আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।

শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
১২ দিন আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
১২ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
১২ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
১২ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে