আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ। এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মেটার তিনটি নতুন স্মার্ট গ্লাস এবং এআইভিত্তিক নতুন কিছু ফিচার।
এই নতুন স্মার্ট চশমাগুলো ব্যবহারকারীদের ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর পরিবর্তে সরাসরি এআই প্রযুক্তি, মেসেজ, ছবি এবং অনলাইন জীবনের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেবে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘চশমা হল ব্যক্তিগত সুপার ইন্টেলিজেন্সের আদর্শ ফর্ম ফ্যাক্টর। কারণ এটি আপনাকে বর্তমানে উপস্থিত থাকতে দেয় এবং একই সঙ্গে এআই ক্ষমতা ব্যবহার করে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে, ভালো যোগাযোগ করতে, স্মৃতি ও ইন্দ্রিয় উন্নত করতে সাহায্য করে।’
স্মার্ট চশমা এখনো বেশ নিস্তেজ পণ্য হলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মেটার অংশীদার ‘রে-ব্যান’ এর মূল প্রতিষ্ঠান এসিলরলুক্সোটিকা জানিয়েছে, মেটার স্মার্ট চশমার আয় বছরে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। তারা ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ কোটি চশমা উৎপাদনের লক্ষ্য রাখছে।
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানান, মেটার স্মার্ট চশমার বিক্রির প্রবণতা সবচেয়ে জনপ্রিয় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সগুলোর মতোই।
যদিও মেটা স্মার্ট চশমার বাজারে আগে এসেছে, গুগল, স্যামসাং, স্ন্যাপ এবং সম্ভাব্য আমাজন এর মতো বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রমেই এই খাতে প্রবেশ করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
মেটা রে-ব্যান ডিসপ্লে চশমা
এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন এটি। গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর এটিই প্রথম কোনো বড় ব্র্যান্ডের স্মার্ট গ্লাস, যাতে একটি হেডস-আপ ডিসপ্লে (HUD) রয়েছে।
মেটা বলেছে, রে-ব্যান স্মার্ট চশমাগুলো ‘আপনি যা দেখছেন এবং শোনাচ্ছেন তা দেখতে এবং শুনতে পারে।’ এবার নতুন রেই-ব্যান ডিসপ্লেতে ডান লেন্সের ভেতরে একটি ছোট ডিসপ্লে রয়েছে, যা শুধু ব্যবহারকারী দেখতে পায়।
ফোনের স্ক্রিনে যা করা যায়, তাই এর ডিসপ্লেতে করা সম্ভব। যেমন: মেসেজ দেখা ও পাঠানো, ছবি–ভিডিও ধারণ ও রিভিউ, ইনস্টাগ্রাম রিল দেখা, ভিডিও কল করা যেখানে কলের অন্য প্রান্তের মানুষকে দেখা যাবে।
নেভিগেশন ফিচার দিয়ে চলাফেরার সময় রিয়েল-টাইম ম্যাপ দেখা যাবে। লাইভ ক্যাপশন ও অনুবাদ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা কথোপকথন চলাকালীন কথাগুলো দেখাবে এবং সেই ক্যাপশনগুলো মেটা এআই অ্যাপে সংরক্ষণ হবে।
ব্যবহারকারীরা মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রশ্ন করতে পারবে, যার উত্তর ডিসপ্লেতে তথ্য প্যানেল হিসেবে দেখানো হবে এবং অডিও আকারেও পাওয়া যাবে।
আগের মডেলগুলো শুধুমাত্র ভয়েস কমান্ডে কাজ করত, এবার ‘নিউরাল’ রিস্টব্যান্ডের মাধ্যমে হাতের বিভিন্ন ইশারায় নিয়ন্ত্রণের সুবিধা এসেছে। যেমন: বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী আঙুল একসঙ্গে ট্যাপ করলে মিউজিক চালু হবে।
ডিসপ্লেটি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীই দেখতে পারে, যা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে। তবে এটি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর মুহূর্ত সৃষ্টি করতে পারে যখন অন্যরা বুঝতে পারবে না আপনি কথোপকথনের মাঝে টেক্সট পড়ছেন। ব্যবহারকারী চাইলে ডিসপ্লে বন্ধ করে সাধারণ চশমার মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা এমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডিজাইন করি যা শক্তিশালী টুল যখন দরকার তখন পাওয়া যায় এবং যখন দরকার না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে যায়।’
গুগলের ২০১৩ সালের গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। ডিসপ্লেগুলো দেখতে স্বাভাবিক চশমার মতো হলেও একটু ভারী।
একবার চার্জে ডিসপ্লে ৬ ঘণ্টা চলবে, চার্জিং কেসে ৩০ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি আছে। রিস্টব্যান্ডের ব্যাটারি ১৮ ঘণ্টা চলে এবং এটি পানি প্রতিরোধী।
মেটা রেই-ব্যান ডিসপ্লে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭৯৯ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নির্বাচিত স্টোরে বিক্রি শুরু হবে। যেমন: ভেরিজন, লেন্সক্রাফটার, রেই-ব্যান ও বেস্ট বাই।
রেই-ব্যান মেটা জেন ২
এই স্মার্ট চশমা দেখতে আগের মতো হলেও রং, ব্যাটারি লাইফ ও ক্যামেরা আপডেট করা হয়েছে। ব্যাটারি লাইফ এখন ৮ ঘণ্টা এবং চার্জিং কেস ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি দেয়।
স্মার্ট চশমাটি ৩কে মানের ভিডিও ধারণ ক্ষমতা আছে, এই শরতে স্লো মোশন ও হাইপারল্যাপস ভিডিওর আপডেট আসবে। একটি নতুন ‘কনভারসেশন ফোকাস’ ফিচার আনা হয়েছে, যা কোলাহল পূর্ণ জায়গায় কথোপকথন সহজ করবে, চশমার ওপেন-ইয়ার স্পিকার অন্য ব্যক্তির কণ্ঠকে তীব্র করবে।
স্মার্ট চশমার এই প্রযুক্তি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। সম্মেলনে পণ্যটির বিভিন্ন ফিচার দেখানোর সময় ওয়াইফাই–এর সঙ্গে ঠিকমতো যুক্ত হতে পারেনি চশমাটি। ফলে মেটা এআই সঠিকভাবে কাজ করেনি, আর ভিডিও কল ধরার বাটন ডিসপ্লেতে দেখানো হয়নি। এই চশমার মূল্য ৩৭৯ ডলার।
মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমা
খেলাধুলা ও ঘরের বাইরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই চশমা ব্যবহারের উপযোগী। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ট্রাভা ও গারমিন কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে চশমাটি ব্যায়ামের তথ্য দেয়।
মেটা এআই অ্যাপে ‘ওয়ার্কআউটস’ সেকশন থাকবে। এই সেকশনে ব্যায়ামের বিস্তারিত তথ্য, ছবি, ভিডিও ও এআই সারাংশ দেখাবে। এই চশমায় বড় ও জোরালো স্পিকার ব্যবহার রয়েছে। এর ব্যাটারি লাইফ প্রায় ৯ ঘণ্টা। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য চশমার নিচের প্রান্তে বোতাম দেওয়া হয়েছে। ফলে হেলমেট পড়ে থাকলেও এটি সহজে ব্যবহার করা যাবে।
পানি ও ধুলা প্রতিরোধী, ক্যামেরা নাক বরাবর থাকবে। ফলে চশমাটি ব্যবহারকারীর সামনে যা আছে তা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে ও ৩কে ভিডিও ধারণ করতে পারবে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি সেগুলো নিয়ে সার্ফিং করেছি, ভালোই ছিল।’ মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমার মূল্য ৪৯৯ ডলার।
এআই এবং মেটাভার্সের অগ্রগতি
স্মার্ট গ্লাসের পাশাপাশি মেটা তাদের এআই এবং মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মেও বড় কিছু পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে—
মেটা হরাইজন স্টুডিও: এটি একটি নতুন এডিটর, যা নির্মাতাদের জন্য এআই ব্যবহার করে সহজে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরির সুবিধা দেবে।
হরাইজন টিভি: কোয়েস্ট হেডসেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন বিনোদন কেন্দ্র। এখানে ব্যবহারকারীরা সিনেমা, শো এবং লাইভ স্পোর্টস দেখতে পারবেন, যা মেটাভার্স অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ। এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মেটার তিনটি নতুন স্মার্ট গ্লাস এবং এআইভিত্তিক নতুন কিছু ফিচার।
এই নতুন স্মার্ট চশমাগুলো ব্যবহারকারীদের ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর পরিবর্তে সরাসরি এআই প্রযুক্তি, মেসেজ, ছবি এবং অনলাইন জীবনের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেবে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘চশমা হল ব্যক্তিগত সুপার ইন্টেলিজেন্সের আদর্শ ফর্ম ফ্যাক্টর। কারণ এটি আপনাকে বর্তমানে উপস্থিত থাকতে দেয় এবং একই সঙ্গে এআই ক্ষমতা ব্যবহার করে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে, ভালো যোগাযোগ করতে, স্মৃতি ও ইন্দ্রিয় উন্নত করতে সাহায্য করে।’
স্মার্ট চশমা এখনো বেশ নিস্তেজ পণ্য হলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মেটার অংশীদার ‘রে-ব্যান’ এর মূল প্রতিষ্ঠান এসিলরলুক্সোটিকা জানিয়েছে, মেটার স্মার্ট চশমার আয় বছরে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। তারা ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ কোটি চশমা উৎপাদনের লক্ষ্য রাখছে।
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানান, মেটার স্মার্ট চশমার বিক্রির প্রবণতা সবচেয়ে জনপ্রিয় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সগুলোর মতোই।
যদিও মেটা স্মার্ট চশমার বাজারে আগে এসেছে, গুগল, স্যামসাং, স্ন্যাপ এবং সম্ভাব্য আমাজন এর মতো বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রমেই এই খাতে প্রবেশ করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
মেটা রে-ব্যান ডিসপ্লে চশমা
এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন এটি। গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর এটিই প্রথম কোনো বড় ব্র্যান্ডের স্মার্ট গ্লাস, যাতে একটি হেডস-আপ ডিসপ্লে (HUD) রয়েছে।
মেটা বলেছে, রে-ব্যান স্মার্ট চশমাগুলো ‘আপনি যা দেখছেন এবং শোনাচ্ছেন তা দেখতে এবং শুনতে পারে।’ এবার নতুন রেই-ব্যান ডিসপ্লেতে ডান লেন্সের ভেতরে একটি ছোট ডিসপ্লে রয়েছে, যা শুধু ব্যবহারকারী দেখতে পায়।
ফোনের স্ক্রিনে যা করা যায়, তাই এর ডিসপ্লেতে করা সম্ভব। যেমন: মেসেজ দেখা ও পাঠানো, ছবি–ভিডিও ধারণ ও রিভিউ, ইনস্টাগ্রাম রিল দেখা, ভিডিও কল করা যেখানে কলের অন্য প্রান্তের মানুষকে দেখা যাবে।
নেভিগেশন ফিচার দিয়ে চলাফেরার সময় রিয়েল-টাইম ম্যাপ দেখা যাবে। লাইভ ক্যাপশন ও অনুবাদ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা কথোপকথন চলাকালীন কথাগুলো দেখাবে এবং সেই ক্যাপশনগুলো মেটা এআই অ্যাপে সংরক্ষণ হবে।
ব্যবহারকারীরা মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রশ্ন করতে পারবে, যার উত্তর ডিসপ্লেতে তথ্য প্যানেল হিসেবে দেখানো হবে এবং অডিও আকারেও পাওয়া যাবে।
আগের মডেলগুলো শুধুমাত্র ভয়েস কমান্ডে কাজ করত, এবার ‘নিউরাল’ রিস্টব্যান্ডের মাধ্যমে হাতের বিভিন্ন ইশারায় নিয়ন্ত্রণের সুবিধা এসেছে। যেমন: বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী আঙুল একসঙ্গে ট্যাপ করলে মিউজিক চালু হবে।
ডিসপ্লেটি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীই দেখতে পারে, যা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে। তবে এটি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর মুহূর্ত সৃষ্টি করতে পারে যখন অন্যরা বুঝতে পারবে না আপনি কথোপকথনের মাঝে টেক্সট পড়ছেন। ব্যবহারকারী চাইলে ডিসপ্লে বন্ধ করে সাধারণ চশমার মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা এমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডিজাইন করি যা শক্তিশালী টুল যখন দরকার তখন পাওয়া যায় এবং যখন দরকার না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে যায়।’
গুগলের ২০১৩ সালের গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। ডিসপ্লেগুলো দেখতে স্বাভাবিক চশমার মতো হলেও একটু ভারী।
একবার চার্জে ডিসপ্লে ৬ ঘণ্টা চলবে, চার্জিং কেসে ৩০ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি আছে। রিস্টব্যান্ডের ব্যাটারি ১৮ ঘণ্টা চলে এবং এটি পানি প্রতিরোধী।
মেটা রেই-ব্যান ডিসপ্লে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭৯৯ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নির্বাচিত স্টোরে বিক্রি শুরু হবে। যেমন: ভেরিজন, লেন্সক্রাফটার, রেই-ব্যান ও বেস্ট বাই।
রেই-ব্যান মেটা জেন ২
এই স্মার্ট চশমা দেখতে আগের মতো হলেও রং, ব্যাটারি লাইফ ও ক্যামেরা আপডেট করা হয়েছে। ব্যাটারি লাইফ এখন ৮ ঘণ্টা এবং চার্জিং কেস ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি দেয়।
স্মার্ট চশমাটি ৩কে মানের ভিডিও ধারণ ক্ষমতা আছে, এই শরতে স্লো মোশন ও হাইপারল্যাপস ভিডিওর আপডেট আসবে। একটি নতুন ‘কনভারসেশন ফোকাস’ ফিচার আনা হয়েছে, যা কোলাহল পূর্ণ জায়গায় কথোপকথন সহজ করবে, চশমার ওপেন-ইয়ার স্পিকার অন্য ব্যক্তির কণ্ঠকে তীব্র করবে।
স্মার্ট চশমার এই প্রযুক্তি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। সম্মেলনে পণ্যটির বিভিন্ন ফিচার দেখানোর সময় ওয়াইফাই–এর সঙ্গে ঠিকমতো যুক্ত হতে পারেনি চশমাটি। ফলে মেটা এআই সঠিকভাবে কাজ করেনি, আর ভিডিও কল ধরার বাটন ডিসপ্লেতে দেখানো হয়নি। এই চশমার মূল্য ৩৭৯ ডলার।
মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমা
খেলাধুলা ও ঘরের বাইরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই চশমা ব্যবহারের উপযোগী। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ট্রাভা ও গারমিন কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে চশমাটি ব্যায়ামের তথ্য দেয়।
মেটা এআই অ্যাপে ‘ওয়ার্কআউটস’ সেকশন থাকবে। এই সেকশনে ব্যায়ামের বিস্তারিত তথ্য, ছবি, ভিডিও ও এআই সারাংশ দেখাবে। এই চশমায় বড় ও জোরালো স্পিকার ব্যবহার রয়েছে। এর ব্যাটারি লাইফ প্রায় ৯ ঘণ্টা। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য চশমার নিচের প্রান্তে বোতাম দেওয়া হয়েছে। ফলে হেলমেট পড়ে থাকলেও এটি সহজে ব্যবহার করা যাবে।
পানি ও ধুলা প্রতিরোধী, ক্যামেরা নাক বরাবর থাকবে। ফলে চশমাটি ব্যবহারকারীর সামনে যা আছে তা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে ও ৩কে ভিডিও ধারণ করতে পারবে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি সেগুলো নিয়ে সার্ফিং করেছি, ভালোই ছিল।’ মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমার মূল্য ৪৯৯ ডলার।
এআই এবং মেটাভার্সের অগ্রগতি
স্মার্ট গ্লাসের পাশাপাশি মেটা তাদের এআই এবং মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মেও বড় কিছু পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে—
মেটা হরাইজন স্টুডিও: এটি একটি নতুন এডিটর, যা নির্মাতাদের জন্য এআই ব্যবহার করে সহজে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরির সুবিধা দেবে।
হরাইজন টিভি: কোয়েস্ট হেডসেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন বিনোদন কেন্দ্র। এখানে ব্যবহারকারীরা সিনেমা, শো এবং লাইভ স্পোর্টস দেখতে পারবেন, যা মেটাভার্স অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
১৫ ঘণ্টা আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে। এসব সূচকের মধ্যে আছে ক্রয়ক্ষমতা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনযাত্রার ব্যয়, সম্পত্তির দাম বনাম আয়ের অনুপাত, যানজট ও যাতায়াতের সময়, দূষণ এবং জলবায়ু। এইসব সূচকের উন্নতি দেশগুলোর সরকারি নীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নাগরিকদের সার্বিক সুস্থতা, সুখ ও পূর্ণতার ফল।
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেটাবেস ও প্ল্যাটফর্ম ‘নুম্বেও’ মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে থাকে।
নুম্বেও ২০১৫ ও ২০২৫ সালের জন্য জীবনযাত্রার মানের শীর্ষ ৩০টি দেশের তুলনামূলক গ্রাফ বা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছে। এই তুলনায় দেখা গেছে, দশক ধরে অনেক দেশের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।
সেরা ১০ দেশের তালিকা
লুক্সেমবার্গ
বিশ্বের ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত লুক্সেমবার্গ। এবার জীবনমান সূচক ২১৮ দশমিক ২ নিয়ে দেশটি এ বছরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে উন্নত সরকারি সেবা, সাধারণ নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এ ছাড়া দেশটির নিরাপদ পরিবেশ, অপরাধের কম হার এবং সামাজিক সহমর্মিতা নাগরিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এর ফলে লুক্সেমবার্গে বসবাসরত মানুষেরা সুস্থ, নিরাপদ এবং আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে।

নেদারল্যান্ডস
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির জীবনমান সূচক ২১৬ দশমিক ৫। দেশটির এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে প্রগতিশীল সামাজিক নীতি, টেকসই জীবনধারা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলো পরিচ্ছন্ন এবং নাগরিকদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার দেশের জীবনমানকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া দেশটির সামাজিক সহমর্মিতা, নিরাপদ পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ নাগরিক সুবিধা নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
ডেনমার্ক
তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। এর জীবনমান সূচক ২১৫ দশমিক ১। দেশটি মানব উন্নয়ন, কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, উন্নত সামাজিক সেবা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে পরিচিত। ডেনমার্কের অধিকাংশ নাগরিক বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পায়, প্রচুর সবুজ জায়গা রয়েছে দেশটিতে এবং রয়েছে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ ওমান এ বছরের জীবনযাত্রায় উন্নত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, জীবনমান সূচক ২১৫.১। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে দেশের কম অপরাধ হার, আধুনিক ও উন্নত অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেশটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুশৃঙ্খল নগরব্যবস্থা এবং নিরাপদ বসবাসের সুযোগ নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মানসম্মত করে তুলেছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড নৈসর্গিক দৃশ্য, উচ্চ বেতন, সমৃদ্ধ জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিখ্যাত। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশটির জীবনমানের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। সুইজারল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২১০ দশমিক ৯।

ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২০৮ দশমিক ৩। এর পেছনে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কম দুর্নীতি এবং উচ্চ সামাজিক বিশ্বাস। ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
নরওয়ে
নরওয়ে আছে তালিকার সাত নম্বরে। দেশটির জীবনমান সূচক ১৯৯ দশমিক ২। দেশটির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর এবং শক্তিশালী পরিবেশ নীতি এই অবস্থানের কারণ।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের জীবনমান সূচক ১৯৮। দেশটি প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং শক্তিশালী অবকাঠামোর জন্য বিশ্বখ্যাত।
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার জীবনমান সূচক ১৯৭ দশমিক ৭। দেশটি নিজেদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরিচ্ছন্ন শহর, চমৎকার স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক জনপরিবহন ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থানে রয়েছে। এই দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশ্বখ্যাত।
জার্মানি
তালিকায় জার্মানি আছে দশম স্থানে। জীবনমান সূচক ১৯৫ দশমিক ২। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত শহরগুলোর কারণে দেশটি জনপ্রিয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ও জনগণের সুবিধাজনক নীতির কারণে মানুষ এখানে বসবাস পছন্দ করে।
সূত্র: নুম্বেও

জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে। এসব সূচকের মধ্যে আছে ক্রয়ক্ষমতা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনযাত্রার ব্যয়, সম্পত্তির দাম বনাম আয়ের অনুপাত, যানজট ও যাতায়াতের সময়, দূষণ এবং জলবায়ু। এইসব সূচকের উন্নতি দেশগুলোর সরকারি নীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নাগরিকদের সার্বিক সুস্থতা, সুখ ও পূর্ণতার ফল।
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেটাবেস ও প্ল্যাটফর্ম ‘নুম্বেও’ মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে থাকে।
নুম্বেও ২০১৫ ও ২০২৫ সালের জন্য জীবনযাত্রার মানের শীর্ষ ৩০টি দেশের তুলনামূলক গ্রাফ বা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছে। এই তুলনায় দেখা গেছে, দশক ধরে অনেক দেশের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।
সেরা ১০ দেশের তালিকা
লুক্সেমবার্গ
বিশ্বের ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত লুক্সেমবার্গ। এবার জীবনমান সূচক ২১৮ দশমিক ২ নিয়ে দেশটি এ বছরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে উন্নত সরকারি সেবা, সাধারণ নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এ ছাড়া দেশটির নিরাপদ পরিবেশ, অপরাধের কম হার এবং সামাজিক সহমর্মিতা নাগরিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এর ফলে লুক্সেমবার্গে বসবাসরত মানুষেরা সুস্থ, নিরাপদ এবং আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে।

নেদারল্যান্ডস
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির জীবনমান সূচক ২১৬ দশমিক ৫। দেশটির এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে প্রগতিশীল সামাজিক নীতি, টেকসই জীবনধারা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলো পরিচ্ছন্ন এবং নাগরিকদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার দেশের জীবনমানকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া দেশটির সামাজিক সহমর্মিতা, নিরাপদ পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ নাগরিক সুবিধা নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
ডেনমার্ক
তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। এর জীবনমান সূচক ২১৫ দশমিক ১। দেশটি মানব উন্নয়ন, কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, উন্নত সামাজিক সেবা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে পরিচিত। ডেনমার্কের অধিকাংশ নাগরিক বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পায়, প্রচুর সবুজ জায়গা রয়েছে দেশটিতে এবং রয়েছে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ ওমান এ বছরের জীবনযাত্রায় উন্নত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, জীবনমান সূচক ২১৫.১। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে দেশের কম অপরাধ হার, আধুনিক ও উন্নত অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেশটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুশৃঙ্খল নগরব্যবস্থা এবং নিরাপদ বসবাসের সুযোগ নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মানসম্মত করে তুলেছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড নৈসর্গিক দৃশ্য, উচ্চ বেতন, সমৃদ্ধ জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিখ্যাত। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশটির জীবনমানের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। সুইজারল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২১০ দশমিক ৯।

ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২০৮ দশমিক ৩। এর পেছনে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কম দুর্নীতি এবং উচ্চ সামাজিক বিশ্বাস। ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
নরওয়ে
নরওয়ে আছে তালিকার সাত নম্বরে। দেশটির জীবনমান সূচক ১৯৯ দশমিক ২। দেশটির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর এবং শক্তিশালী পরিবেশ নীতি এই অবস্থানের কারণ।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের জীবনমান সূচক ১৯৮। দেশটি প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং শক্তিশালী অবকাঠামোর জন্য বিশ্বখ্যাত।
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার জীবনমান সূচক ১৯৭ দশমিক ৭। দেশটি নিজেদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরিচ্ছন্ন শহর, চমৎকার স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক জনপরিবহন ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থানে রয়েছে। এই দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশ্বখ্যাত।
জার্মানি
তালিকায় জার্মানি আছে দশম স্থানে। জীবনমান সূচক ১৯৫ দশমিক ২। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত শহরগুলোর কারণে দেশটি জনপ্রিয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ও জনগণের সুবিধাজনক নীতির কারণে মানুষ এখানে বসবাস পছন্দ করে।
সূত্র: নুম্বেও
আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
১৫ ঘণ্টা আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং এর পেছনের উপকারী দিকগুলো।
ভিডিও গেম
ভিডিও গেম খেলাকে আমরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ভিডিও গেম খেললে জ্ঞানের ক্ষমতা এবং মনোযোগ উন্নত হতে পারে। এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।
কফি পান করা
কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। কফি পানকে অনেকে নেতিবাচক মনে করলেও, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এমনকি পার্কিনসন রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় প্রায় ২০০ গবেষণা বিশ্লেষণ করে উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে যে গর্ভাবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান নিরাপদ। পরিমাণ হতে হবে প্রতিদিন ৩-৪ কাপ। এমনকি এটি সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অলসতা বা বিরক্তিবোধ
বিরক্তিবোধ করা; যাকে আমরা বোরনেস বলি, একে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। কিন্তু এটি মস্তিষ্ককে ঘুরে বেড়ানোর এবং বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। যেখান থেকে মূলত সৃজনশীলতা এবং নতুন ধারণার জন্ম দেয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য সামান্য বিরক্তি ভালো হতে পারে। এটি সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের উদ্দীপনা জোগায়, পাশাপাশি মস্তিষ্ককে রিচার্জের সময় দেয়।

আলু খাওয়া
আলু খাওয়াকে অনেকে খারাপ বলে মনে করেন। অথচ আলু পুষ্টি ও ফাইবারের ভান্ডার। আলু মূলত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারে ভরপুর একটি সবজি; বিশেষ করে যখন খোসাসহ খাওয়া হয়। তবে হ্যাঁ, আলুর মূল সমস্যা এর রান্নার পদ্ধতিতে। আলু সাধারণত ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত পদ্ধতিতে রান্নার কারণে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেদ্ধ, সেঁকা বা বাষ্পে তৈরি আলু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ইউসি ডেভিস হেলথ আমেরিকানদের বেশি বেশি আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্থির আচরণ
স্কুলজীবনে অস্থির হয়ে নড়াচড়া করার জন্য হয়তো অনেক বকা খেতে হয়েছে। বাড়িতে শিক্ষকেরা কমপ্লেনও করেন, আপনার শিশুটি খুব বেশি চঞ্চল। কিন্তু গবেষণা বলছে এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো হতে পারে! মেয়ো ক্লিনিকের জেমস লেভিনের গবেষণা অনুসারে, যাঁরা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করেন, তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ কিলোক্যালোরি পর্যন্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, মানসিক চাপ কমাতে এবং সম্ভবত দীর্ঘকাল বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।

খারাপ মেজাজ ও কান্নাকাটি
সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নেতিবাচক আবেগসহ সব ধরনের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দেওয়া ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কান্না পেলে কাঁদুন। কিংবা মেজাজ খারাপ হলে মনের কথা বলে ফেলুন। কান্না শুধু আবেগের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার মাধ্যমে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন নির্গত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ব্যথা উপশম করতে পারে। তেমনই একাকিত্বকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে, সৃজনশীলতা বাড়ায়, আত্ম-প্রতিফলন ঘটায় এবং সামাজিক শক্তিকে রিচার্জ করতে সাহায্য করে।
ফ্রিজে রাখা ফল ও সবজি
অনেকের ধারণা, টাটকা ফল ও সবজির চেয়ে ফ্রোজেন ফল ও সবজি কম পুষ্টিকর। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ফল ও সবজিকে সর্বোচ্চ পরিপক্বতার সময়ে ‘ফ্ল্যাশ-ফ্রিজ’ করা হলে সেগুলোর প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, তিনটির মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে ফ্রোজেন উৎপাদনে ফ্রিজে রাখা সমপরিমাণ তাজা পণ্যের চেয়ে বেশি পুষ্টি ছিল।
সূর্যের আলো
অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ালেও, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে নিয়মিত, পরিমিত সূর্যরশ্মি গ্রহণ প্রয়োজন। ওয়েবএমডির মতে, অবস্থানের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন সাধারণত ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগানো উপকারী এবং নিরাপদ।
সূত্র: মেয়ো ক্লিনিক, শো বিজ ডেইলি

আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং এর পেছনের উপকারী দিকগুলো।
ভিডিও গেম
ভিডিও গেম খেলাকে আমরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ভিডিও গেম খেললে জ্ঞানের ক্ষমতা এবং মনোযোগ উন্নত হতে পারে। এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।
কফি পান করা
কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। কফি পানকে অনেকে নেতিবাচক মনে করলেও, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এমনকি পার্কিনসন রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় প্রায় ২০০ গবেষণা বিশ্লেষণ করে উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে যে গর্ভাবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান নিরাপদ। পরিমাণ হতে হবে প্রতিদিন ৩-৪ কাপ। এমনকি এটি সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অলসতা বা বিরক্তিবোধ
বিরক্তিবোধ করা; যাকে আমরা বোরনেস বলি, একে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। কিন্তু এটি মস্তিষ্ককে ঘুরে বেড়ানোর এবং বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। যেখান থেকে মূলত সৃজনশীলতা এবং নতুন ধারণার জন্ম দেয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য সামান্য বিরক্তি ভালো হতে পারে। এটি সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের উদ্দীপনা জোগায়, পাশাপাশি মস্তিষ্ককে রিচার্জের সময় দেয়।

আলু খাওয়া
আলু খাওয়াকে অনেকে খারাপ বলে মনে করেন। অথচ আলু পুষ্টি ও ফাইবারের ভান্ডার। আলু মূলত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারে ভরপুর একটি সবজি; বিশেষ করে যখন খোসাসহ খাওয়া হয়। তবে হ্যাঁ, আলুর মূল সমস্যা এর রান্নার পদ্ধতিতে। আলু সাধারণত ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত পদ্ধতিতে রান্নার কারণে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেদ্ধ, সেঁকা বা বাষ্পে তৈরি আলু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ইউসি ডেভিস হেলথ আমেরিকানদের বেশি বেশি আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্থির আচরণ
স্কুলজীবনে অস্থির হয়ে নড়াচড়া করার জন্য হয়তো অনেক বকা খেতে হয়েছে। বাড়িতে শিক্ষকেরা কমপ্লেনও করেন, আপনার শিশুটি খুব বেশি চঞ্চল। কিন্তু গবেষণা বলছে এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো হতে পারে! মেয়ো ক্লিনিকের জেমস লেভিনের গবেষণা অনুসারে, যাঁরা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করেন, তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ কিলোক্যালোরি পর্যন্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, মানসিক চাপ কমাতে এবং সম্ভবত দীর্ঘকাল বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।

খারাপ মেজাজ ও কান্নাকাটি
সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নেতিবাচক আবেগসহ সব ধরনের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দেওয়া ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কান্না পেলে কাঁদুন। কিংবা মেজাজ খারাপ হলে মনের কথা বলে ফেলুন। কান্না শুধু আবেগের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার মাধ্যমে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন নির্গত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ব্যথা উপশম করতে পারে। তেমনই একাকিত্বকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে, সৃজনশীলতা বাড়ায়, আত্ম-প্রতিফলন ঘটায় এবং সামাজিক শক্তিকে রিচার্জ করতে সাহায্য করে।
ফ্রিজে রাখা ফল ও সবজি
অনেকের ধারণা, টাটকা ফল ও সবজির চেয়ে ফ্রোজেন ফল ও সবজি কম পুষ্টিকর। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ফল ও সবজিকে সর্বোচ্চ পরিপক্বতার সময়ে ‘ফ্ল্যাশ-ফ্রিজ’ করা হলে সেগুলোর প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, তিনটির মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে ফ্রোজেন উৎপাদনে ফ্রিজে রাখা সমপরিমাণ তাজা পণ্যের চেয়ে বেশি পুষ্টি ছিল।
সূর্যের আলো
অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ালেও, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে নিয়মিত, পরিমিত সূর্যরশ্মি গ্রহণ প্রয়োজন। ওয়েবএমডির মতে, অবস্থানের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন সাধারণত ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগানো উপকারী এবং নিরাপদ।
সূত্র: মেয়ো ক্লিনিক, শো বিজ ডেইলি
আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস
আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
১৮ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।
আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
১৫ ঘণ্টা আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
১৭ ঘণ্টা আগে