আমজাদ ইউনুস

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’
আমজাদ ইউনুস

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’

শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২০ ঘণ্টা আগে
বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও।
১ দিন আগেকাউসার লাবীব

শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে। শিক্ষা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে এবং সুন্দরভাবে জীবন গড়ার পথ দেখায়। শিক্ষা আলোকিত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষাকে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামের প্রথম ওহি ছিল—ইকরা। অর্থাৎ পড়ো।
মানবজাতির প্রথম শিক্ষক আল্লাহ তাআলা নিজেই। আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর তিনি তাঁকে বিভিন্ন কিছু শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সেই বর্ণনা এসেছে এভাবে, ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা জ্ঞানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা জুমার: ৯)
আমাদের নবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁকেও আল্লাহ তাআলা শুদ্ধ জ্ঞান বিস্তারের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৪)।
তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করা মানুষকে ইসলাম শিক্ষিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসলাম বলে, যে ব্যক্তি শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করে, শিক্ষানুযায়ী নিজের জীবন সাজায়, সে প্রকৃত শিক্ষিত। যে শিক্ষা অপরাধ থেকে বিরত রাখে না, জীবনে উপকার বয়ে আনে না, সেই শিক্ষা থেকে নবী (সা.) আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, যা কোনো উপকারে আসে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫০)। তিনি আরও দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি যে জ্ঞান আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো। আমাকে এমন জ্ঞান দান করো, যা আমার উপকারে আসে। আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দাও। সব সময় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫১)

শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে। শিক্ষা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে এবং সুন্দরভাবে জীবন গড়ার পথ দেখায়। শিক্ষা আলোকিত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষাকে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামের প্রথম ওহি ছিল—ইকরা। অর্থাৎ পড়ো।
মানবজাতির প্রথম শিক্ষক আল্লাহ তাআলা নিজেই। আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর তিনি তাঁকে বিভিন্ন কিছু শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সেই বর্ণনা এসেছে এভাবে, ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা জ্ঞানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা জুমার: ৯)
আমাদের নবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁকেও আল্লাহ তাআলা শুদ্ধ জ্ঞান বিস্তারের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৪)।
তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করা মানুষকে ইসলাম শিক্ষিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসলাম বলে, যে ব্যক্তি শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করে, শিক্ষানুযায়ী নিজের জীবন সাজায়, সে প্রকৃত শিক্ষিত। যে শিক্ষা অপরাধ থেকে বিরত রাখে না, জীবনে উপকার বয়ে আনে না, সেই শিক্ষা থেকে নবী (সা.) আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, যা কোনো উপকারে আসে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫০)। তিনি আরও দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি যে জ্ঞান আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো। আমাকে এমন জ্ঞান দান করো, যা আমার উপকারে আসে। আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দাও। সব সময় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫১)

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়।
১৭ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২০ ঘণ্টা আগে
বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৮ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫১ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৮ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫১ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়।
১৭ নভেম্বর ২০২৩
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২০ ঘণ্টা আগে
বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও।
১ দিন আগেআবদুল্লাহ নুর

শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, হজরত জুবায়ের ইবনে মুতইম (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৪)
পৌষ ও মাঘ মাসের তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে যায় মানুষ। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় চারদিক। ধনাঢ্য ও বিত্তবানেরা আবৃত হয় শীতের দামি পোশাকে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণির মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। এই শীতে ধনাঢ্য লোকদের উচিত মধ্য ও নিম্নবিত্ত আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া। সামর্থ্য অনুযায়ী পরিধেয় পোশাক উপহার দেওয়া। কেননা, উপহারের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, মহব্বত বাড়বে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪)
অন্য আরও এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অন্য মুসলিমকে পোশাক পরিধান করায়, তখন দানকারী আল্লাহর হেফাজতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত দান গ্রহণকারী সে পোশাকের টুকরাবিশেষও ব্যবহার করতে থাকে। অর্থাৎ কাপড়টি পরিত্যক্ত হওয়া পর্যন্ত দানকারীকে আল্লাহ তাআলা বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করেন।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৮৪)
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতে পরিপূর্ণ থাকে। গাছিরা খেজুরগাছ থেকে রস নামান। ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠাপুলির উৎসব। পিঠাপুলির আনন্দ আত্মীয়স্বজনের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। শীতকালীন পিঠা, খেজুরের রস ও গুড় একে অপরকে হাদিয়া দেওয়া। মধ্য ও নিম্ন শ্রেণির আত্মীয়কে দাওয়াত দেওয়া। কেননা, হাদিয়া দ্বারা পারস্পরিক দূরত্ব কমে যায়। তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আত্মীয়স্বজনকে খাদ্যদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কী? তা হচ্ছে, দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে এতিম আত্মীয়কে অথবা ধূলি-ধূসরিত মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বালাদ: ১০-১৬)
আর হাদিসে অসহায় আত্মীয়স্বজন বা ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো সর্বোত্তম কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করেন—‘ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ?’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো।’ (সহিহ্ বুখারি: ১২, সহিহ্ মুসলিম: ৩৯)
লেখক: ইমাম ও খতিব, ভবানীপুর জামে মসজিদ, ২ নম্বর ওয়ার্ড, গাজীপুর সিটি।

শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, হজরত জুবায়ের ইবনে মুতইম (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৪)
পৌষ ও মাঘ মাসের তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে যায় মানুষ। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় চারদিক। ধনাঢ্য ও বিত্তবানেরা আবৃত হয় শীতের দামি পোশাকে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণির মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। এই শীতে ধনাঢ্য লোকদের উচিত মধ্য ও নিম্নবিত্ত আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া। সামর্থ্য অনুযায়ী পরিধেয় পোশাক উপহার দেওয়া। কেননা, উপহারের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, মহব্বত বাড়বে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪)
অন্য আরও এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অন্য মুসলিমকে পোশাক পরিধান করায়, তখন দানকারী আল্লাহর হেফাজতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত দান গ্রহণকারী সে পোশাকের টুকরাবিশেষও ব্যবহার করতে থাকে। অর্থাৎ কাপড়টি পরিত্যক্ত হওয়া পর্যন্ত দানকারীকে আল্লাহ তাআলা বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করেন।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৮৪)
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতে পরিপূর্ণ থাকে। গাছিরা খেজুরগাছ থেকে রস নামান। ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠাপুলির উৎসব। পিঠাপুলির আনন্দ আত্মীয়স্বজনের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। শীতকালীন পিঠা, খেজুরের রস ও গুড় একে অপরকে হাদিয়া দেওয়া। মধ্য ও নিম্ন শ্রেণির আত্মীয়কে দাওয়াত দেওয়া। কেননা, হাদিয়া দ্বারা পারস্পরিক দূরত্ব কমে যায়। তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আত্মীয়স্বজনকে খাদ্যদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কী? তা হচ্ছে, দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে এতিম আত্মীয়কে অথবা ধূলি-ধূসরিত মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বালাদ: ১০-১৬)
আর হাদিসে অসহায় আত্মীয়স্বজন বা ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো সর্বোত্তম কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করেন—‘ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ?’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো।’ (সহিহ্ বুখারি: ১২, সহিহ্ মুসলিম: ৩৯)
লেখক: ইমাম ও খতিব, ভবানীপুর জামে মসজিদ, ২ নম্বর ওয়ার্ড, গাজীপুর সিটি।

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়।
১৭ নভেম্বর ২০২৩
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিবাহ আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
কিন্তু আধুনিক সমাজে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক জটিলতার কারণে অনেকেই সময়মতো বিবাহে বাধা পাচ্ছেন। এতে করে সমাজে বেড়ে চলেছে অনৈতিকতা, চারিত্রিক অবক্ষয় এবং পারিবারিক শৃঙ্খলার ভাঙন। সমাজে বাড়ছে যৌন অপরাধ। ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সন্তানদের পাপাচার থেকে বাঁচাতে এবং অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিবাহের গুরুত্ব অপরিসীম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)। বিবাহ বরকতময় ইবাদত। বিবাহের পরের সময়ের রিজিকের ভয়ে তা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এই আয়াত সে কথাই প্রমাণ করে।
অবশ্য, যাদের বিবাহ করার সামর্থ্যই নেই এবং অসচ্ছল দিনাতিপাত করছে, তাদের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যতক্ষণ না তাদের সামর্থ্য দান করেন, ততক্ষণ তারা সংযম অবলম্বন করবে এবং নিজ চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।’ (সুরা নুর: ৩৩)
বিবাহকে সহজ ও সম্মানজনকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ইসলাম যেখানে বিবাকে ইবাদত এবং চারিত্রিক সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে, সেখানে আমাদের দায়িত্ব—বিবাহের প্রকৃত তাৎপর্য ও গুরুত্বকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। তরুণদের পবিত্র সম্পর্কের দিকে উৎসাহিত করতে হলে অভিভাবক, সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা গড়তে পারব একটি সুস্থ, পরিশুদ্ধ ও নৈতিক সমাজ।

বিবাহ মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিবাহ আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
কিন্তু আধুনিক সমাজে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক জটিলতার কারণে অনেকেই সময়মতো বিবাহে বাধা পাচ্ছেন। এতে করে সমাজে বেড়ে চলেছে অনৈতিকতা, চারিত্রিক অবক্ষয় এবং পারিবারিক শৃঙ্খলার ভাঙন। সমাজে বাড়ছে যৌন অপরাধ। ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সন্তানদের পাপাচার থেকে বাঁচাতে এবং অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিবাহের গুরুত্ব অপরিসীম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)। বিবাহ বরকতময় ইবাদত। বিবাহের পরের সময়ের রিজিকের ভয়ে তা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এই আয়াত সে কথাই প্রমাণ করে।
অবশ্য, যাদের বিবাহ করার সামর্থ্যই নেই এবং অসচ্ছল দিনাতিপাত করছে, তাদের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যতক্ষণ না তাদের সামর্থ্য দান করেন, ততক্ষণ তারা সংযম অবলম্বন করবে এবং নিজ চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।’ (সুরা নুর: ৩৩)
বিবাহকে সহজ ও সম্মানজনকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ইসলাম যেখানে বিবাকে ইবাদত এবং চারিত্রিক সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে, সেখানে আমাদের দায়িত্ব—বিবাহের প্রকৃত তাৎপর্য ও গুরুত্বকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। তরুণদের পবিত্র সম্পর্কের দিকে উৎসাহিত করতে হলে অভিভাবক, সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা গড়তে পারব একটি সুস্থ, পরিশুদ্ধ ও নৈতিক সমাজ।

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়।
১৭ নভেম্বর ২০২৩
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল আল্লাহর নেয়ামতের ঋতু। ফলমূল ও শস্যে পরিপূর্ণ হয় শহর-গ্রাম। রসে রসে টইটম্বুর হয় খেজুরগাছে ঝুলে থাকা কলসি। প্রকৃতিতে আসে নতুন সাজ। শীতকাল মানুষের সামাজিক জীবনেও অনেক ভূমিকা রাখে। আত্মীয়তার সম্পর্ক করে দৃঢ়। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২০ ঘণ্টা আগে