কাউসার লাবীব

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য। এটি যেন নিছক একটি মসজিদ নয়, একই সঙ্গে সুফি সাধকদের মিলনস্থল, স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য উদাহরণ এবং মহান সাধক শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (রহ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত এক পবিত্র স্থান। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি ‘খানকার মসজিদ’, ‘আল-মুহিউই মসজিদ’ এবং ‘সালিমি মসজিদ’ নামেও পরিচিত।
মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে কালজয়ী সুফি সাধক আবু বকর মুহিউদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু আলী আত-তায়ি আল-আন্দালুসির নামানুসারে। যিনি ইবনুল আরাবি নামে সমধিক পরিচিত। এই মসজিদেরই পবিত্র ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মহান এই সাধক। মসজিদটির বিভিন্ন নাম এর ইতিহাসের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে। যেমন, উসমানি সুলতান প্রথম সালিমের নামানুসারে এটি ‘আস-সালিমি মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়। আবার ‘খানকার মসজিদ’ নামটি এর রাজকীয় মর্যাদা নির্দেশ করে। তবে ‘আল-মুহিউই মসজিদ’ নামটিই তাঁর নামের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সখ্য বহন করে।
মসজিদটির আদি রূপ ছিল বেশ সাদামাটা। একটি ছোট ভবন, যার মধ্যে ছিল একটি মিম্বার, একটি মিহরাব এবং ইবনুল আরাবির সমাধি। কিন্তু এর গুরুত্ব উসমানি সুলতান প্রথম সালিমের নজর এড়ায়নি। ১৫১৮ খ্রিষ্টাব্দে দামেস্ক সফরকালে তিনি এই মসজিদটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেন। এক কিংবদন্তি অনুসারে, সুলতান স্বপ্নে শায়খ মুহিউদ্দিনকে দেখেন, যিনি তাঁর সমাধির ওপর একটি মাকাম (সমাধিসৌধ) নির্মাণের অনুরোধ জানান। সুলতানের নির্দেশে উসমানি স্থপতি শিহাব উদ্দিন ইবনুল আত্তার এই মসজিদটিকে এক নতুন রূপ দেন।
ইবনুল আরাবির জীবন ছিল জ্ঞান, ভ্রমণ আর আধ্যাত্মিকতার এক প্রবহমান ধারা। ৫৬০ হিজরির ১৭ রমজান আন্দালুসের মুরসিয়ায় এক অভিজাত পরিবারে তাঁর জন্ম। আট বছর বয়সে তিনি সেভিলে পাড়ি জমান। তাঁর বিশাল জ্ঞান, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা এবং অসাধারণ সাহিত্য-প্রতিভা তাঁকে সেভিল রাজদরবারের একজন লেখক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। তবে তিনি কেবল একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন না; জ্ঞানার্জন, শিক্ষাদান এবং আধ্যাত্মিক বিতর্কের জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেন। জীবনের শেষ ভাগে দামেস্ক শহরে এসে তিনি ইন্তেকাল করেন। ৬৩৮ হিজরির ২৮ রবিউস সানি, শুক্রবার রাতে দামেস্কের কাজি ইবনুজ জাকির বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইবনুল আরাবির মরদেহ কাসিয়ুন পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত সালাহিয়ায় দাফন করা হয়। পরে উসমানি সুলতান সালিম এই সমাধির ওপর একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করে তাঁর স্মৃতি অমর করে রাখেন।

মসজিদটি উসমানি শৈলীতে সজ্জিত একটি বিশাল চত্বর নিয়ে গঠিত, যা রঙিন মার্বেল এবং সাদা-হলুদ পাথরের সমন্বয়ে এক মনোমুগ্ধকর রূপ ধারণ করেছে। চত্বরের মাঝখানে রয়েছে দামেস্কি শৈলীর একটি ছোট পুকুর। মসজিদের ভেতরের অংশটি চারটি খিলান ও পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যা মসজিদের মূল ভবনকে দৃঢ়তা দান করেছে। মসজিদের মিহরাব কাঠের তৈরি, আর এর গম্বুজ কারুকার্যময় টাইলস দিয়ে আবৃত। এর আকর্ষণীয় মিনার এবং দেয়ালে দামেস্কি উসমানি ও মামলুক শৈলীর ফলকগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করে।
শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি মসজিদ সব সময় ইবাদতে মুখরিত থাকে। এখানে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে আসেন। জুমার দিনে ও পবিত্র রমজানে এখানে বিশেষ আয়োজন হয়ে থাকে। এই মসজিদ ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী, যা আজও শায়খ ইবনুল আরাবির আধ্যাত্মিক উপস্থিতি এবং তাঁর জ্ঞানের আলোকবর্তিকা বহন করে চলছে।

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য। এটি যেন নিছক একটি মসজিদ নয়, একই সঙ্গে সুফি সাধকদের মিলনস্থল, স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য উদাহরণ এবং মহান সাধক শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (রহ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত এক পবিত্র স্থান। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি ‘খানকার মসজিদ’, ‘আল-মুহিউই মসজিদ’ এবং ‘সালিমি মসজিদ’ নামেও পরিচিত।
মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে কালজয়ী সুফি সাধক আবু বকর মুহিউদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু আলী আত-তায়ি আল-আন্দালুসির নামানুসারে। যিনি ইবনুল আরাবি নামে সমধিক পরিচিত। এই মসজিদেরই পবিত্র ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মহান এই সাধক। মসজিদটির বিভিন্ন নাম এর ইতিহাসের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে। যেমন, উসমানি সুলতান প্রথম সালিমের নামানুসারে এটি ‘আস-সালিমি মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়। আবার ‘খানকার মসজিদ’ নামটি এর রাজকীয় মর্যাদা নির্দেশ করে। তবে ‘আল-মুহিউই মসজিদ’ নামটিই তাঁর নামের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সখ্য বহন করে।
মসজিদটির আদি রূপ ছিল বেশ সাদামাটা। একটি ছোট ভবন, যার মধ্যে ছিল একটি মিম্বার, একটি মিহরাব এবং ইবনুল আরাবির সমাধি। কিন্তু এর গুরুত্ব উসমানি সুলতান প্রথম সালিমের নজর এড়ায়নি। ১৫১৮ খ্রিষ্টাব্দে দামেস্ক সফরকালে তিনি এই মসজিদটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেন। এক কিংবদন্তি অনুসারে, সুলতান স্বপ্নে শায়খ মুহিউদ্দিনকে দেখেন, যিনি তাঁর সমাধির ওপর একটি মাকাম (সমাধিসৌধ) নির্মাণের অনুরোধ জানান। সুলতানের নির্দেশে উসমানি স্থপতি শিহাব উদ্দিন ইবনুল আত্তার এই মসজিদটিকে এক নতুন রূপ দেন।
ইবনুল আরাবির জীবন ছিল জ্ঞান, ভ্রমণ আর আধ্যাত্মিকতার এক প্রবহমান ধারা। ৫৬০ হিজরির ১৭ রমজান আন্দালুসের মুরসিয়ায় এক অভিজাত পরিবারে তাঁর জন্ম। আট বছর বয়সে তিনি সেভিলে পাড়ি জমান। তাঁর বিশাল জ্ঞান, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা এবং অসাধারণ সাহিত্য-প্রতিভা তাঁকে সেভিল রাজদরবারের একজন লেখক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। তবে তিনি কেবল একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন না; জ্ঞানার্জন, শিক্ষাদান এবং আধ্যাত্মিক বিতর্কের জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেন। জীবনের শেষ ভাগে দামেস্ক শহরে এসে তিনি ইন্তেকাল করেন। ৬৩৮ হিজরির ২৮ রবিউস সানি, শুক্রবার রাতে দামেস্কের কাজি ইবনুজ জাকির বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইবনুল আরাবির মরদেহ কাসিয়ুন পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত সালাহিয়ায় দাফন করা হয়। পরে উসমানি সুলতান সালিম এই সমাধির ওপর একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করে তাঁর স্মৃতি অমর করে রাখেন।

মসজিদটি উসমানি শৈলীতে সজ্জিত একটি বিশাল চত্বর নিয়ে গঠিত, যা রঙিন মার্বেল এবং সাদা-হলুদ পাথরের সমন্বয়ে এক মনোমুগ্ধকর রূপ ধারণ করেছে। চত্বরের মাঝখানে রয়েছে দামেস্কি শৈলীর একটি ছোট পুকুর। মসজিদের ভেতরের অংশটি চারটি খিলান ও পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যা মসজিদের মূল ভবনকে দৃঢ়তা দান করেছে। মসজিদের মিহরাব কাঠের তৈরি, আর এর গম্বুজ কারুকার্যময় টাইলস দিয়ে আবৃত। এর আকর্ষণীয় মিনার এবং দেয়ালে দামেস্কি উসমানি ও মামলুক শৈলীর ফলকগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করে।
শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি মসজিদ সব সময় ইবাদতে মুখরিত থাকে। এখানে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে আসেন। জুমার দিনে ও পবিত্র রমজানে এখানে বিশেষ আয়োজন হয়ে থাকে। এই মসজিদ ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী, যা আজও শায়খ ইবনুল আরাবির আধ্যাত্মিক উপস্থিতি এবং তাঁর জ্ঞানের আলোকবর্তিকা বহন করে চলছে।

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৬ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য।
২২ আগস্ট ২০২৫
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৬ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
১০ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য।
২২ আগস্ট ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য।
২২ আগস্ট ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

দামেস্কের বুকে শায়খ মুহিউদ্দিন মহল্লায়, ইয়াজিদ নদীর শান্ত ধারার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি জামে মসজিদ। এর প্রতিটি ইট-পাথরে মিশে আছে শত শত বছরের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর শিল্পের নৈপুণ্য।
২২ আগস্ট ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৬ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে