ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে শবে বরাত বোঝাতে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবানের মধ্য রজনী’ শব্দগুলো এসেছে। এ শব্দ দিয়ে রাতটির নামকরণ করলে হাদিসের সবচেয়ে সুন্দর অনুসরণ হয়। তাই এই রাতের নাম ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বললে সুন্নত পালন হবে। তবে শাবানের মধ্যরজনী, শবে বরাত ও লাইলাতুল বারাআতও বলতে পারেন। বলাটা জায়েজ, তবে সুন্নত হবে না।
দুই. আরবি বারাআত শব্দের অর্থ মুক্তি, ছিন্ন করা, দায়মুক্তি ইত্যাদি। বারাআত শব্দটি ফারসি ভাষার ভেতর দিয়ে যাত্রা করে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করায় চ্যুতি-বিচ্যুতির মাধ্যমে ‘বরাত’-এ পরিণত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে অর্থগত পরিবর্তনও ঘটেছে। বাংলা ভাষায় বরাত শব্দটি এখন অনেকটাই সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা বা আপনজাত; যার অর্থ ভাগ্য। শবে বরাত মানে ভাগ্যরজনী। পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর সঙ্গে এখানে একটা ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। রাতটা মূলত ক্ষমার। এখানে রিজিক বা আগামী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ সম্পর্কিত কোনো কথা কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে নেই।
তিন. এ রাত সম্পর্কে সুনানে ইবনে মাজাহর একটি পরিচ্ছেদে কয়েকটি হাদিস রয়েছে। হাদিসবিদগণ সেগুলোর পর্যালোচনা করে একটি হাদিস সহিহ্ বলে সাব্যস্ত করেছেন। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি হাদিসকে তাঁরা দুর্বল বলেছেন। এ রাতের আমল সম্পর্কিত হাদিসগুলোকে বানোয়াট বলেছেন।
তবে যে সহিহ্ হাদিসটি পাওয়া যায়, তা থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাআলা এ রাতে সব মানুষের দিকে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। তবে ব্যক্তিকে অবশ্যই শিরক ও হিংসামুক্ত হতে হবে। হাদিসের উদ্ধৃতি অনুযায়ী কোনো কোনো আলেম এ রাতকে উপরিপাওয়া হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। অর্থাৎ ব্যক্তি সারা বছর ইবাদত করলে এবং শিরক-হিংসা মুক্ত হলে এ রাতে ঘুমিয়ে থাকলেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
চার. এ রাতের আমল সম্পর্কে বর্ণিত অধিকাংশ হাদিসই বানোয়াট। ফিকহের কিতাবে এ রাতের বিশেষ সালাত সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম নববি (রহ.)–সহ অনেকেই এ রাতে বিশেষ নামাজ আদায় এবং এ উদ্দেশ্যে মসজিদে মুসলমানদের একত্রিত হওয়াকে বেদাত আখ্যা দিয়েছেন। তবে এ রাতে কবর জিয়ারত ও দোয়া পড়ার বিষয়টি প্রমাণিত আমল। ফলে অন্যান্য রাতের মতো এ রাতে তাহাজ্জুদ ও কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।
পাঁচ. এ রাতে মসজিদে কোরআন-হাদিসের আলোচনা করা নিষিদ্ধ নয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকাতের বিশেষ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে একত্রিত হওয়াকে বেদাত বলেছেন আলেমগণ। এ মত দেওয়ার সময় নিশ্চয়ই তাঁরা নিজেদের সময়, সমাজ ও পরিস্থিতি বিচারে এনেছিলেন। বর্তমানে মসজিদবিমুখ মুসলিম উম্মাহকে কোরআন ও হাদিসের আলোচনায় আরও বেশি করে যুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে এ রাতে মসজিদগুলোতে কোরআন-হাদিসের আলোচনার অনুষ্ঠান করা বেদাত হবে না; বরং এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুপস্থিতিই এ রাতে আতশবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে যুবসমাজের বেসামাল শবে বরাত উদ্যাপনকে আরও বেশি উসকে দেবে।
ছয়. এ রাত উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় আলিমগণ ইসলামের বিভিন্ন বিষয় মানুষকে বোঝাবেন। এ রাত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এড়িয়ে চলবেন। এরই মধ্যে যেসব বাড়াবাড়ি সমাজে প্রতিষ্ঠিত, সে সম্পর্কে মানুষের ভুল দূর করবেন।
এ রাতকে পবিত্র কোরআন নাজিলের রাত তথা ‘লাইলাতুন মুবারাকাহ’ বলে উপস্থাপন করা প্রতারণা ও আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করার শামিল। মানুষ বিভিন্নভাবে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। ফলে অসত্য তথ্য হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আর এটা সীমালঙ্ঘনও।
সাত. এ রাত উপলক্ষে পরিবারের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশনের সঙ্গে ভাগ্য পরিবর্তনগত কোনো বিশ্বাস জড়িত থাকলে তা জায়েজ হবে না। তবে সাধারণভাবে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দেওয়া এবং দান-সদকা ইত্যাদি ভালো কাজ করা জায়েজ।
আট. এ রাতে ফটকা, আতশবাজি ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকার কোনো যুক্তি নেই। এসব সীমালঙ্ঘন। ফলে তা কোনোভাবে জায়েজ নেই।
নয়. এ রাতের আগে পরের দিনগুলো আইয়ামে বিজ তথা মাসের মধ্যভাগের দিন। এই দিনগুলোতে রোজা রাখা সুন্নত। এ আমল বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা সব ধরনের সীমালঙ্ঘন থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে শবে বরাত বোঝাতে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবানের মধ্য রজনী’ শব্দগুলো এসেছে। এ শব্দ দিয়ে রাতটির নামকরণ করলে হাদিসের সবচেয়ে সুন্দর অনুসরণ হয়। তাই এই রাতের নাম ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বললে সুন্নত পালন হবে। তবে শাবানের মধ্যরজনী, শবে বরাত ও লাইলাতুল বারাআতও বলতে পারেন। বলাটা জায়েজ, তবে সুন্নত হবে না।
দুই. আরবি বারাআত শব্দের অর্থ মুক্তি, ছিন্ন করা, দায়মুক্তি ইত্যাদি। বারাআত শব্দটি ফারসি ভাষার ভেতর দিয়ে যাত্রা করে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করায় চ্যুতি-বিচ্যুতির মাধ্যমে ‘বরাত’-এ পরিণত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে অর্থগত পরিবর্তনও ঘটেছে। বাংলা ভাষায় বরাত শব্দটি এখন অনেকটাই সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা বা আপনজাত; যার অর্থ ভাগ্য। শবে বরাত মানে ভাগ্যরজনী। পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর সঙ্গে এখানে একটা ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। রাতটা মূলত ক্ষমার। এখানে রিজিক বা আগামী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ সম্পর্কিত কোনো কথা কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে নেই।
তিন. এ রাত সম্পর্কে সুনানে ইবনে মাজাহর একটি পরিচ্ছেদে কয়েকটি হাদিস রয়েছে। হাদিসবিদগণ সেগুলোর পর্যালোচনা করে একটি হাদিস সহিহ্ বলে সাব্যস্ত করেছেন। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি হাদিসকে তাঁরা দুর্বল বলেছেন। এ রাতের আমল সম্পর্কিত হাদিসগুলোকে বানোয়াট বলেছেন।
তবে যে সহিহ্ হাদিসটি পাওয়া যায়, তা থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাআলা এ রাতে সব মানুষের দিকে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। তবে ব্যক্তিকে অবশ্যই শিরক ও হিংসামুক্ত হতে হবে। হাদিসের উদ্ধৃতি অনুযায়ী কোনো কোনো আলেম এ রাতকে উপরিপাওয়া হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। অর্থাৎ ব্যক্তি সারা বছর ইবাদত করলে এবং শিরক-হিংসা মুক্ত হলে এ রাতে ঘুমিয়ে থাকলেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
চার. এ রাতের আমল সম্পর্কে বর্ণিত অধিকাংশ হাদিসই বানোয়াট। ফিকহের কিতাবে এ রাতের বিশেষ সালাত সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম নববি (রহ.)–সহ অনেকেই এ রাতে বিশেষ নামাজ আদায় এবং এ উদ্দেশ্যে মসজিদে মুসলমানদের একত্রিত হওয়াকে বেদাত আখ্যা দিয়েছেন। তবে এ রাতে কবর জিয়ারত ও দোয়া পড়ার বিষয়টি প্রমাণিত আমল। ফলে অন্যান্য রাতের মতো এ রাতে তাহাজ্জুদ ও কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।
পাঁচ. এ রাতে মসজিদে কোরআন-হাদিসের আলোচনা করা নিষিদ্ধ নয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকাতের বিশেষ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে একত্রিত হওয়াকে বেদাত বলেছেন আলেমগণ। এ মত দেওয়ার সময় নিশ্চয়ই তাঁরা নিজেদের সময়, সমাজ ও পরিস্থিতি বিচারে এনেছিলেন। বর্তমানে মসজিদবিমুখ মুসলিম উম্মাহকে কোরআন ও হাদিসের আলোচনায় আরও বেশি করে যুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে এ রাতে মসজিদগুলোতে কোরআন-হাদিসের আলোচনার অনুষ্ঠান করা বেদাত হবে না; বরং এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুপস্থিতিই এ রাতে আতশবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে যুবসমাজের বেসামাল শবে বরাত উদ্যাপনকে আরও বেশি উসকে দেবে।
ছয়. এ রাত উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় আলিমগণ ইসলামের বিভিন্ন বিষয় মানুষকে বোঝাবেন। এ রাত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এড়িয়ে চলবেন। এরই মধ্যে যেসব বাড়াবাড়ি সমাজে প্রতিষ্ঠিত, সে সম্পর্কে মানুষের ভুল দূর করবেন।
এ রাতকে পবিত্র কোরআন নাজিলের রাত তথা ‘লাইলাতুন মুবারাকাহ’ বলে উপস্থাপন করা প্রতারণা ও আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করার শামিল। মানুষ বিভিন্নভাবে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। ফলে অসত্য তথ্য হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আর এটা সীমালঙ্ঘনও।
সাত. এ রাত উপলক্ষে পরিবারের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশনের সঙ্গে ভাগ্য পরিবর্তনগত কোনো বিশ্বাস জড়িত থাকলে তা জায়েজ হবে না। তবে সাধারণভাবে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দেওয়া এবং দান-সদকা ইত্যাদি ভালো কাজ করা জায়েজ।
আট. এ রাতে ফটকা, আতশবাজি ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকার কোনো যুক্তি নেই। এসব সীমালঙ্ঘন। ফলে তা কোনোভাবে জায়েজ নেই।
নয়. এ রাতের আগে পরের দিনগুলো আইয়ামে বিজ তথা মাসের মধ্যভাগের দিন। এই দিনগুলোতে রোজা রাখা সুন্নত। এ আমল বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা সব ধরনের সীমালঙ্ঘন থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
০৭ মার্চ ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
০৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
০৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। তবে শবে বরাতের আমল নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি আছে। এ মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো।
০৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে