মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এরপর প্রতিটি প্রদেশে ওয়ালি (গভর্নর), কাতিব (সচিব), সেনানায়ক, সাহিবুল খারাজ (কালেক্টর), পুলিশ অফিসার, ট্রেজারি অফিসার ও বিচারক নিযুক্ত করেন। পাশাপাশি এসব কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তা নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলাপ করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ
হজরত ওমর (রা.) কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের সময় বিলাসবহুল জীবনযাপনে নিষেধ করতেন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো কাজে জড়িত না হওয়ার শর্তারোপ করতেন। তিনি নিজেও তা মেনে চলতেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিতেন। বলতেন, ‘আমি আপনাদের জনগণের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিয়োগ দিচ্ছি না। আপনাদের শুধু এ জন্যই নিয়োগ দিচ্ছি যে আপনারা তাদের নিয়ে নামাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, তাদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ বিচার-ফয়সালা করবেন এবং রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ যথাযথভাবে বণ্টন করবেন। সুতরাং কাউকে অহেতুক প্রহার করবেন না এবং তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনোরূপ অবহেলা করবেন না।
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব
নিয়োগদানের সময় কর্মকর্তাদের কার কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা জেনে নিতেন হজরত ওমর (রা.)। এরপর তাদের প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতেন। কারও সম্পদে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির মুখোমুখি করতেন। গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে না পারলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
সর্বসাধারণের অভিযোগের সুযোগ
কোনো প্রাদেশিক গভর্নর বা অন্য কোনো কর্মকর্তা যদি সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় করেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে মামলা করার অধিকার ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি কার্যকর করতেন হজরত ওমর (রা.)। একবার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এল, তিনি একজন নাগরিককে অন্যায়ভাবে ১০০ বেত্রাঘাত করেছেন। কর্মকর্তা গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শাতে না পারায় ওই লোককে কর্মকর্তার শরীরে ১০০ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। পরে আমর ইবনুল আস (রা.)-এর পরামর্শে এবং বাদীর সম্মতির ভিত্তিতে বেত্রাঘাতের পরিবর্তে ২০০ দিনার আর্থিক ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়।
রাজস্ব সম্পর্কে যাচাই-বাছাই
জনগণের কাছ থেকে যেসব রাজস্ব উত্তোলন করা হতো, তাতে অন্যায় উপায়ে গৃহীত কোনো সম্পদ আছে কি না, কঠিনভাবে যাচাই করতেন। প্রয়োজনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। বাহরাইন ও হাজর অঞ্চলের গভর্নর আবু হুরায়রা (রা.) অর্ধ মিলিয়ন দিনার রাজস্ব পাঠালে ওমর (রা.) বললেন, ‘ইতিপূর্বে এত বেশি রাজস্ব তো কোনো অঞ্চল থেকে আসেনি। এখানে এতিম ও বিধবাদের সম্পদ কিংবা কোনো মজলুমের বদদোয়া নেই তো?’ আবু হুরায়রা (রা.) আশ্বস্ত করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব থেকে অপসারণ
কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে, পাপাচারে জড়ালে কিংবা অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁকে বরখাস্ত করতে দ্বিধা করতেন না ওমর (রা.)। এমনকি জনগণের অপছন্দের কারণেও অনেককে বরখাস্ত করেছেন। বাহরাইনের কালেক্টর কুদামা ইবনে মাজউনকে মদ্যপানের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বরখাস্ত করেন। মিসরের প্রশাসক আয়াজ ইবনে গানামকে বিলাসবহুল পোশাক পরিধানের অপরাধে বরখাস্ত করেন। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)কে রাজনীতি কম বোঝা এবং কুফা নগরী সম্পর্কে ভৌগোলিক জ্ঞান না থাকার কারণে বরখাস্ত করেন। এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জনগণের দাবির ভিত্তিতে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বিনা অপরাধে বরখাস্ত করেছেন। বসরা থেকে মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং কুফা থেকে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা.)কে এ কারণেই বরখাস্ত করেছিলেন।
তবে হজরত ওমর (রা.) শুধু যে কর্মকর্তাদের চাপে রাখতেন তা নয়, বরং তাঁদের জন্য বিধি অনুসারে যথোপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেন এবং জনসাধারণকে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। জনতার উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলতেন, ‘কিছু মানুষ, অর্থাৎ রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিনরাত রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। সুতরাং তাঁদের শ্রদ্ধা করুন।’
সূত্র: ড. মুওয়াফফাক সালিম নুরি রচিত কিরাআতুন ফি খিলাফতি ওমর, ১১১/১।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এরপর প্রতিটি প্রদেশে ওয়ালি (গভর্নর), কাতিব (সচিব), সেনানায়ক, সাহিবুল খারাজ (কালেক্টর), পুলিশ অফিসার, ট্রেজারি অফিসার ও বিচারক নিযুক্ত করেন। পাশাপাশি এসব কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তা নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলাপ করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ
হজরত ওমর (রা.) কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের সময় বিলাসবহুল জীবনযাপনে নিষেধ করতেন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো কাজে জড়িত না হওয়ার শর্তারোপ করতেন। তিনি নিজেও তা মেনে চলতেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিতেন। বলতেন, ‘আমি আপনাদের জনগণের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিয়োগ দিচ্ছি না। আপনাদের শুধু এ জন্যই নিয়োগ দিচ্ছি যে আপনারা তাদের নিয়ে নামাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, তাদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ বিচার-ফয়সালা করবেন এবং রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ যথাযথভাবে বণ্টন করবেন। সুতরাং কাউকে অহেতুক প্রহার করবেন না এবং তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনোরূপ অবহেলা করবেন না।
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব
নিয়োগদানের সময় কর্মকর্তাদের কার কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা জেনে নিতেন হজরত ওমর (রা.)। এরপর তাদের প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতেন। কারও সম্পদে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির মুখোমুখি করতেন। গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে না পারলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
সর্বসাধারণের অভিযোগের সুযোগ
কোনো প্রাদেশিক গভর্নর বা অন্য কোনো কর্মকর্তা যদি সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় করেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে মামলা করার অধিকার ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি কার্যকর করতেন হজরত ওমর (রা.)। একবার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এল, তিনি একজন নাগরিককে অন্যায়ভাবে ১০০ বেত্রাঘাত করেছেন। কর্মকর্তা গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শাতে না পারায় ওই লোককে কর্মকর্তার শরীরে ১০০ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। পরে আমর ইবনুল আস (রা.)-এর পরামর্শে এবং বাদীর সম্মতির ভিত্তিতে বেত্রাঘাতের পরিবর্তে ২০০ দিনার আর্থিক ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়।
রাজস্ব সম্পর্কে যাচাই-বাছাই
জনগণের কাছ থেকে যেসব রাজস্ব উত্তোলন করা হতো, তাতে অন্যায় উপায়ে গৃহীত কোনো সম্পদ আছে কি না, কঠিনভাবে যাচাই করতেন। প্রয়োজনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। বাহরাইন ও হাজর অঞ্চলের গভর্নর আবু হুরায়রা (রা.) অর্ধ মিলিয়ন দিনার রাজস্ব পাঠালে ওমর (রা.) বললেন, ‘ইতিপূর্বে এত বেশি রাজস্ব তো কোনো অঞ্চল থেকে আসেনি। এখানে এতিম ও বিধবাদের সম্পদ কিংবা কোনো মজলুমের বদদোয়া নেই তো?’ আবু হুরায়রা (রা.) আশ্বস্ত করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব থেকে অপসারণ
কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে, পাপাচারে জড়ালে কিংবা অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁকে বরখাস্ত করতে দ্বিধা করতেন না ওমর (রা.)। এমনকি জনগণের অপছন্দের কারণেও অনেককে বরখাস্ত করেছেন। বাহরাইনের কালেক্টর কুদামা ইবনে মাজউনকে মদ্যপানের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বরখাস্ত করেন। মিসরের প্রশাসক আয়াজ ইবনে গানামকে বিলাসবহুল পোশাক পরিধানের অপরাধে বরখাস্ত করেন। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)কে রাজনীতি কম বোঝা এবং কুফা নগরী সম্পর্কে ভৌগোলিক জ্ঞান না থাকার কারণে বরখাস্ত করেন। এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জনগণের দাবির ভিত্তিতে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বিনা অপরাধে বরখাস্ত করেছেন। বসরা থেকে মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং কুফা থেকে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা.)কে এ কারণেই বরখাস্ত করেছিলেন।
তবে হজরত ওমর (রা.) শুধু যে কর্মকর্তাদের চাপে রাখতেন তা নয়, বরং তাঁদের জন্য বিধি অনুসারে যথোপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেন এবং জনসাধারণকে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। জনতার উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলতেন, ‘কিছু মানুষ, অর্থাৎ রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিনরাত রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। সুতরাং তাঁদের শ্রদ্ধা করুন।’
সূত্র: ড. মুওয়াফফাক সালিম নুরি রচিত কিরাআতুন ফি খিলাফতি ওমর, ১১১/১।

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দীর্ঘ ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর প্রধান রাষ্ট্রনীতি। শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি রাষ্ট্রকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্র
২৮ জুন ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে