মুফতি আবু দারদা

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
বিশ্বজগতে যত দয়া রয়েছে, তার কেবল শতকরা এক ভাগই সৃষ্টিজগৎকে দান করা হয়েছে, বাকি ৯৯ ভাগই মহান আল্লাহ নিজের রহমতের ভান্ডারে সংরক্ষণ করেছেন। তাই বান্দা যত বড় গুনাহগারই হোক না কেন, আল্লাহর দরবারে একটু বিনীত হলেই তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বারবার তাঁর বান্দাদের সুপথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাঁর অনন্ত রহমতের চাদরে ঢেকে নেওয়ার ওয়াদা করেছেন। পরম মমতায় বলেছেন, ‘হে আমার ওই সব বান্দা, যারা কুফর-শিরক করে নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তিনিই একমাত্র ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫)
রমজানে রহমতের ধারা
রমজান বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে আল্লাহর রহমতের ঝরনাধারা বয়ে যায়। গুনাহের জীবন ছেড়ে আনুগত্যের পবিত্র জীবন শুরু করতে চাইলে রমজানের এই রহমতের ধারায় অবগাহন করার বিকল্প নেই। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান হাজির হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের জন্য এই মাসে রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। এই মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকলবন্দী করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (নাসায়ি: ২১০৬)
তওবা ও ক্ষমার অফুরান সুযোগ নিয়ে আসে রমজান। দিনের সিয়াম সাধনা এবং রাত জেগে নামাজ আদায় এই মাসের প্রধান ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত আদায় করে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৩৮)
রোজাদার আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় বান্দা। তাঁর যেকোনো দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি: ৬৩৯২)
তাকওয়া অর্জনের মৌসুম
রোজা তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আল্লাহর ভয়চর্চা করার জন্যই এ মাসটি দিয়েছেন তিনি। রোজাদার ব্যক্তি দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেসব ধরনের পানাহার ও যৌনাকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত থাকে, তা কেন? একমাত্র আল্লাহর ভয় ও তাঁর আদেশ পালনার্থেই। পরকালে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের মানসেই রোজাদার এক মাসের সংযমচর্চায় ব্রতী হয়। এটিই রোজাদারের জীবনে রমজানের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’
(সুরা বাকারা: ১৮৪)
পরকালীন মুক্তির সোপান
রোজা কিয়ামতের দিন রোজাদারের পক্ষে সুপারিশ করবে। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার রব, আমি তাকে দিনে খানাপিনা ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত রেখেছি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমাতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬)
এভাবেই রোজার কারণে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি দেবেন মহান আল্লাহ তাআলা। তাই রোজাকে বলা হয় মুমিনের পরকালীন মুক্তির সোপান। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক দিনও রোজা পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেন।’ (বুখারি: ২৮৪০)
যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত আদায় করে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়। (বুখারি: ৩৮)
রোজাদারের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি
রোজাদারদের প্রতি আল্লাহ এতই সন্তুষ্ট হন যে, কিয়ামতের দিন তিনি তাদের বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদারগণই শুধু ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তারা ছাড়া অন্য কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদারেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।...’ (বুখারি: ১৭৯৭)
শুধু কি তা-ই, রোজাদারকে আল্লাহ তাআলা নিজেই পুরস্কৃত করবে। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলার ভাষ্যে এসেছে, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। এটা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’ (বুখারি: ৫৯২৭) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানবসন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা শুধু আমার জন্যই, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ১৫৫১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
বিশ্বজগতে যত দয়া রয়েছে, তার কেবল শতকরা এক ভাগই সৃষ্টিজগৎকে দান করা হয়েছে, বাকি ৯৯ ভাগই মহান আল্লাহ নিজের রহমতের ভান্ডারে সংরক্ষণ করেছেন। তাই বান্দা যত বড় গুনাহগারই হোক না কেন, আল্লাহর দরবারে একটু বিনীত হলেই তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বারবার তাঁর বান্দাদের সুপথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাঁর অনন্ত রহমতের চাদরে ঢেকে নেওয়ার ওয়াদা করেছেন। পরম মমতায় বলেছেন, ‘হে আমার ওই সব বান্দা, যারা কুফর-শিরক করে নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তিনিই একমাত্র ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫)
রমজানে রহমতের ধারা
রমজান বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে আল্লাহর রহমতের ঝরনাধারা বয়ে যায়। গুনাহের জীবন ছেড়ে আনুগত্যের পবিত্র জীবন শুরু করতে চাইলে রমজানের এই রহমতের ধারায় অবগাহন করার বিকল্প নেই। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান হাজির হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের জন্য এই মাসে রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। এই মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকলবন্দী করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (নাসায়ি: ২১০৬)
তওবা ও ক্ষমার অফুরান সুযোগ নিয়ে আসে রমজান। দিনের সিয়াম সাধনা এবং রাত জেগে নামাজ আদায় এই মাসের প্রধান ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত আদায় করে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৩৮)
রোজাদার আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় বান্দা। তাঁর যেকোনো দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি: ৬৩৯২)
তাকওয়া অর্জনের মৌসুম
রোজা তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আল্লাহর ভয়চর্চা করার জন্যই এ মাসটি দিয়েছেন তিনি। রোজাদার ব্যক্তি দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেসব ধরনের পানাহার ও যৌনাকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত থাকে, তা কেন? একমাত্র আল্লাহর ভয় ও তাঁর আদেশ পালনার্থেই। পরকালে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের মানসেই রোজাদার এক মাসের সংযমচর্চায় ব্রতী হয়। এটিই রোজাদারের জীবনে রমজানের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’
(সুরা বাকারা: ১৮৪)
পরকালীন মুক্তির সোপান
রোজা কিয়ামতের দিন রোজাদারের পক্ষে সুপারিশ করবে। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার রব, আমি তাকে দিনে খানাপিনা ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত রেখেছি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমাতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬)
এভাবেই রোজার কারণে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি দেবেন মহান আল্লাহ তাআলা। তাই রোজাকে বলা হয় মুমিনের পরকালীন মুক্তির সোপান। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক দিনও রোজা পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেন।’ (বুখারি: ২৮৪০)
যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত আদায় করে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়। (বুখারি: ৩৮)
রোজাদারের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি
রোজাদারদের প্রতি আল্লাহ এতই সন্তুষ্ট হন যে, কিয়ামতের দিন তিনি তাদের বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদারগণই শুধু ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তারা ছাড়া অন্য কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদারেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।...’ (বুখারি: ১৭৯৭)
শুধু কি তা-ই, রোজাদারকে আল্লাহ তাআলা নিজেই পুরস্কৃত করবে। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলার ভাষ্যে এসেছে, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। এটা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’ (বুখারি: ৫৯২৭) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানবসন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা শুধু আমার জন্যই, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ১৫৫১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
০৮ মার্চ ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
০৮ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
০৮ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে রহমান ও রহিম তথা পরম দয়ালু ও অনন্ত মেহেরবান। সৃষ্টির প্রতি তাঁর দয়াই সবচেয়ে বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন সবকিছু সৃষ্টি করে ফেললেন, তখন আরশের ওপর একটি বাক্য লিখে রাখলেন—শাস্তির ওপর আমার রহমত ও দয়া প্রাধান্য লাভ করেছে।’ (বুখারি)
০৮ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে