আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে হঠকারী কিছু বলবেন না—আপনার পার্টনার হয়তো আপনার আবেগের বিস্ফোরণকে গ্যাস বেলুন ফেটে যাওয়া মনে করতে পারে। সাবধান, আজ অনলাইন শপিং সাইটে ভুল করে ‘Add to Cart’-এর বদলে ‘Buy Now’ বোতামে বেশি চাপ পড়বে। মাথা গরম হলে, ১০ সেকেন্ডের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি সত্যিই এই সস্তা শোপিসটা কিনতে চাই?’ উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ, উত্তর আসার আগেই আপনি কিনে ফেলেছেন।
বৃষ
আপনার জন্য আজকের দিনটা হলো ‘আয়েশ করার লাইসেন্স’। সোফায় এমনভাবে সেঁটে থাকবেন যেন আপনি আর সোফা একটি অবিচ্ছেদ্য মহাজাগতিক ইউনিট। কেউ কাজ করতে বললে ভুরু কোঁচকাবেন, যেন আপনি বিশ্বশান্তির চেয়েও জরুরি কোনো কাজে ব্যস্ত। তবে সন্ধ্যায় খাদ্যপ্রেম চরমে উঠবে। ফ্রিজ খুলে এমনভাবে খাবার খুঁজবেন, যেন গুপ্তধন খুঁজছেন। টাকাপয়সার দিক থেকে ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত আরামের ফলে অফিসের কাজের গতি হয়ে যাবে কচ্ছপের চেয়ে মন্থর। আজ ডায়েট প্ল্যান না মানার জন্য নিজেকে দোষ দেবেন না। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতকদের জন্য ‘ভারসাম্য’ মানে হলো দুই হাতে সমান পরিমাণে খাবার ধরে রাখা।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তা একসঙ্গে জেগে উঠবে। একটি বলবে, ‘আরে চলো দারুণ একটা অ্যাডভেঞ্চারে যাই!’ অন্যটি বলবে, ‘কিন্তু আমার তো নেটফ্লিক্সে দেখার জন্য এখনো অনেক সিরিজ বাকি!’ এই দ্বৈততার ফলে একই সময়ে দুজন বন্ধুকে দুই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসতে পারেন। ফোন আজ ওভারহিটেড হয়ে যাবে অতিরিক্ত চ্যাটিংয়ের কারণে। অফিসের সহকর্মী বা পরিবারকে এমন সব তথ্য দেবেন, যা অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক আপনার রাতের স্বপ্ন থেকে নেওয়া। যদি দেখেন কোনো পরিস্থিতিতে আপনার দুই রকম মতামত আসছে, তাহলে লটারির মতো করে একটা বেছে নিন। ভাগ্য ভালো হলে সঠিকটা বেছে নিতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার মুড সুইং হবে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। সামান্য কারণে অভিমান হতে পারে, যেমন রান্নাঘরের আলমারিতে সঠিক জায়গায় মসলার কৌটা নেই দেখে কান্না শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা ‘হোম সিকনেস’ এমন বাড়বে যে বাড়ির পোষা প্রাণীটিও আপনাকে দেখে অবাক হবে। মনে হবে বাইরের জগৎটা বড্ড নিষ্ঠুর, আর আপনার বেডরুমটাই একমাত্র নিরাপদ স্থান। যদিও ভালোবাসার মানুষের জন্য আজ আপনি সব করতে প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই—সে যেন আপনার মুডের গ্রাফটা বুঝে চলে! কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু করে বসবেন না যাতে পরে নিজেই লজ্জায় বালিশে মুখ লুকাতে হয়।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং ক্যামেরাগুলো ভুলবশত অন্য কাউকে ফোকাস করছে! সব কথোপকথনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইবেন, এবং যদি না পারেন, তবে একটু নাটক করে সবার মনোযোগ কাড়তে চেষ্টা করবেন। অফিসের মিটিংয়ে এমন আইডিয়া দেবেন, যা শুনতে খুব গ্ল্যামারাস, কিন্তু আসলে তার কার্যকারিতা শূন্য। আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল—সবকিছু আজ চিৎকার করে বলবে, ‘দেখো! শুধু আমাকেই দেখো!’ তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে কিন্তু গ্রহ-নক্ষত্র রুষ্ট হতে পারে। একটু অন্যকেও লাইমলাইট দিন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি কিং/কুইন’ বলে ডাকতে শুরু করবে!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের সমালোচকটি জেগে উঠবে। পাশের বাড়ির লোক কেন ভুল সময়ে গান গাইছে, বা সহকর্মী কেন ফন্টের সাইজটা ০.৫ পয়েন্ট কমালো—সব কিছু নিয়েই আপনার চিন্তা। ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন সব জিনিস খুঁজে পাবেন যা নিজেই ভুল করে রেখেছিলেন, আর তখন নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্য ভুলও আপনার চোখে পড়বে, কিন্তু সরাসরি কিছু না বলে মনে মনে একটা তালিকা তৈরি করবেন। সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে দিনটা উপভোগ করাই ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার এক্সেল শিটের মতো পরিপাটি নয়!
তুলা
আজকের দিনটা আপনার জন্য দ্বিধার দিন। বাজারে শার্ট কিনতে গিয়ে দুটি শার্টের রং, ডিজাইন আর দামের মধ্যে এমনভাবে আটকে পড়বেন যে দোকানি নিজেই ক্লান্ত হয়ে আপনাকে চা অফার করবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এমন সব কাজে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন যা আপনি মোটেও করতে চান না। তবে আপনার সামাজিক ব্যবহার আজ অসাধারণ থাকবে। চারপাশের পরিবেশকে এতটাই শান্ত ও সুন্দর করে তুলবেন যে মনে হবে কোনো স্পা-এর বিজ্ঞাপন চলছে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘চা না কফি?’, একটু সময় নিয়ে ভাবুন! এই সামান্য সিদ্ধান্তে আপনার আজকের দিনের ভারসাম্য নির্ভর করছে।
বৃশ্চিক
আজ বিনা কারণে রহস্যময় থাকতে চাইবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু গভীর চোখে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেবেন। মনে হবে আপনি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো গুপ্তচরবৃত্তি করছেন, যদিও আপনি আসলে ল্যাপটপে বিড়ালদের মজাদার ভিডিও দেখছেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তীব্র আবেগ পার্টনারকে চমকে দেবে। কারণ, সকাল পর্যন্ত আপনি তাকে একরকম ভালোবাসার কথা বলেছেন, আর বিকেলে অন্যরকম। কোনো ছোটখাটো পারিবারিক গোপন তথ্য ফাঁস হতে পারে, যার দায় আপনার ওপরই পড়বে। মাঝে মাঝে হাসুন, জোরে হাসুন! এতে আপনার রহস্যময় ভাবটা একটু কমবে, আর আশপাশের লোক আপনাকে দেখে ভয় পাওয়া বন্ধ করবে।
ধনু
মনে হবে, এই জগৎটা আপনার জন্য বড্ড ছোট হয়ে গেছে! মনে মনে অ্যাডভেঞ্চার প্ল্যান করবেন: ‘চলুন, একটা সাইকেলে চেপে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসি, শুধু একটা টুথব্রাশ আর একটি বই নিয়ে!’ বাস্তব জীবনে, হয়তো ঘর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিট হেঁটে আবার ফিরে আসবেন। কারণ, মোবাইল চার্জার নিতে ভুলে গেছেন। এমন সব দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা কেউ বুঝবে না, আর বন্ধুরাও হাসতে হাসতে দূরে সরে যাবে। আজ হঠাৎ করে বসকে গিয়ে চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার কথা বলার আগে একবার ভেবে দেখুন, কাল সকালে ব্রেকফাস্টটা কে বানাবে!
