বিভাবরী রায়

এখন বিশ্বজুড়ে ওয়েলনেস ও সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছর জাপান, কোরিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় কোলাজেন ড্রিংক নামে এক ধরনের গোলাপি পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রেডিমেড প্যাকেটে এসব পানীয়র পাউডার আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে এই গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি।
কোলাজেন আসলে কী
কোলাজেন হলো শরীরের এক ধরনের প্রোটিন। যা ত্বক, হাড়, জয়েন্ট ও অন্যান্য কোষে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বক ভালো রাখতে এটি খুবই জরুরি উপাদান। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে ও নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এক কথায় কোলাজেন আমাদের ত্বক, চুল, নখ, হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেন পানীয় পান করলে কী হয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে ত্বকের টান টান ভাব চলে যায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি বিশেষ রকম ‘ডিটক্স’ পানীয় এটি। ত্বকের চিকিৎসকেরা আধুনিক এই কোলাজেন পানীয়কে বলেন গোলাপি পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি হবে এবং মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়। এই পানীয় ত্বকের রং উন্নত করে, বলিরেখা কমায় ও মৃত কোষ দূর করে, নতুন কোষের পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতো, কোলাজেন ড্রিংক বা পানীয় দিনে একবার পান করা যথেষ্ট। এটি সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। এতে শরীর সহজেই কোলাজেন শোষণ করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি কোলাজেন ভাঙতে পারে, তাই এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান ও অতিবেগুনি রশ্মি কোলাজেনের ক্ষতি করে।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ত্বক ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
তবে বাজার চলতি এসব গোলাপি রেডিমেড কোলাজেন পানীয়তে যদি ভরসা রাখতে না পারেন, তাহলে ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনকারী এই পানীয়।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার
প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন পাওয়ার জন্য কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।

প্রাণীজ উৎস
হাড়ের ঝোল বা বোন ব্রথ: গরু, মুরগি বা মাছের হাড় সেদ্ধ করে তৈরি ঝোলে কোলাজেন ও জেলাটিন থাকে।
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার: বিশেষ করে স্যামন, টুনা, চিংড়ি ও কাঁকড়ার মতো শেলফিশের ত্বক ও হাড়ে কোলাজেন থাকে।
গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম: গরুর মাংস, মুরগির চামড়া ও ডিমের সাদা অংশে কোলাজেন উপাদান রয়েছে।
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক খাবার

শরীরে কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি, জিংক ও কপার প্রয়োজন। এগুলো যেসব খাবারে আছে সেগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন পাওয়া যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, আমলকী, পেয়ারা।
জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ, শিম, গোটা শস্য, ডার্ক চকলেট।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম।
কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট
চিকিৎসকের পরামর্শে জেলাটিন বা হাইড্রোলাইজড কোলাজেন পাউডার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এর টাইপ ১ ও ৩ সাধারণত ত্বকের জন্য এবং টাইপ ২ জয়েন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাড়িতে যেভাবে কোলাজেন পানীয় তৈরি করবেন

উপকরণ
মাঝারি বিটরুট ১ টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, আমলকী ২ থেকে ৩ টা, আদা এক ইঞ্চি পরিমাণ টুকরো, মধু এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
প্রতিদিন এক গ্লাস পরিমাণ কোলাজেন পানীয় পান করাই যথেষ্ট।
সূত্র: হেলথ লাইন, এনসিবিআই ডট এনআইএইচ ডট হিওভি, এইচএআরভিএআরডি ডট ইডিইউ, মায়ো ক্লিনিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া

এখন বিশ্বজুড়ে ওয়েলনেস ও সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছর জাপান, কোরিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় কোলাজেন ড্রিংক নামে এক ধরনের গোলাপি পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রেডিমেড প্যাকেটে এসব পানীয়র পাউডার আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে এই গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি।
কোলাজেন আসলে কী
কোলাজেন হলো শরীরের এক ধরনের প্রোটিন। যা ত্বক, হাড়, জয়েন্ট ও অন্যান্য কোষে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বক ভালো রাখতে এটি খুবই জরুরি উপাদান। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে ও নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এক কথায় কোলাজেন আমাদের ত্বক, চুল, নখ, হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেন পানীয় পান করলে কী হয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে ত্বকের টান টান ভাব চলে যায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি বিশেষ রকম ‘ডিটক্স’ পানীয় এটি। ত্বকের চিকিৎসকেরা আধুনিক এই কোলাজেন পানীয়কে বলেন গোলাপি পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি হবে এবং মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়। এই পানীয় ত্বকের রং উন্নত করে, বলিরেখা কমায় ও মৃত কোষ দূর করে, নতুন কোষের পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতো, কোলাজেন ড্রিংক বা পানীয় দিনে একবার পান করা যথেষ্ট। এটি সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। এতে শরীর সহজেই কোলাজেন শোষণ করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি কোলাজেন ভাঙতে পারে, তাই এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান ও অতিবেগুনি রশ্মি কোলাজেনের ক্ষতি করে।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ত্বক ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
তবে বাজার চলতি এসব গোলাপি রেডিমেড কোলাজেন পানীয়তে যদি ভরসা রাখতে না পারেন, তাহলে ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনকারী এই পানীয়।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার
প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন পাওয়ার জন্য কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।

প্রাণীজ উৎস
হাড়ের ঝোল বা বোন ব্রথ: গরু, মুরগি বা মাছের হাড় সেদ্ধ করে তৈরি ঝোলে কোলাজেন ও জেলাটিন থাকে।
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার: বিশেষ করে স্যামন, টুনা, চিংড়ি ও কাঁকড়ার মতো শেলফিশের ত্বক ও হাড়ে কোলাজেন থাকে।
গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম: গরুর মাংস, মুরগির চামড়া ও ডিমের সাদা অংশে কোলাজেন উপাদান রয়েছে।
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক খাবার

শরীরে কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি, জিংক ও কপার প্রয়োজন। এগুলো যেসব খাবারে আছে সেগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন পাওয়া যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, আমলকী, পেয়ারা।
জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ, শিম, গোটা শস্য, ডার্ক চকলেট।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম।
কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট
চিকিৎসকের পরামর্শে জেলাটিন বা হাইড্রোলাইজড কোলাজেন পাউডার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এর টাইপ ১ ও ৩ সাধারণত ত্বকের জন্য এবং টাইপ ২ জয়েন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাড়িতে যেভাবে কোলাজেন পানীয় তৈরি করবেন

উপকরণ
মাঝারি বিটরুট ১ টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, আমলকী ২ থেকে ৩ টা, আদা এক ইঞ্চি পরিমাণ টুকরো, মধু এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
প্রতিদিন এক গ্লাস পরিমাণ কোলাজেন পানীয় পান করাই যথেষ্ট।
সূত্র: হেলথ লাইন, এনসিবিআই ডট এনআইএইচ ডট হিওভি, এইচএআরভিএআরডি ডট ইডিইউ, মায়ো ক্লিনিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৪১ মিনিট আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৮ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে দেশে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি। তবে না কিনে এটি বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়।
২৩ জুলাই ২০২৫
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৮ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে দেশে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি। তবে না কিনে এটি বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়।
২৩ জুলাই ২০২৫
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৪১ মিনিট আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৮ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে দেশে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি। তবে না কিনে এটি বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়।
২৩ জুলাই ২০২৫
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৪১ মিনিট আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে দেশে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি। তবে না কিনে এটি বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়।
২৩ জুলাই ২০২৫
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৪১ মিনিট আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৮ ঘণ্টা আগে