আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে