মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে