ইজাজুল হক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার। মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের সব মানবিক অধিকার নিশ্চিত করাই ইসলামের শিক্ষা। এ বিষয়ে নবীজির হাদিস থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
অধিকার রক্ষা করা
অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। একাধিক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! মুআহিদের (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে বা তার অধিকার খর্ব করে বা তাকে সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয় বা অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু আত্মসাৎ করে, তবে আমি কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব।’ (আবু দাউদ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুআহিদকে (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণই পাবে না, অথচ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ শোঁকা যাবে।’ (বুখারি)
অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া
অমুসলিম পরিচিতজন অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া নবীজির সুন্নত। আনাস (রা.) বলেন, এক ইহুদি বালক নবীজির সেবা করত। একবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবীজি তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার শিয়রে বসলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলেন। ছেলেটি পাশে বসে থাকা বাবার দিকে তাকাল। তার বাবা বললেন, তুমি নবীজির আনুগত্য করো। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করে। নবীজি বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ছেলেটিকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেছেন।’ (বুখারি)
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন করতেন। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাবার কিনেছিলেন এবং তাকে বন্ধক হিসেবে একটি বর্ম রাখতে দিয়েছিলেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ করা
আত্মীয়স্বজনদের কেউ অমুসলিম থাকলে আত্মীয়তার কারণে যে আন্তরিকতা পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে, তাতে কমানো যাবে না। আসমা বিনতে আবু বকার সিদ্দিক (রা.) বলেন, ‘আমার মা পৌত্তলিক থাকা অবস্থায় আমার ঘরে এলেন। আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার মা আমাকে
দেখতে এসেছেন এবং আমার সমাদর প্রত্যাশা করছেন। আমি কি তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারি? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কল্যাণ কামনা করা
অমুসলিমদের হেদায়তের দোয়া ও কল্যাণ কামনা করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, তোফাইল ইবনে আমর নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘ইসলাম গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করে দাউস গোত্র ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘হে আল্লাহ, দাউস গোত্রকে পথ দেখান এবং ইসলামে নিয়ে আসুন।’ (বুখারি)
উপহার দেওয়া
অমুসলিম পরিচিতজনদের উপহারও দেওয়া যায়। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ওমর একবার এক ব্যক্তির গায়ে এক টুকরো রেশমি কাপড় দেখতে পেলেন, যা সে বিক্রি করার জন্য রেখেছে। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘শুক্রবারে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পরিধান করার জন্য কাপড়টি কিনে নেন।’ নবীজি বললেন, ‘এটি সে-ই পরিধান করে, যে আখিরাতে কোনো ভাগ পাবে না।’ পরে আল্লাহর রাসুল (সা.) একই ধরনের কিছু রেশমি কাপড় পেলেন এবং একটি ওমরের কাছে পাঠালেন। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘আপনি এই কাপড় সম্পর্কে যা বলেছেন, তারপর কীভাবে আমি এটি পরব?’ নবীজি বললেন, ‘আমি তোমাকে এটি পরার জন্য দিইনি। তুমি তা বিক্রি করে দিতে পারো বা কাউকে উপহার দিতে পারো।’ তখন ওমর তা মক্কায় তাঁর এক ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, যিনি তখনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। (বুখারি) এ ঘটনায় নবীজি কোনোরকম আপত্তিও জানাননি।
উপহার নেওয়া
অমুসলিমদের উপহার নেওয়াও যায়। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন। এক ইহুদি নারী তাঁকে একটি ভেড়া উপহার দিয়েছিলেন, যেটি থেকে তিনি অল্প খেয়েছিলেন এবং তা বিষ মাখানো বলে প্রমাণিত হয়েছিল। নবীজি তাকে ক্ষমা করে দেন। অবশ্য, সেই ভেড়ার মাংস বিশর ইবনুল বারা নামের এক সাহাবিও খেয়েছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। ফলে ওই নারীকে এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (বুখারি)
শ্রদ্ধাবোধ
মৃত অমুসলিম ব্যক্তির জন্য মানবিক শ্রদ্ধাবোধ রাখাও নবীজির সুন্নত। জাবির ইবনে হাইয়ান বলেন, নবীজি ও তাঁর সাহাবিরা এক ইহুদির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় চোখের আড়ালে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ (নাসায়ি)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার। মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের সব মানবিক অধিকার নিশ্চিত করাই ইসলামের শিক্ষা। এ বিষয়ে নবীজির হাদিস থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
অধিকার রক্ষা করা
অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। একাধিক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! মুআহিদের (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে বা তার অধিকার খর্ব করে বা তাকে সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয় বা অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু আত্মসাৎ করে, তবে আমি কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব।’ (আবু দাউদ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুআহিদকে (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণই পাবে না, অথচ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ শোঁকা যাবে।’ (বুখারি)
অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া
অমুসলিম পরিচিতজন অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া নবীজির সুন্নত। আনাস (রা.) বলেন, এক ইহুদি বালক নবীজির সেবা করত। একবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবীজি তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার শিয়রে বসলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলেন। ছেলেটি পাশে বসে থাকা বাবার দিকে তাকাল। তার বাবা বললেন, তুমি নবীজির আনুগত্য করো। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করে। নবীজি বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ছেলেটিকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেছেন।’ (বুখারি)
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন করতেন। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাবার কিনেছিলেন এবং তাকে বন্ধক হিসেবে একটি বর্ম রাখতে দিয়েছিলেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ করা
আত্মীয়স্বজনদের কেউ অমুসলিম থাকলে আত্মীয়তার কারণে যে আন্তরিকতা পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে, তাতে কমানো যাবে না। আসমা বিনতে আবু বকার সিদ্দিক (রা.) বলেন, ‘আমার মা পৌত্তলিক থাকা অবস্থায় আমার ঘরে এলেন। আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার মা আমাকে
দেখতে এসেছেন এবং আমার সমাদর প্রত্যাশা করছেন। আমি কি তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারি? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কল্যাণ কামনা করা
অমুসলিমদের হেদায়তের দোয়া ও কল্যাণ কামনা করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, তোফাইল ইবনে আমর নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘ইসলাম গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করে দাউস গোত্র ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘হে আল্লাহ, দাউস গোত্রকে পথ দেখান এবং ইসলামে নিয়ে আসুন।’ (বুখারি)
উপহার দেওয়া
অমুসলিম পরিচিতজনদের উপহারও দেওয়া যায়। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ওমর একবার এক ব্যক্তির গায়ে এক টুকরো রেশমি কাপড় দেখতে পেলেন, যা সে বিক্রি করার জন্য রেখেছে। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘শুক্রবারে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পরিধান করার জন্য কাপড়টি কিনে নেন।’ নবীজি বললেন, ‘এটি সে-ই পরিধান করে, যে আখিরাতে কোনো ভাগ পাবে না।’ পরে আল্লাহর রাসুল (সা.) একই ধরনের কিছু রেশমি কাপড় পেলেন এবং একটি ওমরের কাছে পাঠালেন। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘আপনি এই কাপড় সম্পর্কে যা বলেছেন, তারপর কীভাবে আমি এটি পরব?’ নবীজি বললেন, ‘আমি তোমাকে এটি পরার জন্য দিইনি। তুমি তা বিক্রি করে দিতে পারো বা কাউকে উপহার দিতে পারো।’ তখন ওমর তা মক্কায় তাঁর এক ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, যিনি তখনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। (বুখারি) এ ঘটনায় নবীজি কোনোরকম আপত্তিও জানাননি।
উপহার নেওয়া
অমুসলিমদের উপহার নেওয়াও যায়। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন। এক ইহুদি নারী তাঁকে একটি ভেড়া উপহার দিয়েছিলেন, যেটি থেকে তিনি অল্প খেয়েছিলেন এবং তা বিষ মাখানো বলে প্রমাণিত হয়েছিল। নবীজি তাকে ক্ষমা করে দেন। অবশ্য, সেই ভেড়ার মাংস বিশর ইবনুল বারা নামের এক সাহাবিও খেয়েছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। ফলে ওই নারীকে এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (বুখারি)
শ্রদ্ধাবোধ
মৃত অমুসলিম ব্যক্তির জন্য মানবিক শ্রদ্ধাবোধ রাখাও নবীজির সুন্নত। জাবির ইবনে হাইয়ান বলেন, নবীজি ও তাঁর সাহাবিরা এক ইহুদির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় চোখের আড়ালে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ (নাসায়ি)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে