Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে

ড. খলিলুর রহমান।

ড. খলিলুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মিউকফার্মে, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ

নাদিম মজিদ
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৪: ১৬

প্রশ্ন: মিউকফার্ম কি নিয়ে কাজ করে? সে প্রতিষ্ঠানে আপনি কোন সেকশনে কি নিয়ে কাজ করছেন?

উত্তর: মিউকফার্ম একটি ক্যানসার ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। তারা মূলত বিরল রোগ সিউডোম্যাক্সোমা পেরিটোনি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ‘ব্রোম‍্যাক’ নিয়ে কাজ করছে। এই ওষুধটি কেমোথেরাপির কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক। আমি মিউকফার্মের একজন আরএন্ডডি সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত। আমার প্রধান কাজ হলো ক্যানসার কোষের ওপর ওষুধের প্রভাব এবং প্রাণীর শরীরের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করা। এ ছাড়া ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে।

প্রশ্ন: আপনি কীভাবে এ সেক্টরে এলেন?

উত্তর: আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় মাস্টার্স করাকালীন সেখানকার প্রসিদ্ধ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডংয়ে এস টির অর্থায়নে একটি ডায়াবেটিস ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। একটি ডায়াবেটিক ওষুধের শুরু থেকে বাজারে আসা পর্যন্ত কাজ করেছিলাম। ওষুধটি বাজারে বেশ সাফল্য লাভ করে, যা আমার চিন্তাভাবনা বদলে দেয়। আমি দেখি, একটি ওষুধ মানুষের জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ অনুপ্রেরণা থেকে ওষুধ শিল্পে কাজ করার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পায়। পরে আমি ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে ক‍্যানসার ড্রাগ ডেভেলপমেন্টের ওপর পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করি। বর্তমানে আমি ক্যানসারের ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট নিয়েই কাজ করছি।

প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার পিএইচডি প্রোগ্রামে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়?

উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার পিএইচডি প্রোগ্রামগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যা তাদের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সহায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায়ই মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এই বৃত্তিগুলো টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ এবং গবেষণার খরচ বহন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে। অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ তত্ত্বাবধান করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করার জন্য কনফারেন্স এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগও দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী কী চেয়ে থাকে? কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন?

উত্তর: পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ভালো একাডেমিক যোগ্যতা এবং গবেষণার সম্ভাবনা প্রদর্শন করতে হয়। আবেদনকারীর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স পর্যায়ের একাডেমিক রেকর্ড ভালো হতে হবে। ইন্টার্নশিপ এবং প্রকাশনা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনকারী যে টপিকে পিএইচডি করতে চায়, সে টপিকে যদি তার সুপারভাইজার আগ্রহী হন, তাহলে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আবেদনকারীর TOEFL বা IELTS স্কোরও থাকতে হবে। সর্বোপরি, ব্যক্তিগত মোটিভেশন, অভিজ্ঞতা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির বিষয়গুলোও গুরুত্ব পায়।

প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়া বাইরের দেশ থেকে মেধাবীদের নিয়ে আসার জন্য কী কী প্রোগ্রাম সুবিধা দিয়ে থাকে?

উত্তর: অস্ট্রেলিয়া বাইরের দেশ থেকে মেধাবীদের নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম অফার করে থাকে, কারণ দেশটিতে দক্ষ জনশক্তির সংকট রয়েছে। এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে তারা সঙ্কট পূরণ করতে চায়। এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো জেনারেল স্কিলড মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম, যা দক্ষ জনশক্তিকে স্থায়ী আবাসন প্রদানের অনুমোদন দেয়। এতে আবেদনকারীর যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাই করা হয়। এর বাইরেও নিয়োগকর্তারা টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসার মাধ্যমে বিদেশি কর্মজীবীদের স্বল্পমেয়াদি এবং মাঝারি মেয়াদি কাজের জন্য স্পনসর করে থাকেন। গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার মাধ্যমে প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গবেষণা সেক্টরের ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। এমপ্লয়ার নমিনেশন স্কিম এবং রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিমের মাধ্যমে শ্রমিক সংকট পূরণের চেষ্টা করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে দেশটি প্রতিযোগিতামূলক জনশক্তি, উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।

প্রশ্ন: বাইরের দেশে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কলাবুরেশন হয়। আপনি নিজেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: বাইরের দেশে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কলাবুরেশন একটি সাধারণ বিষয়, যার মাধ্যমে তারা উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতার উন্নয়ন করে থাকে। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের জ্ঞান বিনিময় এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে থাকে। শিক্ষকেরা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি শিল্পভিত্তিক প্রকল্পে যুক্ত হন, যা তাদের একাডেমিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা বাড়ায়। বাংলাদেশেও এ ধরনের সংস্কৃতি জরুরি। এটি দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, স্থানীয় শিল্প, উন্নত প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহারিক জ্ঞান যুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রে সফল হবে না, বরং দেশের উদ্ভাবন এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা করতে চাইলে পূর্বের পিএইচডি বা পোস্ট ডক, এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজ করে না। অস্ট্রেলিয়াতে এ বিষয়গুলো কীভাবে দেখা হয়?

উত্তর: অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা করতে চাইলে পূর্বের পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরাল অভিজ্ঞতা এবং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল অভিজ্ঞতা শিক্ষককের গবেষণা দক্ষতা, নতুন জ্ঞান তৈরির ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ দেয়। এই অভিজ্ঞতাগুলো শিক্ষকদের তাদের বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনে এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সহায়তা করতে সাহায্য করে। আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা শিক্ষককের গবেষণা দক্ষতা এবং জ্ঞানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের প্রকাশনার সংখ্যা ও মান যাচাই করে। এসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন: ভারত এবং চীন বাইরের দেশ থেকে কর্মরত তাদের ট্যালেন্টদের দেশে ফিরিয়ে নিতে প্রোগ্রাম রেখেছে। কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলে প্রবাসী বাংলাদেশি মেধাবীরাও বাংলাদেশে এসে কাজ করতে আগ্রহ পাবে?

উত্তর: বিদেশে কর্মরত মেধাবীদের তাদের দেশে নিয়ে আসতে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য ভারত ও চীন নানা প্রোগ্রাম চালু করেছে। তাদের উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে আর্থিক প্রণোদনা, কর ছাড়, গবেষণা অনুদানসহ নানা সুবিধা, যা প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান সেক্টরে কাজ করা পেশাজীবীদের তাদের দেশে কাজ করতে উৎসাহিত করে। একই ধরনের সুবিধা বাংলাদেশও তাদের মেধাবীদের জন্য অফার করতে পারে, বিশেষ করে ক্যারিয়ার সুযোগ, প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং অবকাঠামো সুবিধা প্রদান করতে পারে। উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা এবং পেশাজীবীদের উন্নয়নে নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও বাংলাদেশে এসে কাজ করতে আগ্রহী হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

চাকরি ডেস্ক 
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৬ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ৬২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৪ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ১৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ওয়ার্ড মাস্টার, ৪টি।

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: টেলিফোন অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহায়ক, ৩৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদন ফি: ১ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিকের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা । ৬ নম্বর ক্রমিকের জন্য ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০ কর্মী নেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০তম গ্রেডে বেতন

চাকরি ডেস্ক 
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১১ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম ও সংখ্যা: নিরাপত্তাপ্রহরী, ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট থাকতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: মালি, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

আবেদন ফি: আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে পেমেন্ট করে পেমেন্ট স্লিপ আবেদনপত্রের একটির সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ ৩ সেট আবেদনপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

আবেদনের পদ্ধতি: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়মাবলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইন আবেদন ছাড়া কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ‘অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৮৩

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব খাতভুক্ত ১ ক্যাটাগরির শূন্য পদে ৪৮৩ জনের নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ৩ ডিসেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ডিএফএ), ৪৮৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে অন্যূন এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সরকারি ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

বয়সসীমা: সব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮-৩২ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

ডিক্লারেশন: প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের ডিক্লারেশন অংশে এই মর্মে ঘোষণা করতে হবে যে প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রের প্রদত্ত সব তথ্য সঠিক ও সত্য। প্রদত্ত তথ্য অসত্য বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে অথবা কোনো অযোগ্যতা ধরা পড়লে কিংবা কোনো প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করলে কিংবা পরীক্ষায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে, পরীক্ষার পূর্বে বা পরে অথবা নিয়োগের পরে যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

আবেদনের অযোগ্যতা: বাংলাদেশের নাগরিক না হন, বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন অথবা বাংলাদেশের ডমিসাইল না হন; এরূপ কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন; ফৌজদারি আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে দণ্ডিত হন; তবে তিনি আবেদন করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে: অনলাইন আবেদনপত্রের হার্ড কপি, সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করতে হবে। এসব কাগজপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সব সনদের সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ—উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের নিয়মাবলি ও শর্তাবলি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের মেনুতে ‘অনলাইন নিয়োগ’ অপশনে অথবা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ ডিসেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, (পিপিএস প্ল্যান্ট)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা (মেকানিক্যাল/ইলেক্ট্রিক্যাল)।

অভিজ্ঞতা: ১-৩ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: ২১-২৮ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা (ধামরাই)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত