ফিচার ডেস্ক

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
যেভাবে শুরু হলো বাটা
প্রতিষ্ঠাতার নাম টমাস বাটা। ১৮৭৬ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার (বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র) জিলিন শহরে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারে তিন সন্তানের মধ্যে টমাস ছিলেন সবার ছোট। তাঁর পূর্বপুরুষেরা প্রজন্ম ধরে জুতা তৈরির পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই চামড়া ও জুতার সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতে বড় হন টমাস। একপর্যায়ে তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন নিজের পারিবারিক পেশাকে আধুনিক ও বৃহৎ পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করার। মাত্র ৩২০ ডলার মূলধন নিয়ে ১৮৯৪ সালে টমাস তাঁর বড় ভাই এনটোনিন ও বোন এনাকে সঙ্গে নিয়ে টিএন্ডএ বাটা নামে একটি ছোট দোকান খোলেন। কিস্তিতে সেলাই মেশিন কিনে শুরু হয় তাঁদের যাত্রা। কিন্তু ১৮৯৫ সালে ভাইয়ের চাকরি ও বোনের বিয়ের পর টমাস একা হয়ে পড়েন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন। অল্পদিনের মধ্যে আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু টমাস হাল ছাড়েননি।
সংকট কাটাতে টমাস চালু করেন নতুন ডিজাইনের জুতা বাটোভকা। এটি বাজারে আসার পরই বদলে যায় তাঁর ভাগ্য। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় কর্মীসংখ্যা দশ থেকে বেড়ে হয় পঞ্চাশ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর মেশিনচালিত জুতার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে বাটা। টমাস ১৯০৪ সালে তিনজন দক্ষ কর্মীসহ আমেরিকায় পাড়ি জমান। সেখানে একটি মেশিনচালিত জুতা কারখানায় কাজ করে প্রযুক্তি রপ্ত করেন। ছয় মাস পর ফিরে ইউরোপে প্রথম মেশিনচালিত জুতা উৎপাদন শুরু করেন তিনি। এর ফলে উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাটা হয়ে ওঠে আধুনিক জুতা শিল্পের অগ্রদূত।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীর জুতা তৈরি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীর জুতা সরবরাহের চুক্তি পায় বাটা। যুদ্ধের পর অব্যবহৃত কাঁচামাল দিয়ে তাঁরা গরিবদের জন্য সস্তা জুতা বাজারজাত করতে শুরু করে। এটি তাদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু ১৯১৮ সালে যুদ্ধোত্তর মন্দায় ইউরোপজুড়ে আর্থিক সংকট শুরু হলে বাটাও কিছুটা টালমাটাল হয়ে ওঠে। টমাস তখন জুতার দাম করে দেন অর্ধেক। ব্যবসার জগতে অনেকেই টমাস বাটার এ সিদ্ধান্তকে পাগলামি বলে উড়িয়ে দিলেও ফল দেখে চমকে ওঠেন। মন্দার মধ্যেও বাটার সাশ্রয়ী জুতা কেনার জন্য ভিড় জমায় মানুষ। চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ গুণ করা হয়। এভাবেই বাটা শুধু টিকে যায়নি বরং আরও অনেক দেশে ব্যবসা সম্প্রসারিত করে।
বাংলাদেশে বাটা
ব্রিটিশ ভারতে বাটার প্রসার ঘটে। ১৯৩১ সালে কলকাতায় প্রথম কারখানা খোলার পর ধীরে ধীরে পুরো উপমহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এর খ্যাতি। এই খ্যাতির সংবাদ শুনে যেতে পেরেছিলেন টমাস বাটা। ভারত উপমহাদেশে যাত্রা শুরুর বছরখানিকের মাথায় ১৯৩২ সালের ১২ জুলাই তিনি মারা যান।

ভারত ভাগের সূত্রে ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যাত্রা শুরু করে বাটা। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই এ দেশে ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখে ১৯৬২ সালে এখানে কারখানা প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠানটি। এ ভূখণ্ডে বাটার ইতিহাস শুধুই সাফল্যের। বাংলাদেশে বাটার জনপ্রিয়তা এতটাই যে এক সময় জুতা মানেই ছিল বাটা।

বাংলাদেশের বন্ধু
১৯৭০ সালে বাটার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া সৈনিক। ফলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পাকিস্তানিদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, তথ্য, অস্ত্র এবং ওষুধ সরবরাহ করতেন ওডারল্যান্ড। যুদ্ধের সময় বাটার টঙ্গীর কারখানা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন ক্যাম্প। ওডারল্যান্ড নিজেও যুদ্ধে অস্ত্র হাতে অংশ নেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাটার নির্বাহী পরিচালক উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ডকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। এটি ছিল এক বিশেষ সম্মাননা।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান
আজকের দিনেও বাটা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে আছে। প্রায় ৬৪ একর জায়গায় বাটার দুটি কারখানা রয়েছে এ দেশে। এর একটি ধামরাই অন্যটি টঙ্গীতে। এসব কারখানায় প্রায় ৩ হাজার কর্মী কাজ করেন। বাংলাদেশে বাটার উৎপাদিত পণ্য দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ব্যাপক অবদান রেখেছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হলেও বাটার অধিকাংশ পণ্য তৈরি হয় এ দেশে। এখানে কাজ করেন দেশের মানুষ। এভাবে দেশের অর্থের বড় অংশ দেশেই থেকে যায়।

বিভূতিভূষণ অনুবাদ করেন টমাস বাটার জীবনী
‘হাউ আই বিগান’ নামে আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছিলেন টমাস বাটা। তবে সেটি আর শেষ করা হয়নি। বইটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পড়ে। সেই বই পড়ে মুগ্ধ হয়ে নিজেই বাংলায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, বাংলার তরুণদের টমাস বাটা সম্পর্কে জানা জরুরি। অনুবাদের কাজ শেষ হলে পাণ্ডুলিপি নিয়ে যান আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের কাছে। বিভূতিভূষণকে বিমুখ করেননি তিনি। প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ভাষায় টমাস বাটার আত্মজীবনী। বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র।

সংগ্রাম, উদ্ভাবন ও জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাটা আজ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও বিশ্বস্ত জুতার ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে এর অবস্থান শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যেরই নয়, সামাজিক আস্থারও প্রতীক।

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
যেভাবে শুরু হলো বাটা
প্রতিষ্ঠাতার নাম টমাস বাটা। ১৮৭৬ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার (বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র) জিলিন শহরে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারে তিন সন্তানের মধ্যে টমাস ছিলেন সবার ছোট। তাঁর পূর্বপুরুষেরা প্রজন্ম ধরে জুতা তৈরির পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই চামড়া ও জুতার সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতে বড় হন টমাস। একপর্যায়ে তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন নিজের পারিবারিক পেশাকে আধুনিক ও বৃহৎ পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করার। মাত্র ৩২০ ডলার মূলধন নিয়ে ১৮৯৪ সালে টমাস তাঁর বড় ভাই এনটোনিন ও বোন এনাকে সঙ্গে নিয়ে টিএন্ডএ বাটা নামে একটি ছোট দোকান খোলেন। কিস্তিতে সেলাই মেশিন কিনে শুরু হয় তাঁদের যাত্রা। কিন্তু ১৮৯৫ সালে ভাইয়ের চাকরি ও বোনের বিয়ের পর টমাস একা হয়ে পড়েন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন। অল্পদিনের মধ্যে আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু টমাস হাল ছাড়েননি।
সংকট কাটাতে টমাস চালু করেন নতুন ডিজাইনের জুতা বাটোভকা। এটি বাজারে আসার পরই বদলে যায় তাঁর ভাগ্য। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় কর্মীসংখ্যা দশ থেকে বেড়ে হয় পঞ্চাশ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর মেশিনচালিত জুতার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে বাটা। টমাস ১৯০৪ সালে তিনজন দক্ষ কর্মীসহ আমেরিকায় পাড়ি জমান। সেখানে একটি মেশিনচালিত জুতা কারখানায় কাজ করে প্রযুক্তি রপ্ত করেন। ছয় মাস পর ফিরে ইউরোপে প্রথম মেশিনচালিত জুতা উৎপাদন শুরু করেন তিনি। এর ফলে উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাটা হয়ে ওঠে আধুনিক জুতা শিল্পের অগ্রদূত।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীর জুতা তৈরি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীর জুতা সরবরাহের চুক্তি পায় বাটা। যুদ্ধের পর অব্যবহৃত কাঁচামাল দিয়ে তাঁরা গরিবদের জন্য সস্তা জুতা বাজারজাত করতে শুরু করে। এটি তাদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু ১৯১৮ সালে যুদ্ধোত্তর মন্দায় ইউরোপজুড়ে আর্থিক সংকট শুরু হলে বাটাও কিছুটা টালমাটাল হয়ে ওঠে। টমাস তখন জুতার দাম করে দেন অর্ধেক। ব্যবসার জগতে অনেকেই টমাস বাটার এ সিদ্ধান্তকে পাগলামি বলে উড়িয়ে দিলেও ফল দেখে চমকে ওঠেন। মন্দার মধ্যেও বাটার সাশ্রয়ী জুতা কেনার জন্য ভিড় জমায় মানুষ। চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ গুণ করা হয়। এভাবেই বাটা শুধু টিকে যায়নি বরং আরও অনেক দেশে ব্যবসা সম্প্রসারিত করে।
বাংলাদেশে বাটা
ব্রিটিশ ভারতে বাটার প্রসার ঘটে। ১৯৩১ সালে কলকাতায় প্রথম কারখানা খোলার পর ধীরে ধীরে পুরো উপমহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এর খ্যাতি। এই খ্যাতির সংবাদ শুনে যেতে পেরেছিলেন টমাস বাটা। ভারত উপমহাদেশে যাত্রা শুরুর বছরখানিকের মাথায় ১৯৩২ সালের ১২ জুলাই তিনি মারা যান।

ভারত ভাগের সূত্রে ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যাত্রা শুরু করে বাটা। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই এ দেশে ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখে ১৯৬২ সালে এখানে কারখানা প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠানটি। এ ভূখণ্ডে বাটার ইতিহাস শুধুই সাফল্যের। বাংলাদেশে বাটার জনপ্রিয়তা এতটাই যে এক সময় জুতা মানেই ছিল বাটা।

বাংলাদেশের বন্ধু
১৯৭০ সালে বাটার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া সৈনিক। ফলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পাকিস্তানিদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, তথ্য, অস্ত্র এবং ওষুধ সরবরাহ করতেন ওডারল্যান্ড। যুদ্ধের সময় বাটার টঙ্গীর কারখানা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন ক্যাম্প। ওডারল্যান্ড নিজেও যুদ্ধে অস্ত্র হাতে অংশ নেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাটার নির্বাহী পরিচালক উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ডকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। এটি ছিল এক বিশেষ সম্মাননা।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান
আজকের দিনেও বাটা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে আছে। প্রায় ৬৪ একর জায়গায় বাটার দুটি কারখানা রয়েছে এ দেশে। এর একটি ধামরাই অন্যটি টঙ্গীতে। এসব কারখানায় প্রায় ৩ হাজার কর্মী কাজ করেন। বাংলাদেশে বাটার উৎপাদিত পণ্য দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ব্যাপক অবদান রেখেছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হলেও বাটার অধিকাংশ পণ্য তৈরি হয় এ দেশে। এখানে কাজ করেন দেশের মানুষ। এভাবে দেশের অর্থের বড় অংশ দেশেই থেকে যায়।

বিভূতিভূষণ অনুবাদ করেন টমাস বাটার জীবনী
‘হাউ আই বিগান’ নামে আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছিলেন টমাস বাটা। তবে সেটি আর শেষ করা হয়নি। বইটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পড়ে। সেই বই পড়ে মুগ্ধ হয়ে নিজেই বাংলায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, বাংলার তরুণদের টমাস বাটা সম্পর্কে জানা জরুরি। অনুবাদের কাজ শেষ হলে পাণ্ডুলিপি নিয়ে যান আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের কাছে। বিভূতিভূষণকে বিমুখ করেননি তিনি। প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ভাষায় টমাস বাটার আত্মজীবনী। বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র।

সংগ্রাম, উদ্ভাবন ও জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাটা আজ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও বিশ্বস্ত জুতার ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে এর অবস্থান শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যেরই নয়, সামাজিক আস্থারও প্রতীক।

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অল্প সময় ধ্যান করলেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ধ্যান কী এবং কেন এটি সহজ
অনেকেই মনে করেন ধ্যান মানে কঠিন কিছু। বিশেষ ভঙ্গিতে বসতে হয় বা জটিল নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। ধ্যান খুবই সহজ একটি মানসিক অনুশীলন। ধ্যান বলতে মূলত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং বর্তমান মুহূর্তে নিজেকে স্থির রাখাকেই বোঝায়। এই সময় কোনো কিছু জোর করে ভাবার দরকার নেই, আবার সব চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টাও করতে হয় না। শুধু শান্তভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই ধ্যান শুরু হয়ে যায়। ধ্যান করতে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য আলাদা কোনো খরচও নেই। বয়স, জায়গা বা সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কয়েক মিনিট সময় বের করে নেওয়া সম্ভব বলেই ধ্যান আজকের দিনে মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কীভাবে উপকার পাওয়া যায়
অনেকে ভাবেন ধ্যান করতে হলে অনেক সময় দরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ই সবচেয়ে কাজে দেয়। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান আমাদের জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেয়। এতে আমরা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই, চিন্তাগুলো পরিষ্কার করতে পারি এবং মানসিকভাবে নতুন শক্তি ফিরে পাই। এই ছোট বিরতিই মস্তিষ্ককে চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

সকালে ধ্যান করলে কেন বেশি লাভ
দিনের শুরুটা যেমন হয়, অনেক সময় পুরো দিনটাই তেমন কাটে। সকালে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলে মন শান্ত থাকে এবং অকারণ দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্যানের সময় সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে। এর প্রভাব সারা দিন থাকে। নিয়মিত সকালে ধ্যান করলে ধীরে ধীরে শান্ত থাকা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়।
ধ্যান ও মনোযোগের সম্পর্ক
বর্তমানে অনেকে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যায় ভোগেন। পড়াশোনা বা কাজে বসলে মন স্থির থাকে না, অল্প সময়ের মধ্যেই চিন্তা অন্যদিকে চলে যায়। নানা দুশ্চিন্তা আর কাজের চাপের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধ্যান করলে মস্তিষ্কের মনোযোগ ধরে রাখা, চিন্তাভাবনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অংশ সক্রিয় হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি কমে, মাথার ভেতরের অগোছালো চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে। ধ্যানের অভ্যাস গড়ে উঠলে কাজে মন বসানো সহজ হয়, দীর্ঘ সময় একাগ্রতা বজায় থাকে এবং কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে।
ধ্যান শুরু করবেন কীভাবে
ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আরাম করে বসে বা শুয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই যথেষ্ট। মনে অন্য চিন্তা এলে বিরক্ত না হয়ে আবার শ্বাসের দিকে মন ফেরাতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেই ধীরে ধীরে এর সুফল বোঝা যায়।
ধ্যান কোনো জাদু নয়, আবার জটিল কিছুই নয়। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করে নেওয়াই হতে পারে মানসিক চাপ কমানো, মন শান্ত রাখা এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে ফেরার একটি সহজ উপায়।
সূত্র: হেলথশট

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অল্প সময় ধ্যান করলেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ধ্যান কী এবং কেন এটি সহজ
অনেকেই মনে করেন ধ্যান মানে কঠিন কিছু। বিশেষ ভঙ্গিতে বসতে হয় বা জটিল নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। ধ্যান খুবই সহজ একটি মানসিক অনুশীলন। ধ্যান বলতে মূলত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং বর্তমান মুহূর্তে নিজেকে স্থির রাখাকেই বোঝায়। এই সময় কোনো কিছু জোর করে ভাবার দরকার নেই, আবার সব চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টাও করতে হয় না। শুধু শান্তভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই ধ্যান শুরু হয়ে যায়। ধ্যান করতে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য আলাদা কোনো খরচও নেই। বয়স, জায়গা বা সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কয়েক মিনিট সময় বের করে নেওয়া সম্ভব বলেই ধ্যান আজকের দিনে মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কীভাবে উপকার পাওয়া যায়
অনেকে ভাবেন ধ্যান করতে হলে অনেক সময় দরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ই সবচেয়ে কাজে দেয়। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান আমাদের জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেয়। এতে আমরা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই, চিন্তাগুলো পরিষ্কার করতে পারি এবং মানসিকভাবে নতুন শক্তি ফিরে পাই। এই ছোট বিরতিই মস্তিষ্ককে চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

সকালে ধ্যান করলে কেন বেশি লাভ
দিনের শুরুটা যেমন হয়, অনেক সময় পুরো দিনটাই তেমন কাটে। সকালে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলে মন শান্ত থাকে এবং অকারণ দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্যানের সময় সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে। এর প্রভাব সারা দিন থাকে। নিয়মিত সকালে ধ্যান করলে ধীরে ধীরে শান্ত থাকা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়।
ধ্যান ও মনোযোগের সম্পর্ক
বর্তমানে অনেকে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যায় ভোগেন। পড়াশোনা বা কাজে বসলে মন স্থির থাকে না, অল্প সময়ের মধ্যেই চিন্তা অন্যদিকে চলে যায়। নানা দুশ্চিন্তা আর কাজের চাপের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধ্যান করলে মস্তিষ্কের মনোযোগ ধরে রাখা, চিন্তাভাবনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অংশ সক্রিয় হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি কমে, মাথার ভেতরের অগোছালো চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে। ধ্যানের অভ্যাস গড়ে উঠলে কাজে মন বসানো সহজ হয়, দীর্ঘ সময় একাগ্রতা বজায় থাকে এবং কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে।
ধ্যান শুরু করবেন কীভাবে
ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আরাম করে বসে বা শুয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই যথেষ্ট। মনে অন্য চিন্তা এলে বিরক্ত না হয়ে আবার শ্বাসের দিকে মন ফেরাতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেই ধীরে ধীরে এর সুফল বোঝা যায়।
ধ্যান কোনো জাদু নয়, আবার জটিল কিছুই নয়। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করে নেওয়াই হতে পারে মানসিক চাপ কমানো, মন শান্ত রাখা এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে ফেরার একটি সহজ উপায়।
সূত্র: হেলথশট

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৯ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

জুতা শিল্পে বিশ্বজুড়ে পুরোনো ও খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বাটা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর শোরুম। এ ছাড়া বিশটি দেশে ২৭টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে বাটার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে। শত বছর পার করে এখন পর্যন্ত জুতার বাজারে আস্থা ও খ্যাতির প্রতীক বাটা।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
৩ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে