আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।

শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৯ দিন আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৯ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৯ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৯ দিন আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে