আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৮ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি ঘুমের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছেন? তাহলে ক্যামোমাইল একবার ব্যবহার করে দেখুন।
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ বেথ জেরওনি বলেন, ‘ক্যামোমাইল মূলত হালকা ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। কয়েক চুমুক খেলে এটি সত্যিই আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।’
তবে এই উদ্ভিদের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।
প্রথমত, ক্যামোমাইল চায়ের শান্তিদায়ক প্রভাব রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
ডেইজি ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর।
ইউসিএলএ হেলথের তথ্যমতে, পটাশিয়াম (একধরনের ইলেকট্রোলাইট) আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে; বিশেষ করে যাঁরা বেশি লবণ খান, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
তবে বেশির ভাগ আমেরিকানই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের দৈনিক ২ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩ হাজার ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, এক কাপ ক্যামোমাইল চায়ে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে শাকপাতা, মিষ্টিআলু, কলা ও অ্যাভোকাডো ভালো উৎস হতে পারে।
পটাশিয়ামের মতোই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদ্যন্ত্র, পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট

আপনি কি ঘুমের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছেন? তাহলে ক্যামোমাইল একবার ব্যবহার করে দেখুন।
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ বেথ জেরওনি বলেন, ‘ক্যামোমাইল মূলত হালকা ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। কয়েক চুমুক খেলে এটি সত্যিই আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।’
তবে এই উদ্ভিদের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।
প্রথমত, ক্যামোমাইল চায়ের শান্তিদায়ক প্রভাব রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
ডেইজি ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর।
ইউসিএলএ হেলথের তথ্যমতে, পটাশিয়াম (একধরনের ইলেকট্রোলাইট) আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে; বিশেষ করে যাঁরা বেশি লবণ খান, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
তবে বেশির ভাগ আমেরিকানই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের দৈনিক ২ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩ হাজার ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, এক কাপ ক্যামোমাইল চায়ে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে শাকপাতা, মিষ্টিআলু, কলা ও অ্যাভোকাডো ভালো উৎস হতে পারে।
পটাশিয়ামের মতোই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদ্যন্ত্র, পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
৫ দিন আগে
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৮ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন, তারপর নিজের চোখে ফলাফল ধরা দেবে—
নিয়মিত চুল ছাঁটাই
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আট-দশ সপ্তাহ পর নিয়মিত ছাঁটাই করলে চুল দ্রুত বড় হতে পারে। অতিরিক্ত ধুলোবালু ও রোদের তাপের কারণে চুলের প্রান্তভাগ বা আগা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটাই করার মাধ্যমে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ফেটে যাওয়া আগা কেটে ফেলা হলে চুল নতুন করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে কোনো বাধা ছাড়াই চুল লম্বা হতে পারে।

কন্ডিশনারকে করুন নিত্যসঙ্গী
হয়তো লক্ষ করেছেন, চুলের আগার অংশ গোড়ার অংশের চেয়ে তুলনামূলক পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচের প্রান্তটি গোড়ার অংশের মতো ভালোভাবে পুষ্টি পায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনিং করা হলে চুলের আগার অংশ অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল সুস্থতা ফিরে পায়। ফলে দ্রুত লম্বা হতে পারে।
ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন
চুলে ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস দূর হয়, এটা নিশ্চয়ই জানেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে, দ্রুত বেড়ে উঠবে ও চুল পড়া কমে যাবে। চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান
অতিরিক্ত আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে, এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এটা তখনই ঘটবে, যখন চিরুনি বেছে নিতে ভুল করবেন। চিকন দাঁতের চিরুনি এড়াতে পারলে ভালো। মোটা দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সব সময় ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ৫০ বার এমন চিরুনি দিয়ে চুলের সামনে থেকে পেছনের দিকে ও মাথার সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে আঁচড়ান। এতে চুল দ্রুত বড় বা লম্বা হবে।
চুল লম্বা করার জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা চাই। বাহ্য়িকভাবে পুষ্টি জোগাতে ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের জেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বড় হয়। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না
শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে এভাবে মুড়ে রাখলে চুল ভাঙা ও পড়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

৩ মিনিট ব্যাকব্রাশ
অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে প্রতিদিন ৩ মিনিট চুল ব্যাকব্রাশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল দ্রুত বড় হয়।
মানসিক চাপকে বিদায় জানান
মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অসংখ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, চুল পড়া তার মধ্যে অন্যতম। কাজের কারণে বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টিকারী মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ডিমের মাস্ক ব্যবহার
ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন প্যাক দিয়ে কিন্তু চুলে সহজে পুষ্টি জোগাতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, আপনার চুলকে পুষ্ট করতে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাত্র এক চা-চামচ জলপাই তেল একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তিন থেকে ছয় মাস পর অবিশ্বাস্য ফল পাবেন।

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন, তারপর নিজের চোখে ফলাফল ধরা দেবে—
নিয়মিত চুল ছাঁটাই
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আট-দশ সপ্তাহ পর নিয়মিত ছাঁটাই করলে চুল দ্রুত বড় হতে পারে। অতিরিক্ত ধুলোবালু ও রোদের তাপের কারণে চুলের প্রান্তভাগ বা আগা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটাই করার মাধ্যমে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ফেটে যাওয়া আগা কেটে ফেলা হলে চুল নতুন করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে কোনো বাধা ছাড়াই চুল লম্বা হতে পারে।

কন্ডিশনারকে করুন নিত্যসঙ্গী
হয়তো লক্ষ করেছেন, চুলের আগার অংশ গোড়ার অংশের চেয়ে তুলনামূলক পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচের প্রান্তটি গোড়ার অংশের মতো ভালোভাবে পুষ্টি পায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনিং করা হলে চুলের আগার অংশ অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল সুস্থতা ফিরে পায়। ফলে দ্রুত লম্বা হতে পারে।
ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন
চুলে ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস দূর হয়, এটা নিশ্চয়ই জানেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে, দ্রুত বেড়ে উঠবে ও চুল পড়া কমে যাবে। চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান
অতিরিক্ত আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে, এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এটা তখনই ঘটবে, যখন চিরুনি বেছে নিতে ভুল করবেন। চিকন দাঁতের চিরুনি এড়াতে পারলে ভালো। মোটা দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সব সময় ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ৫০ বার এমন চিরুনি দিয়ে চুলের সামনে থেকে পেছনের দিকে ও মাথার সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে আঁচড়ান। এতে চুল দ্রুত বড় বা লম্বা হবে।
চুল লম্বা করার জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা চাই। বাহ্য়িকভাবে পুষ্টি জোগাতে ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের জেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বড় হয়। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না
শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে এভাবে মুড়ে রাখলে চুল ভাঙা ও পড়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

৩ মিনিট ব্যাকব্রাশ
অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে প্রতিদিন ৩ মিনিট চুল ব্যাকব্রাশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল দ্রুত বড় হয়।
মানসিক চাপকে বিদায় জানান
মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অসংখ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, চুল পড়া তার মধ্যে অন্যতম। কাজের কারণে বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টিকারী মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ডিমের মাস্ক ব্যবহার
ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন প্যাক দিয়ে কিন্তু চুলে সহজে পুষ্টি জোগাতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, আপনার চুলকে পুষ্ট করতে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাত্র এক চা-চামচ জলপাই তেল একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তিন থেকে ছয় মাস পর অবিশ্বাস্য ফল পাবেন।

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
৫ দিন আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
১২ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৮ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
৫ দিন আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
৫ দিন আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৮ ঘণ্টা আগে