মকর
আজ এতটাই কর্মঠ থাকবেন যে মনে হবে আপনি যেন একটি রোবট যাকে ‘কাজ করো’ প্রোগ্রাম দিয়ে সেট করা হয়েছে। অন্য দশজনের কাজও টেনে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেবেন এবং তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, ‘আমি ছাড়া আর কেউ পারে না!’ তবে গ্রহের প্রভাবে আজ একটা মজার ঘটনা ঘটতে পারে: হয়তো ভুল করে কোনো পার্টিতে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে ‘আরে! মজাও তো করা যায়!’ যা আপনার সারা দিনের হিসাব-নিকাশ উল্টে দেবে। টাকাপয়সার হিসাব করতে গিয়ে এত মনোযোগ দেবেন না যে একটা ২০ টাকার নোট মেঝেতে পড়লে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে!
কুম্ভ
আজ আপনার মাথায় এমন সব আইডিয়া আসবে যা আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। মনে হবে, এই সমাজকে আপনার নতুন আবিষ্কার দিয়ে বদলে দেওয়া উচিত। এই সব চিন্তা করতে গিয়ে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের মাঝখানে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন। আজ বন্ধুবান্ধবরা আপনার কথা শুনে হাসবে, কিন্তু আপনি তাদের এই হাসি দেখে আরও বেশি করে নিজেকে ‘বিপ্লবী’ ভাববেন। আপনার বিপ্লবী আইডিয়াগুলো আপাতত একটা খাতায় টুকে রাখুন। সবার সঙ্গে শেয়ার করার আগে দেখুন, সেগুলো বাস্তবসম্মত, নাকি শুধু একটা ‘ঘুমভাঙা স্বপ্ন’।
মীন
আজ মেঘের ভেলায় চড়ে বেড়াবেন। দিবাস্বপ্ন দেখতে গিয়ে ট্রাফিকের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন বা অফিসে কাপে চা ঢালতে গিয়ে ভুল করে ফাইলে ঢেলে দিতে পারেন। আবেগের দিক থেকে এতটাই সংবেদনশীল থাকবেন যে কোনো সিনেমার পুরোনো পোস্টার দেখেই কেঁদে ফেলতে পারেন। কেউ ছোটখাটো কোনো ভুল ধরিয়ে দিলেই ধরে নেবেন যে সে আপনাকে মোটেও পছন্দ করে না। কল্পনাশক্তি আজ এতটাই বাড়বে যে হয়তো ভাববেন, ঘরের পোষা মাছটা আপনার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলছে। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝে মাঝে নিজের গালে একটা আলতো চিমটি কাটুন। আর টিস্যু পেপারের একটা প্যাকেট অবশ্যই হাতের কাছে রাখুন!

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে হঠকারী কিছু বলবেন না—আপনার পার্টনার হয়তো আপনার আবেগের বিস্ফোরণকে গ্যাস বেলুন ফেটে যাওয়া মনে করতে পারে। সাবধান, আজ অনলাইন শপিং সাইটে ভুল করে ‘Add to Cart’-এর বদলে ‘Buy Now’ বোতামে বেশি চাপ পড়বে। মাথা গরম হলে, ১০ সেকেন্ডের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি সত্যিই এই সস্তা শোপিসটা কিনতে চাই?’ উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ, উত্তর আসার আগেই আপনি কিনে ফেলেছেন।
বৃষ
আপনার জন্য আজকের দিনটা হলো ‘আয়েশ করার লাইসেন্স’। সোফায় এমনভাবে সেঁটে থাকবেন যেন আপনি আর সোফা একটি অবিচ্ছেদ্য মহাজাগতিক ইউনিট। কেউ কাজ করতে বললে ভুরু কোঁচকাবেন, যেন আপনি বিশ্বশান্তির চেয়েও জরুরি কোনো কাজে ব্যস্ত। তবে সন্ধ্যায় খাদ্যপ্রেম চরমে উঠবে। ফ্রিজ খুলে এমনভাবে খাবার খুঁজবেন, যেন গুপ্তধন খুঁজছেন। টাকাপয়সার দিক থেকে ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত আরামের ফলে অফিসের কাজের গতি হয়ে যাবে কচ্ছপের চেয়ে মন্থর। আজ ডায়েট প্ল্যান না মানার জন্য নিজেকে দোষ দেবেন না। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতকদের জন্য ‘ভারসাম্য’ মানে হলো দুই হাতে সমান পরিমাণে খাবার ধরে রাখা।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তা একসঙ্গে জেগে উঠবে। একটি বলবে, ‘আরে চলো দারুণ একটা অ্যাডভেঞ্চারে যাই!’ অন্যটি বলবে, ‘কিন্তু আমার তো নেটফ্লিক্সে দেখার জন্য এখনো অনেক সিরিজ বাকি!’ এই দ্বৈততার ফলে একই সময়ে দুজন বন্ধুকে দুই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসতে পারেন। ফোন আজ ওভারহিটেড হয়ে যাবে অতিরিক্ত চ্যাটিংয়ের কারণে। অফিসের সহকর্মী বা পরিবারকে এমন সব তথ্য দেবেন, যা অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক আপনার রাতের স্বপ্ন থেকে নেওয়া। যদি দেখেন কোনো পরিস্থিতিতে আপনার দুই রকম মতামত আসছে, তাহলে লটারির মতো করে একটা বেছে নিন। ভাগ্য ভালো হলে সঠিকটা বেছে নিতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার মুড সুইং হবে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। সামান্য কারণে অভিমান হতে পারে, যেমন রান্নাঘরের আলমারিতে সঠিক জায়গায় মসলার কৌটা নেই দেখে কান্না শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা ‘হোম সিকনেস’ এমন বাড়বে যে বাড়ির পোষা প্রাণীটিও আপনাকে দেখে অবাক হবে। মনে হবে বাইরের জগৎটা বড্ড নিষ্ঠুর, আর আপনার বেডরুমটাই একমাত্র নিরাপদ স্থান। যদিও ভালোবাসার মানুষের জন্য আজ আপনি সব করতে প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই—সে যেন আপনার মুডের গ্রাফটা বুঝে চলে! কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু করে বসবেন না যাতে পরে নিজেই লজ্জায় বালিশে মুখ লুকাতে হয়।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং ক্যামেরাগুলো ভুলবশত অন্য কাউকে ফোকাস করছে! সব কথোপকথনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইবেন, এবং যদি না পারেন, তবে একটু নাটক করে সবার মনোযোগ কাড়তে চেষ্টা করবেন। অফিসের মিটিংয়ে এমন আইডিয়া দেবেন, যা শুনতে খুব গ্ল্যামারাস, কিন্তু আসলে তার কার্যকারিতা শূন্য। আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল—সবকিছু আজ চিৎকার করে বলবে, ‘দেখো! শুধু আমাকেই দেখো!’ তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে কিন্তু গ্রহ-নক্ষত্র রুষ্ট হতে পারে। একটু অন্যকেও লাইমলাইট দিন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি কিং/কুইন’ বলে ডাকতে শুরু করবে!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের সমালোচকটি জেগে উঠবে। পাশের বাড়ির লোক কেন ভুল সময়ে গান গাইছে, বা সহকর্মী কেন ফন্টের সাইজটা ০.৫ পয়েন্ট কমালো—সব কিছু নিয়েই আপনার চিন্তা। ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন সব জিনিস খুঁজে পাবেন যা নিজেই ভুল করে রেখেছিলেন, আর তখন নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্য ভুলও আপনার চোখে পড়বে, কিন্তু সরাসরি কিছু না বলে মনে মনে একটা তালিকা তৈরি করবেন। সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে দিনটা উপভোগ করাই ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার এক্সেল শিটের মতো পরিপাটি নয়!
তুলা
আজকের দিনটা আপনার জন্য দ্বিধার দিন। বাজারে শার্ট কিনতে গিয়ে দুটি শার্টের রং, ডিজাইন আর দামের মধ্যে এমনভাবে আটকে পড়বেন যে দোকানি নিজেই ক্লান্ত হয়ে আপনাকে চা অফার করবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এমন সব কাজে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন যা আপনি মোটেও করতে চান না। তবে আপনার সামাজিক ব্যবহার আজ অসাধারণ থাকবে। চারপাশের পরিবেশকে এতটাই শান্ত ও সুন্দর করে তুলবেন যে মনে হবে কোনো স্পা-এর বিজ্ঞাপন চলছে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘চা না কফি?’, একটু সময় নিয়ে ভাবুন! এই সামান্য সিদ্ধান্তে আপনার আজকের দিনের ভারসাম্য নির্ভর করছে।
বৃশ্চিক
আজ বিনা কারণে রহস্যময় থাকতে চাইবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু গভীর চোখে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেবেন। মনে হবে আপনি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো গুপ্তচরবৃত্তি করছেন, যদিও আপনি আসলে ল্যাপটপে বিড়ালদের মজাদার ভিডিও দেখছেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তীব্র আবেগ পার্টনারকে চমকে দেবে। কারণ, সকাল পর্যন্ত আপনি তাকে একরকম ভালোবাসার কথা বলেছেন, আর বিকেলে অন্যরকম। কোনো ছোটখাটো পারিবারিক গোপন তথ্য ফাঁস হতে পারে, যার দায় আপনার ওপরই পড়বে। মাঝে মাঝে হাসুন, জোরে হাসুন! এতে আপনার রহস্যময় ভাবটা একটু কমবে, আর আশপাশের লোক আপনাকে দেখে ভয় পাওয়া বন্ধ করবে।
ধনু
মনে হবে, এই জগৎটা আপনার জন্য বড্ড ছোট হয়ে গেছে! মনে মনে অ্যাডভেঞ্চার প্ল্যান করবেন: ‘চলুন, একটা সাইকেলে চেপে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসি, শুধু একটা টুথব্রাশ আর একটি বই নিয়ে!’ বাস্তব জীবনে, হয়তো ঘর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিট হেঁটে আবার ফিরে আসবেন। কারণ, মোবাইল চার্জার নিতে ভুলে গেছেন। এমন সব দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা কেউ বুঝবে না, আর বন্ধুরাও হাসতে হাসতে দূরে সরে যাবে। আজ হঠাৎ করে বসকে গিয়ে চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার কথা বলার আগে একবার ভেবে দেখুন, কাল সকালে ব্রেকফাস্টটা কে বানাবে!
মকর
আজ এতটাই কর্মঠ থাকবেন যে মনে হবে আপনি যেন একটি রোবট যাকে ‘কাজ করো’ প্রোগ্রাম দিয়ে সেট করা হয়েছে। অন্য দশজনের কাজও টেনে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেবেন এবং তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, ‘আমি ছাড়া আর কেউ পারে না!’ তবে গ্রহের প্রভাবে আজ একটা মজার ঘটনা ঘটতে পারে: হয়তো ভুল করে কোনো পার্টিতে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে ‘আরে! মজাও তো করা যায়!’ যা আপনার সারা দিনের হিসাব-নিকাশ উল্টে দেবে। টাকাপয়সার হিসাব করতে গিয়ে এত মনোযোগ দেবেন না যে একটা ২০ টাকার নোট মেঝেতে পড়লে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে!
কুম্ভ
আজ আপনার মাথায় এমন সব আইডিয়া আসবে যা আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। মনে হবে, এই সমাজকে আপনার নতুন আবিষ্কার দিয়ে বদলে দেওয়া উচিত। এই সব চিন্তা করতে গিয়ে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের মাঝখানে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন। আজ বন্ধুবান্ধবরা আপনার কথা শুনে হাসবে, কিন্তু আপনি তাদের এই হাসি দেখে আরও বেশি করে নিজেকে ‘বিপ্লবী’ ভাববেন। আপনার বিপ্লবী আইডিয়াগুলো আপাতত একটা খাতায় টুকে রাখুন। সবার সঙ্গে শেয়ার করার আগে দেখুন, সেগুলো বাস্তবসম্মত, নাকি শুধু একটা ‘ঘুমভাঙা স্বপ্ন’।
মীন
আজ মেঘের ভেলায় চড়ে বেড়াবেন। দিবাস্বপ্ন দেখতে গিয়ে ট্রাফিকের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন বা অফিসে কাপে চা ঢালতে গিয়ে ভুল করে ফাইলে ঢেলে দিতে পারেন। আবেগের দিক থেকে এতটাই সংবেদনশীল থাকবেন যে কোনো সিনেমার পুরোনো পোস্টার দেখেই কেঁদে ফেলতে পারেন। কেউ ছোটখাটো কোনো ভুল ধরিয়ে দিলেই ধরে নেবেন যে সে আপনাকে মোটেও পছন্দ করে না। কল্পনাশক্তি আজ এতটাই বাড়বে যে হয়তো ভাববেন, ঘরের পোষা মাছটা আপনার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলছে। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝে মাঝে নিজের গালে একটা আলতো চিমটি কাটুন। আর টিস্যু পেপারের একটা প্যাকেট অবশ্যই হাতের কাছে রাখুন!
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে হঠকারী কিছু বলবেন না—আপনার পার্টনার হয়তো আপনার আবেগের বিস্ফোরণকে গ্যাস বেলুন ফেটে যাওয়া মনে করতে পারে। সাবধান, আজ অনলাইন শপিং সাইটে ভুল করে ‘Add to Cart’-এর বদলে ‘Buy Now’ বোতামে বেশি চাপ পড়বে। মাথা গরম হলে, ১০ সেকেন্ডের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি সত্যিই এই সস্তা শোপিসটা কিনতে চাই?’ উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ, উত্তর আসার আগেই আপনি কিনে ফেলেছেন।
বৃষ
আপনার জন্য আজকের দিনটা হলো ‘আয়েশ করার লাইসেন্স’। সোফায় এমনভাবে সেঁটে থাকবেন যেন আপনি আর সোফা একটি অবিচ্ছেদ্য মহাজাগতিক ইউনিট। কেউ কাজ করতে বললে ভুরু কোঁচকাবেন, যেন আপনি বিশ্বশান্তির চেয়েও জরুরি কোনো কাজে ব্যস্ত। তবে সন্ধ্যায় খাদ্যপ্রেম চরমে উঠবে। ফ্রিজ খুলে এমনভাবে খাবার খুঁজবেন, যেন গুপ্তধন খুঁজছেন। টাকাপয়সার দিক থেকে ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত আরামের ফলে অফিসের কাজের গতি হয়ে যাবে কচ্ছপের চেয়ে মন্থর। আজ ডায়েট প্ল্যান না মানার জন্য নিজেকে দোষ দেবেন না। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতকদের জন্য ‘ভারসাম্য’ মানে হলো দুই হাতে সমান পরিমাণে খাবার ধরে রাখা।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তা একসঙ্গে জেগে উঠবে। একটি বলবে, ‘আরে চলো দারুণ একটা অ্যাডভেঞ্চারে যাই!’ অন্যটি বলবে, ‘কিন্তু আমার তো নেটফ্লিক্সে দেখার জন্য এখনো অনেক সিরিজ বাকি!’ এই দ্বৈততার ফলে একই সময়ে দুজন বন্ধুকে দুই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসতে পারেন। ফোন আজ ওভারহিটেড হয়ে যাবে অতিরিক্ত চ্যাটিংয়ের কারণে। অফিসের সহকর্মী বা পরিবারকে এমন সব তথ্য দেবেন, যা অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক আপনার রাতের স্বপ্ন থেকে নেওয়া। যদি দেখেন কোনো পরিস্থিতিতে আপনার দুই রকম মতামত আসছে, তাহলে লটারির মতো করে একটা বেছে নিন। ভাগ্য ভালো হলে সঠিকটা বেছে নিতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার মুড সুইং হবে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। সামান্য কারণে অভিমান হতে পারে, যেমন রান্নাঘরের আলমারিতে সঠিক জায়গায় মসলার কৌটা নেই দেখে কান্না শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা ‘হোম সিকনেস’ এমন বাড়বে যে বাড়ির পোষা প্রাণীটিও আপনাকে দেখে অবাক হবে। মনে হবে বাইরের জগৎটা বড্ড নিষ্ঠুর, আর আপনার বেডরুমটাই একমাত্র নিরাপদ স্থান। যদিও ভালোবাসার মানুষের জন্য আজ আপনি সব করতে প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই—সে যেন আপনার মুডের গ্রাফটা বুঝে চলে! কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু করে বসবেন না যাতে পরে নিজেই লজ্জায় বালিশে মুখ লুকাতে হয়।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং ক্যামেরাগুলো ভুলবশত অন্য কাউকে ফোকাস করছে! সব কথোপকথনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইবেন, এবং যদি না পারেন, তবে একটু নাটক করে সবার মনোযোগ কাড়তে চেষ্টা করবেন। অফিসের মিটিংয়ে এমন আইডিয়া দেবেন, যা শুনতে খুব গ্ল্যামারাস, কিন্তু আসলে তার কার্যকারিতা শূন্য। আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল—সবকিছু আজ চিৎকার করে বলবে, ‘দেখো! শুধু আমাকেই দেখো!’ তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে কিন্তু গ্রহ-নক্ষত্র রুষ্ট হতে পারে। একটু অন্যকেও লাইমলাইট দিন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি কিং/কুইন’ বলে ডাকতে শুরু করবে!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের সমালোচকটি জেগে উঠবে। পাশের বাড়ির লোক কেন ভুল সময়ে গান গাইছে, বা সহকর্মী কেন ফন্টের সাইজটা ০.৫ পয়েন্ট কমালো—সব কিছু নিয়েই আপনার চিন্তা। ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন সব জিনিস খুঁজে পাবেন যা নিজেই ভুল করে রেখেছিলেন, আর তখন নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্য ভুলও আপনার চোখে পড়বে, কিন্তু সরাসরি কিছু না বলে মনে মনে একটা তালিকা তৈরি করবেন। সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে দিনটা উপভোগ করাই ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার এক্সেল শিটের মতো পরিপাটি নয়!
তুলা
আজকের দিনটা আপনার জন্য দ্বিধার দিন। বাজারে শার্ট কিনতে গিয়ে দুটি শার্টের রং, ডিজাইন আর দামের মধ্যে এমনভাবে আটকে পড়বেন যে দোকানি নিজেই ক্লান্ত হয়ে আপনাকে চা অফার করবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এমন সব কাজে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন যা আপনি মোটেও করতে চান না। তবে আপনার সামাজিক ব্যবহার আজ অসাধারণ থাকবে। চারপাশের পরিবেশকে এতটাই শান্ত ও সুন্দর করে তুলবেন যে মনে হবে কোনো স্পা-এর বিজ্ঞাপন চলছে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘চা না কফি?’, একটু সময় নিয়ে ভাবুন! এই সামান্য সিদ্ধান্তে আপনার আজকের দিনের ভারসাম্য নির্ভর করছে।
বৃশ্চিক
আজ বিনা কারণে রহস্যময় থাকতে চাইবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু গভীর চোখে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেবেন। মনে হবে আপনি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো গুপ্তচরবৃত্তি করছেন, যদিও আপনি আসলে ল্যাপটপে বিড়ালদের মজাদার ভিডিও দেখছেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তীব্র আবেগ পার্টনারকে চমকে দেবে। কারণ, সকাল পর্যন্ত আপনি তাকে একরকম ভালোবাসার কথা বলেছেন, আর বিকেলে অন্যরকম। কোনো ছোটখাটো পারিবারিক গোপন তথ্য ফাঁস হতে পারে, যার দায় আপনার ওপরই পড়বে। মাঝে মাঝে হাসুন, জোরে হাসুন! এতে আপনার রহস্যময় ভাবটা একটু কমবে, আর আশপাশের লোক আপনাকে দেখে ভয় পাওয়া বন্ধ করবে।
ধনু
মনে হবে, এই জগৎটা আপনার জন্য বড্ড ছোট হয়ে গেছে! মনে মনে অ্যাডভেঞ্চার প্ল্যান করবেন: ‘চলুন, একটা সাইকেলে চেপে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসি, শুধু একটা টুথব্রাশ আর একটি বই নিয়ে!’ বাস্তব জীবনে, হয়তো ঘর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিট হেঁটে আবার ফিরে আসবেন। কারণ, মোবাইল চার্জার নিতে ভুলে গেছেন। এমন সব দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা কেউ বুঝবে না, আর বন্ধুরাও হাসতে হাসতে দূরে সরে যাবে। আজ হঠাৎ করে বসকে গিয়ে চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার কথা বলার আগে একবার ভেবে দেখুন, কাল সকালে ব্রেকফাস্টটা কে বানাবে!
মকর
আজ এতটাই কর্মঠ থাকবেন যে মনে হবে আপনি যেন একটি রোবট যাকে ‘কাজ করো’ প্রোগ্রাম দিয়ে সেট করা হয়েছে। অন্য দশজনের কাজও টেনে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেবেন এবং তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, ‘আমি ছাড়া আর কেউ পারে না!’ তবে গ্রহের প্রভাবে আজ একটা মজার ঘটনা ঘটতে পারে: হয়তো ভুল করে কোনো পার্টিতে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে ‘আরে! মজাও তো করা যায়!’ যা আপনার সারা দিনের হিসাব-নিকাশ উল্টে দেবে। টাকাপয়সার হিসাব করতে গিয়ে এত মনোযোগ দেবেন না যে একটা ২০ টাকার নোট মেঝেতে পড়লে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে!
কুম্ভ
আজ আপনার মাথায় এমন সব আইডিয়া আসবে যা আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। মনে হবে, এই সমাজকে আপনার নতুন আবিষ্কার দিয়ে বদলে দেওয়া উচিত। এই সব চিন্তা করতে গিয়ে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের মাঝখানে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন। আজ বন্ধুবান্ধবরা আপনার কথা শুনে হাসবে, কিন্তু আপনি তাদের এই হাসি দেখে আরও বেশি করে নিজেকে ‘বিপ্লবী’ ভাববেন। আপনার বিপ্লবী আইডিয়াগুলো আপাতত একটা খাতায় টুকে রাখুন। সবার সঙ্গে শেয়ার করার আগে দেখুন, সেগুলো বাস্তবসম্মত, নাকি শুধু একটা ‘ঘুমভাঙা স্বপ্ন’।
মীন
আজ মেঘের ভেলায় চড়ে বেড়াবেন। দিবাস্বপ্ন দেখতে গিয়ে ট্রাফিকের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন বা অফিসে কাপে চা ঢালতে গিয়ে ভুল করে ফাইলে ঢেলে দিতে পারেন। আবেগের দিক থেকে এতটাই সংবেদনশীল থাকবেন যে কোনো সিনেমার পুরোনো পোস্টার দেখেই কেঁদে ফেলতে পারেন। কেউ ছোটখাটো কোনো ভুল ধরিয়ে দিলেই ধরে নেবেন যে সে আপনাকে মোটেও পছন্দ করে না। কল্পনাশক্তি আজ এতটাই বাড়বে যে হয়তো ভাববেন, ঘরের পোষা মাছটা আপনার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলছে। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝে মাঝে নিজের গালে একটা আলতো চিমটি কাটুন। আর টিস্যু পেপারের একটা প্যাকেট অবশ্যই হাতের কাছে রাখুন!

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে হঠকারী কিছু বলবেন না—আপনার পার্টনার হয়তো আপনার আবেগের বিস্ফোরণকে গ্যাস বেলুন ফেটে যাওয়া মনে করতে পারে। সাবধান, আজ অনলাইন শপিং সাইটে ভুল করে ‘Add to Cart’-এর বদলে ‘Buy Now’ বোতামে বেশি চাপ পড়বে। মাথা গরম হলে, ১০ সেকেন্ডের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি সত্যিই এই সস্তা শোপিসটা কিনতে চাই?’ উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ, উত্তর আসার আগেই আপনি কিনে ফেলেছেন।
বৃষ
আপনার জন্য আজকের দিনটা হলো ‘আয়েশ করার লাইসেন্স’। সোফায় এমনভাবে সেঁটে থাকবেন যেন আপনি আর সোফা একটি অবিচ্ছেদ্য মহাজাগতিক ইউনিট। কেউ কাজ করতে বললে ভুরু কোঁচকাবেন, যেন আপনি বিশ্বশান্তির চেয়েও জরুরি কোনো কাজে ব্যস্ত। তবে সন্ধ্যায় খাদ্যপ্রেম চরমে উঠবে। ফ্রিজ খুলে এমনভাবে খাবার খুঁজবেন, যেন গুপ্তধন খুঁজছেন। টাকাপয়সার দিক থেকে ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত আরামের ফলে অফিসের কাজের গতি হয়ে যাবে কচ্ছপের চেয়ে মন্থর। আজ ডায়েট প্ল্যান না মানার জন্য নিজেকে দোষ দেবেন না। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতকদের জন্য ‘ভারসাম্য’ মানে হলো দুই হাতে সমান পরিমাণে খাবার ধরে রাখা।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তা একসঙ্গে জেগে উঠবে। একটি বলবে, ‘আরে চলো দারুণ একটা অ্যাডভেঞ্চারে যাই!’ অন্যটি বলবে, ‘কিন্তু আমার তো নেটফ্লিক্সে দেখার জন্য এখনো অনেক সিরিজ বাকি!’ এই দ্বৈততার ফলে একই সময়ে দুজন বন্ধুকে দুই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসতে পারেন। ফোন আজ ওভারহিটেড হয়ে যাবে অতিরিক্ত চ্যাটিংয়ের কারণে। অফিসের সহকর্মী বা পরিবারকে এমন সব তথ্য দেবেন, যা অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক আপনার রাতের স্বপ্ন থেকে নেওয়া। যদি দেখেন কোনো পরিস্থিতিতে আপনার দুই রকম মতামত আসছে, তাহলে লটারির মতো করে একটা বেছে নিন। ভাগ্য ভালো হলে সঠিকটা বেছে নিতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার মুড সুইং হবে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। সামান্য কারণে অভিমান হতে পারে, যেমন রান্নাঘরের আলমারিতে সঠিক জায়গায় মসলার কৌটা নেই দেখে কান্না শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা ‘হোম সিকনেস’ এমন বাড়বে যে বাড়ির পোষা প্রাণীটিও আপনাকে দেখে অবাক হবে। মনে হবে বাইরের জগৎটা বড্ড নিষ্ঠুর, আর আপনার বেডরুমটাই একমাত্র নিরাপদ স্থান। যদিও ভালোবাসার মানুষের জন্য আজ আপনি সব করতে প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই—সে যেন আপনার মুডের গ্রাফটা বুঝে চলে! কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু করে বসবেন না যাতে পরে নিজেই লজ্জায় বালিশে মুখ লুকাতে হয়।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং ক্যামেরাগুলো ভুলবশত অন্য কাউকে ফোকাস করছে! সব কথোপকথনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইবেন, এবং যদি না পারেন, তবে একটু নাটক করে সবার মনোযোগ কাড়তে চেষ্টা করবেন। অফিসের মিটিংয়ে এমন আইডিয়া দেবেন, যা শুনতে খুব গ্ল্যামারাস, কিন্তু আসলে তার কার্যকারিতা শূন্য। আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল—সবকিছু আজ চিৎকার করে বলবে, ‘দেখো! শুধু আমাকেই দেখো!’ তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে কিন্তু গ্রহ-নক্ষত্র রুষ্ট হতে পারে। একটু অন্যকেও লাইমলাইট দিন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি কিং/কুইন’ বলে ডাকতে শুরু করবে!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের সমালোচকটি জেগে উঠবে। পাশের বাড়ির লোক কেন ভুল সময়ে গান গাইছে, বা সহকর্মী কেন ফন্টের সাইজটা ০.৫ পয়েন্ট কমালো—সব কিছু নিয়েই আপনার চিন্তা। ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন সব জিনিস খুঁজে পাবেন যা নিজেই ভুল করে রেখেছিলেন, আর তখন নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্য ভুলও আপনার চোখে পড়বে, কিন্তু সরাসরি কিছু না বলে মনে মনে একটা তালিকা তৈরি করবেন। সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে দিনটা উপভোগ করাই ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার এক্সেল শিটের মতো পরিপাটি নয়!
তুলা
আজকের দিনটা আপনার জন্য দ্বিধার দিন। বাজারে শার্ট কিনতে গিয়ে দুটি শার্টের রং, ডিজাইন আর দামের মধ্যে এমনভাবে আটকে পড়বেন যে দোকানি নিজেই ক্লান্ত হয়ে আপনাকে চা অফার করবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এমন সব কাজে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন যা আপনি মোটেও করতে চান না। তবে আপনার সামাজিক ব্যবহার আজ অসাধারণ থাকবে। চারপাশের পরিবেশকে এতটাই শান্ত ও সুন্দর করে তুলবেন যে মনে হবে কোনো স্পা-এর বিজ্ঞাপন চলছে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘চা না কফি?’, একটু সময় নিয়ে ভাবুন! এই সামান্য সিদ্ধান্তে আপনার আজকের দিনের ভারসাম্য নির্ভর করছে।
বৃশ্চিক
আজ বিনা কারণে রহস্যময় থাকতে চাইবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু গভীর চোখে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেবেন। মনে হবে আপনি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো গুপ্তচরবৃত্তি করছেন, যদিও আপনি আসলে ল্যাপটপে বিড়ালদের মজাদার ভিডিও দেখছেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তীব্র আবেগ পার্টনারকে চমকে দেবে। কারণ, সকাল পর্যন্ত আপনি তাকে একরকম ভালোবাসার কথা বলেছেন, আর বিকেলে অন্যরকম। কোনো ছোটখাটো পারিবারিক গোপন তথ্য ফাঁস হতে পারে, যার দায় আপনার ওপরই পড়বে। মাঝে মাঝে হাসুন, জোরে হাসুন! এতে আপনার রহস্যময় ভাবটা একটু কমবে, আর আশপাশের লোক আপনাকে দেখে ভয় পাওয়া বন্ধ করবে।
ধনু
মনে হবে, এই জগৎটা আপনার জন্য বড্ড ছোট হয়ে গেছে! মনে মনে অ্যাডভেঞ্চার প্ল্যান করবেন: ‘চলুন, একটা সাইকেলে চেপে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসি, শুধু একটা টুথব্রাশ আর একটি বই নিয়ে!’ বাস্তব জীবনে, হয়তো ঘর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিট হেঁটে আবার ফিরে আসবেন। কারণ, মোবাইল চার্জার নিতে ভুলে গেছেন। এমন সব দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা কেউ বুঝবে না, আর বন্ধুরাও হাসতে হাসতে দূরে সরে যাবে। আজ হঠাৎ করে বসকে গিয়ে চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার কথা বলার আগে একবার ভেবে দেখুন, কাল সকালে ব্রেকফাস্টটা কে বানাবে!
মকর
আজ এতটাই কর্মঠ থাকবেন যে মনে হবে আপনি যেন একটি রোবট যাকে ‘কাজ করো’ প্রোগ্রাম দিয়ে সেট করা হয়েছে। অন্য দশজনের কাজও টেনে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেবেন এবং তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, ‘আমি ছাড়া আর কেউ পারে না!’ তবে গ্রহের প্রভাবে আজ একটা মজার ঘটনা ঘটতে পারে: হয়তো ভুল করে কোনো পার্টিতে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে ‘আরে! মজাও তো করা যায়!’ যা আপনার সারা দিনের হিসাব-নিকাশ উল্টে দেবে। টাকাপয়সার হিসাব করতে গিয়ে এত মনোযোগ দেবেন না যে একটা ২০ টাকার নোট মেঝেতে পড়লে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে!
কুম্ভ
আজ আপনার মাথায় এমন সব আইডিয়া আসবে যা আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। মনে হবে, এই সমাজকে আপনার নতুন আবিষ্কার দিয়ে বদলে দেওয়া উচিত। এই সব চিন্তা করতে গিয়ে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের মাঝখানে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন। আজ বন্ধুবান্ধবরা আপনার কথা শুনে হাসবে, কিন্তু আপনি তাদের এই হাসি দেখে আরও বেশি করে নিজেকে ‘বিপ্লবী’ ভাববেন। আপনার বিপ্লবী আইডিয়াগুলো আপাতত একটা খাতায় টুকে রাখুন। সবার সঙ্গে শেয়ার করার আগে দেখুন, সেগুলো বাস্তবসম্মত, নাকি শুধু একটা ‘ঘুমভাঙা স্বপ্ন’।
মীন
আজ মেঘের ভেলায় চড়ে বেড়াবেন। দিবাস্বপ্ন দেখতে গিয়ে ট্রাফিকের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন বা অফিসে কাপে চা ঢালতে গিয়ে ভুল করে ফাইলে ঢেলে দিতে পারেন। আবেগের দিক থেকে এতটাই সংবেদনশীল থাকবেন যে কোনো সিনেমার পুরোনো পোস্টার দেখেই কেঁদে ফেলতে পারেন। কেউ ছোটখাটো কোনো ভুল ধরিয়ে দিলেই ধরে নেবেন যে সে আপনাকে মোটেও পছন্দ করে না। কল্পনাশক্তি আজ এতটাই বাড়বে যে হয়তো ভাববেন, ঘরের পোষা মাছটা আপনার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলছে। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝে মাঝে নিজের গালে একটা আলতো চিমটি কাটুন। আর টিস্যু পেপারের একটা প্যাকেট অবশ্যই হাতের কাছে রাখুন!

ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগে
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে, ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
২ দিন আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগে
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে, ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
২ দিন আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৬ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগে
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে, ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
২ দিন আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি। শত্রুরা আজ আপনাকে নিয়ে খুব আলোচনা করবে, বিশেষত সেই পাশের বাড়ির আন্টি, যিনি আপনার বারান্দার গাছগুলো দেখে হিংসা করেন। ব্যবসায় সাফল্য নিশ্চিত, কিন্তু এর কৃতিত্ব যেন সঙ্গী না নিয়ে নেন!
বৃষ
কর্মক্ষেত্রে আজ পরিস্থিতি সুবিধাজনক না-ও হতে পারে। মানে বস আজ সকালে টক দই খেয়ে এসেছেন, তাই ভুলেও আজ কোনো অতিরিক্ত বুদ্ধি খাটাতে যাবেন না। সহকর্মীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, আপনি গত সপ্তাহে অফিসে সহকর্মীর জন্মদিনের কেকটা একাই অর্ধেকের বেশি খেয়ে নিয়েছিলেন। সন্তানের চিন্তা বাড়বে, সম্ভবত তারা আপনার লুকিয়ে রাখা চিপসের প্যাকেট খুঁজে পেয়েছে। এলিট শ্রেণীর কোনো মানুষের সান্নিধ্য পাবেন, তবে তার আগে আপনার জুতাটা ভালো করে পালিশ করে নেবেন। নতুন কাজে সাফল্য আসবে, কিন্তু তার আগে সমাজে একটু ইজ্জত খোয়া যেতে পারে।
মিথুন
আজ শত্রুদের কারণে দুশ্চিন্তা বাড়বে। আপনার আসল শত্রু হলো নিজের মন, যেটা এক সেকেন্ডে তিনটি ভিন্ন প্ল্যান করে ফেলে। উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ভ্রমণ হতে পারে; যেমন ফ্রিজে কী আছে দেখতে গিয়ে ড্রয়ারে কী আছে তা খুঁজতে শুরু করা। বন্ধুর কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে, বিশেষত সেই বন্ধু যিনি টাকা ধার করে আর ফিরিয়ে দেন না। মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন, না হলে তিনি রান্নাঘরের ‘রাজদণ্ড’ ছেড়ে দেবেন না। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি মিটে যাবে। ফাইনালি রিমোট কন্ট্রোল যুদ্ধ শেষ!
কর্কট
রাস্তাঘাটে সতর্কভাবে চলাফেরা করুন। পাছে কলার খোসার ওপর পা দিয়ে পিছলে না যান। কারণ, আঘাতের যোগ আছে। অনেক দিনের পুরোনো অসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন—হ্যাঁ, সেই পুরোনো অভ্যাস, রাতে দেরি করে আইসক্রিম খাওয়াটা আজ বন্ধ হবে। অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, হয়তো ওয়াশিং মেশিনের পকেট থেকে একটা পুরোনো ৫০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কাউকে অবহেলা করবেন না, বিশেষত জীবনসঙ্গীকে। কারণ, আজ রাতে সোফায় শোয়ার যোগ আছে।
সিংহ
আজ আপনার সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যায় কষ্ট হতে পারে। কারণ, আপনার নাটুকে মন সহ্য করতে না পেরে মহাবিশ্ব আপনাকে একটু শান্ত থাকার সংকেত দিচ্ছে। জ্ঞাতিরা আপনার সঙ্গে শত্রুতা করবে। কারণ, তারা আপনার নতুন কেনা গ্যাজেটটার জন্য হিংসা করছে। কর্মক্ষেত্রে মর্যাদাহানি বা স্থান পরিবর্তন হতে পারে; ধরুন, আপনাকে এসি রুম থেকে পাশের স্টোররুমে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে, তবে সাবধান! দাম্পত্যে সমস্যা আসতে পারে। তাই প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে বেশি হিরোগিরি দেখাবেন না।
কন্যা
খারাপ খাবার খেয়ে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যে রাস্তার ধারের ফুচকা ছাড়া থাকতে পারেন না, তার ফল আজ ভুগতেই হবে। অত্যধিক চিন্তায় আজ উৎকণ্ঠা বাড়বে। প্লিজ, আজ অন্তত বিড়ালটা কেন অমন করে আপনার দিকে তাকাচ্ছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন, খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ বসের মন জয় করে নেবে। অংশীদারি ব্যবসায় লাভবান হবেন, তাই পার্টনারকে আজই একটা ভালো ট্রিট দিতে বলুন।
তুলা
আজ সহকর্মী বন্ধুরা আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে। এটা হয়তো পৃথিবীর শেষ দিন, তাই তারা এতটা ভালো ব্যবহার করছে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হবে, তাই চটজলদি ভালো জামাকাপড় পরে ফেলুন। আলোচনায় ধৈর্য বজায় রাখুন। কেউ যদি অযথা কোনো তর্কে জড়াতে চায়, তবে শুধু হাসুন আর বলুন, 'আকাশটা আজ সুন্দর, নীল।' প্রিয়জনেরা সুখ বৃদ্ধি করবে, তারা হয়তো আপনার জন্য আপনার পছন্দের খাবার বানিয়ে দেবে।
বৃশ্চিক
নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অবহেলা করবেন না। মাঝরাতে অতিরিক্ত চিপস খাওয়া বন্ধ করুন, আপনার লিভার হয়তো আজ একটা চিঠি পাঠাবে। নিজের ভেতরের আগুনটা আজ খুব তীব্র, তাই কাজে সেই তেজ ব্যবহার করুন। কাউকে আজ অতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না, বিশেষত যারা আপনাকে 'সুপার ডুপার সিক্রেট' বলে সব কথা বলে দেয়। মনোযোগ আজ লেজারের মতো তীক্ষ্ণ, কাজে লাগান!
ধনু
আজ সবাইকে কাছে পেয়েও নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ বলে মনে হবে। চারদিকে লোক, কিন্তু সবাই নিজেদের ফোনে মুখ গুঁজে আছে—এই দৃশ্য দেখলে নিঃসঙ্গ লাগতেই পারে। এই নিঃসঙ্গতা কাটাতে গ্রহরা আপনাকে আরও কাজের দায়িত্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, আরও কাজ! কারণ, ছুটি থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো অফিসের ই-মেইল চেক করা, তাই না? ভ্রমণযোগ আছে, সম্ভবত বাড়ির ছাদ থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত।
মকর
কিছু মানুষের ব্যবহারের জন্য মানুষ চেনার আসল অধ্যায় শুরু হবে। মানে বুঝবেন যে কে আপনার সামনে মধু আর পেছনে বিষ ঢালে। এই জ্ঞানের ফলে আপনি আরও বেশি সিরিয়াস হয়ে যাবেন, যা দেখে আপনার বন্ধুদের কপালে ভাঁজ পড়বে। পারিবারিক দিকে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করবেন, হয়তো ভাই/বোন অবশেষে তাদের ঘর পরিষ্কার করবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে লাভ আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সকে বিশেষ প্রভাবিত করবে না।
কুম্ভ
আজকে আপনি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং শক্তির মুখোমুখি হতে পারেন। এর সহজ অর্থ হলো, আপনার ইন্টারনেট স্পিড আজ ভীষণ স্লো থাকবে এবং প্রিয় ইউটিউব ভিডিওর মাঝে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন আসবে। প্রযুক্তির সঙ্গে বেশি তর্ক করবেন না, শুধু রাউটারটা একবার রিস্টার্ট করে দেখুন। মনে রাখবেন, আপনার আইডিয়াগুলো দুর্দান্ত, কিন্তু পৃথিবীতে সেটা কার্যকর করার জন্য একটু মাটিতে পা রাখতে হবে।
মীন
প্রেম এবং সম্প্রীতি আপনার জীবনে পূর্ণ থাকবে। আজ সবাই আপনার প্রতি বিশেষভাবে সদয়। কেন? কারণ, এত শান্ত থাকেন যে কেউ আপনার সঙ্গে ঝগড়া করতে ভয় পায়। অন্যদের সঙ্গে সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে। আধ্যাত্মিক সংযোগ আজ তুঙ্গে থাকবে, তাই আজ গাছেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ, তারা আপনাকে বন্ধুদের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনবে। তবে অফিসের মিটিংয়ে দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার অর্থভাগ্য অনেকটা ফাটকা ব্যবসার মতো। হয় অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, নয়তো কপাল পুড়বে। তবে চিন্তা নেই, লাভ হলেও সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা দামি কফি কিনবেন, আর লোকসান হলেও কফিটাই কিনবেন; তবে সেটা ব্ল্যাক কফি। শত্রুরা আজ আপনাকে নিয়ে খুব আলোচনা করবে, বিশেষত সেই পাশের বাড়ির আন্টি, যিনি আপনার বারান্দার গাছগুলো দেখে হিংসা করেন। ব্যবসায় সাফল্য নিশ্চিত, কিন্তু এর কৃতিত্ব যেন সঙ্গী না নিয়ে নেন!
বৃষ
কর্মক্ষেত্রে আজ পরিস্থিতি সুবিধাজনক না-ও হতে পারে। মানে বস আজ সকালে টক দই খেয়ে এসেছেন, তাই ভুলেও আজ কোনো অতিরিক্ত বুদ্ধি খাটাতে যাবেন না। সহকর্মীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, আপনি গত সপ্তাহে অফিসে সহকর্মীর জন্মদিনের কেকটা একাই অর্ধেকের বেশি খেয়ে নিয়েছিলেন। সন্তানের চিন্তা বাড়বে, সম্ভবত তারা আপনার লুকিয়ে রাখা চিপসের প্যাকেট খুঁজে পেয়েছে। এলিট শ্রেণীর কোনো মানুষের সান্নিধ্য পাবেন, তবে তার আগে আপনার জুতাটা ভালো করে পালিশ করে নেবেন। নতুন কাজে সাফল্য আসবে, কিন্তু তার আগে সমাজে একটু ইজ্জত খোয়া যেতে পারে।
মিথুন
আজ শত্রুদের কারণে দুশ্চিন্তা বাড়বে। আপনার আসল শত্রু হলো নিজের মন, যেটা এক সেকেন্ডে তিনটি ভিন্ন প্ল্যান করে ফেলে। উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ভ্রমণ হতে পারে; যেমন ফ্রিজে কী আছে দেখতে গিয়ে ড্রয়ারে কী আছে তা খুঁজতে শুরু করা। বন্ধুর কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে, বিশেষত সেই বন্ধু যিনি টাকা ধার করে আর ফিরিয়ে দেন না। মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন, না হলে তিনি রান্নাঘরের ‘রাজদণ্ড’ ছেড়ে দেবেন না। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি মিটে যাবে। ফাইনালি রিমোট কন্ট্রোল যুদ্ধ শেষ!
কর্কট
রাস্তাঘাটে সতর্কভাবে চলাফেরা করুন। পাছে কলার খোসার ওপর পা দিয়ে পিছলে না যান। কারণ, আঘাতের যোগ আছে। অনেক দিনের পুরোনো অসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন—হ্যাঁ, সেই পুরোনো অভ্যাস, রাতে দেরি করে আইসক্রিম খাওয়াটা আজ বন্ধ হবে। অপ্রত্যাশিত লাভ হবে, হয়তো ওয়াশিং মেশিনের পকেট থেকে একটা পুরোনো ৫০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কাউকে অবহেলা করবেন না, বিশেষত জীবনসঙ্গীকে। কারণ, আজ রাতে সোফায় শোয়ার যোগ আছে।
সিংহ
আজ আপনার সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যায় কষ্ট হতে পারে। কারণ, আপনার নাটুকে মন সহ্য করতে না পেরে মহাবিশ্ব আপনাকে একটু শান্ত থাকার সংকেত দিচ্ছে। জ্ঞাতিরা আপনার সঙ্গে শত্রুতা করবে। কারণ, তারা আপনার নতুন কেনা গ্যাজেটটার জন্য হিংসা করছে। কর্মক্ষেত্রে মর্যাদাহানি বা স্থান পরিবর্তন হতে পারে; ধরুন, আপনাকে এসি রুম থেকে পাশের স্টোররুমে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে, তবে সাবধান! দাম্পত্যে সমস্যা আসতে পারে। তাই প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে বেশি হিরোগিরি দেখাবেন না।
কন্যা
খারাপ খাবার খেয়ে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যে রাস্তার ধারের ফুচকা ছাড়া থাকতে পারেন না, তার ফল আজ ভুগতেই হবে। অত্যধিক চিন্তায় আজ উৎকণ্ঠা বাড়বে। প্লিজ, আজ অন্তত বিড়ালটা কেন অমন করে আপনার দিকে তাকাচ্ছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন, খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ বসের মন জয় করে নেবে। অংশীদারি ব্যবসায় লাভবান হবেন, তাই পার্টনারকে আজই একটা ভালো ট্রিট দিতে বলুন।
তুলা
আজ সহকর্মী বন্ধুরা আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে। এটা হয়তো পৃথিবীর শেষ দিন, তাই তারা এতটা ভালো ব্যবহার করছে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হবে, তাই চটজলদি ভালো জামাকাপড় পরে ফেলুন। আলোচনায় ধৈর্য বজায় রাখুন। কেউ যদি অযথা কোনো তর্কে জড়াতে চায়, তবে শুধু হাসুন আর বলুন, 'আকাশটা আজ সুন্দর, নীল।' প্রিয়জনেরা সুখ বৃদ্ধি করবে, তারা হয়তো আপনার জন্য আপনার পছন্দের খাবার বানিয়ে দেবে।
বৃশ্চিক
নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অবহেলা করবেন না। মাঝরাতে অতিরিক্ত চিপস খাওয়া বন্ধ করুন, আপনার লিভার হয়তো আজ একটা চিঠি পাঠাবে। নিজের ভেতরের আগুনটা আজ খুব তীব্র, তাই কাজে সেই তেজ ব্যবহার করুন। কাউকে আজ অতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না, বিশেষত যারা আপনাকে 'সুপার ডুপার সিক্রেট' বলে সব কথা বলে দেয়। মনোযোগ আজ লেজারের মতো তীক্ষ্ণ, কাজে লাগান!
ধনু
আজ সবাইকে কাছে পেয়েও নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ বলে মনে হবে। চারদিকে লোক, কিন্তু সবাই নিজেদের ফোনে মুখ গুঁজে আছে—এই দৃশ্য দেখলে নিঃসঙ্গ লাগতেই পারে। এই নিঃসঙ্গতা কাটাতে গ্রহরা আপনাকে আরও কাজের দায়িত্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, আরও কাজ! কারণ, ছুটি থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো অফিসের ই-মেইল চেক করা, তাই না? ভ্রমণযোগ আছে, সম্ভবত বাড়ির ছাদ থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত।
মকর
কিছু মানুষের ব্যবহারের জন্য মানুষ চেনার আসল অধ্যায় শুরু হবে। মানে বুঝবেন যে কে আপনার সামনে মধু আর পেছনে বিষ ঢালে। এই জ্ঞানের ফলে আপনি আরও বেশি সিরিয়াস হয়ে যাবেন, যা দেখে আপনার বন্ধুদের কপালে ভাঁজ পড়বে। পারিবারিক দিকে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করবেন, হয়তো ভাই/বোন অবশেষে তাদের ঘর পরিষ্কার করবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে লাভ আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সকে বিশেষ প্রভাবিত করবে না।
কুম্ভ
আজকে আপনি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং শক্তির মুখোমুখি হতে পারেন। এর সহজ অর্থ হলো, আপনার ইন্টারনেট স্পিড আজ ভীষণ স্লো থাকবে এবং প্রিয় ইউটিউব ভিডিওর মাঝে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন আসবে। প্রযুক্তির সঙ্গে বেশি তর্ক করবেন না, শুধু রাউটারটা একবার রিস্টার্ট করে দেখুন। মনে রাখবেন, আপনার আইডিয়াগুলো দুর্দান্ত, কিন্তু পৃথিবীতে সেটা কার্যকর করার জন্য একটু মাটিতে পা রাখতে হবে।
মীন
প্রেম এবং সম্প্রীতি আপনার জীবনে পূর্ণ থাকবে। আজ সবাই আপনার প্রতি বিশেষভাবে সদয়। কেন? কারণ, এত শান্ত থাকেন যে কেউ আপনার সঙ্গে ঝগড়া করতে ভয় পায়। অন্যদের সঙ্গে সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে। আধ্যাত্মিক সংযোগ আজ তুঙ্গে থাকবে, তাই আজ গাছেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ, তারা আপনাকে বন্ধুদের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনবে। তবে অফিসের মিটিংয়ে দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন।

আজ আপনার এনার্জি লেভেল এমন থাকবে যেন তিন দিন ধরে কফি খেয়ে ঘুমাননি। সকাল থেকেই মনে হবে, ‘আজ পৃথিবী জয় করব, নয়তো অন্ততপক্ষে ফ্রিজে রাখা শেষ মিষ্টিটা চুরি করব!’ কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
২ দিন আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগে