ইজাজুল হক

ইরানি ক্যারাভানসরাইয়ের শিকড় ইসলামপূর্ব পারস্য সাম্রাজ্যে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ সালে সাইরাস দ্য গ্রেট প্রথম ইরানে ক্যারাভানসরাই গড়ে তোলেন। তবে ১৬-১৭ শতকে সাফাভি শাসকদের বিশেষ মনোযোগের ফলে ইরানি ক্যারাভানসরাই বিশ্বমানে উন্নীত হয়। বিশেষ করে সাফাভি শাসক কেরমান শাহ আজারবাইজান থেকে ইস্পাহান পর্যন্ত অসংখ্য ক্যারাভানসরাই নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সেলজুক যুগেও কিছু ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। এসব স্থাপনায় ইরানের প্রাচীন সিল্ক রোড হয়ে চলাচল করা বাণিজ্য কাফেলাগুলোর বিশ্রাম, খাদ্য, পানীয় ও তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।
ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলো ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য বিস্ময়ের নাম। ইরানের অনুর্বর মরুময় পরিবেশের কারণেই বাণিজ্য সড়কগুলোতে মূলত এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। কারণ পারস্য জাতি নিজের ভাষা-সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য অন্য জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল। ফলে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ক্যারাভানসরাই বড় ভূমিকা রেখেছিল। ইরানের উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবির মতে, দেশটিতে বর্তমানে সহস্রাধিক ক্যারাভানসরাই রয়েছে। রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ক্যারাভানসরাই পাওয়া যায়।
মুসলিম আমলে নির্মিত ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে যুক্ত হয়েছে ইসলামি স্থাপত্যের সব উপাদান। সুপরিসর উঠোন, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ, স্টোররুম, সীমানাপ্রাচীর, মসজিদ, হাম্মাম, উট-ঘোড়ার আস্তাবল—ভ্রমণকারীর সুযোগ-সুবিধার সব বিষয়ই তাতে রয়েছে। স্থাপত্যে রয়েছে পারসিক ইসলামি স্থাপত্যের ছাপ। রংবেরঙের কারুকাজ, দামি পাথর ও চমৎকার নকশায় এসব ক্যারাভানসরাই তৈরি হয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বার্ষিক সভায় ইরানের ৫৪টি ক্যারাভানসরাইকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইরানে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা। ক্যারাভানসরাই যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাটি ২৭-এ পৌঁছেছে। ইউনেসকোর মতে, ইরানের এসব ক্যারাভানসরাই হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে হজযাত্রী, বাণিজ্য কাফেলা ও ভ্রমণকারীদের আশ্রয়, খাবার ও পানীয়ের জোগান দিয়ে আসছে।
সোসাইটি অব ইরানিয়ান আর্কিওলজির প্রধান এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল ইসমাইলি বলেছেন, ‘ইরানি ক্যারাভানসরাইগুলোর বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্তি ইরান সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি ক্যারাভানসরাইগুলোর ইতিহাস ও পরিচয় সংরক্ষণের পাশাপাশি সংস্কার-পুনর্নির্মাণেও উৎসাহ জোগাবে।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব ক্যারাভানসরাই দেশটির ২৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই স্বীকৃতি দেশটির পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন দেশটির উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবি। পর্যটন ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আহমেদ দিনারি বলেছেন, ‘এটি একটি মূল্যবান পদক্ষেপ; এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ক্যারাভানসরাইগুলোর পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।’
এই স্বীকৃতিতে আশাবাদী ইরানের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কাশান শহরের ট্যুর এজেন্ট কাভেহ মির্জা বলেছেন, ‘ইরানোফোবিয়া আমাদের পর্যটন খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা পর্যটকদের ইরানে আসতে বাধার মুখে পড়তে হয়। আমি মনে করি, ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি ইরান সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করবে।’
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

ইরানি ক্যারাভানসরাইয়ের শিকড় ইসলামপূর্ব পারস্য সাম্রাজ্যে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ সালে সাইরাস দ্য গ্রেট প্রথম ইরানে ক্যারাভানসরাই গড়ে তোলেন। তবে ১৬-১৭ শতকে সাফাভি শাসকদের বিশেষ মনোযোগের ফলে ইরানি ক্যারাভানসরাই বিশ্বমানে উন্নীত হয়। বিশেষ করে সাফাভি শাসক কেরমান শাহ আজারবাইজান থেকে ইস্পাহান পর্যন্ত অসংখ্য ক্যারাভানসরাই নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সেলজুক যুগেও কিছু ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। এসব স্থাপনায় ইরানের প্রাচীন সিল্ক রোড হয়ে চলাচল করা বাণিজ্য কাফেলাগুলোর বিশ্রাম, খাদ্য, পানীয় ও তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।
ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলো ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য বিস্ময়ের নাম। ইরানের অনুর্বর মরুময় পরিবেশের কারণেই বাণিজ্য সড়কগুলোতে মূলত এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। কারণ পারস্য জাতি নিজের ভাষা-সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য অন্য জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল। ফলে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ক্যারাভানসরাই বড় ভূমিকা রেখেছিল। ইরানের উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবির মতে, দেশটিতে বর্তমানে সহস্রাধিক ক্যারাভানসরাই রয়েছে। রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ক্যারাভানসরাই পাওয়া যায়।
মুসলিম আমলে নির্মিত ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে যুক্ত হয়েছে ইসলামি স্থাপত্যের সব উপাদান। সুপরিসর উঠোন, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ, স্টোররুম, সীমানাপ্রাচীর, মসজিদ, হাম্মাম, উট-ঘোড়ার আস্তাবল—ভ্রমণকারীর সুযোগ-সুবিধার সব বিষয়ই তাতে রয়েছে। স্থাপত্যে রয়েছে পারসিক ইসলামি স্থাপত্যের ছাপ। রংবেরঙের কারুকাজ, দামি পাথর ও চমৎকার নকশায় এসব ক্যারাভানসরাই তৈরি হয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বার্ষিক সভায় ইরানের ৫৪টি ক্যারাভানসরাইকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইরানে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা। ক্যারাভানসরাই যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাটি ২৭-এ পৌঁছেছে। ইউনেসকোর মতে, ইরানের এসব ক্যারাভানসরাই হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে হজযাত্রী, বাণিজ্য কাফেলা ও ভ্রমণকারীদের আশ্রয়, খাবার ও পানীয়ের জোগান দিয়ে আসছে।
সোসাইটি অব ইরানিয়ান আর্কিওলজির প্রধান এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল ইসমাইলি বলেছেন, ‘ইরানি ক্যারাভানসরাইগুলোর বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্তি ইরান সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি ক্যারাভানসরাইগুলোর ইতিহাস ও পরিচয় সংরক্ষণের পাশাপাশি সংস্কার-পুনর্নির্মাণেও উৎসাহ জোগাবে।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব ক্যারাভানসরাই দেশটির ২৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই স্বীকৃতি দেশটির পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন দেশটির উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবি। পর্যটন ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আহমেদ দিনারি বলেছেন, ‘এটি একটি মূল্যবান পদক্ষেপ; এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ক্যারাভানসরাইগুলোর পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।’
এই স্বীকৃতিতে আশাবাদী ইরানের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কাশান শহরের ট্যুর এজেন্ট কাভেহ মির্জা বলেছেন, ‘ইরানোফোবিয়া আমাদের পর্যটন খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা পর্যটকদের ইরানে আসতে বাধার মুখে পড়তে হয়। আমি মনে করি, ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি ইরান সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করবে।’
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও...
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ক্যারাভানসরাই স্থাপত্যে সমৃদ্ধতম দেশ ইরান। ইসলাম ধর্মের আগে থেকেই সেকালের পারস্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সড়কগুলোতে ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। তবে মুসলিম আমলে নির্মিত ক্যারাভানসরাইগুলোর সৌন্দর্য, অবকাঠামো, স্থাপত্যশৈলী ও সুযোগ-সুবিধা অন্য সব যুগকে ছাড়িয়ে যায়।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও...
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ক্যারাভানসরাই স্থাপত্যে সমৃদ্ধতম দেশ ইরান। ইসলাম ধর্মের আগে থেকেই সেকালের পারস্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সড়কগুলোতে ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। তবে মুসলিম আমলে নির্মিত ক্যারাভানসরাইগুলোর সৌন্দর্য, অবকাঠামো, স্থাপত্যশৈলী ও সুযোগ-সুবিধা অন্য সব যুগকে ছাড়িয়ে যায়।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও...
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

ক্যারাভানসরাই স্থাপত্যে সমৃদ্ধতম দেশ ইরান। ইসলাম ধর্মের আগে থেকেই সেকালের পারস্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সড়কগুলোতে ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। তবে মুসলিম আমলে নির্মিত ক্যারাভানসরাইগুলোর সৌন্দর্য, অবকাঠামো, স্থাপত্যশৈলী ও সুযোগ-সুবিধা অন্য সব যুগকে ছাড়িয়ে যায়।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও...
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে; অর্থাৎ তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দিতে চান না; তিনি শুধু তোমাদের পবিত্র করতে এবং তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।’ (সুরা মায়িদা: ৬)
পবিত্র কোরআনের এই আয়াত এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোর আলোকে ফকিহরা শীতকালে তায়াম্মুমের বিধান সম্পর্কে যে সমাধান দিয়েছেন, তার সারমর্ম নিচে তুলে ধরা হলো:
তায়াম্মুম কখন বৈধ?
যদি প্রচণ্ড ঠান্ডায় পানি ব্যবহার করলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, তবে তায়াম্মুম করা যাবে। অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার বা সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগার অকাট্য প্রমাণ বা প্রবল ধারণা থাকলে তায়াম্মুম বৈধ।
তায়াম্মুম কখন বৈধ নয়?
ক্ষতি হওয়ার নিশ্চিত বা প্রবল আশঙ্কা না থেকে কেবল সাধারণ ঠান্ডার ভয় বা অলসতাবশত তায়াম্মুম করা জায়েজ নয়। (আল বাহরুর রায়েক: ১/১৪৮, ফাতাওয়া কাজিখান: ১/৫৮)
প্রতিকূলতায় অজুর সওয়াব
আমাদের দেশে সাধারণত যে মাত্রার শীত পড়ে, তাতে পানি ব্যবহার করলে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুব একটা থাকে না। সামান্য কষ্ট হলেও তা সহ্য করে অজু করা ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। এই কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা দ্বিগুণ সওয়াব দান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে ব্যক্তি পূর্ণরূপে অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ)
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিকূল পরিবেশে পূর্ণরূপে অজু করাকে পাপ মোচন এবং মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (জামে তিরমিজি)

ইসলামি শরিয়তে পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে; অর্থাৎ তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দিতে চান না; তিনি শুধু তোমাদের পবিত্র করতে এবং তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।’ (সুরা মায়িদা: ৬)
পবিত্র কোরআনের এই আয়াত এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোর আলোকে ফকিহরা শীতকালে তায়াম্মুমের বিধান সম্পর্কে যে সমাধান দিয়েছেন, তার সারমর্ম নিচে তুলে ধরা হলো:
তায়াম্মুম কখন বৈধ?
যদি প্রচণ্ড ঠান্ডায় পানি ব্যবহার করলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, তবে তায়াম্মুম করা যাবে। অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার বা সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগার অকাট্য প্রমাণ বা প্রবল ধারণা থাকলে তায়াম্মুম বৈধ।
তায়াম্মুম কখন বৈধ নয়?
ক্ষতি হওয়ার নিশ্চিত বা প্রবল আশঙ্কা না থেকে কেবল সাধারণ ঠান্ডার ভয় বা অলসতাবশত তায়াম্মুম করা জায়েজ নয়। (আল বাহরুর রায়েক: ১/১৪৮, ফাতাওয়া কাজিখান: ১/৫৮)
প্রতিকূলতায় অজুর সওয়াব
আমাদের দেশে সাধারণত যে মাত্রার শীত পড়ে, তাতে পানি ব্যবহার করলে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুব একটা থাকে না। সামান্য কষ্ট হলেও তা সহ্য করে অজু করা ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। এই কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা দ্বিগুণ সওয়াব দান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে ব্যক্তি পূর্ণরূপে অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ)
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিকূল পরিবেশে পূর্ণরূপে অজু করাকে পাপ মোচন এবং মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (জামে তিরমিজি)

ক্যারাভানসরাই স্থাপত্যে সমৃদ্ধতম দেশ ইরান। ইসলাম ধর্মের আগে থেকেই সেকালের পারস্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সড়কগুলোতে ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। তবে মুসলিম আমলে নির্মিত ক্যারাভানসরাইগুলোর সৌন্দর্য, অবকাঠামো, স্থাপত্যশৈলী ও সুযোগ-সুবিধা অন্য সব যুগকে ছাড়িয়ে যায়।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে