আদিয়াত উল্লাহ

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আদিয়াত উল্লাহ

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে