শোভন সাহা

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা। চুলে অতিরিক্ত স্প্রে, হিট ও স্টাইলিং টুল ব্যবহার করার ফলে এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও কমে যায়। এদিকে ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে নিজেকে সুন্দর ও প্রেজেন্টেবল দেখানোটাও তো জরুরি। তাই উৎসবের পর আপাদমস্তক যত্ন নেওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে।
কাজের চাপ ও ত্বকের যত্ন
ছুটির পর অফিস শুরু করার প্রথম কিছুদিন তো একটু বাড়তি ধকল যাবেই। এর ফাঁকেই নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। টানা কয়েক দিন ভারী মেকআপের পর ত্বককে ডিপ ক্লিন বা গভীর থেকে পরিষ্কার করা দরকার। এ জন্য বাড়িতেই ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং—বেসিক এই সিটিএম রুটিন দিনে অন্তত তিনবার নিয়ম করে অনুসরণ করা উচিত।
ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন মধু ও গোলাপজলের মতো উপকরণ। একটি পাত্রে মধু ও গোলাপজল সমান অনুপাতে মিশিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও মুখে এই হানি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে অনেকের মধুতে অ্যালার্জি থাকে। তাই ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হলে টক দইয়ের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে সামান্য মধু কিংবা গোলাপজল দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত মেকআপে অনেক সময় সংক্রমণ ও ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টক দই দারুণ উপকারী। অন্যদিকে ত্বকের মরা কোষ দূর করতে বেসন খুব ভালো কাজে দেয়।
তরতাজা ভাব ফিরে পেতে
উৎসব শেষ। তবে অফিসে পরিপাটি হয়ে যেতে তো হবেই। ফলে হালকা মেকআপ করতেই হয়। তাই বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্তি লাগুক, মেকআপ তুলতে ভুলবেন না। এ জন্য যেকোনো মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন, নয়তো মুখে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করেও মেকআপ তোলা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন কোল্ড প্রেসড হয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহারে পোরস ক্লগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শসা রস করে এর সঙ্গে গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলুন।
ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিন শেষে বাড়ি ফিরে ত্বক পরিষ্কারের পর এটি মুখে স্প্রে করে তুলা দিয়ে ত্বকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বেশ কয়েক দিন ব্যবহারের পর দেখবেন, আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়ছে।

রুক্ষ চুলের সমাধান
উৎসবের দিনগুলোয় স্টাইলিংয়ের জন্য চুলে প্রচুর স্প্রে, জেল ও হিট ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুল রুক্ষ ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই বেশ কিছুদিন এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। শ্যাম্পু, তেল, হেয়ার সেরাম ও চিরুনি ছাড়া চুলে আর কিছুই ব্যবহার করবেন না। তবে শ্যাম্পু করার পর পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে চুল শেষবারের মতো ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। চাইলে সপ্তাহে এক দিন চুলে ভালোভাবে অয়েল ম্যাসাজ করে টক দই এবং ডিমের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে চুল ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
ভেতর থেকে সেরে উঠুন
এতক্ষণ তো বাহ্য়িকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সারানোর কথা বলা হলো। এবার আসুন শরীরের অভ্যন্তর থেকে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে। ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানে ডিটক্সিফিকেশন পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয়। একটি কাচের বোতলে পানির মধ্য়ে শসা, পাতিলেবু ও আদা দিন। এ ছাড়া দিতে পারেন মেথি, পুদিনাপাতাও। মৌসুমি ফল দিয়েও ফ্রুট ইনফিউজড ওয়াটার বানাতে পারেন। এগুলোকে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। এতে শরীরও ডিটক্সিফাই হবে, ত্বক ও চুলে জেল্লা ফিরে আসবে। এ ছাড়া প্রচুর শাকসবজি, বিভিন্ন ফল, ভিটামিন এ, বি, ডিযুক্ত খাবার খান। হারানো রূপ ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
মন ভালো তো সব ভালো
গোসলের পানিতে ল্যাভেন্ডার, চন্দন, লেমনগ্রাস বা যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা দিন। এই পানিতে গোসল করুন। শরীর, মন কিংবা ত্বক—সবকিছু থেকে ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা। চুলে অতিরিক্ত স্প্রে, হিট ও স্টাইলিং টুল ব্যবহার করার ফলে এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও কমে যায়। এদিকে ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে নিজেকে সুন্দর ও প্রেজেন্টেবল দেখানোটাও তো জরুরি। তাই উৎসবের পর আপাদমস্তক যত্ন নেওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে।
কাজের চাপ ও ত্বকের যত্ন
ছুটির পর অফিস শুরু করার প্রথম কিছুদিন তো একটু বাড়তি ধকল যাবেই। এর ফাঁকেই নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। টানা কয়েক দিন ভারী মেকআপের পর ত্বককে ডিপ ক্লিন বা গভীর থেকে পরিষ্কার করা দরকার। এ জন্য বাড়িতেই ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং—বেসিক এই সিটিএম রুটিন দিনে অন্তত তিনবার নিয়ম করে অনুসরণ করা উচিত।
ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন মধু ও গোলাপজলের মতো উপকরণ। একটি পাত্রে মধু ও গোলাপজল সমান অনুপাতে মিশিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও মুখে এই হানি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে অনেকের মধুতে অ্যালার্জি থাকে। তাই ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হলে টক দইয়ের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে সামান্য মধু কিংবা গোলাপজল দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত মেকআপে অনেক সময় সংক্রমণ ও ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টক দই দারুণ উপকারী। অন্যদিকে ত্বকের মরা কোষ দূর করতে বেসন খুব ভালো কাজে দেয়।
তরতাজা ভাব ফিরে পেতে
উৎসব শেষ। তবে অফিসে পরিপাটি হয়ে যেতে তো হবেই। ফলে হালকা মেকআপ করতেই হয়। তাই বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্তি লাগুক, মেকআপ তুলতে ভুলবেন না। এ জন্য যেকোনো মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন, নয়তো মুখে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করেও মেকআপ তোলা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন কোল্ড প্রেসড হয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহারে পোরস ক্লগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শসা রস করে এর সঙ্গে গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলুন।
ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিন শেষে বাড়ি ফিরে ত্বক পরিষ্কারের পর এটি মুখে স্প্রে করে তুলা দিয়ে ত্বকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বেশ কয়েক দিন ব্যবহারের পর দেখবেন, আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়ছে।

রুক্ষ চুলের সমাধান
উৎসবের দিনগুলোয় স্টাইলিংয়ের জন্য চুলে প্রচুর স্প্রে, জেল ও হিট ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুল রুক্ষ ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই বেশ কিছুদিন এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। শ্যাম্পু, তেল, হেয়ার সেরাম ও চিরুনি ছাড়া চুলে আর কিছুই ব্যবহার করবেন না। তবে শ্যাম্পু করার পর পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে চুল শেষবারের মতো ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। চাইলে সপ্তাহে এক দিন চুলে ভালোভাবে অয়েল ম্যাসাজ করে টক দই এবং ডিমের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে চুল ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
ভেতর থেকে সেরে উঠুন
এতক্ষণ তো বাহ্য়িকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সারানোর কথা বলা হলো। এবার আসুন শরীরের অভ্যন্তর থেকে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে। ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানে ডিটক্সিফিকেশন পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয়। একটি কাচের বোতলে পানির মধ্য়ে শসা, পাতিলেবু ও আদা দিন। এ ছাড়া দিতে পারেন মেথি, পুদিনাপাতাও। মৌসুমি ফল দিয়েও ফ্রুট ইনফিউজড ওয়াটার বানাতে পারেন। এগুলোকে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। এতে শরীরও ডিটক্সিফাই হবে, ত্বক ও চুলে জেল্লা ফিরে আসবে। এ ছাড়া প্রচুর শাকসবজি, বিভিন্ন ফল, ভিটামিন এ, বি, ডিযুক্ত খাবার খান। হারানো রূপ ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
মন ভালো তো সব ভালো
গোসলের পানিতে ল্যাভেন্ডার, চন্দন, লেমনগ্রাস বা যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা দিন। এই পানিতে গোসল করুন। শরীর, মন কিংবা ত্বক—সবকিছু থেকে ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
শোভন সাহা

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা। চুলে অতিরিক্ত স্প্রে, হিট ও স্টাইলিং টুল ব্যবহার করার ফলে এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও কমে যায়। এদিকে ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে নিজেকে সুন্দর ও প্রেজেন্টেবল দেখানোটাও তো জরুরি। তাই উৎসবের পর আপাদমস্তক যত্ন নেওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে।
কাজের চাপ ও ত্বকের যত্ন
ছুটির পর অফিস শুরু করার প্রথম কিছুদিন তো একটু বাড়তি ধকল যাবেই। এর ফাঁকেই নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। টানা কয়েক দিন ভারী মেকআপের পর ত্বককে ডিপ ক্লিন বা গভীর থেকে পরিষ্কার করা দরকার। এ জন্য বাড়িতেই ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং—বেসিক এই সিটিএম রুটিন দিনে অন্তত তিনবার নিয়ম করে অনুসরণ করা উচিত।
ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন মধু ও গোলাপজলের মতো উপকরণ। একটি পাত্রে মধু ও গোলাপজল সমান অনুপাতে মিশিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও মুখে এই হানি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে অনেকের মধুতে অ্যালার্জি থাকে। তাই ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হলে টক দইয়ের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে সামান্য মধু কিংবা গোলাপজল দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত মেকআপে অনেক সময় সংক্রমণ ও ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টক দই দারুণ উপকারী। অন্যদিকে ত্বকের মরা কোষ দূর করতে বেসন খুব ভালো কাজে দেয়।
তরতাজা ভাব ফিরে পেতে
উৎসব শেষ। তবে অফিসে পরিপাটি হয়ে যেতে তো হবেই। ফলে হালকা মেকআপ করতেই হয়। তাই বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্তি লাগুক, মেকআপ তুলতে ভুলবেন না। এ জন্য যেকোনো মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন, নয়তো মুখে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করেও মেকআপ তোলা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন কোল্ড প্রেসড হয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহারে পোরস ক্লগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শসা রস করে এর সঙ্গে গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলুন।
ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিন শেষে বাড়ি ফিরে ত্বক পরিষ্কারের পর এটি মুখে স্প্রে করে তুলা দিয়ে ত্বকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বেশ কয়েক দিন ব্যবহারের পর দেখবেন, আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়ছে।

রুক্ষ চুলের সমাধান
উৎসবের দিনগুলোয় স্টাইলিংয়ের জন্য চুলে প্রচুর স্প্রে, জেল ও হিট ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুল রুক্ষ ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই বেশ কিছুদিন এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। শ্যাম্পু, তেল, হেয়ার সেরাম ও চিরুনি ছাড়া চুলে আর কিছুই ব্যবহার করবেন না। তবে শ্যাম্পু করার পর পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে চুল শেষবারের মতো ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। চাইলে সপ্তাহে এক দিন চুলে ভালোভাবে অয়েল ম্যাসাজ করে টক দই এবং ডিমের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে চুল ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
ভেতর থেকে সেরে উঠুন
এতক্ষণ তো বাহ্য়িকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সারানোর কথা বলা হলো। এবার আসুন শরীরের অভ্যন্তর থেকে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে। ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানে ডিটক্সিফিকেশন পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয়। একটি কাচের বোতলে পানির মধ্য়ে শসা, পাতিলেবু ও আদা দিন। এ ছাড়া দিতে পারেন মেথি, পুদিনাপাতাও। মৌসুমি ফল দিয়েও ফ্রুট ইনফিউজড ওয়াটার বানাতে পারেন। এগুলোকে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। এতে শরীরও ডিটক্সিফাই হবে, ত্বক ও চুলে জেল্লা ফিরে আসবে। এ ছাড়া প্রচুর শাকসবজি, বিভিন্ন ফল, ভিটামিন এ, বি, ডিযুক্ত খাবার খান। হারানো রূপ ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
মন ভালো তো সব ভালো
গোসলের পানিতে ল্যাভেন্ডার, চন্দন, লেমনগ্রাস বা যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা দিন। এই পানিতে গোসল করুন। শরীর, মন কিংবা ত্বক—সবকিছু থেকে ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা। চুলে অতিরিক্ত স্প্রে, হিট ও স্টাইলিং টুল ব্যবহার করার ফলে এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও কমে যায়। এদিকে ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে নিজেকে সুন্দর ও প্রেজেন্টেবল দেখানোটাও তো জরুরি। তাই উৎসবের পর আপাদমস্তক যত্ন নেওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে।
কাজের চাপ ও ত্বকের যত্ন
ছুটির পর অফিস শুরু করার প্রথম কিছুদিন তো একটু বাড়তি ধকল যাবেই। এর ফাঁকেই নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। টানা কয়েক দিন ভারী মেকআপের পর ত্বককে ডিপ ক্লিন বা গভীর থেকে পরিষ্কার করা দরকার। এ জন্য বাড়িতেই ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং—বেসিক এই সিটিএম রুটিন দিনে অন্তত তিনবার নিয়ম করে অনুসরণ করা উচিত।
ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন মধু ও গোলাপজলের মতো উপকরণ। একটি পাত্রে মধু ও গোলাপজল সমান অনুপাতে মিশিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও মুখে এই হানি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে অনেকের মধুতে অ্যালার্জি থাকে। তাই ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হলে টক দইয়ের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে সামান্য মধু কিংবা গোলাপজল দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত মেকআপে অনেক সময় সংক্রমণ ও ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টক দই দারুণ উপকারী। অন্যদিকে ত্বকের মরা কোষ দূর করতে বেসন খুব ভালো কাজে দেয়।
তরতাজা ভাব ফিরে পেতে
উৎসব শেষ। তবে অফিসে পরিপাটি হয়ে যেতে তো হবেই। ফলে হালকা মেকআপ করতেই হয়। তাই বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্তি লাগুক, মেকআপ তুলতে ভুলবেন না। এ জন্য যেকোনো মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন, নয়তো মুখে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করেও মেকআপ তোলা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন কোল্ড প্রেসড হয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহারে পোরস ক্লগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শসা রস করে এর সঙ্গে গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলুন।
ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিন শেষে বাড়ি ফিরে ত্বক পরিষ্কারের পর এটি মুখে স্প্রে করে তুলা দিয়ে ত্বকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বেশ কয়েক দিন ব্যবহারের পর দেখবেন, আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়ছে।

রুক্ষ চুলের সমাধান
উৎসবের দিনগুলোয় স্টাইলিংয়ের জন্য চুলে প্রচুর স্প্রে, জেল ও হিট ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুল রুক্ষ ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই বেশ কিছুদিন এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। শ্যাম্পু, তেল, হেয়ার সেরাম ও চিরুনি ছাড়া চুলে আর কিছুই ব্যবহার করবেন না। তবে শ্যাম্পু করার পর পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে চুল শেষবারের মতো ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। চাইলে সপ্তাহে এক দিন চুলে ভালোভাবে অয়েল ম্যাসাজ করে টক দই এবং ডিমের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে চুল ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
ভেতর থেকে সেরে উঠুন
এতক্ষণ তো বাহ্য়িকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সারানোর কথা বলা হলো। এবার আসুন শরীরের অভ্যন্তর থেকে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে। ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানে ডিটক্সিফিকেশন পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয়। একটি কাচের বোতলে পানির মধ্য়ে শসা, পাতিলেবু ও আদা দিন। এ ছাড়া দিতে পারেন মেথি, পুদিনাপাতাও। মৌসুমি ফল দিয়েও ফ্রুট ইনফিউজড ওয়াটার বানাতে পারেন। এগুলোকে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। এতে শরীরও ডিটক্সিফাই হবে, ত্বক ও চুলে জেল্লা ফিরে আসবে। এ ছাড়া প্রচুর শাকসবজি, বিভিন্ন ফল, ভিটামিন এ, বি, ডিযুক্ত খাবার খান। হারানো রূপ ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
মন ভালো তো সব ভালো
গোসলের পানিতে ল্যাভেন্ডার, চন্দন, লেমনগ্রাস বা যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা দিন। এই পানিতে গোসল করুন। শরীর, মন কিংবা ত্বক—সবকিছু থেকে ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অল্প সময় ধ্যান করলেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ধ্যান কী এবং কেন এটি সহজ
অনেকেই মনে করেন ধ্যান মানে কঠিন কিছু। বিশেষ ভঙ্গিতে বসতে হয় বা জটিল নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। ধ্যান খুবই সহজ একটি মানসিক অনুশীলন। ধ্যান বলতে মূলত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং বর্তমান মুহূর্তে নিজেকে স্থির রাখাকেই বোঝায়। এই সময় কোনো কিছু জোর করে ভাবার দরকার নেই, আবার সব চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টাও করতে হয় না। শুধু শান্তভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই ধ্যান শুরু হয়ে যায়। ধ্যান করতে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য আলাদা কোনো খরচও নেই। বয়স, জায়গা বা সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কয়েক মিনিট সময় বের করে নেওয়া সম্ভব বলেই ধ্যান আজকের দিনে মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কীভাবে উপকার পাওয়া যায়
অনেকে ভাবেন ধ্যান করতে হলে অনেক সময় দরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ই সবচেয়ে কাজে দেয়। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান আমাদের জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেয়। এতে আমরা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই, চিন্তাগুলো পরিষ্কার করতে পারি এবং মানসিকভাবে নতুন শক্তি ফিরে পাই। এই ছোট বিরতিই মস্তিষ্ককে চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

সকালে ধ্যান করলে কেন বেশি লাভ
দিনের শুরুটা যেমন হয়, অনেক সময় পুরো দিনটাই তেমন কাটে। সকালে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলে মন শান্ত থাকে এবং অকারণ দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্যানের সময় সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে। এর প্রভাব সারা দিন থাকে। নিয়মিত সকালে ধ্যান করলে ধীরে ধীরে শান্ত থাকা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়।
ধ্যান ও মনোযোগের সম্পর্ক
বর্তমানে অনেকে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যায় ভোগেন। পড়াশোনা বা কাজে বসলে মন স্থির থাকে না, অল্প সময়ের মধ্যেই চিন্তা অন্যদিকে চলে যায়। নানা দুশ্চিন্তা আর কাজের চাপের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধ্যান করলে মস্তিষ্কের মনোযোগ ধরে রাখা, চিন্তাভাবনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অংশ সক্রিয় হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি কমে, মাথার ভেতরের অগোছালো চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে। ধ্যানের অভ্যাস গড়ে উঠলে কাজে মন বসানো সহজ হয়, দীর্ঘ সময় একাগ্রতা বজায় থাকে এবং কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে।
ধ্যান শুরু করবেন কীভাবে
ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আরাম করে বসে বা শুয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই যথেষ্ট। মনে অন্য চিন্তা এলে বিরক্ত না হয়ে আবার শ্বাসের দিকে মন ফেরাতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেই ধীরে ধীরে এর সুফল বোঝা যায়।
ধ্যান কোনো জাদু নয়, আবার জটিল কিছুই নয়। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করে নেওয়াই হতে পারে মানসিক চাপ কমানো, মন শান্ত রাখা এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে ফেরার একটি সহজ উপায়।
সূত্র: হেলথশট

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অল্প সময় ধ্যান করলেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ধ্যান কী এবং কেন এটি সহজ
অনেকেই মনে করেন ধ্যান মানে কঠিন কিছু। বিশেষ ভঙ্গিতে বসতে হয় বা জটিল নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। ধ্যান খুবই সহজ একটি মানসিক অনুশীলন। ধ্যান বলতে মূলত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং বর্তমান মুহূর্তে নিজেকে স্থির রাখাকেই বোঝায়। এই সময় কোনো কিছু জোর করে ভাবার দরকার নেই, আবার সব চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টাও করতে হয় না। শুধু শান্তভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই ধ্যান শুরু হয়ে যায়। ধ্যান করতে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য আলাদা কোনো খরচও নেই। বয়স, জায়গা বা সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কয়েক মিনিট সময় বের করে নেওয়া সম্ভব বলেই ধ্যান আজকের দিনে মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কীভাবে উপকার পাওয়া যায়
অনেকে ভাবেন ধ্যান করতে হলে অনেক সময় দরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ই সবচেয়ে কাজে দেয়। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান আমাদের জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেয়। এতে আমরা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই, চিন্তাগুলো পরিষ্কার করতে পারি এবং মানসিকভাবে নতুন শক্তি ফিরে পাই। এই ছোট বিরতিই মস্তিষ্ককে চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

সকালে ধ্যান করলে কেন বেশি লাভ
দিনের শুরুটা যেমন হয়, অনেক সময় পুরো দিনটাই তেমন কাটে। সকালে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলে মন শান্ত থাকে এবং অকারণ দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্যানের সময় সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে। এর প্রভাব সারা দিন থাকে। নিয়মিত সকালে ধ্যান করলে ধীরে ধীরে শান্ত থাকা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়।
ধ্যান ও মনোযোগের সম্পর্ক
বর্তমানে অনেকে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যায় ভোগেন। পড়াশোনা বা কাজে বসলে মন স্থির থাকে না, অল্প সময়ের মধ্যেই চিন্তা অন্যদিকে চলে যায়। নানা দুশ্চিন্তা আর কাজের চাপের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধ্যান করলে মস্তিষ্কের মনোযোগ ধরে রাখা, চিন্তাভাবনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অংশ সক্রিয় হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি কমে, মাথার ভেতরের অগোছালো চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে। ধ্যানের অভ্যাস গড়ে উঠলে কাজে মন বসানো সহজ হয়, দীর্ঘ সময় একাগ্রতা বজায় থাকে এবং কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে।
ধ্যান শুরু করবেন কীভাবে
ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আরাম করে বসে বা শুয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই যথেষ্ট। মনে অন্য চিন্তা এলে বিরক্ত না হয়ে আবার শ্বাসের দিকে মন ফেরাতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেই ধীরে ধীরে এর সুফল বোঝা যায়।
ধ্যান কোনো জাদু নয়, আবার জটিল কিছুই নয়। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করে নেওয়াই হতে পারে মানসিক চাপ কমানো, মন শান্ত রাখা এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে ফেরার একটি সহজ উপায়।
সূত্র: হেলথশট

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

উৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে