মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এরপর প্রতিটি প্রদেশে ওয়ালি (গভর্নর), কাতিব (সচিব), সেনানায়ক, সাহিবুল খারাজ (কালেক্টর), পুলিশ অফিসার, ট্রেজারি অফিসার ও বিচারক নিযুক্ত করেন। পাশাপাশি এসব কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তা নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলাপ করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ
হজরত ওমর (রা.) কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের সময় বিলাসবহুল জীবনযাপনে নিষেধ করতেন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো কাজে জড়িত না হওয়ার শর্তারোপ করতেন। তিনি নিজেও তা মেনে চলতেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিতেন। বলতেন, ‘আমি আপনাদের জনগণের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিয়োগ দিচ্ছি না। আপনাদের শুধু এ জন্যই নিয়োগ দিচ্ছি যে আপনারা তাদের নিয়ে নামাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, তাদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ বিচার-ফয়সালা করবেন এবং রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ যথাযথভাবে বণ্টন করবেন। সুতরাং কাউকে অহেতুক প্রহার করবেন না এবং তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনোরূপ অবহেলা করবেন না।
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব
নিয়োগদানের সময় কর্মকর্তাদের কার কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা জেনে নিতেন হজরত ওমর (রা.)। এরপর তাদের প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতেন। কারও সম্পদে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির মুখোমুখি করতেন। গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে না পারলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
সর্বসাধারণের অভিযোগের সুযোগ
কোনো প্রাদেশিক গভর্নর বা অন্য কোনো কর্মকর্তা যদি সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় করেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে মামলা করার অধিকার ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি কার্যকর করতেন হজরত ওমর (রা.)। একবার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এল, তিনি একজন নাগরিককে অন্যায়ভাবে ১০০ বেত্রাঘাত করেছেন। কর্মকর্তা গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শাতে না পারায় ওই লোককে কর্মকর্তার শরীরে ১০০ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। পরে আমর ইবনুল আস (রা.)-এর পরামর্শে এবং বাদীর সম্মতির ভিত্তিতে বেত্রাঘাতের পরিবর্তে ২০০ দিনার আর্থিক ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়।
রাজস্ব সম্পর্কে যাচাই-বাছাই
জনগণের কাছ থেকে যেসব রাজস্ব উত্তোলন করা হতো, তাতে অন্যায় উপায়ে গৃহীত কোনো সম্পদ আছে কি না, কঠিনভাবে যাচাই করতেন। প্রয়োজনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। বাহরাইন ও হাজর অঞ্চলের গভর্নর আবু হুরায়রা (রা.) অর্ধ মিলিয়ন দিনার রাজস্ব পাঠালে ওমর (রা.) বললেন, ‘ইতিপূর্বে এত বেশি রাজস্ব তো কোনো অঞ্চল থেকে আসেনি। এখানে এতিম ও বিধবাদের সম্পদ কিংবা কোনো মজলুমের বদদোয়া নেই তো?’ আবু হুরায়রা (রা.) আশ্বস্ত করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব থেকে অপসারণ
কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে, পাপাচারে জড়ালে কিংবা অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁকে বরখাস্ত করতে দ্বিধা করতেন না ওমর (রা.)। এমনকি জনগণের অপছন্দের কারণেও অনেককে বরখাস্ত করেছেন। বাহরাইনের কালেক্টর কুদামা ইবনে মাজউনকে মদ্যপানের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বরখাস্ত করেন। মিসরের প্রশাসক আয়াজ ইবনে গানামকে বিলাসবহুল পোশাক পরিধানের অপরাধে বরখাস্ত করেন। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)কে রাজনীতি কম বোঝা এবং কুফা নগরী সম্পর্কে ভৌগোলিক জ্ঞান না থাকার কারণে বরখাস্ত করেন। এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জনগণের দাবির ভিত্তিতে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বিনা অপরাধে বরখাস্ত করেছেন। বসরা থেকে মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং কুফা থেকে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা.)কে এ কারণেই বরখাস্ত করেছিলেন।
তবে হজরত ওমর (রা.) শুধু যে কর্মকর্তাদের চাপে রাখতেন তা নয়, বরং তাঁদের জন্য বিধি অনুসারে যথোপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেন এবং জনসাধারণকে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। জনতার উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলতেন, ‘কিছু মানুষ, অর্থাৎ রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিনরাত রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। সুতরাং তাঁদের শ্রদ্ধা করুন।’
সূত্র: ড. মুওয়াফফাক সালিম নুরি রচিত কিরাআতুন ফি খিলাফতি ওমর, ১১১/১।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এরপর প্রতিটি প্রদেশে ওয়ালি (গভর্নর), কাতিব (সচিব), সেনানায়ক, সাহিবুল খারাজ (কালেক্টর), পুলিশ অফিসার, ট্রেজারি অফিসার ও বিচারক নিযুক্ত করেন। পাশাপাশি এসব কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তা নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলাপ করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ
হজরত ওমর (রা.) কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের সময় বিলাসবহুল জীবনযাপনে নিষেধ করতেন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো কাজে জড়িত না হওয়ার শর্তারোপ করতেন। তিনি নিজেও তা মেনে চলতেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিতেন। বলতেন, ‘আমি আপনাদের জনগণের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিয়োগ দিচ্ছি না। আপনাদের শুধু এ জন্যই নিয়োগ দিচ্ছি যে আপনারা তাদের নিয়ে নামাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, তাদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ বিচার-ফয়সালা করবেন এবং রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ যথাযথভাবে বণ্টন করবেন। সুতরাং কাউকে অহেতুক প্রহার করবেন না এবং তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনোরূপ অবহেলা করবেন না।
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব
নিয়োগদানের সময় কর্মকর্তাদের কার কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা জেনে নিতেন হজরত ওমর (রা.)। এরপর তাদের প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতেন। কারও সম্পদে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির মুখোমুখি করতেন। গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে না পারলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
সর্বসাধারণের অভিযোগের সুযোগ
কোনো প্রাদেশিক গভর্নর বা অন্য কোনো কর্মকর্তা যদি সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় করেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে মামলা করার অধিকার ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি কার্যকর করতেন হজরত ওমর (রা.)। একবার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এল, তিনি একজন নাগরিককে অন্যায়ভাবে ১০০ বেত্রাঘাত করেছেন। কর্মকর্তা গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শাতে না পারায় ওই লোককে কর্মকর্তার শরীরে ১০০ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। পরে আমর ইবনুল আস (রা.)-এর পরামর্শে এবং বাদীর সম্মতির ভিত্তিতে বেত্রাঘাতের পরিবর্তে ২০০ দিনার আর্থিক ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়।
রাজস্ব সম্পর্কে যাচাই-বাছাই
জনগণের কাছ থেকে যেসব রাজস্ব উত্তোলন করা হতো, তাতে অন্যায় উপায়ে গৃহীত কোনো সম্পদ আছে কি না, কঠিনভাবে যাচাই করতেন। প্রয়োজনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। বাহরাইন ও হাজর অঞ্চলের গভর্নর আবু হুরায়রা (রা.) অর্ধ মিলিয়ন দিনার রাজস্ব পাঠালে ওমর (রা.) বললেন, ‘ইতিপূর্বে এত বেশি রাজস্ব তো কোনো অঞ্চল থেকে আসেনি। এখানে এতিম ও বিধবাদের সম্পদ কিংবা কোনো মজলুমের বদদোয়া নেই তো?’ আবু হুরায়রা (রা.) আশ্বস্ত করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব থেকে অপসারণ
কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে, পাপাচারে জড়ালে কিংবা অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁকে বরখাস্ত করতে দ্বিধা করতেন না ওমর (রা.)। এমনকি জনগণের অপছন্দের কারণেও অনেককে বরখাস্ত করেছেন। বাহরাইনের কালেক্টর কুদামা ইবনে মাজউনকে মদ্যপানের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বরখাস্ত করেন। মিসরের প্রশাসক আয়াজ ইবনে গানামকে বিলাসবহুল পোশাক পরিধানের অপরাধে বরখাস্ত করেন। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)কে রাজনীতি কম বোঝা এবং কুফা নগরী সম্পর্কে ভৌগোলিক জ্ঞান না থাকার কারণে বরখাস্ত করেন। এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জনগণের দাবির ভিত্তিতে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বিনা অপরাধে বরখাস্ত করেছেন। বসরা থেকে মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং কুফা থেকে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা.)কে এ কারণেই বরখাস্ত করেছিলেন।
তবে হজরত ওমর (রা.) শুধু যে কর্মকর্তাদের চাপে রাখতেন তা নয়, বরং তাঁদের জন্য বিধি অনুসারে যথোপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেন এবং জনসাধারণকে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। জনতার উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলতেন, ‘কিছু মানুষ, অর্থাৎ রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিনরাত রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। সুতরাং তাঁদের শ্রদ্ধা করুন।’
সূত্র: ড. মুওয়াফফাক সালিম নুরি রচিত কিরাআতুন ফি খিলাফতি ওমর, ১১১/১।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২০ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে