জাহীদ রেজা নূর

আজ একটা ভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখাটা শুরু হোক।
মার্কিন দেশে এখনো মানুষ বই পড়ে। কিনেই পড়ে। কাগজে দুই মলাটের মধ্যে বন্দী পাতাগুলোকে যেমন আপন করে নেয়, তেমনি ই–বুকও এখন ভালো লাগছে অনেকের। পয়সা দিয়ে সেগুলোও কিনে নেয় আগ্রহীজন।
সিডনি ম্যাককেইনের লেখা ‘স্ট্রংগার: কারেজ, হোপ অ্যান্ড হিউমার ইন মাই লাইফ উইথ জন ম্যাককেইন’ বইটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে হু হু করে বিক্রি হচ্ছে। বেস্টসেলার হয়েছে বইটি, সমালোচকদের মুখে প্রশংসার স্রোত।
জন ম্যাককেইন ছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর। সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমর জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরা। ২০১৮ সালে তাঁর মৃত্যু হলে মার্কিন দেশের সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জিমি কার্টার, বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। সিডনি ম্যাককেইন সেই সিনেটরের স্ত্রী।
জন ম্যাককেইন সম্পর্কে একটু বলে না নিলে কেন তাঁকে নিয়ে কথা বলছি, তা বুঝতে পারা যাবে না। তিনি রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর হয়েও তখনকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বোকামি, অবিনয়ী মনোভঙ্গি এবং দেশের মানুষের প্রতি উদাসীনতা ও নির্মমতার কড়া সমালোচনা করতেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য তা সুখকর ছিল না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সব সময় চেষ্টা করেছেন, জন ম্যাককেইনকে অপমান করতে; কিন্তু ম্যাককেইন তা গায়ে মাখেননি।
সিডনির সঙ্গে জনের ছিল ৩৮ বছরের বিবাহিত জীবন। নানা ধরনের সংকটকাল কাটিয়েছেন তাঁরা একসঙ্গে। চার সন্তানকে মানুষ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আদর্শ পরিবারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
কেউ যদি মনে করে থাকেন ৬৬ বছর বয়স্ক সিডনির বইটি জন ম্যাককেইনের রাজনীতিক জীবন নিয়ে, তাহলে ভুল করবেন। একজন পুরোপুরি রাজনীতিতে ডুবে থাকা মানুষের সঙ্গে যে রোমান্টিক জীবন কাটিয়েছেন সিডনি, বইটি সে বিষয়েই লেখা। সিডনি এখানে লিখেছেন জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের ঘটনা, বিয়ে করার সিদ্ধান্ত এবং কীভাবে তাঁরা অবসর সময়গুলো কাটিয়েছেন, তা নিয়ে। সমালোচকেরা বলেছেন, বইটি পড়লে নিকোলাস স্পার্কসের লেখা বিখ্যাত বই নোটবুক–এর ধরনটির কথা মনে পড়বে। দুটো বইয়ের স্বাদ একই রকম।
সিডনি ম্যাককেইন এখন ব্যবসা সামলাচ্ছেন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বইটি থেকে যা আয় হবে, তা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের কল্যাণের জন্য ব্যয় করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আমাজনে বইটির দাম ১৯ ডলার ৫৮ সেন্ট। আর ট্যাব–সংস্করণ ১৪ ডলার ৯৯ সেন্ট।
অ্যালি পন্ড পার্ক
স্প্রিংফিল্ড বুলেভার্দ থেকে হাঁটতে হাঁটতে কয়েক মাইল গেলেই অ্যালি পন্ড পার্ক। গত বছর যখন নিউইয়র্কে এসেছিলাম, তখনই ২৭ নম্বর বাসে করে কুইন্স লাইব্রেরির একটি শাখায় যাওয়ার সময় পার্কটি নজরে পড়েছিল। তারপর হাঁটতে হাঁটতে একদিন সেই পার্কে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। তখন শীতকাল। নিউইয়র্কে শীতকালে দু–একদিন প্রচণ্ড তুষারপাত হলেও রোদমাখা দিনের দেখা মেলে বেশি। রাস্তায় খুব বেশি দিন বরফ জমে থাকে না।
আর এ সময় ঝকঝকে রোদ্দুর, কিছুটা গরম। বেশি হাঁটলে একটু ঘামও হয়। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন নিউইয়র্কের রোদ্দুরের কথা। নীল আকাশটা সত্যিই মোহনীয়। ঢাকা শহরে এতটা নীল আকাশ দেখা যায় না।
অ্যালি পন্ড পার্কটি কুইন্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্ক। এই পথেই ১৭৯০ সালে লং আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। এ কথা অনেকখানেই লেখা আছে।
রোববার ছুটির দিন। বিকেলে আমরা অ্যালি পন্ড পার্কে গেলাম। রোদ তখনো আকাশে। পার্কে পৌঁছে দেখি, বিভিন্ন জাতি–বর্ণের মানুষ এখানে এসেছেন পিকনিকে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাঁরা বসেছেন, বাড়ি থেকে আনা টেবিল পেতেছেন। খাচ্ছেন। শিশুরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
পার্কটি খুব বড়। গোল মাঠের চারধারে রাস্তা, হাঁটার জন্য আদর্শ। মাঠটি দুই চক্কর দিলে শরীরটা চনমনে হয়ে ওঠে। ক্লান্ত মানুষ বসে পড়ে বেঞ্চিতে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটে। একজন ভিয়েতনামি বংশোদ্ভূত ষাটোর্ধ্ব মানুষকে দেখলাম অন্তত দশবার প্রদক্ষিণ করলেন মাঠটা। দৌড়ে। ঘামে ভিজে গেছেন তিনি।
এ মাঠে অনেকেই হাঁটতে এসেছেন তাঁদের প্রিয় কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে। মাঠের কোনো কোনো জায়গায় রয়েছে ব্যায়াম করার যন্ত্র। যে কেউ ইচ্ছে করলেই ফ্রি–হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিতে পারেন সেখানে। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার জায়গা। ওখানে তাদের ছেড়ে দিয়ে বাবা–মা একটু অবসর উপভোগ করতে পারেন।
মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধরলাম। ছবিও তুললাম। আমার মনে হলো, গাছটি যেন বলছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরো’। মনে পড়ে গেল ১৯৯২ সালের কথা। সে সময় আমরা ছিলাম রাশিয়ার ক্রাসনাদার শহরে। সে বছর জানুয়ারি মাসে প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা এসেছিলেন আমাদের শহরে বেড়াতে। তিনি প্রগতি প্রকাশনের চাকরি করতেন। তখন তৃতীয় বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক একটু একটু করে খারাপ হচ্ছিল। অনুবাদ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। দ্বিজেন শর্মা যখন আমাদের শহরে এসেছিলেন, তখন শীতকাল প্রায় শেষ। তারপরও বরফ জমে ছিল মাটির ওপর। একটি বিশাল গাছ জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি! প্রকৃতির কাছে থাকা প্রয়োজন!’ তাঁর বলা কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
সীমিতভাবে রেস্তোরাঁ খোলা
কোভিডের শুরুতে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া–দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিউইয়র্কে। শুধু টেকওয়ে–প্রথা চালু ছিল। সে সময় রেস্তোরাঁর বাইরে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা দাঁড়াত সারিতে। অর্ডার দেওয়ার পর খাবার প্রস্তুত হলে সেটা নিয়ে যেত বাড়িতে। বাইরে খাওয়া–দাওয়ার কথা ভাবতেই পারত না কেউ।
এখন কোভিডের টুঁটি টিপে ধরতে পেরেছে বলেই মনে করে নিউইয়র্ক। একটু একটু করে খুলে যাচ্ছে দোকানপাট; রেস্তোরাঁ। পার্ক থেকে ফেরার পথে একটি ম্যাক্সিকান, আরেকটি ইতালিয়ান খাবারের দোকানে দেখলাম টেবিল–চেয়ারে বসে খাচ্ছেন অনেকে। এদের মধ্যে একটি বাঙালি পরিবারেরও দেখা পেলাম। ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে কি–ফুডের পাশে বিশাল এক বুফে রেস্তোরাঁয় অনেক ভিড়। অর্থাৎ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার যুগ আবার ফিরে আসছে।
কাজ হারিয়ে অনেক মানুষই বেকার হয়ে গেছে। এ কারণে ইদানীং সাবওয়েতে সহিংসতা বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে চলাচল করা কিছুটা অনিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এই দুর্বৃত্তদের ধরার ব্যাপারে তৎপর।
সাহিত্যের নিউইয়র্ক
নিউইয়র্কের সঙ্গে অন্যভাবেও পরিচিত হওয়া যায়। পৃথিবীর আর কোনো শহরের সঙ্গেই নিউইয়র্কের কোনো মিল নেই। জন্মের শুরু থেকেই এ শহর কোলাহলমুখর। আজও রয়েছে তার স্পন্দন একই রকম। এর কারণ আর কিছুই নয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন রক্ত, নতুন মানুষ। সারা পৃথিবী থেকে নানা পথে, নানাভাবে এখানে আসছে মানুষ। নিউইয়র্কের টিকে থাকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করছে নিজের সংস্কৃতিকে, ঐতিহ্যকে। তাই খুব দৃঢ়ভাবেই বলা যায়, নিউইয়র্কের কোনো নির্দিষ্ট ভাষা নেই। নানা দেশ থেকে আসা মানুষ তাদের ভাষা ও ঐতিহ্য দিয়ে গড়ে নিচ্ছে নিউইয়র্ককে।
আছে ইতালির নিউইয়র্ক, স্পেনের নিউইয়র্ক, চীনের নিউইয়র্ক, রাশিয়ার নিউইয়র্ক। আছে আফ্রিকার নিউইয়র্ক। যদিও বলা হয় এশিয়ার নিউইয়র্ক, কিন্তু এখানে আছে বাংলাদেশের নিউইয়র্ক, ভারতের নিউইয়র্ক, পাকিস্তানের নিউইয়র্ক। আরব দেশগুলোরও রয়েছে নিউইয়র্ক। এখানে একে অন্যের সঙ্গে মানুষ মেশে, আবার নিজেদের ঐতিহ্যও ধরে রাখে কেউ কেউ।
বাঙালিদের কথা বলেছিলাম একবার। জ্যাকসন হাইটস বা পারসন্স বুলেভার্দের উল্লেখ করেছিলাম সে লেখায়। মূল মার্কিন ধারার সঙ্গে অনেক সময়ই দেখাশোনা হয় না বাঙালিদের। আমেরিকাকে ধারণ করে আছে যে জাদুঘরগুলো, ধর্মীয় স্থাপনাগুলো, তা নিয়ে অনেকেরই কোনো ভাবনা নেই। এমনকি কী ঘটছে এই দেশটায়, সরকার পরিবর্তনে আদতেই কোনো কল্যাণ হচ্ছে কিনা, সে ভাবনাও করে না অনেকে। দৃষ্টি শুধু থাকে, নিজে কতটা লাভবান হচ্ছি, তার ওপর।
মূলধারার সাংস্কৃতিক মিলন না হলে যে শূন্যতা থেকে যায়, নিউইয়র্কের বাঙালিদের একটা বড় অংশের মধ্যে সেটা আছে। শুধু বাঙালি নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেই সেটা লক্ষ্য করা যায়। এখানে একটা ভয়াবহ ব্যাপারও ঘটে। নিজ দেশ থেকে যে শিক্ষা, মূল্যবোধ, বিশ্বাস নিয়ে এ দেশে অভিবাসী হয়েছে মানুষ, তা তারা আঁকড়ে ধরে থাকে। কোনো পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে চায় না। নতুন চিন্তা–ভাবনার সঙ্গে পরিচয় না হওয়ায় আচরিত জীবন একসময় রূপান্তরিত হয় মজা খালে। কোনোদিকেই থাকে না তার স্রোত। পুরোনো বিশ্বাস আঁকড়ে থাকায় জীবনবোধে আসে না কোনো আনন্দ। ফল যা হয়, তা নিয়েও লিখব একদিন।
তারপরও নিউইয়র্ক সব সময়ই নবীন হয়ে ধরা দেয় চোখে। নিউইয়র্কের সাহিত্যজীবন নিয়েও কিছু কথা বলা না হলে অপূর্ণ থেকে যাবে অনেক কিছু। নিউইয়র্কের জন্মের পর থেকেই ঋদ্ধ এর সাহিত্যজীবন। হুইটম্যান, উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়াম, ডিলান টমাস, ফ্র্যাঙ্ক ওহারার লেখায় উঠে এসেছে নিউইয়র্ক।
সে কথা দিয়েই শুরু হবে পরের লেখাটি।

আজ একটা ভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখাটা শুরু হোক।
মার্কিন দেশে এখনো মানুষ বই পড়ে। কিনেই পড়ে। কাগজে দুই মলাটের মধ্যে বন্দী পাতাগুলোকে যেমন আপন করে নেয়, তেমনি ই–বুকও এখন ভালো লাগছে অনেকের। পয়সা দিয়ে সেগুলোও কিনে নেয় আগ্রহীজন।
সিডনি ম্যাককেইনের লেখা ‘স্ট্রংগার: কারেজ, হোপ অ্যান্ড হিউমার ইন মাই লাইফ উইথ জন ম্যাককেইন’ বইটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে হু হু করে বিক্রি হচ্ছে। বেস্টসেলার হয়েছে বইটি, সমালোচকদের মুখে প্রশংসার স্রোত।
জন ম্যাককেইন ছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর। সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমর জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরা। ২০১৮ সালে তাঁর মৃত্যু হলে মার্কিন দেশের সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জিমি কার্টার, বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। সিডনি ম্যাককেইন সেই সিনেটরের স্ত্রী।
জন ম্যাককেইন সম্পর্কে একটু বলে না নিলে কেন তাঁকে নিয়ে কথা বলছি, তা বুঝতে পারা যাবে না। তিনি রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর হয়েও তখনকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বোকামি, অবিনয়ী মনোভঙ্গি এবং দেশের মানুষের প্রতি উদাসীনতা ও নির্মমতার কড়া সমালোচনা করতেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য তা সুখকর ছিল না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সব সময় চেষ্টা করেছেন, জন ম্যাককেইনকে অপমান করতে; কিন্তু ম্যাককেইন তা গায়ে মাখেননি।
সিডনির সঙ্গে জনের ছিল ৩৮ বছরের বিবাহিত জীবন। নানা ধরনের সংকটকাল কাটিয়েছেন তাঁরা একসঙ্গে। চার সন্তানকে মানুষ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আদর্শ পরিবারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
কেউ যদি মনে করে থাকেন ৬৬ বছর বয়স্ক সিডনির বইটি জন ম্যাককেইনের রাজনীতিক জীবন নিয়ে, তাহলে ভুল করবেন। একজন পুরোপুরি রাজনীতিতে ডুবে থাকা মানুষের সঙ্গে যে রোমান্টিক জীবন কাটিয়েছেন সিডনি, বইটি সে বিষয়েই লেখা। সিডনি এখানে লিখেছেন জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের ঘটনা, বিয়ে করার সিদ্ধান্ত এবং কীভাবে তাঁরা অবসর সময়গুলো কাটিয়েছেন, তা নিয়ে। সমালোচকেরা বলেছেন, বইটি পড়লে নিকোলাস স্পার্কসের লেখা বিখ্যাত বই নোটবুক–এর ধরনটির কথা মনে পড়বে। দুটো বইয়ের স্বাদ একই রকম।
সিডনি ম্যাককেইন এখন ব্যবসা সামলাচ্ছেন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বইটি থেকে যা আয় হবে, তা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের কল্যাণের জন্য ব্যয় করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আমাজনে বইটির দাম ১৯ ডলার ৫৮ সেন্ট। আর ট্যাব–সংস্করণ ১৪ ডলার ৯৯ সেন্ট।
অ্যালি পন্ড পার্ক
স্প্রিংফিল্ড বুলেভার্দ থেকে হাঁটতে হাঁটতে কয়েক মাইল গেলেই অ্যালি পন্ড পার্ক। গত বছর যখন নিউইয়র্কে এসেছিলাম, তখনই ২৭ নম্বর বাসে করে কুইন্স লাইব্রেরির একটি শাখায় যাওয়ার সময় পার্কটি নজরে পড়েছিল। তারপর হাঁটতে হাঁটতে একদিন সেই পার্কে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। তখন শীতকাল। নিউইয়র্কে শীতকালে দু–একদিন প্রচণ্ড তুষারপাত হলেও রোদমাখা দিনের দেখা মেলে বেশি। রাস্তায় খুব বেশি দিন বরফ জমে থাকে না।
আর এ সময় ঝকঝকে রোদ্দুর, কিছুটা গরম। বেশি হাঁটলে একটু ঘামও হয়। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন নিউইয়র্কের রোদ্দুরের কথা। নীল আকাশটা সত্যিই মোহনীয়। ঢাকা শহরে এতটা নীল আকাশ দেখা যায় না।
অ্যালি পন্ড পার্কটি কুইন্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্ক। এই পথেই ১৭৯০ সালে লং আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। এ কথা অনেকখানেই লেখা আছে।
রোববার ছুটির দিন। বিকেলে আমরা অ্যালি পন্ড পার্কে গেলাম। রোদ তখনো আকাশে। পার্কে পৌঁছে দেখি, বিভিন্ন জাতি–বর্ণের মানুষ এখানে এসেছেন পিকনিকে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাঁরা বসেছেন, বাড়ি থেকে আনা টেবিল পেতেছেন। খাচ্ছেন। শিশুরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
পার্কটি খুব বড়। গোল মাঠের চারধারে রাস্তা, হাঁটার জন্য আদর্শ। মাঠটি দুই চক্কর দিলে শরীরটা চনমনে হয়ে ওঠে। ক্লান্ত মানুষ বসে পড়ে বেঞ্চিতে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটে। একজন ভিয়েতনামি বংশোদ্ভূত ষাটোর্ধ্ব মানুষকে দেখলাম অন্তত দশবার প্রদক্ষিণ করলেন মাঠটা। দৌড়ে। ঘামে ভিজে গেছেন তিনি।
এ মাঠে অনেকেই হাঁটতে এসেছেন তাঁদের প্রিয় কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে। মাঠের কোনো কোনো জায়গায় রয়েছে ব্যায়াম করার যন্ত্র। যে কেউ ইচ্ছে করলেই ফ্রি–হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিতে পারেন সেখানে। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার জায়গা। ওখানে তাদের ছেড়ে দিয়ে বাবা–মা একটু অবসর উপভোগ করতে পারেন।
মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধরলাম। ছবিও তুললাম। আমার মনে হলো, গাছটি যেন বলছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরো’। মনে পড়ে গেল ১৯৯২ সালের কথা। সে সময় আমরা ছিলাম রাশিয়ার ক্রাসনাদার শহরে। সে বছর জানুয়ারি মাসে প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা এসেছিলেন আমাদের শহরে বেড়াতে। তিনি প্রগতি প্রকাশনের চাকরি করতেন। তখন তৃতীয় বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক একটু একটু করে খারাপ হচ্ছিল। অনুবাদ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। দ্বিজেন শর্মা যখন আমাদের শহরে এসেছিলেন, তখন শীতকাল প্রায় শেষ। তারপরও বরফ জমে ছিল মাটির ওপর। একটি বিশাল গাছ জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি! প্রকৃতির কাছে থাকা প্রয়োজন!’ তাঁর বলা কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
সীমিতভাবে রেস্তোরাঁ খোলা
কোভিডের শুরুতে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া–দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিউইয়র্কে। শুধু টেকওয়ে–প্রথা চালু ছিল। সে সময় রেস্তোরাঁর বাইরে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা দাঁড়াত সারিতে। অর্ডার দেওয়ার পর খাবার প্রস্তুত হলে সেটা নিয়ে যেত বাড়িতে। বাইরে খাওয়া–দাওয়ার কথা ভাবতেই পারত না কেউ।
এখন কোভিডের টুঁটি টিপে ধরতে পেরেছে বলেই মনে করে নিউইয়র্ক। একটু একটু করে খুলে যাচ্ছে দোকানপাট; রেস্তোরাঁ। পার্ক থেকে ফেরার পথে একটি ম্যাক্সিকান, আরেকটি ইতালিয়ান খাবারের দোকানে দেখলাম টেবিল–চেয়ারে বসে খাচ্ছেন অনেকে। এদের মধ্যে একটি বাঙালি পরিবারেরও দেখা পেলাম। ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে কি–ফুডের পাশে বিশাল এক বুফে রেস্তোরাঁয় অনেক ভিড়। অর্থাৎ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার যুগ আবার ফিরে আসছে।
কাজ হারিয়ে অনেক মানুষই বেকার হয়ে গেছে। এ কারণে ইদানীং সাবওয়েতে সহিংসতা বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে চলাচল করা কিছুটা অনিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এই দুর্বৃত্তদের ধরার ব্যাপারে তৎপর।
সাহিত্যের নিউইয়র্ক
নিউইয়র্কের সঙ্গে অন্যভাবেও পরিচিত হওয়া যায়। পৃথিবীর আর কোনো শহরের সঙ্গেই নিউইয়র্কের কোনো মিল নেই। জন্মের শুরু থেকেই এ শহর কোলাহলমুখর। আজও রয়েছে তার স্পন্দন একই রকম। এর কারণ আর কিছুই নয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন রক্ত, নতুন মানুষ। সারা পৃথিবী থেকে নানা পথে, নানাভাবে এখানে আসছে মানুষ। নিউইয়র্কের টিকে থাকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করছে নিজের সংস্কৃতিকে, ঐতিহ্যকে। তাই খুব দৃঢ়ভাবেই বলা যায়, নিউইয়র্কের কোনো নির্দিষ্ট ভাষা নেই। নানা দেশ থেকে আসা মানুষ তাদের ভাষা ও ঐতিহ্য দিয়ে গড়ে নিচ্ছে নিউইয়র্ককে।
আছে ইতালির নিউইয়র্ক, স্পেনের নিউইয়র্ক, চীনের নিউইয়র্ক, রাশিয়ার নিউইয়র্ক। আছে আফ্রিকার নিউইয়র্ক। যদিও বলা হয় এশিয়ার নিউইয়র্ক, কিন্তু এখানে আছে বাংলাদেশের নিউইয়র্ক, ভারতের নিউইয়র্ক, পাকিস্তানের নিউইয়র্ক। আরব দেশগুলোরও রয়েছে নিউইয়র্ক। এখানে একে অন্যের সঙ্গে মানুষ মেশে, আবার নিজেদের ঐতিহ্যও ধরে রাখে কেউ কেউ।
বাঙালিদের কথা বলেছিলাম একবার। জ্যাকসন হাইটস বা পারসন্স বুলেভার্দের উল্লেখ করেছিলাম সে লেখায়। মূল মার্কিন ধারার সঙ্গে অনেক সময়ই দেখাশোনা হয় না বাঙালিদের। আমেরিকাকে ধারণ করে আছে যে জাদুঘরগুলো, ধর্মীয় স্থাপনাগুলো, তা নিয়ে অনেকেরই কোনো ভাবনা নেই। এমনকি কী ঘটছে এই দেশটায়, সরকার পরিবর্তনে আদতেই কোনো কল্যাণ হচ্ছে কিনা, সে ভাবনাও করে না অনেকে। দৃষ্টি শুধু থাকে, নিজে কতটা লাভবান হচ্ছি, তার ওপর।
মূলধারার সাংস্কৃতিক মিলন না হলে যে শূন্যতা থেকে যায়, নিউইয়র্কের বাঙালিদের একটা বড় অংশের মধ্যে সেটা আছে। শুধু বাঙালি নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেই সেটা লক্ষ্য করা যায়। এখানে একটা ভয়াবহ ব্যাপারও ঘটে। নিজ দেশ থেকে যে শিক্ষা, মূল্যবোধ, বিশ্বাস নিয়ে এ দেশে অভিবাসী হয়েছে মানুষ, তা তারা আঁকড়ে ধরে থাকে। কোনো পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে চায় না। নতুন চিন্তা–ভাবনার সঙ্গে পরিচয় না হওয়ায় আচরিত জীবন একসময় রূপান্তরিত হয় মজা খালে। কোনোদিকেই থাকে না তার স্রোত। পুরোনো বিশ্বাস আঁকড়ে থাকায় জীবনবোধে আসে না কোনো আনন্দ। ফল যা হয়, তা নিয়েও লিখব একদিন।
তারপরও নিউইয়র্ক সব সময়ই নবীন হয়ে ধরা দেয় চোখে। নিউইয়র্কের সাহিত্যজীবন নিয়েও কিছু কথা বলা না হলে অপূর্ণ থেকে যাবে অনেক কিছু। নিউইয়র্কের জন্মের পর থেকেই ঋদ্ধ এর সাহিত্যজীবন। হুইটম্যান, উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়াম, ডিলান টমাস, ফ্র্যাঙ্ক ওহারার লেখায় উঠে এসেছে নিউইয়র্ক।
সে কথা দিয়েই শুরু হবে পরের লেখাটি।

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন
১২ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধর
২৬ মে ২০২১
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন
১২ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া ভালো। অনেকে এই ধারণায় এখনো বিশ্বাসী। কফি ও মিষ্টি খাবার খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য থাকছে কফি দিয়ে তৈরি কিছু ডেজার্টের রেসিপি।
কফি মাফিন কেক
স্বাস্থ্যকর এবং দারুণ স্বাদের কফি মাফিন হতে পারে আপনার উদ্যাপনের সঙ্গী। এর জন্য দরকার—
১ কাপ সাধারণ ময়দা
আধা চা চামচ বেকিং সোডা
এক চিমটি লবণ
স্বাদ বাড়াতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া
১ টেবিল চামচ এসপ্রেসো বা কফি পাউডার
কোয়ার্টার কাপ টক দই
মিষ্টি প্রয়োজনমতো।
কোয়ার্টার কাপ কড়া লিকারের কফি
কোয়ার্টার কাপ সোডা ওয়াটার বা স্পার্কলিং ওয়াটার
মাখন গলিয়ে তাতে কফি বিন ভিজিয়ে রেখে কফি বাটার (ঐচ্ছিক) তৈরি করে নিন।

প্রস্তুত প্রণালি
ওভেন ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৪২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় প্রি-হিট করতে দিন। মাফিন টিনে সামান্য তেল বা মাখন ব্রাশ করে নিন। একটি বড় পাত্রে আটা, বেকিং সোডা, লবণ, দারুচিনি গুঁড়া এবং কফি পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আলাদা একটি পাত্রে টক দই, মধু এবং তৈরি করা কড়া লিকারের কফি মিশিয়ে নিন। শুকনো উপকরণের মিশ্রণে দই ও কফির মিশ্রণটি ঢালুন। এরপর এতে সোডা ওয়াটার যোগ করুন। খুব দ্রুত হালকা হাতে মেশান (বেশি ঘুঁটবেন না)। দেরি না করে দ্রুত ব্যাটারটি মাফিন টিনে ঢালুন। প্রথমে ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৫ মিনিট বেক করুন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ১৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) করে আরও ৮-১০ মিনিট বেক করুন। একটি কাঠি মাফিনের ভেতর ঢুকিয়ে দেখুন, কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে এলে বুঝবেন, মাফিন তৈরি। মাফিনগুলো ঠান্ডা হলে ওপরে কফি-মাখন বা ক্রিম চিজ লাগিয়ে সকালের নাশতায় উপভোগ করুন।

চকলেট কফি মউজ
মাত্র ৫টি উপকরণ দিয়ে কোনো জেলাটিন বা হেভি ক্রিম ছাড়াই শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন কফি মউজ। উপকরণসমূহ—
১. ডার্ক চকলেট (৭০-৮০% কোকো হলে ভালো)।
২. ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকা ডিমের সাদা অংশ (ফ্রিজ থেকে ৩০ মিনিট আগে বের করে রাখা)।
৩. ১ টেবিল চামচ ম্যাপেল সিরাপ (মিষ্টি ও ক্যারামেল ফ্লেভারের জন্য)।
৪. আধা কাপ কড়া লিকারের কফি
৫. সাজানোর জন্য টাটকা বা ফ্রোজেন বেরি বা স্ট্রবেরি
প্রস্তুত প্রণালি (মাত্র ১০ মিনিটে)
একটি সস প্যানে অল্প আঁচে চকলেট গলিয়ে নিন। এতে ম্যাপেল সিরাপ ও কফি দিয়ে নাড়ুন। মসৃণ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। একটি পরিষ্কার কাচ বা মেটালের পাত্রে ডিমের সাদা অংশগুলো ইলেকট্রিক হুইস্ক দিয়ে বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন সাদা ফেনার মতো হয়। এবার গলানো চকলেটের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে ডিমের সাদা অংশে যোগ করুন। একটি স্প্যাচুলা দিয়ে আলতো হাতে চকলেট এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। খুব জোরে নাড়বেন না, তাহলে ফুরফুরে ভাব নষ্ট হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ছোট ছোট গ্লাস বা কাপে ভাগ করে ঢালুন। ফ্রিজে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। পুরো রাত রাখলে আরও ভালো টেক্সচার আসবে।

কেটো তিরামিসু মুস
তিরামিসু নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। তার মধ্যে একটি হলো তিরামিসু কি আসলে কেক? এর সহজ উত্তর হলো, সঠিক প্রণালিতে তিরামিসু তৈরি করে খেয়ে বোঝা। কেটো ডায়েট যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের জন্য ‘কেটো তিরামিসু মুস’ হতে পারে বিকেলের নাশতা বা ডিনারের পর এক দুর্দান্ত ডেজার্ট। এটি যেমন দেখতে অভিজাত, খেতেও তেমনি ক্রিমি এবং রিচ। এসপ্রেসো কফি, মাস্কারপোন চিজ এবং কোকো পাউডারের স্তরে সাজানো এই মুসটি লো-কার্ব বা কম শর্করাযুক্ত ঘরানার।
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে চিজ, হেভি হুইপিং ক্রিম, চিনির পরিবর্তে এরিথ্রিটল, এক চিমটি লবণ এবং এসপ্রেসো কফি একসঙ্গে নিন। একটি ইলেকট্রিক বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক দিয়ে মিশ্রণটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন এবং ফুরফুরে হয়ে ওঠে। এবার পরিবেশনের গ্লাস নিন। প্রথমে কিছুটা মাস্কারপোন মিশ্রণ দিন, তার ওপর সামান্য কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন। এভাবে কয়েকবার স্তর তৈরি করুন। সবশেষে ওপরে সামান্য এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন এবং সুন্দর দেখানোর জন্য কয়েকটি কফি বিন বসিয়ে দিন। বানিয়েই পরিবেশন করতে পারেন অথবা ফ্রিজে রেখে কিছুটা ঠান্ডা করে উপভোগ করুন। যাঁরা খুব দ্রুত কিন্তু স্পেশাল কিছু তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এটি পারফেক্ট। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশনের গ্লাসে সাজিয়ে নিন এবং ওপরে কিছুটা এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি পদ। মিষ্টি, ক্রিমি এবং কফির ফ্লেভারের এই মেলবন্ধন এড়িয়ে যাওয়া সত্যিই অসম্ভব।
সূত্র: মাই শেফস এপ্রোন

আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া ভালো। অনেকে এই ধারণায় এখনো বিশ্বাসী। কফি ও মিষ্টি খাবার খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য থাকছে কফি দিয়ে তৈরি কিছু ডেজার্টের রেসিপি।
কফি মাফিন কেক
স্বাস্থ্যকর এবং দারুণ স্বাদের কফি মাফিন হতে পারে আপনার উদ্যাপনের সঙ্গী। এর জন্য দরকার—
১ কাপ সাধারণ ময়দা
আধা চা চামচ বেকিং সোডা
এক চিমটি লবণ
স্বাদ বাড়াতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া
১ টেবিল চামচ এসপ্রেসো বা কফি পাউডার
কোয়ার্টার কাপ টক দই
মিষ্টি প্রয়োজনমতো।
কোয়ার্টার কাপ কড়া লিকারের কফি
কোয়ার্টার কাপ সোডা ওয়াটার বা স্পার্কলিং ওয়াটার
মাখন গলিয়ে তাতে কফি বিন ভিজিয়ে রেখে কফি বাটার (ঐচ্ছিক) তৈরি করে নিন।

প্রস্তুত প্রণালি
ওভেন ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৪২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় প্রি-হিট করতে দিন। মাফিন টিনে সামান্য তেল বা মাখন ব্রাশ করে নিন। একটি বড় পাত্রে আটা, বেকিং সোডা, লবণ, দারুচিনি গুঁড়া এবং কফি পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আলাদা একটি পাত্রে টক দই, মধু এবং তৈরি করা কড়া লিকারের কফি মিশিয়ে নিন। শুকনো উপকরণের মিশ্রণে দই ও কফির মিশ্রণটি ঢালুন। এরপর এতে সোডা ওয়াটার যোগ করুন। খুব দ্রুত হালকা হাতে মেশান (বেশি ঘুঁটবেন না)। দেরি না করে দ্রুত ব্যাটারটি মাফিন টিনে ঢালুন। প্রথমে ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৫ মিনিট বেক করুন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ১৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) করে আরও ৮-১০ মিনিট বেক করুন। একটি কাঠি মাফিনের ভেতর ঢুকিয়ে দেখুন, কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে এলে বুঝবেন, মাফিন তৈরি। মাফিনগুলো ঠান্ডা হলে ওপরে কফি-মাখন বা ক্রিম চিজ লাগিয়ে সকালের নাশতায় উপভোগ করুন।

চকলেট কফি মউজ
মাত্র ৫টি উপকরণ দিয়ে কোনো জেলাটিন বা হেভি ক্রিম ছাড়াই শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন কফি মউজ। উপকরণসমূহ—
১. ডার্ক চকলেট (৭০-৮০% কোকো হলে ভালো)।
২. ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকা ডিমের সাদা অংশ (ফ্রিজ থেকে ৩০ মিনিট আগে বের করে রাখা)।
৩. ১ টেবিল চামচ ম্যাপেল সিরাপ (মিষ্টি ও ক্যারামেল ফ্লেভারের জন্য)।
৪. আধা কাপ কড়া লিকারের কফি
৫. সাজানোর জন্য টাটকা বা ফ্রোজেন বেরি বা স্ট্রবেরি
প্রস্তুত প্রণালি (মাত্র ১০ মিনিটে)
একটি সস প্যানে অল্প আঁচে চকলেট গলিয়ে নিন। এতে ম্যাপেল সিরাপ ও কফি দিয়ে নাড়ুন। মসৃণ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। একটি পরিষ্কার কাচ বা মেটালের পাত্রে ডিমের সাদা অংশগুলো ইলেকট্রিক হুইস্ক দিয়ে বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন সাদা ফেনার মতো হয়। এবার গলানো চকলেটের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে ডিমের সাদা অংশে যোগ করুন। একটি স্প্যাচুলা দিয়ে আলতো হাতে চকলেট এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। খুব জোরে নাড়বেন না, তাহলে ফুরফুরে ভাব নষ্ট হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ছোট ছোট গ্লাস বা কাপে ভাগ করে ঢালুন। ফ্রিজে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। পুরো রাত রাখলে আরও ভালো টেক্সচার আসবে।

কেটো তিরামিসু মুস
তিরামিসু নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। তার মধ্যে একটি হলো তিরামিসু কি আসলে কেক? এর সহজ উত্তর হলো, সঠিক প্রণালিতে তিরামিসু তৈরি করে খেয়ে বোঝা। কেটো ডায়েট যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের জন্য ‘কেটো তিরামিসু মুস’ হতে পারে বিকেলের নাশতা বা ডিনারের পর এক দুর্দান্ত ডেজার্ট। এটি যেমন দেখতে অভিজাত, খেতেও তেমনি ক্রিমি এবং রিচ। এসপ্রেসো কফি, মাস্কারপোন চিজ এবং কোকো পাউডারের স্তরে সাজানো এই মুসটি লো-কার্ব বা কম শর্করাযুক্ত ঘরানার।
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে চিজ, হেভি হুইপিং ক্রিম, চিনির পরিবর্তে এরিথ্রিটল, এক চিমটি লবণ এবং এসপ্রেসো কফি একসঙ্গে নিন। একটি ইলেকট্রিক বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক দিয়ে মিশ্রণটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন এবং ফুরফুরে হয়ে ওঠে। এবার পরিবেশনের গ্লাস নিন। প্রথমে কিছুটা মাস্কারপোন মিশ্রণ দিন, তার ওপর সামান্য কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন। এভাবে কয়েকবার স্তর তৈরি করুন। সবশেষে ওপরে সামান্য এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন এবং সুন্দর দেখানোর জন্য কয়েকটি কফি বিন বসিয়ে দিন। বানিয়েই পরিবেশন করতে পারেন অথবা ফ্রিজে রেখে কিছুটা ঠান্ডা করে উপভোগ করুন। যাঁরা খুব দ্রুত কিন্তু স্পেশাল কিছু তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এটি পারফেক্ট। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশনের গ্লাসে সাজিয়ে নিন এবং ওপরে কিছুটা এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি পদ। মিষ্টি, ক্রিমি এবং কফির ফ্লেভারের এই মেলবন্ধন এড়িয়ে যাওয়া সত্যিই অসম্ভব।
সূত্র: মাই শেফস এপ্রোন

মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধর
২৬ মে ২০২১
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
৮ ঘণ্টা আগে
গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন
১২ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন প্রজন্ম আমাদের চারপাশে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। যাদের আমরা বলছি ‘জেন আলফা’। বয়সে ছোট হলেও এখনই তারা আমাদের কেনাকাটা, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এক বিশাল পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে এসেছে। ২০২৯ সালের মধ্যে যখন এই প্রজন্মের একটি বড় অংশ প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন বিশ্ববাজারে তাদের খরচ করার ক্ষমতা ৫.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম কেবল মাউস বা স্ক্রিনেই দক্ষ নয়, তাদের খাবারের থালায় কী থাকবে, সেটিও তারা এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেন আলফা আমাদের শেখাচ্ছে যে খাবার কেবল বেঁচে থাকার রসদ নয়। এটি পরিবারকে কাছে আনার একটি মাধ্যম, পরিবেশকে রক্ষার হাতিয়ার এবং নিজের পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ। ফার্ম থেকে টেবিল পর্যন্ত খাবারের প্রতিটি ধাপে এই সচেতন প্রজন্ম যে পরিবর্তন আনছে, তা আমাদের সবার জন্যই এক স্বাস্থ্যকর ও টেকসই ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা স্রেফ সস্তা বিজ্ঞাপন দেখে নয়, বরং নিজের ভালো লাগা এবং নৈতিক অবস্থান থেকেই ঠিক করছে তারা কী খাবে।

ছোট্ট কণ্ঠের বড় প্রভাব
আগেকার দিনে শিশুরা সাধারণত মা-বাবা যা পাতে দিতেন তাই খেত। হাতে গোনা কয়েকজন এমন হতো যারা, ‘আমি চাই’ বলার সাহস করত। তবে নিমিষেই তাদের ইচ্ছাকে দাবিয়ে দিতেন অভিভাবকেরা। জেন আলফার ক্ষেত্রে এই চিত্রটা ভিন্ন। বর্তমানে অভিভাবকেরা তাদের প্রতি অনেক বেশি নমনীয় এবং তারা সন্তানদের মতামতকে গুরুত্ব দেন। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণা বলছে, ৬৩ শতাংশ মা-বাবা সন্তানদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের খাবারের তালিকা ঠিক করেন। ভারতেও প্রায় অর্ধেক মা-বাবা বিশ্বাস করেন যে তাঁদের সন্তানদের সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনবে। এটি কেবল একগুঁয়েমি নয়, নিজের ভালো-মন্দ বোঝার এক নতুন সচেতনতা। আধুনিক প্যারেন্টিং স্টাইল বা মা-বাবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে জেন আলফা এখন অনেক বেশি স্বাধীন।
শৈশব থেকেই সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির পাঠ
জেন আলফা প্রজন্মের কাছে ‘গাট হেলথ’ বা পেটের সুস্থতা একটি অত্যন্ত পরিচিত বিষয়। তারা প্রিবায়োটিক পানীয় এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ স্ন্যাকসের কথা জেনেই বড় হচ্ছে। ফিটনেস ট্রেন্ডের কারণে হাই-প্রোটিন খাবারের চাহিদা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গত এক দশকে প্রোটিন নিয়ে আলোচনার হার প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এমনকি যুক্তরাজ্যের ‘বেলি বাগস’-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অন্ত্রের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োমকে ‘পোষা প্রাণীর’ মতো যত্ন নেওয়ার বিষয়টিকে গেমে রূপান্তর করেছে। ফলে ছোটবেলা থেকেই তারা বোঝে যে কোন খাবার শরীর ও মনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। করোনা মহামারির পর থেকে পরিবারের এই স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বেড়েছে। ২০২৪ সালের তথ্য মতে, শিশুদের জন্য বাজারে আসা প্রতি তিনটি নতুন খাবারের একটিতে বাড়তি পুষ্টি বা নিউট্রিয়েন্টস যোগ করা হয়েছে। চীন ও যুক্তরাজ্যের অভিভাবকেরা ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন, আর এই চাহিদা মেটাতে ব্র্যান্ডগুলো সাপ্লিমেন্টকে এখন ক্যান্ডি বা মুখরোচক স্ন্যাকসের মতো করে তৈরি করছে।

জলবায়ু সচেতনতা ও খাবারের নৈতিকতা
এই প্রজন্ম একটি জলবায়ু সংকটের মধ্যে জন্ম নিয়েছে। তাই পরিবেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। তারা কেবল খাবারের স্বাদ দেখে না, তারা সেই ব্র্যান্ডের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতাও বিচার করে। যুক্তরাজ্যে প্রায় অর্ধেক অভিভাবক বলছেন যে তাঁদের সন্তানেরা পরিবেশের কথা ভেবে প্রাণিজ খাবার কমিয়ে উদ্ভিজ্জ বা প্ল্যান্ট-বেজড খাবার খেতে উৎসাহিত হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ যখন খাদ্যের চাহিদা ৫০ শতাংশ বাড়বে। তখন এই জেন আলফাই হয়তো ল্যাব-গ্রোন মিট (ল্যাবে তৈরি মাংস) বা জিনগতভাবে পরিবর্তিত শস্যকে স্বাভাবিক সমাধান হিসেবে গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে জার্মানির অর্ধেক অভিভাবক কৃত্রিমভাবে তৈরি টেকসই খাবার গ্রহণে আগ্রহী।
বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও অভিজ্ঞতার খোঁজে
সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কারণে জেন আলফার স্বাদ এখন বিশ্বজনীন। বাড়ির বাইরে না গিয়েই তারা বিশ্বের নানা প্রান্তের খাবারের স্বাদ নিচ্ছে। তাদের কাছে খাবার কেবল পেট ভরানোর মাধ্যম নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে চীন ও জাপানে ‘ইমারসিভ ডাইনিং’ বা গল্পের মাধ্যমে খাবার পরিবেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ডিজিটাল যুগে বড় হলেও তারা বাস্তব জীবনের ছোঁয়া পেতে চায়, আর খাবার তাদের সেই সংযোগের সুযোগ করে দেয়।
বিদ্রোহী কিন্তু সচেতন
জেন আলফা পূর্ববর্তী জেন জি প্রজন্মের চেয়েও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং স্বতন্ত্র। তারা কেবল ট্রেন্ড অনুসরণ করে না, বরং তারা নিজেদের মূল্যবোধের সঙ্গে মিলে এমন ব্র্যান্ডই পছন্দ করে। যদিও অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং শৈশবকালীন স্থূলতার মতো চ্যালেঞ্জগুলো এখনো রয়ে গেছে, তবুও আশার কথা হলো ব্র্যান্ডগুলো এখন ‘নো অ্যাডেড সুগার’ বা চিনিহীন খাবারের দিকে ঝুঁকছে। ২০২৪ সালে এ ধরনের পণ্যের হার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি, ফুড নেভিগেটর

গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন প্রজন্ম আমাদের চারপাশে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। যাদের আমরা বলছি ‘জেন আলফা’। বয়সে ছোট হলেও এখনই তারা আমাদের কেনাকাটা, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এক বিশাল পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে এসেছে। ২০২৯ সালের মধ্যে যখন এই প্রজন্মের একটি বড় অংশ প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন বিশ্ববাজারে তাদের খরচ করার ক্ষমতা ৫.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম কেবল মাউস বা স্ক্রিনেই দক্ষ নয়, তাদের খাবারের থালায় কী থাকবে, সেটিও তারা এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেন আলফা আমাদের শেখাচ্ছে যে খাবার কেবল বেঁচে থাকার রসদ নয়। এটি পরিবারকে কাছে আনার একটি মাধ্যম, পরিবেশকে রক্ষার হাতিয়ার এবং নিজের পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ। ফার্ম থেকে টেবিল পর্যন্ত খাবারের প্রতিটি ধাপে এই সচেতন প্রজন্ম যে পরিবর্তন আনছে, তা আমাদের সবার জন্যই এক স্বাস্থ্যকর ও টেকসই ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা স্রেফ সস্তা বিজ্ঞাপন দেখে নয়, বরং নিজের ভালো লাগা এবং নৈতিক অবস্থান থেকেই ঠিক করছে তারা কী খাবে।

ছোট্ট কণ্ঠের বড় প্রভাব
আগেকার দিনে শিশুরা সাধারণত মা-বাবা যা পাতে দিতেন তাই খেত। হাতে গোনা কয়েকজন এমন হতো যারা, ‘আমি চাই’ বলার সাহস করত। তবে নিমিষেই তাদের ইচ্ছাকে দাবিয়ে দিতেন অভিভাবকেরা। জেন আলফার ক্ষেত্রে এই চিত্রটা ভিন্ন। বর্তমানে অভিভাবকেরা তাদের প্রতি অনেক বেশি নমনীয় এবং তারা সন্তানদের মতামতকে গুরুত্ব দেন। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণা বলছে, ৬৩ শতাংশ মা-বাবা সন্তানদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের খাবারের তালিকা ঠিক করেন। ভারতেও প্রায় অর্ধেক মা-বাবা বিশ্বাস করেন যে তাঁদের সন্তানদের সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনবে। এটি কেবল একগুঁয়েমি নয়, নিজের ভালো-মন্দ বোঝার এক নতুন সচেতনতা। আধুনিক প্যারেন্টিং স্টাইল বা মা-বাবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে জেন আলফা এখন অনেক বেশি স্বাধীন।
শৈশব থেকেই সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির পাঠ
জেন আলফা প্রজন্মের কাছে ‘গাট হেলথ’ বা পেটের সুস্থতা একটি অত্যন্ত পরিচিত বিষয়। তারা প্রিবায়োটিক পানীয় এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ স্ন্যাকসের কথা জেনেই বড় হচ্ছে। ফিটনেস ট্রেন্ডের কারণে হাই-প্রোটিন খাবারের চাহিদা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গত এক দশকে প্রোটিন নিয়ে আলোচনার হার প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এমনকি যুক্তরাজ্যের ‘বেলি বাগস’-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অন্ত্রের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োমকে ‘পোষা প্রাণীর’ মতো যত্ন নেওয়ার বিষয়টিকে গেমে রূপান্তর করেছে। ফলে ছোটবেলা থেকেই তারা বোঝে যে কোন খাবার শরীর ও মনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। করোনা মহামারির পর থেকে পরিবারের এই স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বেড়েছে। ২০২৪ সালের তথ্য মতে, শিশুদের জন্য বাজারে আসা প্রতি তিনটি নতুন খাবারের একটিতে বাড়তি পুষ্টি বা নিউট্রিয়েন্টস যোগ করা হয়েছে। চীন ও যুক্তরাজ্যের অভিভাবকেরা ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন, আর এই চাহিদা মেটাতে ব্র্যান্ডগুলো সাপ্লিমেন্টকে এখন ক্যান্ডি বা মুখরোচক স্ন্যাকসের মতো করে তৈরি করছে।

জলবায়ু সচেতনতা ও খাবারের নৈতিকতা
এই প্রজন্ম একটি জলবায়ু সংকটের মধ্যে জন্ম নিয়েছে। তাই পরিবেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। তারা কেবল খাবারের স্বাদ দেখে না, তারা সেই ব্র্যান্ডের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতাও বিচার করে। যুক্তরাজ্যে প্রায় অর্ধেক অভিভাবক বলছেন যে তাঁদের সন্তানেরা পরিবেশের কথা ভেবে প্রাণিজ খাবার কমিয়ে উদ্ভিজ্জ বা প্ল্যান্ট-বেজড খাবার খেতে উৎসাহিত হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ যখন খাদ্যের চাহিদা ৫০ শতাংশ বাড়বে। তখন এই জেন আলফাই হয়তো ল্যাব-গ্রোন মিট (ল্যাবে তৈরি মাংস) বা জিনগতভাবে পরিবর্তিত শস্যকে স্বাভাবিক সমাধান হিসেবে গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে জার্মানির অর্ধেক অভিভাবক কৃত্রিমভাবে তৈরি টেকসই খাবার গ্রহণে আগ্রহী।
বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও অভিজ্ঞতার খোঁজে
সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কারণে জেন আলফার স্বাদ এখন বিশ্বজনীন। বাড়ির বাইরে না গিয়েই তারা বিশ্বের নানা প্রান্তের খাবারের স্বাদ নিচ্ছে। তাদের কাছে খাবার কেবল পেট ভরানোর মাধ্যম নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে চীন ও জাপানে ‘ইমারসিভ ডাইনিং’ বা গল্পের মাধ্যমে খাবার পরিবেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ডিজিটাল যুগে বড় হলেও তারা বাস্তব জীবনের ছোঁয়া পেতে চায়, আর খাবার তাদের সেই সংযোগের সুযোগ করে দেয়।
বিদ্রোহী কিন্তু সচেতন
জেন আলফা পূর্ববর্তী জেন জি প্রজন্মের চেয়েও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং স্বতন্ত্র। তারা কেবল ট্রেন্ড অনুসরণ করে না, বরং তারা নিজেদের মূল্যবোধের সঙ্গে মিলে এমন ব্র্যান্ডই পছন্দ করে। যদিও অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং শৈশবকালীন স্থূলতার মতো চ্যালেঞ্জগুলো এখনো রয়ে গেছে, তবুও আশার কথা হলো ব্র্যান্ডগুলো এখন ‘নো অ্যাডেড সুগার’ বা চিনিহীন খাবারের দিকে ঝুঁকছে। ২০২৪ সালে এ ধরনের পণ্যের হার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি, ফুড নেভিগেটর

মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধর
২৬ মে ২০২১
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে। নতুন বছরে আপনার যাপিত জীবন ও গৃহকোণকে প্রকৃতিবান্ধব করতে সহজ কিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার রান্নাঘরে বর্জ্য কমানো, ঘরের আসবাব কমিয়ে আনা কিংবা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া। আপনার ছোট ছোট এই পদক্ষেপগুলোই ২০২৬ সালে আপনার ঘরকে করে তুলবে প্রাণবন্ত এবং পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তুলবে।
রান্নাঘরে আনুন সচেতন পরিবর্তন
পরিবর্তনের শুরুটা হতে পারে আপনার রান্নাঘর থেকে। রান্নাঘরের বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশবান্ধব করে তোলা মোটেও কঠিন কিছু নয়। ছোট ছোট কিছু স্মার্ট বদল আপনার রান্নাঘরকে দিতে পারে এক নতুন সজীবতা। যেমন খাবারের সতেজতা ধরে রাখতে প্লাস্টিকের ক্লিন ফিল্মের বদলে মৌমাছির মোমের তৈরি র্যাপ ব্যবহার করুন। এগুলো ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায় এবং নষ্ট হলে অনায়াসেই মাটিতে মিশে যায়। স্যান্ডউইচ মোড়ানো বা বেঁচে যাওয়া খাবার ঢেকে রাখতে এটি সেরা। এমনকি সুতি কাপড়ে গলানো মোম লাগিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে এটি বানিয়ে নিতে পারেন।
অনেক টি-ব্যাগে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। তাই টি-ব্যাগ বর্জন করে সরাসরি খোলা চা-পাতা ব্যবহার শুরু করুন। এতে চায়ের স্বাদ যেমন অটুট থাকে, তেমনি পরিবেশও বাঁচে। একবার ব্যবহারযোগ্য স্পঞ্জের বদলে কাঠের তৈরি ডিশ ব্রাশ এবং কম্পোস্টেবল (পচনশীল) ডিশ ক্লথ বা বাসন মোছার কাপড় ব্যবহার করুন। লিকুইড সাবানের প্লাস্টিক বোতলের ঝামেলা এড়াতে সলিড ডিশ সোপ ব্লক ব্যবহার করুন। এগুলো লিকুইড সাবানের মতোই কার্যকর কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে না। এই সামান্য পরিবর্তনগুলোই আপনার রান্নাঘরকে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব রূপ দিতে পারে। মৌসুমি ফল বা সবজি বেশি থাকলে তা সংরক্ষণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবজি হালকা ভাপিয়ে ফ্রিজে রাখা কিংবা উদ্বৃত্ত ফল দিয়ে জ্যাম বা আচার তৈরি করা খাবার অপচয় রোধের অন্যতম সেরা উপায়।

পরিচ্ছন্নতায় আনুন প্রাকৃতিক সমাধান
বাজারের কড়া রাসায়নিকযুক্ত ক্লিনারের বদলে বেকিং সোডা এবং সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। এগুলো দাগ দূর করতে এবং কার্পেট সতেজ রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুগন্ধের জন্য জলে টি-ট্রি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। টিস্যু পেপারের বদলে বাঁশের তৈরি কাপড় বা মাইক্রোফাইবার ক্লথ ব্যবহার করুন। আপনার বাগানের পুরোনো কাঠের প্যালেট দিয়ে বেঞ্চ বা টেবিল বানিয়ে নিতে পারেন। পুরোনো আসবাবের ওপর স্রেফ রঙের এক পোঁচ দিলেই তার হারানো জেল্লা ফিরে আসে। নতুন কেনার আগে বাড়িতে থাকা জিনিসের সৃজনশীল ব্যবহার পরিবেশের জন্য দারুণ এক উপহার। শাকসবজির খোসা, ডিমের খোসা বা কফির তলানি না ফেলে দিয়ে তা থেকে জৈব সার তৈরি করুন। এটি আপনার ঘরের বর্জ্য বহুগুণ কমিয়ে দেবে এবং বাগানের মাটিকে দেবে প্রচুর পুষ্টি। জায়গার অভাব থাকলে ছোট কম্পোস্ট বিন বা ‘ওয়ার্মারি’ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর গোছানো হোক উদ্দেশ্যপূর্ণ
নতুন বছরে ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা বা ‘ডিক্লাটারিং’ করাটা মনের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে, কোনো কিছু রিসাইকেল করার চেয়ে তার ব্যবহার কমিয়ে আনা বা অন্য কাজে লাগানো বেশি জরুরি। মনে রাখবেন টেকসই জীবনের মূলমন্ত্র হলো রিডিউস (কমানো), রিইউজ (পুনরায় ব্যবহার) এবং রিসাইকেল (পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ)। একটি পুরোনো কাঠের বাক্স অনায়াসেই গাছের টব বা স্টোরেজ বক্সে রূপান্তরিত হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে পোশাক অদলবদল করুন অথবা চ্যারিটিতে দান করুন। সারা বছর পুদিনা, পার্সলে বা থাইম চাষ করে আপনি যেমন টাটকা স্বাদ পাবেন, তেমনি ঘরের বাতাসও থাকবে সতেজ। রোদ উজ্জ্বল জায়গায় এই ছোট ভেষজ বাগান (Herb garden) গড়ে তোলা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, পুদিনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই একে আলাদা টবে রাখাই ভালো।

বাথরুম হোক প্লাস্টিকমুক্ত
প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর কথা উঠলে আমরা প্রায়ই বাথরুমের কথা ভুলে যাই। অথচ প্লাস্টিকমুক্ত জীবন শুরু করার জন্য এটিই সবচেয়ে সহজ জায়গা। ২০২৬ সালে আপনার বাথরুমকে প্লাস্টিকমুক্ত এবং স্টাইলিশ করে তুলতে এই ছোট পরিবর্তনগুলো করতে পারেন। প্লাস্টিকের টুথব্রাশ বা নখের ব্রাশের বদলে কাঠের ব্রাশ ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমনি দেখতেও বেশ নান্দনিক। প্লাস্টিকের বোতলের ঝামেলা চিরতরে দূর করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের বার (সাবানের মতো শক্ত বার) ব্যবহার করুন। এটি বাথরুম থেকে প্লাস্টিকের বোতলের স্তূপ কমাতে জাদুর মতো কাজ করে। একবার ব্যবহারযোগ্য বা ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক রেজারের বদলে সেফটি রেজার কিংবা বাঁশের হাতলওয়ালা রেজার বেছে নিন। এগুলো অনেক বেশি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এই সামান্য পরিবর্তনগুলো কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যই কমাবে না, আপনার বাথরুমে যোগ করবে এক চমৎকার ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ আভিজাত্য।
নতুন বছরে সাসটেইনেবল ইন্টেরিয়র টিপস
নতুন বছরে ঘরের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনতে চাইলে কিছু বাড়তি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন:
এনার্জি অ্যাসেসমেন্ট: আপনার ঘরের বিদ্যুৎ খরচ কোথায় কমানো সম্ভব তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।
সেকেন্ড-হ্যান্ড ফার্নিচার: নতুন আসবাবের বদলে পুরোনো বা অ্যান্টিক দোকান থেকে আসবাব সংগ্রহ করুন। এটি ঘরে একটি অনন্য আভিজাত্য যোগ করে।
গ্রে-ওয়াটার সিস্টেম: বাথরুমের ব্যবহৃত পানি বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা বাগানে ব্যবহারের কথা ভাবুন।
ঘর সংস্কারের সময় স্থানীয় জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিকুলের কথা মাথায় রেখে অ-বিষাক্ত উপাদান এবং নেটিভ গাছপালা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কান্ট্রি লিভিং ম্যাগাজিন, আর্থ সায়েন্স ডিজাইন

নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে। নতুন বছরে আপনার যাপিত জীবন ও গৃহকোণকে প্রকৃতিবান্ধব করতে সহজ কিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার রান্নাঘরে বর্জ্য কমানো, ঘরের আসবাব কমিয়ে আনা কিংবা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া। আপনার ছোট ছোট এই পদক্ষেপগুলোই ২০২৬ সালে আপনার ঘরকে করে তুলবে প্রাণবন্ত এবং পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তুলবে।
রান্নাঘরে আনুন সচেতন পরিবর্তন
পরিবর্তনের শুরুটা হতে পারে আপনার রান্নাঘর থেকে। রান্নাঘরের বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশবান্ধব করে তোলা মোটেও কঠিন কিছু নয়। ছোট ছোট কিছু স্মার্ট বদল আপনার রান্নাঘরকে দিতে পারে এক নতুন সজীবতা। যেমন খাবারের সতেজতা ধরে রাখতে প্লাস্টিকের ক্লিন ফিল্মের বদলে মৌমাছির মোমের তৈরি র্যাপ ব্যবহার করুন। এগুলো ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায় এবং নষ্ট হলে অনায়াসেই মাটিতে মিশে যায়। স্যান্ডউইচ মোড়ানো বা বেঁচে যাওয়া খাবার ঢেকে রাখতে এটি সেরা। এমনকি সুতি কাপড়ে গলানো মোম লাগিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে এটি বানিয়ে নিতে পারেন।
অনেক টি-ব্যাগে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। তাই টি-ব্যাগ বর্জন করে সরাসরি খোলা চা-পাতা ব্যবহার শুরু করুন। এতে চায়ের স্বাদ যেমন অটুট থাকে, তেমনি পরিবেশও বাঁচে। একবার ব্যবহারযোগ্য স্পঞ্জের বদলে কাঠের তৈরি ডিশ ব্রাশ এবং কম্পোস্টেবল (পচনশীল) ডিশ ক্লথ বা বাসন মোছার কাপড় ব্যবহার করুন। লিকুইড সাবানের প্লাস্টিক বোতলের ঝামেলা এড়াতে সলিড ডিশ সোপ ব্লক ব্যবহার করুন। এগুলো লিকুইড সাবানের মতোই কার্যকর কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে না। এই সামান্য পরিবর্তনগুলোই আপনার রান্নাঘরকে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব রূপ দিতে পারে। মৌসুমি ফল বা সবজি বেশি থাকলে তা সংরক্ষণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবজি হালকা ভাপিয়ে ফ্রিজে রাখা কিংবা উদ্বৃত্ত ফল দিয়ে জ্যাম বা আচার তৈরি করা খাবার অপচয় রোধের অন্যতম সেরা উপায়।

পরিচ্ছন্নতায় আনুন প্রাকৃতিক সমাধান
বাজারের কড়া রাসায়নিকযুক্ত ক্লিনারের বদলে বেকিং সোডা এবং সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। এগুলো দাগ দূর করতে এবং কার্পেট সতেজ রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুগন্ধের জন্য জলে টি-ট্রি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। টিস্যু পেপারের বদলে বাঁশের তৈরি কাপড় বা মাইক্রোফাইবার ক্লথ ব্যবহার করুন। আপনার বাগানের পুরোনো কাঠের প্যালেট দিয়ে বেঞ্চ বা টেবিল বানিয়ে নিতে পারেন। পুরোনো আসবাবের ওপর স্রেফ রঙের এক পোঁচ দিলেই তার হারানো জেল্লা ফিরে আসে। নতুন কেনার আগে বাড়িতে থাকা জিনিসের সৃজনশীল ব্যবহার পরিবেশের জন্য দারুণ এক উপহার। শাকসবজির খোসা, ডিমের খোসা বা কফির তলানি না ফেলে দিয়ে তা থেকে জৈব সার তৈরি করুন। এটি আপনার ঘরের বর্জ্য বহুগুণ কমিয়ে দেবে এবং বাগানের মাটিকে দেবে প্রচুর পুষ্টি। জায়গার অভাব থাকলে ছোট কম্পোস্ট বিন বা ‘ওয়ার্মারি’ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর গোছানো হোক উদ্দেশ্যপূর্ণ
নতুন বছরে ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা বা ‘ডিক্লাটারিং’ করাটা মনের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে, কোনো কিছু রিসাইকেল করার চেয়ে তার ব্যবহার কমিয়ে আনা বা অন্য কাজে লাগানো বেশি জরুরি। মনে রাখবেন টেকসই জীবনের মূলমন্ত্র হলো রিডিউস (কমানো), রিইউজ (পুনরায় ব্যবহার) এবং রিসাইকেল (পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ)। একটি পুরোনো কাঠের বাক্স অনায়াসেই গাছের টব বা স্টোরেজ বক্সে রূপান্তরিত হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে পোশাক অদলবদল করুন অথবা চ্যারিটিতে দান করুন। সারা বছর পুদিনা, পার্সলে বা থাইম চাষ করে আপনি যেমন টাটকা স্বাদ পাবেন, তেমনি ঘরের বাতাসও থাকবে সতেজ। রোদ উজ্জ্বল জায়গায় এই ছোট ভেষজ বাগান (Herb garden) গড়ে তোলা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, পুদিনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই একে আলাদা টবে রাখাই ভালো।

বাথরুম হোক প্লাস্টিকমুক্ত
প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর কথা উঠলে আমরা প্রায়ই বাথরুমের কথা ভুলে যাই। অথচ প্লাস্টিকমুক্ত জীবন শুরু করার জন্য এটিই সবচেয়ে সহজ জায়গা। ২০২৬ সালে আপনার বাথরুমকে প্লাস্টিকমুক্ত এবং স্টাইলিশ করে তুলতে এই ছোট পরিবর্তনগুলো করতে পারেন। প্লাস্টিকের টুথব্রাশ বা নখের ব্রাশের বদলে কাঠের ব্রাশ ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমনি দেখতেও বেশ নান্দনিক। প্লাস্টিকের বোতলের ঝামেলা চিরতরে দূর করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের বার (সাবানের মতো শক্ত বার) ব্যবহার করুন। এটি বাথরুম থেকে প্লাস্টিকের বোতলের স্তূপ কমাতে জাদুর মতো কাজ করে। একবার ব্যবহারযোগ্য বা ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক রেজারের বদলে সেফটি রেজার কিংবা বাঁশের হাতলওয়ালা রেজার বেছে নিন। এগুলো অনেক বেশি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এই সামান্য পরিবর্তনগুলো কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যই কমাবে না, আপনার বাথরুমে যোগ করবে এক চমৎকার ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ আভিজাত্য।
নতুন বছরে সাসটেইনেবল ইন্টেরিয়র টিপস
নতুন বছরে ঘরের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনতে চাইলে কিছু বাড়তি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন:
এনার্জি অ্যাসেসমেন্ট: আপনার ঘরের বিদ্যুৎ খরচ কোথায় কমানো সম্ভব তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।
সেকেন্ড-হ্যান্ড ফার্নিচার: নতুন আসবাবের বদলে পুরোনো বা অ্যান্টিক দোকান থেকে আসবাব সংগ্রহ করুন। এটি ঘরে একটি অনন্য আভিজাত্য যোগ করে।
গ্রে-ওয়াটার সিস্টেম: বাথরুমের ব্যবহৃত পানি বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা বাগানে ব্যবহারের কথা ভাবুন।
ঘর সংস্কারের সময় স্থানীয় জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিকুলের কথা মাথায় রেখে অ-বিষাক্ত উপাদান এবং নেটিভ গাছপালা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কান্ট্রি লিভিং ম্যাগাজিন, আর্থ সায়েন্স ডিজাইন

মাঠের পাশ দিয়েই একটা রাস্তা চলে গেছে ওপরের দিকে। পাহাড়ের মতো জায়গাটা। এই পথটা দেখলে মনে হয় চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক। দুপাশে গাছের সারির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে প্রাচীনকালের গাছ আছে অনেক। তারই কয়েকটিতে ঝুলছে বোর্ড, যেখানে লেখা আছে, ‘আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো।’ আমরা তিনজনই গাছটাকে জড়িয়ে ধর
২৬ মে ২০২১
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
গেল বছর থেকে জেন-জিরা গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনায়। তাদের ফ্যাশন, স্টাইল, খাবার, চলাফেরা, কথা বলা, চিন্তা, ভ্রমণ নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তুলনা করতে গিয়ে কথা এসেছে অন্যান্য প্রজন্মের। এবার সেই জেন-জিদের পরের প্রজন্মের আলোচনায় আসা যাক। কারণ, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই নতুন
১২ ঘণ্টা আগে