ইজাজুল হক

কারিম জাব্বারির জন্ম ও বেড় ওঠা তিউনিসিয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হন জীবনের প্রথম প্রহর থেকেই। কারিমের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইসলামি জ্ঞানের পণ্ডিত। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রেই বাবার কাছ থেকে পান পুরোনো ধর্মীয় পাণ্ডুলিপির এক বিশাল ভান্ডার। ৪০০ বছরের পুরোনো পাণ্ডুলিপিও তাতে ছিল এবং কারিম সেসব শৈশব থেকেই নেড়েচেড়ে দেখতেন। বইগুলো সাধারণত আফ্রিকান অক্ষরশিল্পের প্রাচীন শৈলী মাগরিবি লিপিতেই লেখা ছিল। সেখান থেকেই প্রথম অক্ষর নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পান কারিম।
ছোটকাল থেকেই বিপ্লব আর শিল্পের মিলন ঘটে কারিমের হৃদয়ে। একদিকে তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসকের নির্যাতন, অন্যদিকে মাগরিবি লিপি আয়ত্তের কসরত—দুটোই চলছিল সমানতালে। পরে আমেরিকায় চলে যান এবং ক্যালিগ্রাফি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। আলোক ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তৈরি করে নেন নিজের স্বতন্ত্র পথচলা। খুব সম্ভবত বিশ্বে তিনিই প্রথম ক্যালিগ্রাফির এই ধারার প্রবর্তন করেছেন।
বর্তমানে কারিম জাব্বারি কানাডা ও আমেরিকায় বসবাস করেন। পুরোদমে এই শিল্পের উৎকর্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে আরবি অক্ষরের ম্যুরাল, গ্রাফিতি এবং আলোক ক্যালিগ্রাফি করে থাকেন তিনি। এ ছাড়া লাইভ পারফরম্যান্স এবং শিল্পবিচারক হিসেবেও কাজ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিজের শিল্প নিয়ে বক্তৃতা করেন। দুবাইয়ে আয়োজিত প্রথম ইসলামিক ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ডে রানারআপ হন এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকাভুক্ত হন। বিশ্বজুড়ে কারিম ক্যালিগ্রাফি কর্মশালাও করেন। দেড় দশক ধরে অনলাইনেও চালাচ্ছেন নিজের কার্যক্রম। এমনকি কারিমের পিএইচডি অভিসন্দর্ভও নিজের উদ্ভাবিত আলোক ক্যালিগ্রাফি শিল্প নিয়েই করা।
আলোক ক্যালিগ্রাফি হলো, তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে প্রযুক্তির সাহায্যে শূন্যে ক্যালিগ্রাফি করা এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করা। বাস্তবে সেই স্থানে কোনো ক্যালিগ্রাফি থাকবে না, তবে আলোর বিশেষ ডিভাইস ক্যামেরার সামনে ঘুরিয়ে একটি ফর্ম তৈরি করা হয়। আরবিতে যা লেখা হয়, ওই স্থানের সঙ্গে তার একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। কারিমের মতে, ঐতিহ্যবাহী ধারার আরবি ক্যালিগ্রাফিকে যদি এভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় না আনা হয়, তবে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন হারিয়ে ফেলবে।
কারিমের ক্যালিগ্রাফিচর্চার দীর্ঘ সময়ে তিনি একটি নিজস্ব শৈলী তৈরির চেষ্টা করে গেছেন। সব সময় এমন নতুন কিছু করতে চেয়েছেন, যা আগামীর পৃথিবী মনে রাখবে এবং আরবি না বুঝেও দর্শনার্থীরা তাঁর শিল্পের বার্তা উপলব্ধি করতে পারবে। আলোক শিল্পে তা সম্ভব। কারণ চারপাশের আবহই শিল্পকর্মের অর্থ বলে দেয়।
কারিমের মতে, শিল্পকলা মানে সংলাপ ও সেতুবন্ধন। ২০১০ সালে করা তাঁর একটি ম্যুরালের নাম—ক্যালিগ্রাফি সভ্যতাগুলোর সেতু। কারণ তিনি মনে করেন, ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই তাঁর শিল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৩ সালে তিউনিসিয়ার যে কারাগারে কারিমের বাবা বন্দী ছিলেন, তার দেয়ালে দেশটির দীর্ঘতম ম্যুরাল আঁকেন। ২৪০ মিটার দীর্ঘ সেই ম্যুরাল আঁকতে তাঁর পুরো শিল্প দলের দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ ছাড়া আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ক্যালিগ্রাফির নতুন জোয়ার আসে। তরুণেরা নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই শিল্পমাধ্যমের আশ্রয় নেয়।
কারিম মনে করেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলেই শিল্প সার্থক হতে পারে। ফলে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন তিনি। কারণ শিকড় ভুলে আধুনিকতাসর্বস্ব শিল্পের পথে যাওয়া যেমন প্রাণহীন উদ্দীপনা; তেমনি ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে আটকে থাকাও প্রগতি ও বিকাশের অন্তরায়।
বাইত আল-ফন ডটকম অবলম্বনে

কারিম জাব্বারির জন্ম ও বেড় ওঠা তিউনিসিয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হন জীবনের প্রথম প্রহর থেকেই। কারিমের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইসলামি জ্ঞানের পণ্ডিত। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রেই বাবার কাছ থেকে পান পুরোনো ধর্মীয় পাণ্ডুলিপির এক বিশাল ভান্ডার। ৪০০ বছরের পুরোনো পাণ্ডুলিপিও তাতে ছিল এবং কারিম সেসব শৈশব থেকেই নেড়েচেড়ে দেখতেন। বইগুলো সাধারণত আফ্রিকান অক্ষরশিল্পের প্রাচীন শৈলী মাগরিবি লিপিতেই লেখা ছিল। সেখান থেকেই প্রথম অক্ষর নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পান কারিম।
ছোটকাল থেকেই বিপ্লব আর শিল্পের মিলন ঘটে কারিমের হৃদয়ে। একদিকে তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসকের নির্যাতন, অন্যদিকে মাগরিবি লিপি আয়ত্তের কসরত—দুটোই চলছিল সমানতালে। পরে আমেরিকায় চলে যান এবং ক্যালিগ্রাফি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। আলোক ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তৈরি করে নেন নিজের স্বতন্ত্র পথচলা। খুব সম্ভবত বিশ্বে তিনিই প্রথম ক্যালিগ্রাফির এই ধারার প্রবর্তন করেছেন।
বর্তমানে কারিম জাব্বারি কানাডা ও আমেরিকায় বসবাস করেন। পুরোদমে এই শিল্পের উৎকর্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে আরবি অক্ষরের ম্যুরাল, গ্রাফিতি এবং আলোক ক্যালিগ্রাফি করে থাকেন তিনি। এ ছাড়া লাইভ পারফরম্যান্স এবং শিল্পবিচারক হিসেবেও কাজ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিজের শিল্প নিয়ে বক্তৃতা করেন। দুবাইয়ে আয়োজিত প্রথম ইসলামিক ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ডে রানারআপ হন এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকাভুক্ত হন। বিশ্বজুড়ে কারিম ক্যালিগ্রাফি কর্মশালাও করেন। দেড় দশক ধরে অনলাইনেও চালাচ্ছেন নিজের কার্যক্রম। এমনকি কারিমের পিএইচডি অভিসন্দর্ভও নিজের উদ্ভাবিত আলোক ক্যালিগ্রাফি শিল্প নিয়েই করা।
আলোক ক্যালিগ্রাফি হলো, তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে প্রযুক্তির সাহায্যে শূন্যে ক্যালিগ্রাফি করা এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করা। বাস্তবে সেই স্থানে কোনো ক্যালিগ্রাফি থাকবে না, তবে আলোর বিশেষ ডিভাইস ক্যামেরার সামনে ঘুরিয়ে একটি ফর্ম তৈরি করা হয়। আরবিতে যা লেখা হয়, ওই স্থানের সঙ্গে তার একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। কারিমের মতে, ঐতিহ্যবাহী ধারার আরবি ক্যালিগ্রাফিকে যদি এভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় না আনা হয়, তবে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন হারিয়ে ফেলবে।
কারিমের ক্যালিগ্রাফিচর্চার দীর্ঘ সময়ে তিনি একটি নিজস্ব শৈলী তৈরির চেষ্টা করে গেছেন। সব সময় এমন নতুন কিছু করতে চেয়েছেন, যা আগামীর পৃথিবী মনে রাখবে এবং আরবি না বুঝেও দর্শনার্থীরা তাঁর শিল্পের বার্তা উপলব্ধি করতে পারবে। আলোক শিল্পে তা সম্ভব। কারণ চারপাশের আবহই শিল্পকর্মের অর্থ বলে দেয়।
কারিমের মতে, শিল্পকলা মানে সংলাপ ও সেতুবন্ধন। ২০১০ সালে করা তাঁর একটি ম্যুরালের নাম—ক্যালিগ্রাফি সভ্যতাগুলোর সেতু। কারণ তিনি মনে করেন, ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই তাঁর শিল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৩ সালে তিউনিসিয়ার যে কারাগারে কারিমের বাবা বন্দী ছিলেন, তার দেয়ালে দেশটির দীর্ঘতম ম্যুরাল আঁকেন। ২৪০ মিটার দীর্ঘ সেই ম্যুরাল আঁকতে তাঁর পুরো শিল্প দলের দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ ছাড়া আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ক্যালিগ্রাফির নতুন জোয়ার আসে। তরুণেরা নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই শিল্পমাধ্যমের আশ্রয় নেয়।
কারিম মনে করেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলেই শিল্প সার্থক হতে পারে। ফলে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন তিনি। কারণ শিকড় ভুলে আধুনিকতাসর্বস্ব শিল্পের পথে যাওয়া যেমন প্রাণহীন উদ্দীপনা; তেমনি ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে আটকে থাকাও প্রগতি ও বিকাশের অন্তরায়।
বাইত আল-ফন ডটকম অবলম্বনে
ইজাজুল হক

কারিম জাব্বারির জন্ম ও বেড় ওঠা তিউনিসিয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হন জীবনের প্রথম প্রহর থেকেই। কারিমের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইসলামি জ্ঞানের পণ্ডিত। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রেই বাবার কাছ থেকে পান পুরোনো ধর্মীয় পাণ্ডুলিপির এক বিশাল ভান্ডার। ৪০০ বছরের পুরোনো পাণ্ডুলিপিও তাতে ছিল এবং কারিম সেসব শৈশব থেকেই নেড়েচেড়ে দেখতেন। বইগুলো সাধারণত আফ্রিকান অক্ষরশিল্পের প্রাচীন শৈলী মাগরিবি লিপিতেই লেখা ছিল। সেখান থেকেই প্রথম অক্ষর নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পান কারিম।
ছোটকাল থেকেই বিপ্লব আর শিল্পের মিলন ঘটে কারিমের হৃদয়ে। একদিকে তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসকের নির্যাতন, অন্যদিকে মাগরিবি লিপি আয়ত্তের কসরত—দুটোই চলছিল সমানতালে। পরে আমেরিকায় চলে যান এবং ক্যালিগ্রাফি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। আলোক ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তৈরি করে নেন নিজের স্বতন্ত্র পথচলা। খুব সম্ভবত বিশ্বে তিনিই প্রথম ক্যালিগ্রাফির এই ধারার প্রবর্তন করেছেন।
বর্তমানে কারিম জাব্বারি কানাডা ও আমেরিকায় বসবাস করেন। পুরোদমে এই শিল্পের উৎকর্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে আরবি অক্ষরের ম্যুরাল, গ্রাফিতি এবং আলোক ক্যালিগ্রাফি করে থাকেন তিনি। এ ছাড়া লাইভ পারফরম্যান্স এবং শিল্পবিচারক হিসেবেও কাজ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিজের শিল্প নিয়ে বক্তৃতা করেন। দুবাইয়ে আয়োজিত প্রথম ইসলামিক ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ডে রানারআপ হন এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকাভুক্ত হন। বিশ্বজুড়ে কারিম ক্যালিগ্রাফি কর্মশালাও করেন। দেড় দশক ধরে অনলাইনেও চালাচ্ছেন নিজের কার্যক্রম। এমনকি কারিমের পিএইচডি অভিসন্দর্ভও নিজের উদ্ভাবিত আলোক ক্যালিগ্রাফি শিল্প নিয়েই করা।
আলোক ক্যালিগ্রাফি হলো, তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে প্রযুক্তির সাহায্যে শূন্যে ক্যালিগ্রাফি করা এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করা। বাস্তবে সেই স্থানে কোনো ক্যালিগ্রাফি থাকবে না, তবে আলোর বিশেষ ডিভাইস ক্যামেরার সামনে ঘুরিয়ে একটি ফর্ম তৈরি করা হয়। আরবিতে যা লেখা হয়, ওই স্থানের সঙ্গে তার একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। কারিমের মতে, ঐতিহ্যবাহী ধারার আরবি ক্যালিগ্রাফিকে যদি এভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় না আনা হয়, তবে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন হারিয়ে ফেলবে।
কারিমের ক্যালিগ্রাফিচর্চার দীর্ঘ সময়ে তিনি একটি নিজস্ব শৈলী তৈরির চেষ্টা করে গেছেন। সব সময় এমন নতুন কিছু করতে চেয়েছেন, যা আগামীর পৃথিবী মনে রাখবে এবং আরবি না বুঝেও দর্শনার্থীরা তাঁর শিল্পের বার্তা উপলব্ধি করতে পারবে। আলোক শিল্পে তা সম্ভব। কারণ চারপাশের আবহই শিল্পকর্মের অর্থ বলে দেয়।
কারিমের মতে, শিল্পকলা মানে সংলাপ ও সেতুবন্ধন। ২০১০ সালে করা তাঁর একটি ম্যুরালের নাম—ক্যালিগ্রাফি সভ্যতাগুলোর সেতু। কারণ তিনি মনে করেন, ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই তাঁর শিল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৩ সালে তিউনিসিয়ার যে কারাগারে কারিমের বাবা বন্দী ছিলেন, তার দেয়ালে দেশটির দীর্ঘতম ম্যুরাল আঁকেন। ২৪০ মিটার দীর্ঘ সেই ম্যুরাল আঁকতে তাঁর পুরো শিল্প দলের দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ ছাড়া আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ক্যালিগ্রাফির নতুন জোয়ার আসে। তরুণেরা নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই শিল্পমাধ্যমের আশ্রয় নেয়।
কারিম মনে করেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলেই শিল্প সার্থক হতে পারে। ফলে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন তিনি। কারণ শিকড় ভুলে আধুনিকতাসর্বস্ব শিল্পের পথে যাওয়া যেমন প্রাণহীন উদ্দীপনা; তেমনি ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে আটকে থাকাও প্রগতি ও বিকাশের অন্তরায়।
বাইত আল-ফন ডটকম অবলম্বনে

কারিম জাব্বারির জন্ম ও বেড় ওঠা তিউনিসিয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হন জীবনের প্রথম প্রহর থেকেই। কারিমের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইসলামি জ্ঞানের পণ্ডিত। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রেই বাবার কাছ থেকে পান পুরোনো ধর্মীয় পাণ্ডুলিপির এক বিশাল ভান্ডার। ৪০০ বছরের পুরোনো পাণ্ডুলিপিও তাতে ছিল এবং কারিম সেসব শৈশব থেকেই নেড়েচেড়ে দেখতেন। বইগুলো সাধারণত আফ্রিকান অক্ষরশিল্পের প্রাচীন শৈলী মাগরিবি লিপিতেই লেখা ছিল। সেখান থেকেই প্রথম অক্ষর নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পান কারিম।
ছোটকাল থেকেই বিপ্লব আর শিল্পের মিলন ঘটে কারিমের হৃদয়ে। একদিকে তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসকের নির্যাতন, অন্যদিকে মাগরিবি লিপি আয়ত্তের কসরত—দুটোই চলছিল সমানতালে। পরে আমেরিকায় চলে যান এবং ক্যালিগ্রাফি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। আলোক ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তৈরি করে নেন নিজের স্বতন্ত্র পথচলা। খুব সম্ভবত বিশ্বে তিনিই প্রথম ক্যালিগ্রাফির এই ধারার প্রবর্তন করেছেন।
বর্তমানে কারিম জাব্বারি কানাডা ও আমেরিকায় বসবাস করেন। পুরোদমে এই শিল্পের উৎকর্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে আরবি অক্ষরের ম্যুরাল, গ্রাফিতি এবং আলোক ক্যালিগ্রাফি করে থাকেন তিনি। এ ছাড়া লাইভ পারফরম্যান্স এবং শিল্পবিচারক হিসেবেও কাজ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিজের শিল্প নিয়ে বক্তৃতা করেন। দুবাইয়ে আয়োজিত প্রথম ইসলামিক ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ডে রানারআপ হন এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকাভুক্ত হন। বিশ্বজুড়ে কারিম ক্যালিগ্রাফি কর্মশালাও করেন। দেড় দশক ধরে অনলাইনেও চালাচ্ছেন নিজের কার্যক্রম। এমনকি কারিমের পিএইচডি অভিসন্দর্ভও নিজের উদ্ভাবিত আলোক ক্যালিগ্রাফি শিল্প নিয়েই করা।
আলোক ক্যালিগ্রাফি হলো, তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে প্রযুক্তির সাহায্যে শূন্যে ক্যালিগ্রাফি করা এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করা। বাস্তবে সেই স্থানে কোনো ক্যালিগ্রাফি থাকবে না, তবে আলোর বিশেষ ডিভাইস ক্যামেরার সামনে ঘুরিয়ে একটি ফর্ম তৈরি করা হয়। আরবিতে যা লেখা হয়, ওই স্থানের সঙ্গে তার একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। কারিমের মতে, ঐতিহ্যবাহী ধারার আরবি ক্যালিগ্রাফিকে যদি এভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় না আনা হয়, তবে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন হারিয়ে ফেলবে।
কারিমের ক্যালিগ্রাফিচর্চার দীর্ঘ সময়ে তিনি একটি নিজস্ব শৈলী তৈরির চেষ্টা করে গেছেন। সব সময় এমন নতুন কিছু করতে চেয়েছেন, যা আগামীর পৃথিবী মনে রাখবে এবং আরবি না বুঝেও দর্শনার্থীরা তাঁর শিল্পের বার্তা উপলব্ধি করতে পারবে। আলোক শিল্পে তা সম্ভব। কারণ চারপাশের আবহই শিল্পকর্মের অর্থ বলে দেয়।
কারিমের মতে, শিল্পকলা মানে সংলাপ ও সেতুবন্ধন। ২০১০ সালে করা তাঁর একটি ম্যুরালের নাম—ক্যালিগ্রাফি সভ্যতাগুলোর সেতু। কারণ তিনি মনে করেন, ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই তাঁর শিল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৩ সালে তিউনিসিয়ার যে কারাগারে কারিমের বাবা বন্দী ছিলেন, তার দেয়ালে দেশটির দীর্ঘতম ম্যুরাল আঁকেন। ২৪০ মিটার দীর্ঘ সেই ম্যুরাল আঁকতে তাঁর পুরো শিল্প দলের দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ ছাড়া আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ক্যালিগ্রাফির নতুন জোয়ার আসে। তরুণেরা নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই শিল্পমাধ্যমের আশ্রয় নেয়।
কারিম মনে করেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলেই শিল্প সার্থক হতে পারে। ফলে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন তিনি। কারণ শিকড় ভুলে আধুনিকতাসর্বস্ব শিল্পের পথে যাওয়া যেমন প্রাণহীন উদ্দীপনা; তেমনি ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে আটকে থাকাও প্রগতি ও বিকাশের অন্তরায়।
বাইত আল-ফন ডটকম অবলম্বনে

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

কারিম জাব্বারি হাল জমানার বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও আলোকশিল্পী। আলো ও অক্ষরের খেলায় পৃথিবীর শিল্পপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। প্রাচীন শৈলীর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ক্যারিশমায় গড়ে তোলেন নিজস্ব এক জগৎ। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পনৈপুণ্য দেখাতে এবং শিল্পকলার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ত
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

কারিম জাব্বারি হাল জমানার বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও আলোকশিল্পী। আলো ও অক্ষরের খেলায় পৃথিবীর শিল্পপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। প্রাচীন শৈলীর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ক্যারিশমায় গড়ে তোলেন নিজস্ব এক জগৎ। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পনৈপুণ্য দেখাতে এবং শিল্পকলার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ত
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কারিম জাব্বারি হাল জমানার বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও আলোকশিল্পী। আলো ও অক্ষরের খেলায় পৃথিবীর শিল্পপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। প্রাচীন শৈলীর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ক্যারিশমায় গড়ে তোলেন নিজস্ব এক জগৎ। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পনৈপুণ্য দেখাতে এবং শিল্পকলার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ত
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

কারিম জাব্বারি হাল জমানার বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও আলোকশিল্পী। আলো ও অক্ষরের খেলায় পৃথিবীর শিল্পপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। প্রাচীন শৈলীর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ক্যারিশমায় গড়ে তোলেন নিজস্ব এক জগৎ। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পনৈপুণ্য দেখাতে এবং শিল্পকলার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ত
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে