার্গেট আপনাকে ব্যর্থতার অনুভূতি দেয়, যা আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। এর চেয়ে দৈনন্দিন করা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে আগে ঝেড়ে ফেলুন নিজের জীবন থেকে।

’স্মার্ট’ (SMART) ফর্মুলায় হোক লক্ষ্য নির্ধারণ
আপনার স্বাস্থ্য লক্ষ্যগুলো হতে হবে নির্দিষ্ট (Specific), পরিমাপযোগ্য (Measurable), অর্জনযোগ্য (Achievable), প্রাসঙ্গিক (Relevant) এবং সময়োপযোগী (Time-bound)। যেমন ‘আমি মেদ কমাব’ না বলে বলুন, ‘আমি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে হাঁটব।’ এতে আপনার মস্তিষ্কের জন্য কাজটি সহজ মনে হয়। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে চিনিযুক্ত পানীয়র পরিবর্তে পানি পান করুন। শরীরের গঠন উন্নত করতে প্রতি সপ্তাহে ওয়েট ট্রেনিং করতে পারেন।

সুস্থতার চার স্তম্ভের সমন্বয়
ডায়েট মানেই শুধু খাবার আর ব্যায়াম নয়, এটি চারটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে:
শারীরিক স্বাস্থ্য: সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যায়াম ও বিশ্রাম।
মানসিক সুস্থতা: স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও ডিজিটাল ডিটক্স।
পুষ্টিকর অভ্যাস: ৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ (৮০% স্বাস্থ্যকর খাবার, ২০% প্রিয় খাবার)।
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য: নিয়মিত চেকআপ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
ধৈর্যের পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
মনে রাখবেন, জীবনযাত্রার পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ। অন্যের এক মাসের অর্জনের সঙ্গে নিজের তুলনা না করে নিজের শরীরের চাহিদা বুঝুন। বিশেষ করে মেনোপজ বা মাঝবয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডায়েট চার্টটি বিশেষায়িত হতে হবে। আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে নিজে থেকে ইন্টারনেটের ডায়েট ফলো না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পার্সোনালাইজড ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। সুস্থতা কোনো গন্তব্য নয়, এটি একটি পথচলা; যা শুরু হয় আপনার প্লেটের সচেতন সিদ্ধান্ত দিয়ে। ২০২৬ সালের ডায়েট হোক প্রতিশ্রুতিমুক্ত এবং পরিকল্পনাময়। নিজেকে বঞ্চিত না করে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস, মিয়ামি লেক মেডিকেল সেন্টার

নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য। আপনার কাছে সুষম খাদ্য মানে কী। এটি কি কেবল কম খাওয়া বা ক্যালরি গণনা করা? না, এটি আপনার শরীরকে সঠিক পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার একটি মাধ্যম। টেকসই স্বাস্থ্য শুরু হয় আপনার শরীরের আসলে কী প্রয়োজন, তা বোঝার মধ্য দিয়ে। এই উপলব্ধি আপনাকে খাবারের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন আনতে এবং দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। তবে একটি দীর্ঘস্থায়ী ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস কীভাবে তৈরি করতে হয়, তা হয়তো অনেকে বুঝতে পারেন না। তাই ২০২৬ সালে পা দিয়ে আপনার স্বাস্থ্যযাত্রাকে স্থায়ী করতে ডায়েট প্ল্যানে কোন ভুলগুলো করা যাবে না, তা জেনে রাখা জরুরি। এতে আপনার ডায়েট যাত্রার শুরুটা ভালো হবে।
জেন-জি ট্রেন্ড আর অন্ধ অনুকরণের ফাঁদ
বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ভুল হলো তারা অন্যের দেখাদেখি হুজুগে ডায়েট শুরু করে। কোনো একটি পদ্ধতি একজনের জন্য কাজ করছে মানেই যে আপনার শরীরের জন্য তা কার্যকর হবে, এমনটা নয়। ধৈর্যহীন আর অহেতুক কৌতূহলে ঘন ঘন ডায়েট প্ল্যান বদলানো ওজন কমানোর বদলে স্বাস্থ্যঝুঁকি আর মানসিক অবসাদ তৈরি করে।
ওজনের কাঁটা নয়, নজর দিন পুষ্টিতে
ওজন কমানো মানেই খাবার খাওয়া কমিয়ে দেওয়া বা ক্যালরি গণনা করা নয়। পুষ্টি বিসর্জন দিয়ে ওজন কমাতে গিয়ে অনেক সময় আমরা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা ডেকে আনি। ফলের রস বা ফ্যাড ডায়েটের বদলে আপনার পাতে যেন থাকে পর্যাপ্ত ফলমূল, শাকসবজি, লিন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন যেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান খাবারে উপস্থিত থাকে। শরীরে কোনো পুষ্টির ঘাটতি (যেমন: ভিটামিন ডি, আয়রন) আছে কি না, তা জানতে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। লক্ষ্য হওয়া উচিত শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেওয়া, কেবল ক্যালরি কমানো নয়।
বার্ষিক নয়, মাসিক লক্ষ্য স্থির করুন
পুরো বছরের জন্য বিশাল লক্ষ্য নির্ধারণ না করে মাসিক লক্ষ্য সেট করুন। যেমন মাসে দুই কেজি কমানোর লক্ষ্য ধরুন। এটি শুনতে ছোট মনে হলেও বছরে তা ২৪ কেজি দাঁড়ায়। যা একটি চমৎকার এবং স্বাস্থ্যকর অর্জন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। বেলা তিনটার পর ক্যাফেইন বা কফিজাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার অভ্যাস করে তুলুন। ঘুমানোর আগে ২০ মিনিটের একটি রিল্যাক্সেশন বা শরীর শিথিল করার নিয়ম তৈরি করুন। অবাস্তব টার্গেট আপনাকে ব্যর্থতার অনুভূতি দেয়, যা আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। এর চেয়ে দৈনন্দিন করা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে আগে ঝেড়ে ফেলুন নিজের জীবন থেকে।

’স্মার্ট’ (SMART) ফর্মুলায় হোক লক্ষ্য নির্ধারণ
আপনার স্বাস্থ্য লক্ষ্যগুলো হতে হবে নির্দিষ্ট (Specific), পরিমাপযোগ্য (Measurable), অর্জনযোগ্য (Achievable), প্রাসঙ্গিক (Relevant) এবং সময়োপযোগী (Time-bound)। যেমন ‘আমি মেদ কমাব’ না বলে বলুন, ‘আমি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে হাঁটব।’ এতে আপনার মস্তিষ্কের জন্য কাজটি সহজ মনে হয়। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে চিনিযুক্ত পানীয়র পরিবর্তে পানি পান করুন। শরীরের গঠন উন্নত করতে প্রতি সপ্তাহে ওয়েট ট্রেনিং করতে পারেন।

সুস্থতার চার স্তম্ভের সমন্বয়
ডায়েট মানেই শুধু খাবার আর ব্যায়াম নয়, এটি চারটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে:
শারীরিক স্বাস্থ্য: সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যায়াম ও বিশ্রাম।
মানসিক সুস্থতা: স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও ডিজিটাল ডিটক্স।
পুষ্টিকর অভ্যাস: ৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ (৮০% স্বাস্থ্যকর খাবার, ২০% প্রিয় খাবার)।
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য: নিয়মিত চেকআপ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
ধৈর্যের পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
মনে রাখবেন, জীবনযাত্রার পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ। অন্যের এক মাসের অর্জনের সঙ্গে নিজের তুলনা না করে নিজের শরীরের চাহিদা বুঝুন। বিশেষ করে মেনোপজ বা মাঝবয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডায়েট চার্টটি বিশেষায়িত হতে হবে। আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে নিজে থেকে ইন্টারনেটের ডায়েট ফলো না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পার্সোনালাইজড ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। সুস্থতা কোনো গন্তব্য নয়, এটি একটি পথচলা; যা শুরু হয় আপনার প্লেটের সচেতন সিদ্ধান্ত দিয়ে। ২০২৬ সালের ডায়েট হোক প্রতিশ্রুতিমুক্ত এবং পরিকল্পনাময়। নিজেকে বঞ্চিত না করে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস, মিয়ামি লেক মেডিকেল সেন্টার
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পর্যটকের চোখে ‘একই রঙের শহর’
৩২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক ইসাবেল স্মিথ প্রথম সিউলে এসে বিষয়টি স্পষ্টভাবে টের পান। তিনি বলেন, ‘চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম, প্রায় সবাই কালো, সাদা বা ধূসর রঙের পোশাক পরেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল রঙের পোশাক ও গাঢ় মেকআপে অভ্যস্ত স্মিথ সিউলের ভিড়ে নিজেকে কিছুটা বেমানান মনে করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর পোশাকের প্রশংসা করলেও প্রায়ই বলে, ‘এই স্টাইলটা তোমাকে ঠিক মানাচ্ছে না।’ একবার একটি নামী ব্র্যান্ডের দোকানে কমলা রঙের কানের দুল কিনতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোরিয়ায় সেই ডিজাইন বিক্রি হয় না। কারণ হিসেবে বিক্রয়কর্মী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, এই রঙের চাহিদাই নেই।
পরিসংখ্যান যা বলছে
স্মিথের অভিজ্ঞতা কোনো ব্যতিক্রম নয়। সিজে লজিস্টিকসের ‘এভরিডে লাইফ রিপোর্ট’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরিয়ায় পোশাকের মধ্যে কালো রঙের অংশ ৩৮ শতাংশ, সাদা ১৫ শতাংশ এবং ধূসর ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে একরঙের পোশাকের হার দাঁড়ায় ৬২ শতাংশ। কোরিয়ায় পোশাক নির্বাচনে এই রংগুলোর আধিপত্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তথ্য ভোক্তাদের বাস্তব পছন্দের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক চাপ ও ‘মিশে যাওয়ার’ মানসিকতা
৩৪ বছর বয়সী কওন ইউন-জি জানান, তাঁর আলমারির বেশির ভাগ পোশাক সাদা, কালো ও নেভি ব্লু। একসময় লাল ডোরা দেওয়া একটি পোলো শার্ট তাঁর পছন্দ হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নেভি রঙেরটাই কিনেছিলেন। কারণ, তাঁর ভয় ছিল, লাল রংটা হয়তো বেশি চোখে পড়বে। একদিন অফিসে হলুদ রঙের কার্ডিগান পরে যাওয়ার পর সহকর্মীদের নানা মন্তব্য তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে। কওন বলেন, ‘কেউ আমার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করুক সেটা চাই না। শুধু সবার সঙ্গে মিশে থাকতে চাই।’

একটি জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ৪১ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এক রঙের পোশাক বেছে নেয়; যাতে তারা আলাদা করে নজরে না পড়ে। কমিউনিটি ও দলগত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সমাজে খুব আলাদা পোশাক অনেক সময় অদৃশ্য সামাজিক চাপ তৈরি করে।
সংস্কৃতির শিকড় কোথায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা। নিরপেক্ষ রং কোরিয়ান সংস্কৃতিতে বিনয়, সংযম ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। অতীতে কোরিয়ানদের বলা হতো ‘সাদা পোশাকের মানুষ’। কারণ, ঐতিহ্যবাহী সাদা হানবক ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। সময়ের সঙ্গে সেই রুচি সাদা থেকে কালো ও ধূসর রঙেও বদলেছে। আজ এই রংগুলোকে পরিশীলন, স্থিরতা ও আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

ব্যস্ত জীবনে ব্যবহারিক সুবিধা
সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক জীবনের ব্যস্ততাও এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করেছে। ৩৩ বছর বয়সী অফিসকর্মী পার্ক নাম-জিন বলেন, ‘এক রঙের পোশাক পরতে অন্য পোশাকের সঙ্গে সহজে মেলানো যায়। সকালে তৈরি হতে সময় কম লাগে, আবার দেখতেও গোছানো লাগে।’ ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ও সাদা পোশাক প্রায় সব ধরনের কাপড় ও স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ফলে ফ্যাশন বদলেও এগুলো দ্রুত অচল হয়ে পড়ে না। এ কারণেই কালো-সাদা টি-শার্ট সব সময় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
শীতের সিউল আর কালো কোট
শীতকালে সিউলের রাস্তায় তাকালেই চোখে পড়ে কালো লং-প্যাডেড জ্যাকেটের সারি। কারণও খুব সাধারণ, শীতের জ্যাকেট দামি, বারবার কেনা হয় না, আর কালো রং ময়লা সহজে ঢেকে রাখে।
একজন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এখানে রং মানে শুধু পোশাক নয়, এটি হলো সামঞ্জস্য। কী পরছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি চারপাশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে চলছেন।’
সূত্র: কোরিয়া হেরাল্ড

সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পর্যটকের চোখে ‘একই রঙের শহর’
৩২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক ইসাবেল স্মিথ প্রথম সিউলে এসে বিষয়টি স্পষ্টভাবে টের পান। তিনি বলেন, ‘চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম, প্রায় সবাই কালো, সাদা বা ধূসর রঙের পোশাক পরেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল রঙের পোশাক ও গাঢ় মেকআপে অভ্যস্ত স্মিথ সিউলের ভিড়ে নিজেকে কিছুটা বেমানান মনে করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর পোশাকের প্রশংসা করলেও প্রায়ই বলে, ‘এই স্টাইলটা তোমাকে ঠিক মানাচ্ছে না।’ একবার একটি নামী ব্র্যান্ডের দোকানে কমলা রঙের কানের দুল কিনতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোরিয়ায় সেই ডিজাইন বিক্রি হয় না। কারণ হিসেবে বিক্রয়কর্মী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, এই রঙের চাহিদাই নেই।
পরিসংখ্যান যা বলছে
স্মিথের অভিজ্ঞতা কোনো ব্যতিক্রম নয়। সিজে লজিস্টিকসের ‘এভরিডে লাইফ রিপোর্ট’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরিয়ায় পোশাকের মধ্যে কালো রঙের অংশ ৩৮ শতাংশ, সাদা ১৫ শতাংশ এবং ধূসর ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে একরঙের পোশাকের হার দাঁড়ায় ৬২ শতাংশ। কোরিয়ায় পোশাক নির্বাচনে এই রংগুলোর আধিপত্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তথ্য ভোক্তাদের বাস্তব পছন্দের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক চাপ ও ‘মিশে যাওয়ার’ মানসিকতা
৩৪ বছর বয়সী কওন ইউন-জি জানান, তাঁর আলমারির বেশির ভাগ পোশাক সাদা, কালো ও নেভি ব্লু। একসময় লাল ডোরা দেওয়া একটি পোলো শার্ট তাঁর পছন্দ হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নেভি রঙেরটাই কিনেছিলেন। কারণ, তাঁর ভয় ছিল, লাল রংটা হয়তো বেশি চোখে পড়বে। একদিন অফিসে হলুদ রঙের কার্ডিগান পরে যাওয়ার পর সহকর্মীদের নানা মন্তব্য তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে। কওন বলেন, ‘কেউ আমার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করুক সেটা চাই না। শুধু সবার সঙ্গে মিশে থাকতে চাই।’

একটি জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ৪১ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এক রঙের পোশাক বেছে নেয়; যাতে তারা আলাদা করে নজরে না পড়ে। কমিউনিটি ও দলগত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সমাজে খুব আলাদা পোশাক অনেক সময় অদৃশ্য সামাজিক চাপ তৈরি করে।
সংস্কৃতির শিকড় কোথায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা। নিরপেক্ষ রং কোরিয়ান সংস্কৃতিতে বিনয়, সংযম ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। অতীতে কোরিয়ানদের বলা হতো ‘সাদা পোশাকের মানুষ’। কারণ, ঐতিহ্যবাহী সাদা হানবক ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। সময়ের সঙ্গে সেই রুচি সাদা থেকে কালো ও ধূসর রঙেও বদলেছে। আজ এই রংগুলোকে পরিশীলন, স্থিরতা ও আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

ব্যস্ত জীবনে ব্যবহারিক সুবিধা
সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক জীবনের ব্যস্ততাও এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করেছে। ৩৩ বছর বয়সী অফিসকর্মী পার্ক নাম-জিন বলেন, ‘এক রঙের পোশাক পরতে অন্য পোশাকের সঙ্গে সহজে মেলানো যায়। সকালে তৈরি হতে সময় কম লাগে, আবার দেখতেও গোছানো লাগে।’ ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ও সাদা পোশাক প্রায় সব ধরনের কাপড় ও স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ফলে ফ্যাশন বদলেও এগুলো দ্রুত অচল হয়ে পড়ে না। এ কারণেই কালো-সাদা টি-শার্ট সব সময় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
শীতের সিউল আর কালো কোট
শীতকালে সিউলের রাস্তায় তাকালেই চোখে পড়ে কালো লং-প্যাডেড জ্যাকেটের সারি। কারণও খুব সাধারণ, শীতের জ্যাকেট দামি, বারবার কেনা হয় না, আর কালো রং ময়লা সহজে ঢেকে রাখে।
একজন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এখানে রং মানে শুধু পোশাক নয়, এটি হলো সামঞ্জস্য। কী পরছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি চারপাশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে চলছেন।’
সূত্র: কোরিয়া হেরাল্ড
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য।
৫ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য।
৫ ঘণ্টা আগে
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।
অফিসের ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না, বাড়ছে বাড়িভাড়া, সন্তানের স্কুল খরচ। প্রতি রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন আহমেদের। সকালে সারা দিনের রান্না শেষে স্বামী-সন্তানসহ তৈরি হয়ে বের হওয়ার এক কর্মযজ্ঞ চলে। ঠিকমতো আয়নায় নিজেকে দেখার সুযোগ মেলে না।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
নতুন বছর মানেই ডায়েট নিয়ে একগাদা জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি আসার আগেই বেশির ভাগ মানুষের সেই উৎসাহের বেলুন ফুস করে ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ‘ক্রাশ ডায়েট’ বা অবাস্তব লক্ষ্য।
৫ ঘণ্টা আগে
সিউলে ঘুরতে এলে অনেক পর্যটক কিমচি বা কে-পপ ছাড়া আরেকটি বিষয় দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হন। সেটি হলো কোরিয়ানদের পোশাকের রং। রাস্তাঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আধিক্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোরিয়ায় পরা মোট পোশাকের ৬০ শতাংশের বেশি এই তিনটি রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে