Ajker Patrika

সন্তান দত্তক নেওয়ার ইসলামি বিধান কী, কখন নাজায়েজ

ইসলাম ডেস্ক
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৫৬
সন্তান দত্তক নেওয়ার ইসলামি বিধান কী, কখন নাজায়েজ

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা। 

দত্তক নেওয়ার প্রথম ধরনটি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হলেও দ্বিতীয় ধরনটি অনুমোদিত। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে দত্তক নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান আলোকপাত করা হলো। 

রক্তের পরিচয়ই আসল পরিচয়
জাহিলি যুগে আরবে পালিত সন্তানকে ঔরসজাত সন্তানের মতোই মনে করা হতো। বিয়ে, মিরাসসহ সব ক্ষেত্রেই নিজের সন্তানের বিধান প্রয়োগ করা হতো। তবে ইসলাম নিজের বাবা–মায়ের পরিচয় মুছে ফেলে অন্য কারও সন্তান হিসেবে পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেয়নি। ইসলাম বাবার ঔরস ও মায়ের গর্ভকেই সন্তানের পরিচয়ের মাপকাঠি নির্ণয় করেছে। বাবা-মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিলি যুগের দত্তক প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। 

মহানবী (সা.) সাহাবি জাইদ ইবনে হারিসা (রা.)-এর লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক সময় সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে জাইদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের ছেলে জাইদ) নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং জাইদকে বাবা হারিসার দিকে সম্পর্কিত করে সম্বোধন করার আদেশ দেন। তখন সাহাবিরা তা-ই করেন। (বুখারি ও মুসলিম) 

রাসুল (সা.) তাঁর পালক সন্তান জাইদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করেছিলেন। সুরা আহজাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং পালিত ছেলে যাদের তোমরা ছেলে বলো, আল্লাহ তাদের তোমাদের ছেলে বানাননি। এসব তোমাদের মুখের কথা। …. ওদের বাবার পরিচয়ে ডাকো; আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই ন্যায়সংগত। যদি তোমরা ওদের বাবার পরিচয় না জানো, তবে ওদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করো।’ (সুরা আহজাব: ৪-৫) 

রক্তের পরিচয় মুছে ফেলা নাজায়েজ
দত্তক নেওয়ার পর শিশুর আসল পরিচয় মুছে ফেলা হারাম। এমন শর্তে চুক্তি করে দত্তক নেওয়া বা টাকার বিনিময়ে দত্তক নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তাই এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. যে ব্যক্তি কোনো কাজে আমার নামে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি) 

তাই নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা বলে স্বীকৃতি দেওয়া নাজায়েজ। এই কাজকে হাদিসে ‘কুফরি’ বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করা থেকে বিমুখ হইও না। যে তার বাবা থেকে বিমুখ হয়, সে কুফরি করে।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে নিজের বাবা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করে, অথচ সে জানে ওই ব্যক্তি তার বাবা নন, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি ও মুসলিম) 

পালক পিতা–মাতাকে বাবা-মা না ডাকাই উত্তম
পালিত সন্তানেরা তাঁদের লালনকারীদের সম্মান করে বাবা-মা ডাকতে পারবেন। একইভাবে তাঁরাও স্নেহ করে পালিত সন্তানদের ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, সন্তানের আসল বাবা-মাকেই আসল বাবা-মা মনে করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আসল বাবা-মায়ের ওপর পালনকারী বাবা-মাকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। (ইবনে কাসির) 

মুফতি শফি (রহ.) বলেন, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।’ (আহকামুল কোরআন) 

পালিত সন্তান ওয়ারিশ হবেন না
পালনকারীর মৃত্যুর পর পালিত সন্তান মিরাস হিসেবে তাঁর সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইভাবে পালিত সন্তান মারা গেলে পালনকারীও তাঁর সম্পদের ওয়ারিশ হবেন না। তবে পালনকারী বেঁচে থাকতে পালিত সন্তানকে সম্পদের কিছু অংশ দান করতে পারবেন অথবা মৃত্যুর পর তাঁকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। অসিয়তের ক্ষেত্রে তা কেবল মৃতের মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকেই কার্যকর হবে। পক্ষান্তরে পালিত সন্তানের আসল বাবা-মার সম্পত্তি থেকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অংশ পাবেন। দত্তক দেওয়ার কারণে তাঁর ওয়ারিশ হওয়া বাতিল হবে না। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির) 

বিয়ে ও পর্দা সম্পর্কিত বিধান
পালিত সন্তানকে যেহেতু ইসলাম আসল সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিধানের ক্ষেত্রেই বিষয়টি কার্যকর হবে। অর্থাৎ, পালিত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পালনকারীর বাড়ির সবাইকে তাঁর সঙ্গে পর্দা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে পালনকারীর বিয়ে-শাদি করতে কোনো বাধা নেই। পালিত সন্তান ছেলে হলে সাবালক হওয়ার পর পালনকারী মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালনকারী বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে। (তুহফাতুল ফুকাহা) 

তবে পালিত সন্তান যেহেতু সাধারণত পালনকারীর বাড়িতেই থাকেন, তাই পর্দার বিধান সহজ করার জন্য দুই বছর (মতান্তরে আড়াই বছর) বয়স পর্যন্ত পালিত সন্তানকে দুধ পান করানোর কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মহানবী (সা.)-এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাহাবি আবু হুজাইফা (রা.) সালেমকে দত্তক নিয়েছিলেন। পর্দার প্রশ্নে তখন নবী (সা.) আবু হুজাইফার স্ত্রীকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দুধ পান করিয়ে দুধ ছেলে বানিয়ে নাও। এতে তুমি তাঁর মাহরাম হয়ে যাবে।’ তিনি তাই করলেন। (বুখারি ও মুসলিম) 

নাম-পরিচয় মুছে দিয়ে দত্তক নেওয়ার প্রথা ইসলামে স্বীকৃত না হলেও অভাবী, এতিম ও অসহায় শিশুদের লালনপালনে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং এমন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অসংখ্য ফজিলত বিবৃত হয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত