মুফতি আবু দারদা

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)
মুফতি আবু দারদা

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৯ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে