Ajker Patrika

প্রত্যাখ্যানের ‘আনন্দ’ আখ্যান

অর্ণব সান্যাল, ঢাকা 
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ৩৪
প্রত্যাখ্যানের ‘আনন্দ’ আখ্যান

প্রত্যাখ্যান। এই এক শব্দের ভেতরেই আছে অগ্রাহ্য, উপেক্ষা, অনাদর। আছে পরিত্যাগ বা পরিহার। কিন্তু শিরোনামে দেওয়া ‘আনন্দ’ কখনোই সচরাচর শাব্দিকভাবে প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে মেলে না। বাংলা বা ইংরেজি—দুই ভাষাতেই প্রত্যাখ্যান মানেই যেন বিষাদের বাতাবরণ। কিন্তু কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ধার করা পঙ্‌ক্তিতে বললে এবারের ভাবনাটা দাঁড়ায়, প্রত্যাখ্যানে দুমড়ে-মুচড়ে যেতেই পারি, কিন্তু কেন যাব?

প্রত্যাখ্যাতদের প্রত্যাখ্যান সব সময়ই বোঝায়, ‘তুমি অযোগ্য, তুমি ব্রাত্য’। আর সেই অনুভূতিই আমাদের নিদারুণভাবে বোঝায় সফলতা ও ব্যর্থতার সংজ্ঞা। এক ধাক্কায় ফেলে দেয় অসফলের কাতারে। কিন্তু আসলেই কি প্রত্যাখ্যান মানেই সকরুণ ব্যর্থতা? নাকি এক প্রত্যাখ্যান মানেই আরও বহু সম্ভাবনার দুয়ার?

প্রথম প্রশ্নটায় ইতিবাচক উত্তর দেওয়ার মানুষ পাওয়া যাবে ঢের। এই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটাই যে তেমন। ধরুন, আপনি নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করলেন শিক্ষাজীবনে ভালো ফল করার। কিংবা একদা মনের দেওয়া-নেওয়া হওয়া মানুষটি বলে দিলেন, ‘আর নয়।’ অথবা পড়াশোনা শেষের পর একের পর এক জীবনবৃত্তান্তের প্রিন্ট কপি দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া মানবসম্পদ বিভাগের ই-মেইল ঠিকানায়। কিন্তু সুফল এল না। এমনকি এল না কোনো প্রকার ফলও। হয়তো খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েও কিছু কিছু ঘাটতিতে ফসকে গেল কাঙ্ক্ষিত সিজিপিএ। হয়তো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের জন্য ডাক দিল না কোনো প্রতিষ্ঠান। এই প্রত্যাখ্যান আপনার আশপাশের মানুষ দেখবে আপনার ব্যর্থতা হিসেবে। শুধু দেখেই ক্ষান্ত হবে না তারা, পদে পদে মনেও করিয়ে দেবে সকালে তারস্বরে বেজে যাওয়া মোবাইলের অ্যালার্মের মতো। ওদিকে বারবার নিজের প্রত্যাখ্যানের পোস্টার দেখতে দেখতে আপনার মনে হতেই পারে, ‘আমি হয়তো ব্যর্থই!’

প্রত্যাখ্যাত হয়ে হতাশ হয়ে পড়ার দিন হয়তো মানুষ শেষ করে এনেছে। পশ্চিমা সমাজে শুরু হয়েছে প্রত্যাখ্যান বা ব্যর্থতা উদ্‌যাপনের সংস্কৃতি। মানুষ এখন নিজের আবেগগুলো নিয়ে আরও স্বচ্ছ হতে চলেছে। এই প্রক্রিয়া মানুষকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

ঠিক এমন মুহূর্তটিকে ঠেকানোর জন্যই আসলে দ্বিতীয় প্রশ্নটির অবতারণা। তার মানে এই নয় যে রবার্ট ব্রুসের সেই আদ্যিকালের বদ্যি গল্প শুনিয়ে আপনাকে শক্তি জুগিয়ে যাওয়াই এই লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য। একটু অন্যভাবে বরং পুরো বিষয়টি দেখা যাক।

প্রত্যাখ্যানে কী হয়

প্রত্যাখ্যানে মানুষের আসলে কী হয়? যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি ও নিউরোসায়েন্সের ইমেরিটাস অধ্যাপক মার্ক লিয়েরি প্রায় কয়েক দশক ধরে প্রত্যাখ্যানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি গবেষণায় পেয়েছেন, প্রত্যাখ্যান একজন ব্যক্তির উৎসাহ-উদ্দীপনাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। নতুন করে ফের শুরু করার বিষয়টিই থমকে যায় অনেক ক্ষেত্রে। এমনকি কখনো কখনো একজন ব্যক্তি আশপাশের চেনা বলয় থেকে নিজেকে বিচ্যুত বলে ভাবতে শুরু করে।

মার্ক লিয়েরি বলছেন, প্রত্যাখ্যানের প্রতি মানুষ খুবই সংবেদনশীল থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কের যেসব অংশ শারীরিক ব্যথা পেলে উদ্দীপ্ত হয়, প্রত্যাখ্যানেও ঠিক তাই-ই হয়। কারণ প্রত্যাখ্যানে শুধু যে আফসোস সৃষ্টি হয়, তা কিন্তু নয়; বরং সেই সঙ্গে তৈরি হয় উদগ্র চেষ্টার পরও আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল হাতে না পাওয়ার মনোবেদনা। বুঝুন তবে, প্রত্যাখ্যানের যন্ত্রণা কতটা তীব্র!

প্রত্যাখ্যান উদ্‌যাপন করুন

যন্ত্রণার তীব্রতা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে, বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোতে শুরু হয়েছে প্রত্যাখ্যান উদ্‌যাপনের চর্চা। প্রত্যাখ্যানও যে উদ্‌যাপন করা যায় আনন্দের সঙ্গে, সেই ধারণাই গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে। প্রত্যাখ্যানেই তো জীবনের শেষ নয়; বরং এই প্রত্যাখ্যানকে গলার মালা করে নিতে পারলে, জীবনের যাপনটা অনেক সহজ হয়ে ওঠে। এমন ধারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে এবং তা সহজভাবে মেনে নিতে মানুষ ভয় পায়। সেই ভয় থেকেই আসে নিজেকে ব্যর্থ মনে করার ভাবনা। আর তখন আশপাশ থেকে মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেয়। সেই গুটিয়ে নেওয়া থেকে শুধু লম্বাই হতে থাকে ব্যর্থতার তালিকা। কারণ তখন যে নতুন কিছু করার বা ফের চেষ্টা করার প্রেরণাটাই হারিয়ে যায় দূর আকাশে।

প্রত্যাখ্যান উদ্‌যাপনের চর্চার দু-একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার কগনিটিভ সায়েন্সেসের অধ্যাপক বারবারা ডব্লিউ সারনেকা গত বছরের জুনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ‘শততম’ প্রত্যাখ্যান উদ্‌যাপন। মূলত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা যখন ১০০ পেরিয়েছে, তখনই এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সাফল্য উদ্‌যাপনে যেমনটা হয়, ঠিক তেমনি উচ্ছল ছিল সেই ‘প্রত্যাখ্যান’ উদ্‌যাপন। এ নিয়ে অধ্যাপক বারবারা সারনেকা বলেছেন, ‘এই ভাবনাটা আসে বিভিন্ন প্রত্যাখ্যানকে চিহ্নিত করা, একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করা এবং সেসব উদ্‌যাপনের প্রসঙ্গে। আমরা প্রত্যাখ্যানকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না, এ নিয়ে আলোচনাও করতে চাই না সাধারণত, লজ্জিত থাকি। আর উদ্‌যাপন তো দূরের বিষয়। আমরা সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে চেয়েছি এবং তা করেছি সবাই মিলে।’

এভাবেই পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘রিজেকশন কালেকশন’-এর ধারণা জনপ্রিয় হচ্ছে; যাতে জীবনের নানা স্তরে পাওয়া প্রত্যাখ্যানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, সাদরে বরণ করেও নেওয়া হয়। এতে দূর হয় প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাবৎ গোপনীয়তা। কারণ মানুষের জীবন প্রত্যাখ্যান ও ব্যর্থতায় ভরপুর। হ্যাঁ, কারও কারও ওপর হয়তো তথাকথিত সৌভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ প্রবল থাকে। কিন্তু কতিপয় ব্যতিক্রমে তো আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভেসে যায় না।

‘যারা সচল থাকে না, তারা নিজেদের শৃঙ্খলও বোঝে না।’ বলেছেন রোজা লুক্সেমবার্গ। প্রত্যাখ্যাত হলে হতাশ না হয়ে বরং নিজের ব্যর্থতাগুলো নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করুন। এতে আপনি সচল থাকবেন এবং আপনার সামনে নতুন পথ খুলে যাবে।  

শুধু রিজেকশন কালেকশনই নয়, আছে ‘ফেইলিউর সিভি’ তৈরির ধারণাও। ২০১৬ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপক এই ফেইলিউর সিভি তৈরি করে নিজের জীবনের ব্যর্থতার খতিয়ান জানিয়েছিলেন। সেই থেকে ব্যর্থতা নিয়ে এই অকপট স্বীকারোক্তি ব্যর্থতায় নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ট্যাবু ভাঙার উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতা জনসমক্ষে স্বীকার করে নেওয়া হয় এবং প্রত্যাখ্যান যে মানবজীবনের একটি অতি সাধারণ অংশ, সেটিই বুঝিয়ে দেওয়া হয় এক লহমায়।

ব্যর্থতাকে দিন ছুটি

প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বা ব্যর্থতায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে জীবনতরীতে নিজেকে ভাসিয়ে রাখার লক্ষ্যে। এমনই কিছু কৌশল সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত, অন্যের ব্যর্থতার গল্প কিছুটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে হলেও জানা শুরু করা যেতে পারে। কারণ অন্যের ব্যর্থতার কাহিনি আমাদের নিজস্ব ব্যর্থতায় সৃষ্ট ভয়কে কাটিয়ে দিতে সক্ষম। চিকিৎসক ও থেরাপিস্টরা এই পদ্ধতি ব্যবহারে সায় দিয়ে থাকেন প্রায়ই। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়াওদং ডি. লিন দীর্ঘদিন বিজ্ঞানী, ক্রীড়াবিদ ও সাধারণ পেশার মানুষদের জীবনের ব্যর্থতা ও তার সম্মুখীন হওয়ার সংগ্রাম নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি মনে করেন, এই পদ্ধতিতে মানুষের মনের ভয় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং এর ক্ষতি করার আশঙ্কাও কমে।

দ্বিতীয়ত, সফলতার জন্য কাঙাল হওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। সাধারণত একটি কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়ি। ফলে ক্রমান্বয়ে উন্নতির ব্যাপারটি আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। তাই নিজেদের আশাহত হওয়ার উদ্দাম ঘোড়াকে লাগাম পরাতে চাইলে, শুরুতেই মন দিতে হবে উন্নতিতে, সাফল্যে নয়। কারণ আপনি যদি কোনো কাজে বিফলও হন, তবু চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, সেই আপাত ব্যর্থতাতেও কিছু না কিছু উন্নতি আছেই।

তৃতীয়ত, প্রত্যাখ্যান মানেই চেষ্টার সত্যায়ন। রোজা লুক্সেমবার্গের এ কথাটি মনে রাখবেন, ‘যারা সচল থাকে না, তারা নিজেদের শৃঙ্খলও বোঝে না।’ সুতরাং, প্রত্যাখ্যান বা ব্যর্থতা আসলে আপনার ঘাটতি বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এ-ও দেখিয়ে দেয় যে আপনি চেষ্টা করেছিলেন। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটার ক্রিস গেইল হয়তো সব বলে ছক্কা হাঁকান না, কিন্তু চেষ্টা জারি থাকে বলেই শেষ পর্যন্ত কোনো না কোনো ওভারে বল মাঠের বাইরে যায়-ই!

চতুর্থত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে চামড়া মোটা থাকাটাও কল্যাণকর! আপনি যত বেশি প্রত্যাখ্যাত হবেন, তত বেশি সেটি আপনার কাছে সহজ বিষয় হয়ে উঠবে। এটি আপনার দক্ষতা নিয়ে নতুন করে ভাবার অবকাশ তৈরি করে দেবে। মানবজীবনে দক্ষতাই সব। আর দক্ষতা কোনো জন্মগত বিষয়ও নয় যে কখনোই তা অর্জন করা যাবে না। তাহলে আর প্রত্যাখ্যাত হতে ভয় কিসের!  

পঞ্চমত, ব্যর্থতার কথা ভেবে দিন-রাত গুজরানের বদলে চলুন, নিজেদের কাজ নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করি। যেহেতু কেউই শতভাগ নিখুঁত হয় না, সেহেতু খুঁতগুলো চিহ্নিত করা যেতেই পারে। আর সেটি নিজে করতে পারলে তো সোনায় সোহাগা। এতে পরবর্তী উদ্যোগগুলো সফল না হয়ে পারেই না!

শেষটা করা যাক বিখ্যাত উদ্ভাবক ও বিজ্ঞানী থমাস আলভা এডিসনের জীবনের একটি বহুল প্রচলিত ঘটনা দিয়ে। ল্যাবরেটরিতে নিজের ব্যর্থ প্রচেষ্টাগুলো সম্পর্কে তিনি একদা বলেছিলেন, ‘আমি ব্যর্থ হইনি। আমি বরং হাজার দশেক উপায় খুঁজে পেয়েছি, যেগুলো আদতে কাজ করে না।’

অকার্যকর উপায়গুলো খুঁজে পাওয়াটাও কিন্তু দিন শেষে কার্যকর থাকারই নির্দেশক। সুতরাং, উদ্‌যাপন হোক তবে সব প্রত্যাখ্যান ও তৎসংশ্লিষ্ট ব্যর্থতার!

তথ্যসূত্র: ফোর্বস, দ্য আটলান্টিক, মিডিয়াম ডট কম, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ডট ওআরজি, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগ ও অক্সফোর্ড রেফারেন্স ডট কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।

লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।

দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ

ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র‍্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র‍্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র‍্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার

ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২১
আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

মেষ

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।

বৃষ

আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

মিথুন

মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।

কর্কট

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।

সিংহ

সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।

কন্যা

আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।

তুলা

গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।

ধনু

ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।

মকর

মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।

মীন

মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতকালে কলা খাবেন কি না

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৭
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়

এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।

আয়ুর্বেদিক ধারণা

আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা

অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক
কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।

শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস

রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।

শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

তথ্যসূত্র

  • ইউএসডিএ জাতীয় পুষ্টি ডেটাবেইস: কলার পুষ্টি উপাদানের প্রামাণিক তথ্য
  • জার্নাল অব মেডিকেল ফুড (২০১৬)
  • আয়ুর্বেদিক ফারমাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া (ভোল.১)
  • অন্যান্য
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠিত হলো দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৬
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন। আর আয়োজনে ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন। আর আয়োজনে ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।

গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,

  • ৩০ কিলোমিটার রান
  • ১৫ কিলোমিটার রান
  • ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রান
  • ১ কিলোমিটার কিডস রান

৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।

এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের একজন। ছবি: সংগৃহীত
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের একজন। ছবি: সংগৃহীত

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।

এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।

দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’

আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত