হেদায়াতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই, শায়েস্তা করি।
অথচ উচিত ছিল, সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেকে সংশোধন ও পরিশীলিত করা। জীবনকে সুন্দর করে সাজানো।
মানুষ শুধু প্রশংসা শুনতেই যে পছন্দ করে, তাই না—বরং কেউ কেউ বলতেও পছন্দ করে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হই আমরা। আর যদি প্রশংসিত ব্যক্তি জাগতিক কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতার অধিকারী হয়, তাহলে তো একদম লাগামহীন হয়ে যাই। ইনিয়ে-বিনিয়ে কত কথাই না বলি তাকে খুশি করতে। এককথায় যাকে বলে চাটুকারিতা বা তেলবাজি।
এতে তার থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। কিছু অর্থকড়িও হয়তো মিলে। কিন্তু সামান্য এই স্বার্থের জন্য আমরা কখনো নির্জলা মিথ্যা পর্যন্ত বলে ফেলি নির্দ্বিধায়। অথচ প্রতিটি মিথ্যার জন্য কবিরা গুনাহ লেখা হচ্ছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এভাবে সামনাসামনি কারও প্রশংসা করা পছন্দ করতেন না। কাউকে এমনটা করতে দেখলে বারণ করতেন। এক হাদিসে এসেছে, একবার নবীজি (সা.) এক ব্যক্তিকে কারও প্রশংসা করতে শুনে বললেন, ‘তোমরা তো তাকে ধ্বংস করে দিলে। তোমরা তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬৩, সহিহ্ মুসলিম: ৬৭)
অতিরিক্ত প্রশংসার কারণে মানুষ অনেক সময় কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। আগের মতো পূর্ণোদ্যমে আর কাজ করতে পারে না। তাই নবীজি এটাকে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই কোনো ভালো কাজের পরিমিত প্রশংসার সঙ্গে ভুলত্রুটি কিছু থাকলে তা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়া উত্তম। এতে ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কাজের আশা করা যায়।
একবার নবীজির কাছে এক ব্যক্তির কথা বলা হলো। আরেক ব্যক্তি তখন তার প্রশংসা করতে শুরু করল। তা দেখে নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার অকল্যাণ হোক, তুমি তো তোমার বন্ধুর ঘাড় কেটে দিলে! (কথাটা নবীজি কয়েকবার বললেন) তোমাদের কেউ যদি কারও প্রশংসা করেই, তাহলে যেন বলে—আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা করি, যদি বাস্তবেই সে এমনটা মনে করে থাকে। তার হিসেব আল্লাহ নেবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ কারও ভালো হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত জানতে পারে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬২, সহিহ্ মুসলিম: ৬৫)
হজরত উসমান (রা.)-এর একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসের কিতাবে। এক লোক তার সামনে বসে তার প্রশংসা করতে লাগল। সেখানে মিকদাদ (রা.)-ও ছিলেন। তিনি তা দেখে হাঁটু গেড়ে বসে লোকটির মুখে ছোট কঙ্কর মারতে শুরু করলেন। উসমান (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো তোমার, এমন করছ কেন!’ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কাউকে মুখের ওপর প্রশংসা করতে দেখবে, তার মুখে মাটি নিক্ষেপ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৯)
এসব হাদিসে নবীজি (সা.) কারও সামনাসামনি বা অতিরিক্ত প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিসে এর বৈধতার প্রমাণও পাওয়া যায়। তাই বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম এর সামঞ্জস্যবিধান করেছেন এভাবে—প্রশংসিত ব্যক্তির যদি ইমান-আমল ও আত্মশুদ্ধি পরিপূর্ণ থাকে, প্রশংসার কারণে যদি মনে কোনো ধরনের গর্ব-অহংকার ও বড়াই না আসে, তাহলে তা জায়েজ আছে। এর বিপরীত হলে সম্মুখ-প্রশংসা কঠোরভাবে অপন্দীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
তাই আমাদের উচিত, মানুষের অমূলক প্রশংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতিব

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই, শায়েস্তা করি।
অথচ উচিত ছিল, সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেকে সংশোধন ও পরিশীলিত করা। জীবনকে সুন্দর করে সাজানো।
মানুষ শুধু প্রশংসা শুনতেই যে পছন্দ করে, তাই না—বরং কেউ কেউ বলতেও পছন্দ করে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হই আমরা। আর যদি প্রশংসিত ব্যক্তি জাগতিক কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতার অধিকারী হয়, তাহলে তো একদম লাগামহীন হয়ে যাই। ইনিয়ে-বিনিয়ে কত কথাই না বলি তাকে খুশি করতে। এককথায় যাকে বলে চাটুকারিতা বা তেলবাজি।
এতে তার থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। কিছু অর্থকড়িও হয়তো মিলে। কিন্তু সামান্য এই স্বার্থের জন্য আমরা কখনো নির্জলা মিথ্যা পর্যন্ত বলে ফেলি নির্দ্বিধায়। অথচ প্রতিটি মিথ্যার জন্য কবিরা গুনাহ লেখা হচ্ছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এভাবে সামনাসামনি কারও প্রশংসা করা পছন্দ করতেন না। কাউকে এমনটা করতে দেখলে বারণ করতেন। এক হাদিসে এসেছে, একবার নবীজি (সা.) এক ব্যক্তিকে কারও প্রশংসা করতে শুনে বললেন, ‘তোমরা তো তাকে ধ্বংস করে দিলে। তোমরা তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬৩, সহিহ্ মুসলিম: ৬৭)
অতিরিক্ত প্রশংসার কারণে মানুষ অনেক সময় কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। আগের মতো পূর্ণোদ্যমে আর কাজ করতে পারে না। তাই নবীজি এটাকে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই কোনো ভালো কাজের পরিমিত প্রশংসার সঙ্গে ভুলত্রুটি কিছু থাকলে তা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়া উত্তম। এতে ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কাজের আশা করা যায়।
একবার নবীজির কাছে এক ব্যক্তির কথা বলা হলো। আরেক ব্যক্তি তখন তার প্রশংসা করতে শুরু করল। তা দেখে নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার অকল্যাণ হোক, তুমি তো তোমার বন্ধুর ঘাড় কেটে দিলে! (কথাটা নবীজি কয়েকবার বললেন) তোমাদের কেউ যদি কারও প্রশংসা করেই, তাহলে যেন বলে—আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা করি, যদি বাস্তবেই সে এমনটা মনে করে থাকে। তার হিসেব আল্লাহ নেবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ কারও ভালো হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত জানতে পারে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬২, সহিহ্ মুসলিম: ৬৫)
হজরত উসমান (রা.)-এর একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসের কিতাবে। এক লোক তার সামনে বসে তার প্রশংসা করতে লাগল। সেখানে মিকদাদ (রা.)-ও ছিলেন। তিনি তা দেখে হাঁটু গেড়ে বসে লোকটির মুখে ছোট কঙ্কর মারতে শুরু করলেন। উসমান (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো তোমার, এমন করছ কেন!’ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কাউকে মুখের ওপর প্রশংসা করতে দেখবে, তার মুখে মাটি নিক্ষেপ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৯)
এসব হাদিসে নবীজি (সা.) কারও সামনাসামনি বা অতিরিক্ত প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিসে এর বৈধতার প্রমাণও পাওয়া যায়। তাই বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম এর সামঞ্জস্যবিধান করেছেন এভাবে—প্রশংসিত ব্যক্তির যদি ইমান-আমল ও আত্মশুদ্ধি পরিপূর্ণ থাকে, প্রশংসার কারণে যদি মনে কোনো ধরনের গর্ব-অহংকার ও বড়াই না আসে, তাহলে তা জায়েজ আছে। এর বিপরীত হলে সম্মুখ-প্রশংসা কঠোরভাবে অপন্দীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
তাই আমাদের উচিত, মানুষের অমূলক প্রশংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতিব
হেদায়াতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই, শায়েস্তা করি।
অথচ উচিত ছিল, সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেকে সংশোধন ও পরিশীলিত করা। জীবনকে সুন্দর করে সাজানো।
মানুষ শুধু প্রশংসা শুনতেই যে পছন্দ করে, তাই না—বরং কেউ কেউ বলতেও পছন্দ করে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হই আমরা। আর যদি প্রশংসিত ব্যক্তি জাগতিক কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতার অধিকারী হয়, তাহলে তো একদম লাগামহীন হয়ে যাই। ইনিয়ে-বিনিয়ে কত কথাই না বলি তাকে খুশি করতে। এককথায় যাকে বলে চাটুকারিতা বা তেলবাজি।
এতে তার থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। কিছু অর্থকড়িও হয়তো মিলে। কিন্তু সামান্য এই স্বার্থের জন্য আমরা কখনো নির্জলা মিথ্যা পর্যন্ত বলে ফেলি নির্দ্বিধায়। অথচ প্রতিটি মিথ্যার জন্য কবিরা গুনাহ লেখা হচ্ছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এভাবে সামনাসামনি কারও প্রশংসা করা পছন্দ করতেন না। কাউকে এমনটা করতে দেখলে বারণ করতেন। এক হাদিসে এসেছে, একবার নবীজি (সা.) এক ব্যক্তিকে কারও প্রশংসা করতে শুনে বললেন, ‘তোমরা তো তাকে ধ্বংস করে দিলে। তোমরা তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬৩, সহিহ্ মুসলিম: ৬৭)
অতিরিক্ত প্রশংসার কারণে মানুষ অনেক সময় কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। আগের মতো পূর্ণোদ্যমে আর কাজ করতে পারে না। তাই নবীজি এটাকে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই কোনো ভালো কাজের পরিমিত প্রশংসার সঙ্গে ভুলত্রুটি কিছু থাকলে তা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়া উত্তম। এতে ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কাজের আশা করা যায়।
একবার নবীজির কাছে এক ব্যক্তির কথা বলা হলো। আরেক ব্যক্তি তখন তার প্রশংসা করতে শুরু করল। তা দেখে নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার অকল্যাণ হোক, তুমি তো তোমার বন্ধুর ঘাড় কেটে দিলে! (কথাটা নবীজি কয়েকবার বললেন) তোমাদের কেউ যদি কারও প্রশংসা করেই, তাহলে যেন বলে—আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা করি, যদি বাস্তবেই সে এমনটা মনে করে থাকে। তার হিসেব আল্লাহ নেবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ কারও ভালো হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত জানতে পারে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬২, সহিহ্ মুসলিম: ৬৫)
হজরত উসমান (রা.)-এর একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসের কিতাবে। এক লোক তার সামনে বসে তার প্রশংসা করতে লাগল। সেখানে মিকদাদ (রা.)-ও ছিলেন। তিনি তা দেখে হাঁটু গেড়ে বসে লোকটির মুখে ছোট কঙ্কর মারতে শুরু করলেন। উসমান (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো তোমার, এমন করছ কেন!’ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কাউকে মুখের ওপর প্রশংসা করতে দেখবে, তার মুখে মাটি নিক্ষেপ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৯)
এসব হাদিসে নবীজি (সা.) কারও সামনাসামনি বা অতিরিক্ত প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিসে এর বৈধতার প্রমাণও পাওয়া যায়। তাই বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম এর সামঞ্জস্যবিধান করেছেন এভাবে—প্রশংসিত ব্যক্তির যদি ইমান-আমল ও আত্মশুদ্ধি পরিপূর্ণ থাকে, প্রশংসার কারণে যদি মনে কোনো ধরনের গর্ব-অহংকার ও বড়াই না আসে, তাহলে তা জায়েজ আছে। এর বিপরীত হলে সম্মুখ-প্রশংসা কঠোরভাবে অপন্দীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
তাই আমাদের উচিত, মানুষের অমূলক প্রশংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতিব

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই, শায়েস্তা করি।
অথচ উচিত ছিল, সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেকে সংশোধন ও পরিশীলিত করা। জীবনকে সুন্দর করে সাজানো।
মানুষ শুধু প্রশংসা শুনতেই যে পছন্দ করে, তাই না—বরং কেউ কেউ বলতেও পছন্দ করে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হই আমরা। আর যদি প্রশংসিত ব্যক্তি জাগতিক কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতার অধিকারী হয়, তাহলে তো একদম লাগামহীন হয়ে যাই। ইনিয়ে-বিনিয়ে কত কথাই না বলি তাকে খুশি করতে। এককথায় যাকে বলে চাটুকারিতা বা তেলবাজি।
এতে তার থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। কিছু অর্থকড়িও হয়তো মিলে। কিন্তু সামান্য এই স্বার্থের জন্য আমরা কখনো নির্জলা মিথ্যা পর্যন্ত বলে ফেলি নির্দ্বিধায়। অথচ প্রতিটি মিথ্যার জন্য কবিরা গুনাহ লেখা হচ্ছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এভাবে সামনাসামনি কারও প্রশংসা করা পছন্দ করতেন না। কাউকে এমনটা করতে দেখলে বারণ করতেন। এক হাদিসে এসেছে, একবার নবীজি (সা.) এক ব্যক্তিকে কারও প্রশংসা করতে শুনে বললেন, ‘তোমরা তো তাকে ধ্বংস করে দিলে। তোমরা তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬৩, সহিহ্ মুসলিম: ৬৭)
অতিরিক্ত প্রশংসার কারণে মানুষ অনেক সময় কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। আগের মতো পূর্ণোদ্যমে আর কাজ করতে পারে না। তাই নবীজি এটাকে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই কোনো ভালো কাজের পরিমিত প্রশংসার সঙ্গে ভুলত্রুটি কিছু থাকলে তা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়া উত্তম। এতে ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কাজের আশা করা যায়।
একবার নবীজির কাছে এক ব্যক্তির কথা বলা হলো। আরেক ব্যক্তি তখন তার প্রশংসা করতে শুরু করল। তা দেখে নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার অকল্যাণ হোক, তুমি তো তোমার বন্ধুর ঘাড় কেটে দিলে! (কথাটা নবীজি কয়েকবার বললেন) তোমাদের কেউ যদি কারও প্রশংসা করেই, তাহলে যেন বলে—আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা করি, যদি বাস্তবেই সে এমনটা মনে করে থাকে। তার হিসেব আল্লাহ নেবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ কারও ভালো হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত জানতে পারে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৬২, সহিহ্ মুসলিম: ৬৫)
হজরত উসমান (রা.)-এর একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসের কিতাবে। এক লোক তার সামনে বসে তার প্রশংসা করতে লাগল। সেখানে মিকদাদ (রা.)-ও ছিলেন। তিনি তা দেখে হাঁটু গেড়ে বসে লোকটির মুখে ছোট কঙ্কর মারতে শুরু করলেন। উসমান (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো তোমার, এমন করছ কেন!’ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কাউকে মুখের ওপর প্রশংসা করতে দেখবে, তার মুখে মাটি নিক্ষেপ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৯)
এসব হাদিসে নবীজি (সা.) কারও সামনাসামনি বা অতিরিক্ত প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিসে এর বৈধতার প্রমাণও পাওয়া যায়। তাই বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম এর সামঞ্জস্যবিধান করেছেন এভাবে—প্রশংসিত ব্যক্তির যদি ইমান-আমল ও আত্মশুদ্ধি পরিপূর্ণ থাকে, প্রশংসার কারণে যদি মনে কোনো ধরনের গর্ব-অহংকার ও বড়াই না আসে, তাহলে তা জায়েজ আছে। এর বিপরীত হলে সম্মুখ-প্রশংসা কঠোরভাবে অপন্দীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
তাই আমাদের উচিত, মানুষের অমূলক প্রশংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতিব

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
২৩ জুন ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
২৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
২৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
২৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে