Ajker Patrika

নারীদের সম্পর্কে নবীজির সতর্কতা

ইসলাম ডেস্ক 
নারীদের সম্পর্কে নবীজির সতর্কতা

ইসলামের দৃষ্টিতে যেকোনো ধরনের জুলুম-নির্যাতন হারাম। আর তা যদি হয় নারী নির্যাতন, তবে তা আরও গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ। শুধু এটুকুই নয়, নির্যাতনের পক্ষে সহায়ক সব ধরনের উপকরণ-উপাদানও ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ আল্লাহর অত্যন্ত সম্মানিত সৃষ্টি। মানুষই সৃষ্টিজগতের সেরা জীব। আর নারী মানবসমাজের গর্বিত অংশীদার। ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই জন্মগতভাবে মর্যাদা দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি। তাদের জন্য জলে-স্থলে যানবাহনের ব্যবস্থা করেছি। তাদের পবিত্র রিজিক দিয়েছি। আর আমার অধিকাংশ সৃষ্টির মধ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়েছি।’ (সুরা ইসরা: ৭০)

মুসলিম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলাম শালীনতার শিক্ষা দিয়েছে। অত্যাচার, অপমান ও লাঞ্ছনার পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে মায়ের মর্যাদা দিয়েছে। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করতে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে। কন্যাসন্তানের লালনপালনকে আলাদাভাবে মহিমান্বিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার তিনটি কন্যা বা তিনটি বোন আছে, আর সে তাদের আদর, সোহাগ ও উত্তম শিক্ষা দিয়ে সুপাত্রে বিয়ে দিয়েছে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত। তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম যে (সদাচারে) তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি)

জীবনের পড়ন্ত বেলায় মহানবী (সা.) নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। বিদায় হজের ভাষণে লাখো মানুষের সামনে নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে মানুষ, নারীদের সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করো না। তাদের ওপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, তেমনি তোমাদের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। সুতরাং তাদের কল্যাণের দিকে সব সময় খেয়াল রেখো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত